রেজা করিম

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের লাইন এখন অনেক লম্বা। প্রার্থী বাছাই করতে তাই নাজেহাল অবস্থা দলটির। এর ওপর যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের জন্য ছাড়তে হবে আসন। খুঁজতে হচ্ছে নতুন শরিক দলও। হিসাব মিলে গেলেও আসনের ভাগ দিতে হবে তাদের। কিন্তু ওই দল থেকে জিতে আসার মতো প্রার্থী হাতে গোনা। আবার ভোটে প্রতীক ব্যবহারের নিয়মেও এসেছে বদল। এ অবস্থায় শরিক দল ও নিজেদের আসনের হিসাব মেলানো বেশ চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়িয়েছে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের জন্য।
ঘোষণা অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি। এর আগে চলতি মাসের মধ্যেই ২০০ আসনে নিজেদের একক প্রার্থী বাছাই করে তাঁদের সবুজ সংকেত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘এ মাসের মধ্যেই দলের পক্ষ থেকে কম-বেশি ২০০ নির্বাচনী এলাকায় একক প্রার্থীকে হয়তো আমরা গ্রিন সিগন্যাল দেব। সে প্রক্রিয়ায় আছি, আমরা শেষের দিকে।’
বিএনপি ও সংশ্লিষ্ট দলগুলোর সূত্র বলছে, আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপির সঙ্গে শরিক দলগুলোর আলোচনা চলমান রয়েছে। দলগুলো পৃথকভাবে তাদের প্রস্তাবিত প্রার্থীর তালিকা দিয়ে সে অনুযায়ী আসন ছাড় চেয়েছে। জমা পড়া তালিকা অনুযায়ী বিএনপির কাছে শরিকেরা দুই শতাধিক আসন ছাড় চেয়েছে। এসব তালিকা পর্যালোচনা করে সর্বোচ্চ ৩০টির মতো ছাড়ের কথা ভাবছে বিএনপি। এরই মধ্যে শরিক দলগুলোর মধ্য থেকে অন্তত ১৫ জনকে সবুজ সংকেত দিয়েছে তারা।
এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির জোটবদ্ধ হওয়ার আলোচনাও এখন প্রকাশ্যে। তাদের মধ্যে আসন ভাগাভাগির আলোচনাও চলছে বলে জানা গেছে।
বিএনপির একটি সূত্র বলছে, এনসিপির সঙ্গে বিএনপির আলোচনা চলছে। এসব আলোচনা আসন ভাগাভাগি পর্যন্ত গড়িয়েছে। জোটবদ্ধ হলে এনসিপিকে ৫ থেকে ৭টি আসন ছাড় দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে বিএনপির পক্ষ থেকে। তবে এনসিপির চাওয়া আরও বেশি।
যদিও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলছেন, এনসিপির সঙ্গে বিএনপির রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে। তবে দল দুটি জোটবদ্ধ হবে কী হবে না—তা এখনই বলা যায় না।
এদিকে বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনী জোটের বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমরা এখনো সম্ভাব্যতা যাচাইপর্বে আছি। আমাদের লক্ষ্য সরকার গঠন করা। সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা উঠে আসতে চাই এবং সে ক্ষেত্রে যেকোনো দলের সঙ্গে জোট বা সমঝোতা হতেই পারে। কিন্তু আমরা নিজেদের সক্ষমতাটা আগে তৈরি করছি।’
বিএনপির সূত্র বলছে, বিগত দিনে তাদের সঙ্গে রাজপথে যে দলগুলো যুগপৎ আন্দোলন করেছে, তাদের অবদানকে অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু যে সংখ্যক আসন ছাড়ের দাবি দলগুলোর পক্ষ থেকে এসেছে, তা বাস্তবসম্মত নয়। আবার যাকে আসন ছাড়া হবে, তিনি বিজয়ী হতে পারবেন কি না, তাও বিবেচনায় নিতে হচ্ছে। আসন ছাড় দিয়ে বিজয়ী হতে পারলেন না, প্রতিদ্বন্দ্বীরা জয়ী হলো, হয়তো সেই আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী জয়ী হতো—এমনটি হলে সবদিক থেকেই ক্ষতির কারণ হবে।
এর মধ্যে প্রতীক ব্যবহারের নিয়ম বদলের কারণে শরিকদের নিয়ে নতুন ভাবনায় পড়তে হয়েছে বিএনপিকে। সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, এখন থেকে জোটের প্রার্থীদের নিজ দলের প্রতীকেই নির্বাচন করতে হবে। জোটের প্রধান দলের প্রতীক ব্যবহার করা যাবে না। এ বাস্তবতায় শরিকদের জন্য ৩০টির বেশি আসন ছাড়ের সম্ভাবনা দেখছেন না বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ভূমিকা রাখেন এমন এক নেতা বলেন, শরিক দলের প্রার্থীদের মাঠের অবস্থান দুর্বল। বিএনপির মাঠ জরিপে এ বাস্তবতা উঠে এসেছে। এখন তাদের মধ্য থেকে জয়ী হওয়ার মতো প্রার্থী খুঁজে পাওয়াই দুরূহ হয়ে পড়েছে। তবে যেহেতু প্রতিশ্রুতি রয়েছে শরিকদের জন্য, তাই ভালো একটা উপায় খোঁজার চেষ্টা চলছে। প্রতীক বদলের বিষয়টি সংশোধনের জন্য এরই মধ্যে বিএনপি নির্বাচন কমিশনে যোগাযোগ করছে বলেও জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
শরিক দলের নেতারাও এ বাস্তবতা মেনে নিয়েছেন। এর মধ্যে অনেক দল আগে জমা দেওয়া তালিকা ছোট করার কাজ করছে বলেও জানা গেছে।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা সাইফুল হক বলেন, ‘আমরা যে তালিকা করেছিলাম, তার একটা শর্টলিস্ট করছি। আগামী দু-এক দিনে মধ্যে এ কাজ শেষ হবে। চার-পাঁচ দিনের মধ্যে এ নিয়ে আমরা বিএনপির সঙ্গে বসব।’
আর বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, প্রতীক ব্যবহারের নতুন নিয়ম বলবৎ থাকলে নিবন্ধিত ছোট দলগুলো সমস্যায় পড়বে। অচেনা প্রতীক নিয়ে তাদের জয়ী হতে বেগ পেতে হবে। তবে যেসব দলের নিবন্ধন নেই, তাদের জন্য সমস্যা নেই।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের নেতা ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘বিগত সময়ে যারা যুগপৎ আন্দোলন করেছে, ‘বিএনপি আমাদের কাছে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা চেয়েছে, আমরা দিয়েছি। শিগগিরই শরিকদের বিষয়টি নিয়ে বসবে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।’
আরপিও সংশোধন ও প্রতীক নিয়ে এই নেতা বলেন, গ্রামের মানুষ ছোট দলের প্রতীক চেনে না। এত কম সময়ে নতুন কোনো প্রতীককে পরিচিত করে তোলাও কঠিন। আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপির সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও বিষয়টি জটিলতার সৃষ্টি করেছে।
