Ajker Patrika

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ১২ দলীয় জোটের ১৪ প্রস্তাব 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৬: ৩৯
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ১২ দলীয় জোটের ১৪ প্রস্তাব 

রাজনৈতিক দল ও সব সামাজিক পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় এবং যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে কার্যকর সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করাসহ ১৪ দফা প্রস্তাব পেশ করেছে ১২ দলীয় জোট। আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত ‘দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি ও জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তুলে ধরেন জোটের সমন্বয়ক ও জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা।

সংবাদ সম্মেলনে ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘আমাদের ১২ দলের পক্ষ থেকে এবং প্রকৃতপক্ষে এই দেশের সমস্ত গণতন্ত্রকামী জনগণের পক্ষ থেকে আমাদের একটাই দাবি, সেটা হচ্ছে—ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদের ঐক্য এবং এই ঐক্যই দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে পারবে।’ 

 ১২ দলীয় জোটের প্রস্তাবগুলো হলো—

১) প্রশাসনে ফ্যাসিবাদের যেসব দোসর কর্মরত আছে, তাদের অপসারণ। জেলা প্রশাসক নিয়োগে নতুন ফিট লিস্ট এবং যেসব জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের নিয়োগ বাতিল ও ফ্যাসিবাদের সময়ের চুক্তিভিত্তিক সব নিয়োগ বাতিল করতে হবে। 

২) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের দু-একজন বিপ্লব-গণ-অভ্যুত্থানের মূল স্পিরিট ব্যাহত করছেন, তাদের সরাতে হবে এবং গত ১৫ বছর ধরে সরকারি কর্মকর্তাদের পদোন্নতির বঞ্চিতদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে। 

৩) পিলখানা ও শাপলা চত্বরের গণহত্যার পৃথক বিচার কমিশন গঠন এবং বিডিআর বিদ্রোহের প্রকৃত তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ ও নির্দোষ জওয়ানদের মুক্তি দিতে হবে। 

৪) ছাত্র-জনতার অপরিসীম ত্যাগ, রক্তদান ও জীবনের বিনিময়ে যে স্বপ্ন ও অর্জন তাকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না এবং অন্তর্বর্তী সরকারের জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রতি মাসে প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ভিত্তিক কাজের অগ্রগতি জাতির সম্মুখে তুলে ধরতে হবে। নিজ নিজ সম্পদের হিসাব দেওয়ার ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে হবে। 

৫) নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন স্থগিত করে রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশন গঠন, এনআইডি কার্ড স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করার আইন অরডিন্যান্স জারির মাধ্যমে বাতিল এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের ভুয়া ভোটে নির্বাচিত সব ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল, নির্বাচন সংস্কার কমিশনে জেসমিন তুলিসহ দুই-একজন বিতর্কিত বা ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগীদের নিয়োগ বাতিল এবং রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের কালো আইন বাতিল করতে হবে। 

৬) ২০০৭ সালে থেকে শেখ হাসিনার শাসনামলে রাজনৈতিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সব মিথ্যা ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 

৭) পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিরতার সৃষ্টি পেছনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের করতে হবে। 

৮) জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, আইন, স্বাস্থ্যসহ যেসব মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সন্তোষজনক নয়, সেখানে দায়িত্ব রদবদল বা নতুন উপদেষ্টা নিয়োগের মাধ্যমে কার্যকর গতিশীল করতে হবে এবং প্রয়োজনে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে সহকারী উপদেষ্টা নিয়োগ করা। 

৯) অবিলম্বে গণতদন্ত কমিশন গঠন করে জুলাই-আগস্টে সংগঠিত সব নৃশংসতার ঘটনা জাতির সামনে তুলে ধরা এবং প্রতিটি শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন এবং আহত ও পঙ্গু ছাত্র-জনতার চিকিৎসা কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। সিভিল প্রশাসন ও সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা ও সিপাহিদের মধ্যে যাদের অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের কমিশনের মাধ্যমে চাকরিতে সম্মানজনক পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। 

 ১০) ফ্যাসিবাদের দোসর, গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণহত্যার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগী ব্যক্তি, সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের বিচারের জন্য ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’-এর পাশাপাশি ‘ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন’ গঠন করা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দ্রুত বিচার কার্যক্রম শুরু করতে হবে। 

 ১১) রাষ্ট্র সংস্কারের ছয়টি কমিশনের পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাত নিয়ে একটি জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন গঠন এবং সেনাবাহিনী, বিমান ও নৌবাহিনীর সংস্কার প্রক্রিয়ার জন্যও পৃথক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

