হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমাদের লড়াই কেবল বাংলাদেশে নয়, দক্ষিণ এশিয়াব্যাপী। আমরা দেখেছি, সীমান্তে হত্যা হচ্ছে। ভারতীয় মুসলিমদের বাংলাদেশি বলে পুশ ইন করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে হবিগঞ্জে জুলাই পদযাত্রা শেষে শহরের এম সাইফুর রহমান মিলনায়তনের সামনে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাহিদ ইসলাম এসব বলেন।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাদের লড়াই শেষ হয়নি। আমাদের লড়াই মুজিববাদ ও ফ্যাসিবাদ বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টে শুরু করেছিলাম। আমরা নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। সেই লড়াই এখনো শেষ হয়নি। কারণ, আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত নতুন বাংলাদেশ পাইনি। জনগণের পাশে আমাদের আবারও দাঁড়াতে হবে। এলাকায় এলাকায় যে দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি আবার নতুন করে শুরু হচ্ছে, মুজিববাদ পুনর্বাসিত হচ্ছে, চাঁদাবাজ-দখলদারির রাজনীতি ফিরে আসছে, আমাদের সেই রাজনীতি ঠেকিয়ে দিতে হবে।’
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘আমরা দেখেছি, কয়েক দিন আগে যৌথ বাহিনী যুবদলের একজন কর্মীকে হত্যা করেছে। আমরা সেই হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা যেমন চাঁদাবাজির বিরোধিতা করি, তেমনি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডেরও বিরোধিতা করি।’
নাহিদ বলেন, ‘আমরা হবিগঞ্জের স্বাস্থ্যসেবার সমস্যার কথা জানি। কিছু হলেই ঢাকা বা সিলেট যেতে হয়। হবিগঞ্জের দূরদূরান্তর মানুষেরা স্বাস্থ্যসেবা পান না। হবিগঞ্জের তরুণেরা কর্মসংস্থান পান না। আমরা নতুন বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার সব সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে চাই। যেখানে স্বাস্থ্যসেবা তৈরি করা হবে, তরুণদের কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে। লুটেরা-দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সঞ্চালনায় পথসভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
এ সময় আখতার হোসেন বলেন, ‘আমরা বৈষম্যহীন বাংলাদেশের কথা বলি, সম্প্রীতির কথা বলি, পরিস্থিতির ওপর রাজনীতির কথা বলি। হাট-মাঠ-বাজারে চাঁদাবাজি-দখলদারির রাজনীতির পরিবর্তে জনগণের স্বার্থে নীতিনির্ধারণের জন্য পরিস্থিতির ওপর রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের লক্ষ্য। এই নতুন বাংলাদেশে আমরা রাজনৈতিক খেলা দেখতে চাই না।’
নতুন বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করতে হলে পেছন থেকে টেনে ধরে থাকা আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে উল্লেখ করে আখতার হোসেন বলেন, ‘বিচার বিভাগের কাছে আওয়ামী দোসরদের সোপর্দ করতে হবে। এই বাংলাদেশকে গড়তে হলে একটা নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। আমরা আহ্বান জানাই, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য, গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে হলে ষড়যন্ত্রকারীদের রুখতে হবে।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, জ্যেষ্ঠ মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা দিনা, সামান্তা শারমীন, যুগ্ম সদস্যসচিব জয়নাল আবেদীন শিশির এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ, হবিগঞ্জ জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ উদ্দিন তারেক ও পদযাত্রা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
এর আগে বেলা সাড়ে ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে হবিগঞ্জ এসে পৌঁছায় এনসিপির পদযাত্রা। এরপর হবিগঞ্জ সার্কিট হাউসে এনসিপি নেতারা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ১৭ শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তাঁরা শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এরপর সার্কিট হাউসের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু করে এম সাইফুর রহমান পৌর টাউন হলের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমাদের লড়াই কেবল বাংলাদেশে নয়, দক্ষিণ এশিয়াব্যাপী। আমরা দেখেছি, সীমান্তে হত্যা হচ্ছে। ভারতীয় মুসলিমদের বাংলাদেশি বলে পুশ ইন করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে হবিগঞ্জে জুলাই পদযাত্রা শেষে শহরের এম সাইফুর রহমান মিলনায়তনের সামনে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাহিদ ইসলাম এসব বলেন।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাদের লড়াই শেষ হয়নি। আমাদের লড়াই মুজিববাদ ও ফ্যাসিবাদ বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টে শুরু করেছিলাম। আমরা নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। সেই লড়াই এখনো শেষ হয়নি। কারণ, আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত নতুন বাংলাদেশ পাইনি। জনগণের পাশে আমাদের আবারও দাঁড়াতে হবে। এলাকায় এলাকায় যে দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি আবার নতুন করে শুরু হচ্ছে, মুজিববাদ পুনর্বাসিত হচ্ছে, চাঁদাবাজ-দখলদারির রাজনীতি ফিরে আসছে, আমাদের সেই রাজনীতি ঠেকিয়ে দিতে হবে।’