আরও খবর পড়ুন:

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের লাইন এখন অনেক লম্বা। প্রার্থী বাছাই করতে তাই নাজেহাল অবস্থা দলটির। এর ওপর যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের জন্য ছাড়তে হবে আসন। খুঁজতে হচ্ছে নতুন শরিক দলও। হিসাব মিলে গেলেও আসনের ভাগ দিতে হবে তাদের। কিন্তু ওই দল থেকে জিতে আসার মতো প্রার্থী হাতে গোনা। আবার ভোটে প্রতীক ব্যবহারের নিয়মেও এসেছে বদল। এ অবস্থায় শরিক দল ও নিজেদের আসনের হিসাব মেলানো বেশ চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়িয়েছে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের জন্য।
ঘোষণা অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি। এর আগে চলতি মাসের মধ্যেই ২০০ আসনে নিজেদের একক প্রার্থী বাছাই করে তাঁদের সবুজ সংকেত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘এ মাসের মধ্যেই দলের পক্ষ থেকে কম-বেশি ২০০ নির্বাচনী এলাকায় একক প্রার্থীকে হয়তো আমরা গ্রিন সিগন্যাল দেব। সে প্রক্রিয়ায় আছি, আমরা শেষের দিকে।’
বিএনপি ও সংশ্লিষ্ট দলগুলোর সূত্র বলছে, আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপির সঙ্গে শরিক দলগুলোর আলোচনা চলমান রয়েছে। দলগুলো পৃথকভাবে তাদের প্রস্তাবিত প্রার্থীর তালিকা দিয়ে সে অনুযায়ী আসন ছাড় চেয়েছে। জমা পড়া তালিকা অনুযায়ী বিএনপির কাছে শরিকেরা দুই শতাধিক আসন ছাড় চেয়েছে। এসব তালিকা পর্যালোচনা করে সর্বোচ্চ ৩০টির মতো ছাড়ের কথা ভাবছে বিএনপি। এরই মধ্যে শরিক দলগুলোর মধ্য থেকে অন্তত ১৫ জনকে সবুজ সংকেত দিয়েছে তারা।
এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির জোটবদ্ধ হওয়ার আলোচনাও এখন প্রকাশ্যে। তাদের মধ্যে আসন ভাগাভাগির আলোচনাও চলছে বলে জানা গেছে।
বিএনপির একটি সূত্র বলছে, এনসিপির সঙ্গে বিএনপির আলোচনা চলছে। এসব আলোচনা আসন ভাগাভাগি পর্যন্ত গড়িয়েছে। জোটবদ্ধ হলে এনসিপিকে ৫ থেকে ৭টি আসন ছাড় দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে বিএনপির পক্ষ থেকে। তবে এনসিপির চাওয়া আরও বেশি।
যদিও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলছেন, এনসিপির সঙ্গে বিএনপির রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে। তবে দল দুটি জোটবদ্ধ হবে কী হবে না—তা এখনই বলা যায় না।
এদিকে বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনী জোটের বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমরা এখনো সম্ভাব্যতা যাচাইপর্বে আছি। আমাদের লক্ষ্য সরকার গঠন করা। সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা উঠে আসতে চাই এবং সে ক্ষেত্রে যেকোনো দলের সঙ্গে জোট বা সমঝোতা হতেই পারে। কিন্তু আমরা নিজেদের সক্ষমতাটা আগে তৈরি করছি।’
বিএনপির সূত্র বলছে, বিগত দিনে তাদের সঙ্গে রাজপথে যে দলগুলো যুগপৎ আন্দোলন করেছে, তাদের অবদানকে অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু যে সংখ্যক আসন ছাড়ের দাবি দলগুলোর পক্ষ থেকে এসেছে, তা বাস্তবসম্মত নয়। আবার যাকে আসন ছাড়া হবে, তিনি বিজয়ী হতে পারবেন কি না, তাও বিবেচনায় নিতে হচ্ছে। আসন ছাড় দিয়ে বিজয়ী হতে পারলেন না, প্রতিদ্বন্দ্বীরা জয়ী হলো, হয়তো সেই আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী জয়ী হতো—এমনটি হলে সবদিক থেকেই ক্ষতির কারণ হবে।
এর মধ্যে প্রতীক ব্যবহারের নিয়ম বদলের কারণে শরিকদের নিয়ে নতুন ভাবনায় পড়তে হয়েছে বিএনপিকে। সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, এখন থেকে জোটের প্রার্থীদের নিজ দলের প্রতীকেই নির্বাচন করতে হবে। জোটের প্রধান দলের প্রতীক ব্যবহার করা যাবে না। এ বাস্তবতায় শরিকদের জন্য ৩০টির বেশি আসন ছাড়ের সম্ভাবনা দেখছেন না বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ভূমিকা রাখেন এমন এক নেতা বলেন, শরিক দলের প্রার্থীদের মাঠের অবস্থান দুর্বল। বিএনপির মাঠ জরিপে এ বাস্তবতা উঠে এসেছে। এখন তাদের মধ্য থেকে জয়ী হওয়ার মতো প্রার্থী খুঁজে পাওয়াই দুরূহ হয়ে পড়েছে। তবে যেহেতু প্রতিশ্রুতি রয়েছে শরিকদের জন্য, তাই ভালো একটা উপায় খোঁজার চেষ্টা চলছে। প্রতীক বদলের বিষয়টি সংশোধনের জন্য এরই মধ্যে বিএনপি নির্বাচন কমিশনে যোগাযোগ করছে বলেও জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
শরিক দলের নেতারাও এ বাস্তবতা মেনে নিয়েছেন। এর মধ্যে অনেক দল আগে জমা দেওয়া তালিকা ছোট করার কাজ করছে বলেও জানা গেছে।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা সাইফুল হক বলেন, ‘আমরা যে তালিকা করেছিলাম, তার একটা শর্টলিস্ট করছি। আগামী দু-এক দিনে মধ্যে এ কাজ শেষ হবে। চার-পাঁচ দিনের মধ্যে এ নিয়ে আমরা বিএনপির সঙ্গে বসব।’
আর বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, প্রতীক ব্যবহারের নতুন নিয়ম বলবৎ থাকলে নিবন্ধিত ছোট দলগুলো সমস্যায় পড়বে। অচেনা প্রতীক নিয়ে তাদের জয়ী হতে বেগ পেতে হবে। তবে যেসব দলের নিবন্ধন নেই, তাদের জন্য সমস্যা নেই।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের নেতা ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘বিগত সময়ে যারা যুগপৎ আন্দোলন করেছে, ‘বিএনপি আমাদের কাছে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা চেয়েছে, আমরা দিয়েছি। শিগগিরই শরিকদের বিষয়টি নিয়ে বসবে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।’