 ১২) দ্রব্যমূল্য সহনীয় মাত্রায় নিয়ে আসার জন্য নিয়মিত বাজার পর্যবেক্ষণ, চাঁদাবাজি-ছিনতাই-দুর্নীতি বন্ধ করা, ফুটপাত জনগণের চলাচলের জন্য হকারমুক্ত করা, অসহনীয় যানজট নিরসনসহ সব জনভোগান্তি দূর করার জন্য প্রশাসন, রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও পরিবর্তন-প্রত্যাশী ছাত্র-জনতার সমন্বয়ে কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক কমিউনিটি মনিটরিং টিম গঠন করা। 

 ১৩) ফ্যাসিবাদী সরকার বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে যে সকল দেশবিরোধী চুক্তি করেছে, তা পর্যালোচনা করে অসম চুক্তি বাতিল করতে হবে এবং স্বার্থবিরোধী চুক্তির মাধ্যমে যারা অবৈধ টাকার পাহাড় গড়েছে এবং বিদেশে টাকা পাচার করে তাদের সম্পত্তি জব্দসহ দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।

 ১৪) রাজনৈতিক দল ও সব সামাজিক পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় এবং যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে কার্যকর সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। 

জামায়াতকে আবার জোটে আনতে চান কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘আমরা ২০ দলীয় জোটের বাইরে আমরা প্রায় ৪২টি রাজনৈতিক দল যুগপৎ আন্দোলন করেছি। এই আন্দোলনে জামায়াত কখনো ছিল, কখনো ছিল না।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াত ’৮৬ সালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনে গিয়েছে, কিন্তু সেটা জনগণ মেনে নেয়নি। ’৯৬ সালে জামায়াত এবং বিএনপি আলাদাভাবে নির্বাচন করেছে। এই আলাদাভাবে নির্বাচন করে বিএনপি এবং জামায়াত উভয় দলই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই দেশে ফ্যাসিস্ট সরকার কায়েম হয়েছে। না হলে ’৯৬ সালে এই দেশে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকত না। আওয়ামী লীগ অস্তিত্ব পেয়ে এই দেশে ১৫ বছর জনগণের ওপর স্টিমরোলার চালিয়েছে, দেশ ধ্বংস করেছে। এই জিনিসটাকে বুঝেশুনে উপলব্ধি করে জামায়াত ইসলামীর প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে—আমরা যেন ভবিষ্যতেও একসঙ্গে পথ চলতে পারি। ১২ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে এটা আহ্বান থাকবে জামায়াতের প্রতি।’ 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টি একাংশের চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজসহ জোটের শীর্ষ নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

ঢাকায় থাকেন শিক্ষিকা, ‘ভাড়াটে শিক্ষক’ দিয়ে পাঠদান ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টানা তৃতীয়বার জামায়াতের আমির হলেন শফিকুর রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ২৪
ডা. শফিকুর রহমান। ফাইল ছবি
ডা. শফিকুর রহমান। ফাইল ছবি

জামায়াতে ইসলামীর আমির হিসেবে ২০২৬-২০২৮ সেশনের জন্য পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন ডা. শফিকুর রহমান। এই নিয়ে টানা তৃতীয়বারের জন্য আমিরের দায়িত্ব পেলেন তিনি।

আজ রোববার জামায়াতের প্রচার বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

জামায়াতে ইসলামী বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ৯ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশের সদস্যদের (রুকনদের) নিকট থেকে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়। ভোট গ্রহণের কার্যক্রম শেষে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত টিম ভোট গণনা শেষ করে। গতকাল ১ নভেম্বর (শনিবার) রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সংগঠনের আমির নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী ২০২৬-২০২৮ কার্যকালের জন্য সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির নির্বাচিত হয়েছেন ডা. শফিকুর রহমান।

উল্লেখ্য, ডা. শফিকুর রহমান প্রথমবার জামায়াতের আমির নির্বাচিত হন ২০১৯ সালে এবং পুনর্নির্বাচিত হন ২০২২ সালে। গোলাম আযম ও মতিউর রহমান নিজামীর পর তিনি টানা তৃতীয়বারের জন্য আমির নির্বাচিত হলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

ঢাকায় থাকেন শিক্ষিকা, ‘ভাড়াটে শিক্ষক’ দিয়ে পাঠদান ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে প্রেসিডেন্ট সই করলে সংস্কারের কফিনে পেরেক মারা হবে: নাহিদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪০
নাহিদ ইসলাম। ফাইল ছবি
নাহিদ ইসলাম। ফাইল ছবি

এক দল সংস্কারপ্রক্রিয়া ভেস্তে দিচ্ছে, আরেক দল নির্বাচন পেছাতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এক দল সংস্কারকে ভেস্তে দিচ্ছে, আরেক দল নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছে। আমরা এর কোনোটাই চাই না। আমরা চাই, যথাসময়ে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে এবং জুলাই সনদও আইনি ভিত্তি পাবে ও বাস্তবায়ন হবে।’