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘আমরা দেখেছি, কয়েক দিন আগে যৌথ বাহিনী যুবদলের একজন কর্মীকে হত্যা করেছে। আমরা সেই হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা যেমন চাঁদাবাজির বিরোধিতা করি, তেমনি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডেরও বিরোধিতা করি।’
নাহিদ বলেন, ‘আমরা হবিগঞ্জের স্বাস্থ্যসেবার সমস্যার কথা জানি। কিছু হলেই ঢাকা বা সিলেট যেতে হয়। হবিগঞ্জের দূরদূরান্তর মানুষেরা স্বাস্থ্যসেবা পান না। হবিগঞ্জের তরুণেরা কর্মসংস্থান পান না। আমরা নতুন বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার সব সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে চাই। যেখানে স্বাস্থ্যসেবা তৈরি করা হবে, তরুণদের কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে। লুটেরা-দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সঞ্চালনায় পথসভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
এ সময় আখতার হোসেন বলেন, ‘আমরা বৈষম্যহীন বাংলাদেশের কথা বলি, সম্প্রীতির কথা বলি, পরিস্থিতির ওপর রাজনীতির কথা বলি। হাট-মাঠ-বাজারে চাঁদাবাজি-দখলদারির রাজনীতির পরিবর্তে জনগণের স্বার্থে নীতিনির্ধারণের জন্য পরিস্থিতির ওপর রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের লক্ষ্য। এই নতুন বাংলাদেশে আমরা রাজনৈতিক খেলা দেখতে চাই না।’
নতুন বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করতে হলে পেছন থেকে টেনে ধরে থাকা আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে উল্লেখ করে আখতার হোসেন বলেন, ‘বিচার বিভাগের কাছে আওয়ামী দোসরদের সোপর্দ করতে হবে। এই বাংলাদেশকে গড়তে হলে একটা নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। আমরা আহ্বান জানাই, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য, গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে হলে ষড়যন্ত্রকারীদের রুখতে হবে।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, জ্যেষ্ঠ মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা দিনা, সামান্তা শারমীন, যুগ্ম সদস্যসচিব জয়নাল আবেদীন শিশির এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ, হবিগঞ্জ জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ উদ্দিন তারেক ও পদযাত্রা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
এর আগে বেলা সাড়ে ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে হবিগঞ্জ এসে পৌঁছায় এনসিপির পদযাত্রা। এরপর হবিগঞ্জ সার্কিট হাউসে এনসিপি নেতারা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ১৭ শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তাঁরা শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এরপর সার্কিট হাউসের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু করে এম সাইফুর রহমান পৌর টাউন হলের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
বাংলাদেশের জনগণ যে পরিবর্তনের আশায় আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে, সেই পথ রুদ্ধ করার চেষ্টা করলে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, যারা নতুন করে ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা করছে, প্রয়োজনে তাদেরও রুখে দেওয়া হবে।
৭ ঘণ্টা আগেশফিকুর রহমান বলেন, ‘দুর্নীতি আমাদের সংস্কৃতি নয়, চাঁদাবাজি আমাদের সংস্কৃতি নয়, দখলদারি আমাদের সংস্কৃতি নয়। যে দল তার কর্মীদের এভাবে গড়ে তুলতে পেরেছে, সেই দলের হাতে দেশ এলে ইনশা আল্লাহ দেশ গড়ে তুলতে পারবে। যে দল তার কর্মীদের সামাল দিতে পারছে না বা পারবে না, সে দলের হাতে বাংলাদেশের একজন মানুষও নিরাপদ
১ দিন আগে‘আমরা খবর পাচ্ছি, যাঁরা এনসিপিতে যোগ দিতে চান, তাঁদের বিভিন্নভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে। ওপরে আল্লাহ, নিচে মাটি, জালিমের শাসনের কবর হয়েছে। এনসিপির কোনো নেতা-কর্মীর দিকে চোখ তুলে তাকাবেন না। আমরা গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য একটি রাজনৈতিক দল। আরেকটি রাজনৈতিক দলকে সহযোগিতা করব। কিন্তু পরশ্রীকাতরতা ও হিংসার রাজনীত
১ দিন আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র আদায় করা হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সব সময় ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এখানকার সাহসী সন্তানেরা বারবার রক্ত দিয়েছেন, জীবন দিয়েছেন।
১ দিন আগে