আরপিও সংশোধন ও প্রতীক নিয়ে এই নেতা বলেন, গ্রামের মানুষ ছোট দলের প্রতীক চেনে না। এত কম সময়ে নতুন কোনো প্রতীককে পরিচিত করে তোলাও কঠিন। আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপির সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও বিষয়টি জটিলতার সৃষ্টি করেছে।
আরও খবর পড়ুন:
রেজা করিম

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের লাইন এখন অনেক লম্বা। প্রার্থী বাছাই করতে তাই নাজেহাল অবস্থা দলটির। এর ওপর যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের জন্য ছাড়তে হবে আসন। খুঁজতে হচ্ছে নতুন শরিক দলও। হিসাব মিলে গেলেও আসনের ভাগ দিতে হবে তাদের। কিন্তু ওই দল থেকে জিতে আসার মতো প্রার্থী হাতে গোনা। আবার ভোটে প্রতীক ব্যবহারের নিয়মেও এসেছে বদল। এ অবস্থায় শরিক দল ও নিজেদের আসনের হিসাব মেলানো বেশ চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়িয়েছে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের জন্য।
ঘোষণা অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি। এর আগে চলতি মাসের মধ্যেই ২০০ আসনে নিজেদের একক প্রার্থী বাছাই করে তাঁদের সবুজ সংকেত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘এ মাসের মধ্যেই দলের পক্ষ থেকে কম-বেশি ২০০ নির্বাচনী এলাকায় একক প্রার্থীকে হয়তো আমরা গ্রিন সিগন্যাল দেব। সে প্রক্রিয়ায় আছি, আমরা শেষের দিকে।’
বিএনপি ও সংশ্লিষ্ট দলগুলোর সূত্র বলছে, আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপির সঙ্গে শরিক দলগুলোর আলোচনা চলমান রয়েছে। দলগুলো পৃথকভাবে তাদের প্রস্তাবিত প্রার্থীর তালিকা দিয়ে সে অনুযায়ী আসন ছাড় চেয়েছে। জমা পড়া তালিকা অনুযায়ী বিএনপির কাছে শরিকেরা দুই শতাধিক আসন ছাড় চেয়েছে। এসব তালিকা পর্যালোচনা করে সর্বোচ্চ ৩০টির মতো ছাড়ের কথা ভাবছে বিএনপি। এরই মধ্যে শরিক দলগুলোর মধ্য থেকে অন্তত ১৫ জনকে সবুজ সংকেত দিয়েছে তারা।
এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির জোটবদ্ধ হওয়ার আলোচনাও এখন প্রকাশ্যে। তাদের মধ্যে আসন ভাগাভাগির আলোচনাও চলছে বলে জানা গেছে।
বিএনপির একটি সূত্র বলছে, এনসিপির সঙ্গে বিএনপির আলোচনা চলছে। এসব আলোচনা আসন ভাগাভাগি পর্যন্ত গড়িয়েছে। জোটবদ্ধ হলে এনসিপিকে ৫ থেকে ৭টি আসন ছাড় দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে বিএনপির পক্ষ থেকে। তবে এনসিপির চাওয়া আরও বেশি।
যদিও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলছেন, এনসিপির সঙ্গে বিএনপির রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে। তবে দল দুটি জোটবদ্ধ হবে কী হবে না—তা এখনই বলা যায় না।
এদিকে বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনী জোটের বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমরা এখনো সম্ভাব্যতা যাচাইপর্বে আছি। আমাদের লক্ষ্য সরকার গঠন করা। সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা উঠে আসতে চাই এবং সে ক্ষেত্রে যেকোনো দলের সঙ্গে জোট বা সমঝোতা হতেই পারে। কিন্তু আমরা নিজেদের সক্ষমতাটা আগে তৈরি করছি।’
বিএনপির সূত্র বলছে, বিগত দিনে তাদের সঙ্গে রাজপথে যে দলগুলো যুগপৎ আন্দোলন করেছে, তাদের অবদানকে অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু যে সংখ্যক আসন ছাড়ের দাবি দলগুলোর পক্ষ থেকে এসেছে, তা বাস্তবসম্মত নয়। আবার যাকে আসন ছাড়া হবে, তিনি বিজয়ী হতে পারবেন কি না, তাও বিবেচনায় নিতে হচ্ছে। আসন ছাড় দিয়ে বিজয়ী হতে পারলেন না, প্রতিদ্বন্দ্বীরা জয়ী হলো, হয়তো সেই আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী জয়ী হতো—এমনটি হলে সবদিক থেকেই ক্ষতির কারণ হবে।
এর মধ্যে প্রতীক ব্যবহারের নিয়ম বদলের কারণে শরিকদের নিয়ে নতুন ভাবনায় পড়তে হয়েছে বিএনপিকে। সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, এখন থেকে জোটের প্রার্থীদের নিজ দলের প্রতীকেই নির্বাচন করতে হবে। জোটের প্রধান দলের প্রতীক ব্যবহার করা যাবে না। এ বাস্তবতায় শরিকদের জন্য ৩০টির বেশি আসন ছাড়ের সম্ভাবনা দেখছেন না বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ভূমিকা রাখেন এমন এক নেতা বলেন, শরিক দলের প্রার্থীদের মাঠের অবস্থান দুর্বল। বিএনপির মাঠ জরিপে এ বাস্তবতা উঠে এসেছে। এখন তাদের মধ্য থেকে জয়ী হওয়ার মতো প্রার্থী খুঁজে পাওয়াই দুরূহ হয়ে পড়েছে। তবে যেহেতু প্রতিশ্রুতি রয়েছে শরিকদের জন্য, তাই ভালো একটা উপায় খোঁজার চেষ্টা চলছে। প্রতীক বদলের বিষয়টি সংশোধনের জন্য এরই মধ্যে বিএনপি নির্বাচন কমিশনে যোগাযোগ করছে বলেও জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
শরিক দলের নেতারাও এ বাস্তবতা মেনে নিয়েছেন। এর মধ্যে অনেক দল আগে জমা দেওয়া তালিকা ছোট করার কাজ করছে বলেও জানা গেছে।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা সাইফুল হক বলেন, ‘আমরা যে তালিকা করেছিলাম, তার একটা শর্টলিস্ট করছি। আগামী দু-এক দিনে মধ্যে এ কাজ শেষ হবে। চার-পাঁচ দিনের মধ্যে এ নিয়ে আমরা বিএনপির সঙ্গে বসব।’
আর বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, প্রতীক ব্যবহারের নতুন নিয়ম বলবৎ থাকলে নিবন্ধিত ছোট দলগুলো সমস্যায় পড়বে। অচেনা প্রতীক নিয়ে তাদের জয়ী হতে বেগ পেতে হবে। তবে যেসব দলের নিবন্ধন নেই, তাদের জন্য সমস্যা নেই।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের নেতা ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘বিগত সময়ে যারা যুগপৎ আন্দোলন করেছে, ‘বিএনপি আমাদের কাছে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা চেয়েছে, আমরা দিয়েছি। শিগগিরই শরিকদের বিষয়টি নিয়ে বসবে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।’
আরপিও সংশোধন ও প্রতীক নিয়ে এই নেতা বলেন, গ্রামের মানুষ ছোট দলের প্রতীক চেনে না। এত কম সময়ে নতুন কোনো প্রতীককে পরিচিত করে তোলাও কঠিন। আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপির সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও বিষয়টি জটিলতার সৃষ্টি করেছে।
আরও খবর পড়ুন:

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের লাইন এখন অনেক লম্বা। প্রার্থী বাছাই করতে তাই নাজেহাল অবস্থা দলটির। এর ওপর যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের জন্য ছাড়তে হবে আসন। খুঁজতে হচ্ছে নতুন শরিক দলও। হিসাব মিলে গেলেও আসনের ভাগ দিতে হবে তাদের। কিন্তু ওই দল থেকে জিতে আসার মতো প্রার্থী হাতে গোনা। আবার ভোটে প্রতীক ব্যবহারের নিয়মেও এসেছে বদল। এ অবস্থায় শরিক দল ও নিজেদের আসনের হিসাব মেলানো বেশ চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়িয়েছে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের জন্য।
ঘোষণা অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি। এর আগে চলতি মাসের মধ্যেই ২০০ আসনে নিজেদের একক প্রার্থী বাছাই করে তাঁদের সবুজ সংকেত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘এ মাসের মধ্যেই দলের পক্ষ থেকে কম-বেশি ২০০ নির্বাচনী এলাকায় একক প্রার্থীকে হয়তো আমরা গ্রিন সিগন্যাল দেব। সে প্রক্রিয়ায় আছি, আমরা শেষের দিকে।’
বিএনপি ও সংশ্লিষ্ট দলগুলোর সূত্র বলছে, আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপির সঙ্গে শরিক দলগুলোর আলোচনা চলমান রয়েছে। দলগুলো পৃথকভাবে তাদের প্রস্তাবিত প্রার্থীর তালিকা দিয়ে সে অনুযায়ী আসন ছাড় চেয়েছে। জমা পড়া তালিকা অনুযায়ী বিএনপির কাছে শরিকেরা দুই শতাধিক আসন ছাড় চেয়েছে। এসব তালিকা পর্যালোচনা করে সর্বোচ্চ ৩০টির মতো ছাড়ের কথা ভাবছে বিএনপি। এরই মধ্যে শরিক দলগুলোর মধ্য থেকে অন্তত ১৫ জনকে সবুজ সংকেত দিয়েছে তারা।
এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির জোটবদ্ধ হওয়ার আলোচনাও এখন প্রকাশ্যে। তাদের মধ্যে আসন ভাগাভাগির আলোচনাও চলছে বলে জানা গেছে।
বিএনপির একটি সূত্র বলছে, এনসিপির সঙ্গে বিএনপির আলোচনা চলছে। এসব আলোচনা আসন ভাগাভাগি পর্যন্ত গড়িয়েছে। জোটবদ্ধ হলে এনসিপিকে ৫ থেকে ৭টি আসন ছাড় দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে বিএনপির পক্ষ থেকে। তবে এনসিপির চাওয়া আরও বেশি।
যদিও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলছেন, এনসিপির সঙ্গে বিএনপির রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে। তবে দল দুটি জোটবদ্ধ হবে কী হবে না—তা এখনই বলা যায় না।
এদিকে বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনী জোটের বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমরা এখনো সম্ভাব্যতা যাচাইপর্বে আছি। আমাদের লক্ষ্য সরকার গঠন করা। সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা উঠে আসতে চাই এবং সে ক্ষেত্রে যেকোনো দলের সঙ্গে জোট বা সমঝোতা হতেই পারে। কিন্তু আমরা নিজেদের সক্ষমতাটা আগে তৈরি করছি।’
বিএনপির সূত্র বলছে, বিগত দিনে তাদের সঙ্গে রাজপথে যে দলগুলো যুগপৎ আন্দোলন করেছে, তাদের অবদানকে অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু যে সংখ্যক আসন ছাড়ের দাবি দলগুলোর পক্ষ থেকে এসেছে, তা বাস্তবসম্মত নয়। আবার যাকে আসন ছাড়া হবে, তিনি বিজয়ী হতে পারবেন কি না, তাও বিবেচনায় নিতে হচ্ছে। আসন ছাড় দিয়ে বিজয়ী হতে পারলেন না, প্রতিদ্বন্দ্বীরা জয়ী হলো, হয়তো সেই আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী জয়ী হতো—এমনটি হলে সবদিক থেকেই ক্ষতির কারণ হবে।
এর মধ্যে প্রতীক ব্যবহারের নিয়ম বদলের কারণে শরিকদের নিয়ে নতুন ভাবনায় পড়তে হয়েছে বিএনপিকে। সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, এখন থেকে জোটের প্রার্থীদের নিজ দলের প্রতীকেই নির্বাচন করতে হবে। জোটের প্রধান দলের প্রতীক ব্যবহার করা যাবে না। এ বাস্তবতায় শরিকদের জন্য ৩০টির বেশি আসন ছাড়ের সম্ভাবনা দেখছেন না বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ভূমিকা রাখেন এমন এক নেতা বলেন, শরিক দলের প্রার্থীদের মাঠের অবস্থান দুর্বল। বিএনপির মাঠ জরিপে এ বাস্তবতা উঠে এসেছে। এখন তাদের মধ্য থেকে জয়ী হওয়ার মতো প্রার্থী খুঁজে পাওয়াই দুরূহ হয়ে পড়েছে। তবে যেহেতু প্রতিশ্রুতি রয়েছে শরিকদের জন্য, তাই ভালো একটা উপায় খোঁজার চেষ্টা চলছে। প্রতীক বদলের বিষয়টি সংশোধনের জন্য এরই মধ্যে বিএনপি নির্বাচন কমিশনে যোগাযোগ করছে বলেও জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
শরিক দলের নেতারাও এ বাস্তবতা মেনে নিয়েছেন। এর মধ্যে অনেক দল আগে জমা দেওয়া তালিকা ছোট করার কাজ করছে বলেও জানা গেছে।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা সাইফুল হক বলেন, ‘আমরা যে তালিকা করেছিলাম, তার একটা শর্টলিস্ট করছি। আগামী দু-এক দিনে মধ্যে এ কাজ শেষ হবে। চার-পাঁচ দিনের মধ্যে এ নিয়ে আমরা বিএনপির সঙ্গে বসব।’
আর বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, প্রতীক ব্যবহারের নতুন নিয়ম বলবৎ থাকলে নিবন্ধিত ছোট দলগুলো সমস্যায় পড়বে। অচেনা প্রতীক নিয়ে তাদের জয়ী হতে বেগ পেতে হবে। তবে যেসব দলের নিবন্ধন নেই, তাদের জন্য সমস্যা নেই।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের নেতা ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘বিগত সময়ে যারা যুগপৎ আন্দোলন করেছে, ‘বিএনপি আমাদের কাছে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা চেয়েছে, আমরা দিয়েছি। শিগগিরই শরিকদের বিষয়টি নিয়ে বসবে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।’
আরপিও সংশোধন ও প্রতীক নিয়ে এই নেতা বলেন, গ্রামের মানুষ ছোট দলের প্রতীক চেনে না। এত কম সময়ে নতুন কোনো প্রতীককে পরিচিত করে তোলাও কঠিন। আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপির সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও বিষয়টি জটিলতার সৃষ্টি করেছে।
আরও খবর পড়ুন:

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
২০ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে। দলটির একাধিক শীর্ষ নেতা এবং মাহফুজ ও আসিফের ঘনিষ্ঠজনেরা বলছেন, শিগগিরই তাঁরা এনসিপিতে যোগ দিতে পারেন।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যোগ দিলে তাঁদের দায়িত্ব বা পদবি কী হবে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, মাহফুজ আলমকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সদস্যসচিব পদমর্যাদার দায়িত্ব পেতে আগ্রহী বলে জানা গেছে। যদিও এসব বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে আসতে চাইলে দল তাঁদের স্বাগত জানাবে বলে কয়েকবার জানিয়েছেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদের জন্য এনসিপির দরজা সব সময়ই উন্মুক্ত। তাঁরা চাইলে যেকোনো সময় দলে আসতে পারেন। এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
আগামী এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মাহফুজ-আসিফ এনসিপিতে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির এক নেতা। ওই নেতা বলেন, তাঁরা কয়েক দিন হলো অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন। এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে একটা ঘোষণা আসতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগের পর মাহফুজ ও আসিফ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আসিফ মাহমুদ ইতিমধ্যে ঢাকা-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। মাহফুজ আলম লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে। এ দুই আসনে এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। দলটি ১২৫টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও এই দুটি আসন খালি রাখা হয়েছে। মাহফুজ এবং আসিফের জন্যই আসন দুটিতে এখন পর্যন্ত প্রার্থী দেওয়া হয়নি বলে মনে করছেন অনেকে।
মাহফুজ আলম, আসিফ মাহমুদ এবং এনসিপির নেতারা একই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক। এনসিপির অনেক নেতা মাহফুজ আলমকে ‘তাত্ত্বিক গুরু’ মনে করেন।
চব্বিশের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের শুরু থেকেই নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টা পদে ছিলেন। অন্যদিকে মাহফুজ আলম গত বছরের ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান। গত বছরের ১০ নভেম্বর তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন।
চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে এনসিপি। জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রনেতাদের বড় অংশ এনসিপিতে যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু মাহফুজ-আসিফ সরকারের অংশ হওয়ায় তাঁরা শুরুতেই এনসিপিতে যোগ দেননি। গত ১০ ডিসেম্বর তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। নির্বাচনী নানা হিসাব-নিকাশ মিলিয়ে তাঁরা বিএনপি বা গণঅধিকার পরিষদে যুক্ত হবেন, এমন আলোচনাও ছিল। তবে শেষমেশ এই দুই নেতা এনসিপিতেই যোগ দিতে যাচ্ছেন বলে দাবি করেছে কয়েকটি সূত্র।
এনসিপির নেতারা বলছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যাঁরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের রাজনৈতিক দর্শনে মিল রয়েছে। তাই তাঁরা চান মাহফুজ-আসিফ অন্য কোনো দিলে না গিয়ে এনসিপিতেই আসুক।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও সহশিক্ষা সম্পাদক মাহাবুব আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলের বেশির ভাগ সদস্যই চান, তাঁরা (মাহফুজ-আসিফ) জুলাইয়ের শক্তি হিসেবে তাঁরা এনসিপিতেই আসুক। সেভাবেই আলোচনা চলছে৷
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনও একই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিন তিনি বলেন, মাহফুজ-আসিফ কোন দলের হয়ে নির্বাচন করবেন, সেটি তাঁদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে তাঁরা যদি এনসিপিতে যুক্ত হতে চান, দল তাঁদের স্বাগত জানাবে।
এনসিপির নেতারা বলছেন, মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যুক্ত হলে দলটির রাজনৈতিক কৌশলেও পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও তখন নতুন মোড় নেবে। মাহফুজ-আসিফ দুজনেই চান এনসিপি বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করুক। সে ক্ষেত্রে তাঁরা এনসিপিতে এলে আন্দোলন-পরবর্তী রাজনীতিতে তরুণ নেতৃত্ব ও বড় দলগুলোর সমন্বয়ের যে আলোচনা চলছে, এনসিপি সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