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি রচিত হলে নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিনে গণভোট হলেও সমস্যা নেই বলে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘গণভোট নির্বাচনের দিন, না আগে হবে, সেটা প্রধান সংকট নয়। তবে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ অবশ্যই ড. ইউনূসকে জারি করতে হবে। প্রেসিডেন্ট চুপ্পু এতে স্বাক্ষর করলে সংস্কারের কফিনে পেরেক মারা হবে।’

জুলাই সনদে স্বাক্ষরের বিষয়ে নাহিদ বলেন, ‘যেদিন জুলাই সনদ স্বাক্ষর হয়েছে, সেদিনই জাতীয় অনৈক্যের সূচনা হয়েছে। কোনো ধরনের বাছবিচার ছাড়াই সনদে স্বাক্ষর করে তারা জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তবে এখনো সুযোগ আছে ঐক্যের।’

নির্বাচনে জোট প্রসঙ্গে এনসিপির নেতা বলেন, ‘সংস্কারের পক্ষে যদি কেউ না থাকে, তাদের সঙ্গে জোটে যাওয়া সম্ভব নয়। কোনো একটি দলের চাপে সরকার বারবার টেক্সট পরিবর্তন করেছে। বাস্তবায়ন আদেশের প্রথম খসড়ায় যেভাবে ২৭০ দিন পর সংস্কার প্রস্তাব স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হওয়ার বিধান ছিল, আমরা সেটিকে সমর্থন করি। এর ব্যত্যয় হলে আমরা সেই আদেশ সমর্থন করব কি না, তা পুনর্বিবেচনা করতে হবে।’

শেখ মুজিবুর রহমান প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘শেখ মুজিবকে আমরা জাতির পিতা বলে মনে করি না। তবে মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান রয়েছে।’

দলীয় প্রতীক ইস্যুতে সৃষ্ট জটিলতা প্রশ্নে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নতুন দল হিসেবে সহযোগিতার পরিবর্তে আমাদের কাজে বাধা তৈরি করছে নির্বাচন কমিশন। অথচ শাপলা কলির যে সিদ্ধান্ত, সেটি তারা এক মাস আগেও দিতে পারত। আমরা শাপলাই চাই।’

ভারত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে জুলাই গণহত্যাকে সমর্থন দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন নাহিদ। তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থান প্রশ্নে যত দিন ভারত তার অবস্থান পরিবর্তন না করবে, তত দিন বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক শীতলই থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

ঢাকায় থাকেন শিক্ষিকা, ‘ভাড়াটে শিক্ষক’ দিয়ে পাঠদান ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মির্জা ফখরুলের কণ্ঠ নকল করে অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগ বিএনপির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৪
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কণ্ঠ নকলের মাধ্যমে অসত্য ভিডিও প্রচারের অভিযোগ করেছে বিএনপি। এ ধরনের প্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে।

শনিবার দিবাগত রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পুরোনো সংবাদ সম্মেলনের ছবি ও বক্তব্য এডিট করে কিংবা কেউ কেউ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিএনপি মহাসচিবের কণ্ঠ নকলের মাধ্যমে একটি অসত্য ভিডিও গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে—যেখানে বিএনপি মহাসচিব আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের এমপি পদের প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করছেন। এ ধরনের ভিডিও শুধু অসত্যই নয়, এটি সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

জনমনে বিভ্রান্ত তৈরি করার জন্যই কিছু কুচক্রী মহল গণমাধ্যমে বিএনপি মহাসচিবের নাম ও ছবি ব্যবহার করে বানোয়াট ও কাল্পনিক ভিডিও প্রচার করেছে। দেশের জনগণসহ দলের নেতা-কর্মী ও এমপি মনোনয়নপ্রত্যাশীদের এ ধরনের এডিটকৃত ভিডিওতে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আহ্বান জানাচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

ঢাকায় থাকেন শিক্ষিকা, ‘ভাড়াটে শিক্ষক’ দিয়ে পাঠদান ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ০১
সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থী মনোনয়নের ঘোষণা এখনো দেয়নি বিএনপি। কিন্তু দলটির কিছু কিছু নেতা বলছেন, দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে মনোনয়নের সবুজসংকেত তাঁরা পেয়ে গেছেন। এরপর নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচারের কাজে নেমে পড়েছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন সামনে রেখে কয়েক ধাপে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শেষে চলতি মাসে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারে বিএনপি। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মনোনয়নপ্রত্যাশীদের অনেককেই চূড়ান্ত সুখবর দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রার্থী বাছাই অনেকটাই ঠিক করেছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। অনেক আসন আছে, যেখানে সমস্যা আছে, সেখানে কোন প্রার্থী দেওয়া যায়, তা নিয়ে তিনিই চিন্তা-ভাবনা করছেন। অনেকেই বলছেন, তাঁরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছ থেকে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চয়তা পেয়েছেন, আমরাও শুনছি। তবে ঠিক কতজনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এমন সুখবর দিয়েছেন, তা বলতে পারছি না।’

