সম্পাদকীয়
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসে গিয়ে প্রাণ হারান ১ হাজার ১৩৫ জন শ্রমিক। আহত হয়ে চিরদিনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন অনেকে। উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটিকে হারিয়ে অনেক পরিবারে নেমে এসেছে ঘোর অন্ধকার। ভবনের ত্রুটির কারণেই যে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল, তা এখন সবারই জানা। রানা প্লাজা ধসে বিপুল পোশাক শ্রমিকের নিহত ও আহত হওয়ার খবরটি তখন দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। রানা প্লাজার মালিকের শাস্তি, আহত-নিহত ব্যক্তিদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং পোশাক কারাখানায় কাজের পরিবেশ, শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়গুলো সামনে এসেছিল। এসব ন্যায়সঙ্গত দাবিদাওয়ার প্রতি সমাজের সব অংশের মানুষের সমর্থন পাওয়া গিয়েছিল।
রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় মালিক সোহেল রানার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হলেও মামলার বিচারকাজ এখনও শেষ হয়নি। যাঁরা ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের স্বজনেরা ন্যায়বিচার পাওয়ার আশায় বছরের পর বছর অপেক্ষা করছেন। তাঁদের অপেক্ষার কবে শেষ হবে, ন্যায়বিচার আদৌ পাওয়া যাবে কি না—সে প্রশ্নই এখন বড় হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে নিহত ব্যক্তিদের অনেকের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ, তাঁরা একটি টাকাও ক্ষতিপূরণ পাননি। কেন এই দীর্ঘসূত্রতা, কেন বিশেষ তহবিল গঠন সত্ত্বেও সবার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি—এসব প্রশ্নের জবাবই বা কে দেবেন?
দায়িত্ববান বা কর্তব্যপরায়ণ না হয়ে আমরা দায় এড়াতে অভ্যস্ত। অন্যের ওপর দায় চাপিয়ে নিজে দায়মুক্ত থাকার এক ক্ষতিকর অভ্যাস আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথে বড় অন্তরায়। রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় একটি হত্যা মামলাসহ মোট তিনটি মামলা হয়েছে।
এই মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা না নেওয়া হলে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার, আত্মীয়স্বজনের দীর্ঘশ্বাস বাতাস ভারী করবে। আমরা দুর্ঘটনা রোধ করতে পারি না, আবার যাদের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে, তাদের বিচারের আওতায় আনতে না পারাটা অমার্জনীয় অপরাধ হিসেবেই বিবেচিত হবে।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসে গিয়ে প্রাণ হারান ১ হাজার ১৩৫ জন শ্রমিক। আহত হয়ে চিরদিনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন অনেকে। উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটিকে হারিয়ে অনেক পরিবারে নেমে এসেছে ঘোর অন্ধকার। ভবনের ত্রুটির কারণেই যে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল, তা এখন সবারই জানা। রানা প্লাজা ধসে বিপুল পোশাক শ্রমিকের নিহত ও আহত হওয়ার খবরটি তখন দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। রানা প্লাজার মালিকের শাস্তি, আহত-নিহত ব্যক্তিদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং পোশাক কারাখানায় কাজের পরিবেশ, শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়গুলো সামনে এসেছিল। এসব ন্যায়সঙ্গত দাবিদাওয়ার প্রতি সমাজের সব অংশের মানুষের সমর্থন পাওয়া গিয়েছিল।
রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় মালিক সোহেল রানার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হলেও মামলার বিচারকাজ এখনও শেষ হয়নি। যাঁরা ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের স্বজনেরা ন্যায়বিচার পাওয়ার আশায় বছরের পর বছর অপেক্ষা করছেন। তাঁদের অপেক্ষার কবে শেষ হবে, ন্যায়বিচার আদৌ পাওয়া যাবে কি না—সে প্রশ্নই এখন বড় হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে নিহত ব্যক্তিদের অনেকের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ, তাঁরা একটি টাকাও ক্ষতিপূরণ পাননি। কেন এই দীর্ঘসূত্রতা, কেন বিশেষ তহবিল গঠন সত্ত্বেও সবার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি—এসব প্রশ্নের জবাবই বা কে দেবেন?
দায়িত্ববান বা কর্তব্যপরায়ণ না হয়ে আমরা দায় এড়াতে অভ্যস্ত। অন্যের ওপর দায় চাপিয়ে নিজে দায়মুক্ত থাকার এক ক্ষতিকর অভ্যাস আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথে বড় অন্তরায়। রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় একটি হত্যা মামলাসহ মোট তিনটি মামলা হয়েছে।
এই মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা না নেওয়া হলে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার, আত্মীয়স্বজনের দীর্ঘশ্বাস বাতাস ভারী করবে। আমরা দুর্ঘটনা রোধ করতে পারি না, আবার যাদের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে, তাদের বিচারের আওতায় আনতে না পারাটা অমার্জনীয় অপরাধ হিসেবেই বিবেচিত হবে।
প্রতিদিন সূর্য ওঠে, শিশুরা ঘুম থেকে উঠে স্কুলে যায়। ব্যাগে বই-খাতার ফাঁকে ছোট ছোট স্বপ্ন থাকে—কেউ হবে বৈজ্ঞানিক, কেউ বলে ‘আমি পাইলট হব’, কারও চোখে ফুটবলার হওয়ার ইচ্ছা। কেউ কারও প্রিয় বন্ধু, কেউ ভাইয়ের মতো, কেউ স্কুলে প্রথম হয়ে মা-বাবার গর্ব হবে বলে শপথ করে। কিন্তু আজ...সব ভুলে গিয়ে শুধু একটাই...
৮ ঘণ্টা আগেক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়—বিরোধী দলে থাকলে সবাই এ কথা বলে, কিন্তু শাসকে পরিণত হলে তা ভুলে যায়। বঙ্গবন্ধুর মতো জনপ্রিয় নেতাও এই চিরন্তন সত্যের ব্যতিক্রম ছিলেন না। প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়তে যাওয়া তরুণদের কাছেও শেখ মুজিব ছিলেন প্রথম সহায়—সেই মুজিব পাকিস্তান প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় থেকেও একসময় পাকিস্তানিদের...
৮ ঘণ্টা আগেউত্তরার মাইলস্টোন স্কুল ভবনে সোমবার দুপুরে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে আছে পুরো জাতি। স্কুলের শিক্ষার্থীরাই মূলত ওই দুর্ঘটনার শিকার হয়। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেসব ছবি কিংবা ভিডিও দেখা গেছে, তার বেশির ভাগই বীভৎস...
৮ ঘণ্টা আগেনয়া কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা জোরদারকরণ, বিনিয়োগে খুদে উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি প্রভৃতি দিক বিবেচনায় বাজেটে ও রাষ্ট্রের অন্যান্য নীতিমালায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে (এসএমই) বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনের কথা বহুদিন ধরেই বলা হচ্ছে।
১ দিন আগে