সব মিলিয়ে মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পরবর্তী সিদ্ধান্ত শুধু এনসিপির নয়; বরং পুরো রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তাঁদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সেই অপেক্ষারই অবসান ঘটাবে বলে মনে করছেন রাজনীতিসংশ্লিষ্টরা।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে। দলটির একাধিক শীর্ষ নেতা এবং মাহফুজ ও আসিফের ঘনিষ্ঠজনেরা বলছেন, শিগগিরই তাঁরা এনসিপিতে যোগ দিতে পারেন।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যোগ দিলে তাঁদের দায়িত্ব বা পদবি কী হবে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, মাহফুজ আলমকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সদস্যসচিব পদমর্যাদার দায়িত্ব পেতে আগ্রহী বলে জানা গেছে। যদিও এসব বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে আসতে চাইলে দল তাঁদের স্বাগত জানাবে বলে কয়েকবার জানিয়েছেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদের জন্য এনসিপির দরজা সব সময়ই উন্মুক্ত। তাঁরা চাইলে যেকোনো সময় দলে আসতে পারেন। এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
আগামী এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মাহফুজ-আসিফ এনসিপিতে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির এক নেতা। ওই নেতা বলেন, তাঁরা কয়েক দিন হলো অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন। এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে একটা ঘোষণা আসতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগের পর মাহফুজ ও আসিফ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আসিফ মাহমুদ ইতিমধ্যে ঢাকা-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। মাহফুজ আলম লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে। এ দুই আসনে এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। দলটি ১২৫টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও এই দুটি আসন খালি রাখা হয়েছে। মাহফুজ এবং আসিফের জন্যই আসন দুটিতে এখন পর্যন্ত প্রার্থী দেওয়া হয়নি বলে মনে করছেন অনেকে।
মাহফুজ আলম, আসিফ মাহমুদ এবং এনসিপির নেতারা একই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক। এনসিপির অনেক নেতা মাহফুজ আলমকে ‘তাত্ত্বিক গুরু’ মনে করেন।
চব্বিশের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের শুরু থেকেই নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টা পদে ছিলেন। অন্যদিকে মাহফুজ আলম গত বছরের ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান। গত বছরের ১০ নভেম্বর তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন।
চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে এনসিপি। জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রনেতাদের বড় অংশ এনসিপিতে যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু মাহফুজ-আসিফ সরকারের অংশ হওয়ায় তাঁরা শুরুতেই এনসিপিতে যোগ দেননি। গত ১০ ডিসেম্বর তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। নির্বাচনী নানা হিসাব-নিকাশ মিলিয়ে তাঁরা বিএনপি বা গণঅধিকার পরিষদে যুক্ত হবেন, এমন আলোচনাও ছিল। তবে শেষমেশ এই দুই নেতা এনসিপিতেই যোগ দিতে যাচ্ছেন বলে দাবি করেছে কয়েকটি সূত্র।
এনসিপির নেতারা বলছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যাঁরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের রাজনৈতিক দর্শনে মিল রয়েছে। তাই তাঁরা চান মাহফুজ-আসিফ অন্য কোনো দিলে না গিয়ে এনসিপিতেই আসুক।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও সহশিক্ষা সম্পাদক মাহাবুব আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলের বেশির ভাগ সদস্যই চান, তাঁরা (মাহফুজ-আসিফ) জুলাইয়ের শক্তি হিসেবে তাঁরা এনসিপিতেই আসুক। সেভাবেই আলোচনা চলছে৷
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনও একই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিন তিনি বলেন, মাহফুজ-আসিফ কোন দলের হয়ে নির্বাচন করবেন, সেটি তাঁদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে তাঁরা যদি এনসিপিতে যুক্ত হতে চান, দল তাঁদের স্বাগত জানাবে।
এনসিপির নেতারা বলছেন, মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যুক্ত হলে দলটির রাজনৈতিক কৌশলেও পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও তখন নতুন মোড় নেবে। মাহফুজ-আসিফ দুজনেই চান এনসিপি বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করুক। সে ক্ষেত্রে তাঁরা এনসিপিতে এলে আন্দোলন-পরবর্তী রাজনীতিতে তরুণ নেতৃত্ব ও বড় দলগুলোর সমন্বয়ের যে আলোচনা চলছে, এনসিপি সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
সব মিলিয়ে মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পরবর্তী সিদ্ধান্ত শুধু এনসিপির নয়; বরং পুরো রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তাঁদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সেই অপেক্ষারই অবসান ঘটাবে বলে মনে করছেন রাজনীতিসংশ্লিষ্টরা।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের লাইন এখন অনেক লম্বা। প্রার্থী বাছাই করতে তাই নাজেহাল অবস্থা দলটির। এর ওপর যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের জন্য ছাড়তে হবে আসন। খুঁজতে হচ্ছে নতুন শরিক দলও। হিসাব মিলে গেলেও আসনের ভাগ দিতে হবে তাদের।
২৬ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