দলীয় সূত্র বলছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে অন্তত ৭০ ভাগ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। লন্ডন থেকে ফোনে যোগাযোগ করে বেশ কিছু আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীকে জনসংযোগ করতে বলেছেন তারেক রহমান। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কবে নাগাদ বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের ঘোষণা দেবে, সে বিষয়ে এখনই সুনির্দিষ্ট করে বলছেন না দলের নীতিনির্ধারকেরা। তবে চলতি মাসেই সেটা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

এ বিষয়ে সেলিমা রহমান বলেন, সুনির্দিষ্ট করে দিন-ক্ষণ বলা যাচ্ছে না। তবে মনে হচ্ছে, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।

বিএনপি থেকে কারা প্রার্থী হচ্ছেন, সে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে দলটির ভেতর-বাইরে। দলটির সূত্রগুলো বলছে, স্থায়ী কমিটির সদস্যরা প্রার্থী হচ্ছেন—এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে তাঁদের সবার জন্য একটি আসনই বরাদ্দ থাকবে, একাধিক আসনের সুযোগ নেই। অন্যদিকে দলের মধ্যম সারির নেতাদের মধ্যে সবদিক বিবেচনা করে যোগ্য প্রার্থী বাছাই করেছেন তারেক রহমান। তাঁদের মধ্যে অনেককে ফোনে আশ্বস্তও করেছেন তিনি।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর-১ আসনে মাসুদ অরুণ, বগুড়া-১ কাজী রফিকুল ইসলাম, বগুড়া-২ মীর শাহ আলম, চাঁদপুর-১ সাবেক প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন ও শরীয়তপুর-৩ মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপুর মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত।

এর মধ্যে তারেক রহমানের ফোনে মনোনয়নের নিশ্চয়তা পেয়ে ভোটের মাঠে কাজ শুরু করে দিয়েছেন বলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন কাজী রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি আমাকে বিজয়ী হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে বলেছেন। তাঁর নির্দেশমতো আমি এলাকায় প্রচারের কাজ শুরু করেছি।’

দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ভূমিকা রাখেন, এমন একাধিক নেতা জানিয়েছেন, তারেক রহমান মনোনয়নপ্রত্যাশী অনেকের সঙ্গেই কথা বলছেন। নির্বাচনী মাঠে তাঁদের কাজ করতে বলেছেন। এটাকেই বলা হচ্ছে ‘সবুজসংকেত’।

এদিকে নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি শরিক দল ও সমমনা সংগঠনের সঙ্গেও আসন সমঝোতার আলোচনা অব্যাহত রেখেছে বিএনপি। এই আলোচনার মধ্যে তারেক রহমানের কাছ থেকে সুখবর পেয়েছেন বলে দাবি করছেন ওই দলগুলোর অনেক নেতা। এরপর তাঁরা ভোটের মাঠে প্রচারে নেমেছেন।

শরিক দলগুলোর এমন নেতাদের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ (ঢাকা-১৭), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ (ঢাকা-১৩), গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী (ঢাকা-৬), জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা (কিশোরগঞ্জ-৫), নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না (বগুড়া-৪), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ (কুমিল্লা-৭), বাংলাদেশ এলডিপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন সেলিম (লক্ষ্মীপুর-২), গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬) এবং ন্যাশলাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের (নড়াইল-২) নাম শোনা যাচ্ছে।

এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ বলেন, ‘আমি নির্বাচনী এলাকায় কাজ করে যাচ্ছি। ’১৮-তে যেহেতু জোটের সঙ্গে ছিলাম, আশা করছি আমাকেই প্রার্থী করা হবে। আমি মনে করি, এলাকায় আমাকে পরাজিত করার মতো কোনো প্রার্থী নেই।’

এঁদের বাইরে গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সংগঠন মায়ের ডাকের সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম তুলি ঢাকা-১৪ আসনে মনোনয়নের ব্যাপারে তারেক রহমানের কাছ থেকে সুখবর পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে সানজিদা ইসলাম গতকাল বলেন, ‘অফিশিয়াল ঘোষণার আগে এ বিষয়ে কিছু বলাটা ঠিক হবে না। অফিশিয়ালি সবার বিষয়ে যখন ঘোষণা আসবে, তখন এ বিষয়ে কথা বলা যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

ঢাকায় থাকেন শিক্ষিকা, ‘ভাড়াটে শিক্ষক’ দিয়ে পাঠদান ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত