সম্পাদকীয়
গাছ শুধু পরিবেশই বাঁচায় না, বাঁচায় সমস্ত প্রাণিকুলের জীবনও। এই ধারণার সঙ্গে যখন থেকে মানুষ পরিচিত হয়েছে, তখন থেকেই কিন্তু বৃক্ষ রোপণের ব্যাপারে তৎপর হওয়ার কথা। অথচ আধুনিককালে এসে গাছ উপড়ে ফেলার ঘটনাই বেশি দেখা যাচ্ছে!
সম্প্রতি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সড়ক প্রশস্ত করার নামে তিনটি ঝাউগাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দাতাসদস্য খলিল পহলান বলেন, সৌন্দর্য বর্ধন করা তিনটি ঝাউগাছ না কেটেও সড়ক প্রশস্ত করা যেত। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল ফাত্তাহের নির্দেশে মাস ছয়েক আগেও খেজুর, সফেদা, কাঁঠালসহ চারটি ফলদ গাছ ওই চত্বর থেকে কাটা হয়েছিল। তবে সরকারি কোষাগারে কোনো টাকা জমা দেওয়া হয়নি। কোনো ধরনের নিয়মনীতি না মেনেই গাছ কাটা হচ্ছে।
গাছ কাটার প্রয়োজন হলে ইউএনও এবং বন বিভাগকে আগে থেকে জানাতে হয়। বন বিভাগ গাছের অবস্থান সরেজমিন তদন্ত করে, গাছের সর্বনিম্ন সরকারি মূল্য উল্লেখ করে প্রতিবেদন দেবে। ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর ইউএনও সম্মতি জ্ঞাপন করলে গাছ কাটার অনুমতি মিলবে। ইউএনও সাবরিনা সুলতানা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, তিনি এ ব্যাপারে অবগত নন। আর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল ফাত্তাহ জানান, সড়ক প্রশস্ত করতে গিয়ে গাছ কাটতে হয়েছে এবং একটি গাছের বিপরীতে ১০টি গাছ লাগানো হবে। কিন্তু নিয়মনীতি না মেনেই গাছ যে কাটা হলো, সে ব্যাপারে কি যথাযথ কর্তৃপক্ষের উচিত না দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা?
ভেবে দেখুন, মহামারির এই সময়টাতে এমনিতেই অক্সিজেন সংকট। তার ওপর গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। দূষিত পরিবেশে ভারী হাওয়ায় নিশ্বাস নেওয়া কষ্টকর, তা কে না বোঝে? বুঝলেন না যাঁরা গাছ কেটে পথ প্রশস্ত করাকে জরুরি মনে করলেন। জীবনের মূল্যের চেয়ে পথের প্রয়োজনীয়তাটা বড় হয়ে দাঁড়াল! ব্যাপারটা এমন না যে ‘আমি একটি গাছ কাটলে কী এমন অক্সিজেন সংকট হবে?’ এই ধারণা পোষণ করা লোকের সংখ্যা নেহাত কম নয়। সবাই মিলে একটি করে গাছ কাটলে সংকট কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।
সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম কিংবা ফিলিস্তিন ইস্যুতে আশা করি অক্সিজেন সংকট তথা গাছ কাটার ইস্যুতে যেন ভাটা না পড়ে। শুধু করোনাকালেই নয়, অক্সিজেন সব সময়ই প্রয়োজন বেঁচে থাকার জন্য। মরে গেলে ওই প্রশস্ত সড়কে হাঁটবে কে বলুন? আপনার ভূত!
গাছ শুধু পরিবেশই বাঁচায় না, বাঁচায় সমস্ত প্রাণিকুলের জীবনও। এই ধারণার সঙ্গে যখন থেকে মানুষ পরিচিত হয়েছে, তখন থেকেই কিন্তু বৃক্ষ রোপণের ব্যাপারে তৎপর হওয়ার কথা। অথচ আধুনিককালে এসে গাছ উপড়ে ফেলার ঘটনাই বেশি দেখা যাচ্ছে!
সম্প্রতি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সড়ক প্রশস্ত করার নামে তিনটি ঝাউগাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দাতাসদস্য খলিল পহলান বলেন, সৌন্দর্য বর্ধন করা তিনটি ঝাউগাছ না কেটেও সড়ক প্রশস্ত করা যেত। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল ফাত্তাহের নির্দেশে মাস ছয়েক আগেও খেজুর, সফেদা, কাঁঠালসহ চারটি ফলদ গাছ ওই চত্বর থেকে কাটা হয়েছিল। তবে সরকারি কোষাগারে কোনো টাকা জমা দেওয়া হয়নি। কোনো ধরনের নিয়মনীতি না মেনেই গাছ কাটা হচ্ছে।
গাছ কাটার প্রয়োজন হলে ইউএনও এবং বন বিভাগকে আগে থেকে জানাতে হয়। বন বিভাগ গাছের অবস্থান সরেজমিন তদন্ত করে, গাছের সর্বনিম্ন সরকারি মূল্য উল্লেখ করে প্রতিবেদন দেবে। ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর ইউএনও সম্মতি জ্ঞাপন করলে গাছ কাটার অনুমতি মিলবে। ইউএনও সাবরিনা সুলতানা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, তিনি এ ব্যাপারে অবগত নন। আর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল ফাত্তাহ জানান, সড়ক প্রশস্ত করতে গিয়ে গাছ কাটতে হয়েছে এবং একটি গাছের বিপরীতে ১০টি গাছ লাগানো হবে। কিন্তু নিয়মনীতি না মেনেই গাছ যে কাটা হলো, সে ব্যাপারে কি যথাযথ কর্তৃপক্ষের উচিত না দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা?
ভেবে দেখুন, মহামারির এই সময়টাতে এমনিতেই অক্সিজেন সংকট। তার ওপর গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। দূষিত পরিবেশে ভারী হাওয়ায় নিশ্বাস নেওয়া কষ্টকর, তা কে না বোঝে? বুঝলেন না যাঁরা গাছ কেটে পথ প্রশস্ত করাকে জরুরি মনে করলেন। জীবনের মূল্যের চেয়ে পথের প্রয়োজনীয়তাটা বড় হয়ে দাঁড়াল! ব্যাপারটা এমন না যে ‘আমি একটি গাছ কাটলে কী এমন অক্সিজেন সংকট হবে?’ এই ধারণা পোষণ করা লোকের সংখ্যা নেহাত কম নয়। সবাই মিলে একটি করে গাছ কাটলে সংকট কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।
সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম কিংবা ফিলিস্তিন ইস্যুতে আশা করি অক্সিজেন সংকট তথা গাছ কাটার ইস্যুতে যেন ভাটা না পড়ে। শুধু করোনাকালেই নয়, অক্সিজেন সব সময়ই প্রয়োজন বেঁচে থাকার জন্য। মরে গেলে ওই প্রশস্ত সড়কে হাঁটবে কে বলুন? আপনার ভূত!
গত সংখ্যায় লিখেছিলাম, এখন আর ছাত্র খুঁজে পাওয়া যায় না, চারদিকে পরীক্ষার্থী। কিন্তু দ্রুতই দেখা যাচ্ছে, ছাত্র এবং পরীক্ষার্থী কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ছাত্রদের একটা বৃহদাংশ রাজনীতিবিদে পরিণত হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, তাদের অঙ্গুলি হেলনে বড় বড় রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও হয়ে যাচ্ছে। ভেবেছিলাম প্রাথমিক শিক্ষা
২১ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞানীরা বিংশ শতাব্দীজুড়ে বহির্জাগতিক প্রাণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চালিয়েছেন। খুঁজেছেন কার্বনভিত্তিক, সিলিকনভিত্তিক বা অ্যামোনিয়া যৌগনির্ভর প্রাণ। এটা আমাদের জানা জরুরি যে প্রাণের প্রকৃতি, আর অন্য জায়গায় প্রাণ আছে কি না, তা আসলে একই প্রশ্নের দুটো দিক। তা হলো, ‘কেন আমরা এখানে?’ বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে,
২১ ঘণ্টা আগেপরিবার হলো মূলত রক্ত-সম্পর্কিত ব্যক্তিদের সংগঠন, যেখানে সব সদস্যের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, নিরাপত্তা এবং বিনোদনের আয়োজন হয়ে থাকে। পরিবার কখন কী কারণে গড়ে উঠেছে, তা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। বেশির ভাগের মত হলো, মানুষ সমতলে বসবাস করার সময় কৃষিকাজ শিখে ফেলে। কৃষিজাত পণ্য সংরক্ষণের জন্য গোলাঘর
২১ ঘণ্টা আগেনিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বেশি, এ কথা নতুন নয়। এবং এ ব্যাপারে প্রমাণের অভাব নেই। একটা কিছু নিষিদ্ধ করলেই যে তা ব্যবহার করা বন্ধ হয়ে যাবে, এমন ভাবাটাই ভুল। ধরুন, একটি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে সেই দলটি যে ছদ্মবেশে বা তলে তলে রাজনীতি করবে না, সেই গ্যারান্টি কে দিতে পারে? তেমনি কেউ
২১ ঘণ্টা আগে