২০ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবসটি আমাদের কাছে খুব ভারাক্রান্ত। কারণ স্বাধীনতা পাওয়ার ঠিক দুই দিন আগে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, একটা নীল নকশার মাধ্যমে, একটা জাতিকে সম্পূর্ণ মেধাশূন্য করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত ছিল সেটা। দুর্ভাগ্য আমাদের যে, যারা পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সেদিন যোগসাজশ করেছিল, তাদের প্রতিনিধি হয়ে এসে বাড়িতে বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারগুলোতে অথবা তাদের বাড়ি থেকে যারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারা ছিল কিন্তু বাঙালি সন্তান। আজকে আমরা খুব ভালো করে জানি যে, তারা কারা ছিলেন?’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের ইতিহাস প্রমাণ করে, তখনকার সেই রাজনৈতিক শক্তি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারাই সেদিন আমাদের সেই সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই। কারণ বারবার এই চক্রান্ত ষড়যন্ত্র হয়েছে, বারবার এই দেশের মানুষের ওপরে আঘাত এসেছে এবং তারা যেন মেধার ভিত্তিতে জেগে উঠতে না পারে, যেন তারা জ্ঞানে বিজ্ঞানে উপরে উঠতে না পারে, শিক্ষায় দীক্ষায় জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে না পারে, সেই চেষ্টাটা তখন করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরেও ‘ভিন্ন অঙ্গিকে’ এই চেষ্টার ধারাবাহিকতা ছিল অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে গেছে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল হয়েছে, আমরা আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পর্যুদস্ত করে ফেলা হয়েছে। আমরা সবসময় এই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আমাদের এই জাতির বিরুদ্ধে আমরা দেখছি।
ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে বিএনপির উদ্যোগে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে হত্যা চেষ্টার মধ্য দিয়ে দেশে ‘ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে’ বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে নির্বাচনের যখন তফসিল ঘোষণা হলো, তখনই হত্যা করার চেষ্টা করা হলো হাদিকে. . একজন সৈনিক যে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। একটা ভয় আবার শুরু করতে চেয়েছে, যে ভয় ১৫ বছর আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে— ভয় দেখিয়ে দেশ শাসন করার চেষ্টা করেছে, চাপ সৃষ্টি করেছে। আবার সেই ভয় দেখিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়। কিন্তু ইতিহাস বলে বিএনপি ভয়ে কখনও দমে যায় না।’
আলোচনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবসটি আমাদের কাছে খুব ভারাক্রান্ত। কারণ স্বাধীনতা পাওয়ার ঠিক দুই দিন আগে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, একটা নীল নকশার মাধ্যমে, একটা জাতিকে সম্পূর্ণ মেধাশূন্য করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত ছিল সেটা। দুর্ভাগ্য আমাদের যে, যারা পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সেদিন যোগসাজশ করেছিল, তাদের প্রতিনিধি হয়ে এসে বাড়িতে বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারগুলোতে অথবা তাদের বাড়ি থেকে যারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারা ছিল কিন্তু বাঙালি সন্তান। আজকে আমরা খুব ভালো করে জানি যে, তারা কারা ছিলেন?’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের ইতিহাস প্রমাণ করে, তখনকার সেই রাজনৈতিক শক্তি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারাই সেদিন আমাদের সেই সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই। কারণ বারবার এই চক্রান্ত ষড়যন্ত্র হয়েছে, বারবার এই দেশের মানুষের ওপরে আঘাত এসেছে এবং তারা যেন মেধার ভিত্তিতে জেগে উঠতে না পারে, যেন তারা জ্ঞানে বিজ্ঞানে উপরে উঠতে না পারে, শিক্ষায় দীক্ষায় জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে না পারে, সেই চেষ্টাটা তখন করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরেও ‘ভিন্ন অঙ্গিকে’ এই চেষ্টার ধারাবাহিকতা ছিল অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে গেছে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল হয়েছে, আমরা আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পর্যুদস্ত করে ফেলা হয়েছে। আমরা সবসময় এই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আমাদের এই জাতির বিরুদ্ধে আমরা দেখছি।
ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে বিএনপির উদ্যোগে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে হত্যা চেষ্টার মধ্য দিয়ে দেশে ‘ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে’ বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে নির্বাচনের যখন তফসিল ঘোষণা হলো, তখনই হত্যা করার চেষ্টা করা হলো হাদিকে. . একজন সৈনিক যে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। একটা ভয় আবার শুরু করতে চেয়েছে, যে ভয় ১৫ বছর আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে— ভয় দেখিয়ে দেশ শাসন করার চেষ্টা করেছে, চাপ সৃষ্টি করেছে। আবার সেই ভয় দেখিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়। কিন্তু ইতিহাস বলে বিএনপি ভয়ে কখনও দমে যায় না।’
আলোচনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের লাইন এখন অনেক লম্বা। প্রার্থী বাছাই করতে তাই নাজেহাল অবস্থা দলটির। এর ওপর যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের জন্য ছাড়তে হবে আসন। খুঁজতে হচ্ছে নতুন শরিক দলও। হিসাব মিলে গেলেও আসনের ভাগ দিতে হবে তাদের।
২৬ অক্টোবর ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
২০ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এ দেশের দিল্লির তাঁবেদাররা বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা নিয়ে প্রথাগতভাবে সমস্ত দায়দায়িত্ব ঘৃণিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর ওপরে চাপানোর চেষ্টা করেছেন। ইতিহাসের অনেক তথ্য আবিষ্কার হচ্ছে যে, দিল্লির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে ভারতীয়রাই আমাদের এই সেরা সন্তানদের হত্যা করেছে।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘৮ ডিসেম্বর বিজয়ের আগে ভারতীয় ৩৬ সেনারা ঢাকায় অবতরণ করেছে, এর রেকর্ড আছে। তখন রাজধানী ঢাকাসহ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ভারতীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তানি সেনা, রাজাকার-আল-বদরেরা তো আত্মসমর্পণ, নিজেদের প্রাণ বাঁচানো, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত ছিল; কে কাকে খুঁজে কোথায় হত্যা করবে? নিজেদের জীবন বাঁচাতেই ততক্ষণ তারা ব্যস্ত ছিল।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের কোনো আক্রোশ নেই। তবে ভারতের সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী সরকার, যারা ক্ষমতায় এখনো আছে, বারবার যারা এসেছে, তারাই এ দেশের স্বাধীন সত্তাকে বিকিয়ে দিয়ে এ দেশের ইসলামি মূল্যবোধ ধ্বংসের জন্য বারবার এ দেশের মানুষের ওপরে হত্যার ষড়যন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছে।’
ভারত সরকারের উদ্দেশে পরওয়ার বলেন, ‘আপনারা বর্ডার কিলিং করেছেন। আমাদের পানি সমস্যা, আমাদের নদীর সমস্যা। আপনারা ফেলানির মতো কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখে দেশের মানুষকে হত্যা করা, আমাদের ট্রানজিট, আমাদের ট্রেড ব্যালেন্স সবকিছুকে পরিকল্পিতভাবে আপনারা ধ্বংস করেছেন। আমরা সম্পর্ক চাই, কিন্তু সেই সম্পর্ক চাই ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে।’
জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এ দেশের দিল্লির তাঁবেদাররা বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা নিয়ে প্রথাগতভাবে সমস্ত দায়দায়িত্ব ঘৃণিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর ওপরে চাপানোর চেষ্টা করেছেন। ইতিহাসের অনেক তথ্য আবিষ্কার হচ্ছে যে, দিল্লির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে ভারতীয়রাই আমাদের এই সেরা সন্তানদের হত্যা করেছে।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘৮ ডিসেম্বর বিজয়ের আগে ভারতীয় ৩৬ সেনারা ঢাকায় অবতরণ করেছে, এর রেকর্ড আছে। তখন রাজধানী ঢাকাসহ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ভারতীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তানি সেনা, রাজাকার-আল-বদরেরা তো আত্মসমর্পণ, নিজেদের প্রাণ বাঁচানো, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত ছিল; কে কাকে খুঁজে কোথায় হত্যা করবে? নিজেদের জীবন বাঁচাতেই ততক্ষণ তারা ব্যস্ত ছিল।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের কোনো আক্রোশ নেই। তবে ভারতের সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী সরকার, যারা ক্ষমতায় এখনো আছে, বারবার যারা এসেছে, তারাই এ দেশের স্বাধীন সত্তাকে বিকিয়ে দিয়ে এ দেশের ইসলামি মূল্যবোধ ধ্বংসের জন্য বারবার এ দেশের মানুষের ওপরে হত্যার ষড়যন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছে।’
ভারত সরকারের উদ্দেশে পরওয়ার বলেন, ‘আপনারা বর্ডার কিলিং করেছেন। আমাদের পানি সমস্যা, আমাদের নদীর সমস্যা। আপনারা ফেলানির মতো কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখে দেশের মানুষকে হত্যা করা, আমাদের ট্রানজিট, আমাদের ট্রেড ব্যালেন্স সবকিছুকে পরিকল্পিতভাবে আপনারা ধ্বংস করেছেন। আমরা সম্পর্ক চাই, কিন্তু সেই সম্পর্ক চাই ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে।’
জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের লাইন এখন অনেক লম্বা। প্রার্থী বাছাই করতে তাই নাজেহাল অবস্থা দলটির। এর ওপর যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের জন্য ছাড়তে হবে আসন। খুঁজতে হচ্ছে নতুন শরিক দলও। হিসাব মিলে গেলেও আসনের ভাগ দিতে হবে তাদের।
২৬ অক্টোবর ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি বিজয় দিবসে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এ ছাড়া, একই দিন সকাল ৭টায় বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
এ ছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নিজস্ব আঙ্গিকে কর্মসূচি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করবে। সেই সঙ্গে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশে স্থানীয় সুবিধানুযায়ী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানানো হয়েছে।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি বিজয় দিবসে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এ ছাড়া, একই দিন সকাল ৭টায় বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
এ ছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নিজস্ব আঙ্গিকে কর্মসূচি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করবে। সেই সঙ্গে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশে স্থানীয় সুবিধানুযায়ী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানানো হয়েছে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের লাইন এখন অনেক লম্বা। প্রার্থী বাছাই করতে তাই নাজেহাল অবস্থা দলটির। এর ওপর যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের জন্য ছাড়তে হবে আসন। খুঁজতে হচ্ছে নতুন শরিক দলও। হিসাব মিলে গেলেও আসনের ভাগ দিতে হবে তাদের।
২৬ অক্টোবর ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
২০ ঘণ্টা আগে