সম্পাদকীয়
সুযোগ বুঝে কোপ মারতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা! চাল আর চিনির বাজারে অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে। এটি বাড়তি মুনাফা করার পাঁয়তারা একটি সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ী চক্রের। একদিকে করোনার প্রকোপ, মানুষের আয় কমে গেছে, অনেকে চাকরি হারিয়ে প্রায় নিঃস্ব; অন্যদিকে বাজারে নতুন চাল উঠতে শুরু করেছে, সরবরাহ বাড়ছে। কিন্তু তাতে কী? পবিত্র রমজান শেষে ঈদের মাত্র কয়েক দিন বাকি থাকতেই তৎপর হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ীরা! বিষয়টা এমন হচ্ছে যে এখনই ব্যবসাটা করে ফেলতে হবে! সংযমের মাসেও মুনাফায় সংযমী হতে দেখা যাচ্ছে না তাঁদের।
খবর বেরিয়েছে, মৌসুমেও চালের দাম বাড়ছে। এটা ঠিক যে এই সময়ে সরকারি গুদামে যে পরিমাণ মজুদ থাকার কথা, তা নেই। অর্থাৎ ঘাটতি রয়েছে। আমদানি বাড়িয়ে ঘাটতি মেটানোর পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা ঠিকমতো বাস্তবায়ন করা যায়নি। ঘাটতি থাকলেও বোরো ধানকাটা শুরু হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, ধানকাটা শুরু হলে বাজারে সরবরাহ বাড়ে, দাম সহনীয় হয়ে আসে। এবার দেখা যাচ্ছে এর উল্টো চিত্র। সরবরাহ বাড়ছে, অথচ চালের দাম কমছে না; বরং বাড়ছে। বিশ্লেষকেরা এটিকে অস্বাভাবিক বলছেন। তাঁদের মতে, মৌসুমে স্বাভাবিক সরবরাহের মধ্যে চালের দাম না কমে বেড়ে যাওয়া একটু অস্বাভাবিক। এতে ধারণা করা যাচ্ছে, বাজারে কারসাজি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা ঈদ সামনে রেখে অতিমুনাফা করার চেষ্টা করছেন।
একইভাবে দেখা যাচ্ছে, ঈদকে কেন্দ্র করে নিত্যপণ্য চিনির দামও বাড়ছে। রাজধানীর পাইকারি বাজারে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে চিনির দাম বস্তাপ্রতি ৭০ টাকা বেড়েছে। রাজধানীর পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে ৫০ কেজি ওজনের ১ বস্তা চিনির দাম ছিল ৩ হাজার ২৫০ টাকা। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৩২০ টাকায়। অবশ্য পাইকারি চিনি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ার পেছনে দায়ী করছেন মিলের মালিকদের। আর মিলমালিকেরা দিচ্ছেন আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির অজুহাত। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির এই অপসংস্কৃতি নতুন নয়। যেকোনো উৎসব-পার্বণে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা দেখা যায়। বিশ্বের অন্য দেশে উৎসবে যখন জিনিপত্রের দাম কমানো কিংবা বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়, বাংলাদেশে তার উল্টো। আর এ বছরের বিষয়টি তো আরও অস্বাভাবিক। করোনার কারণে বরং ব্যবসায়ীরা তাঁদের মুনাফায় কিছুটা ছাড় দিতে পারতেন। তা না করে, বিপদের মধ্যেও বাড়তি দাম নিচ্ছেন। ব্যবসায়ীদের এ ধরনের মন্দ মানসিকতার পরিবর্তন হওয়া জরুরি। মানুষ হিসেবেও মানুষের প্রতি নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে অতিমুনাফার বৃত্ত থেকে তাঁদের বের হয়ে আসা উচিত।
সুযোগ বুঝে কোপ মারতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা! চাল আর চিনির বাজারে অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে। এটি বাড়তি মুনাফা করার পাঁয়তারা একটি সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ী চক্রের। একদিকে করোনার প্রকোপ, মানুষের আয় কমে গেছে, অনেকে চাকরি হারিয়ে প্রায় নিঃস্ব; অন্যদিকে বাজারে নতুন চাল উঠতে শুরু করেছে, সরবরাহ বাড়ছে। কিন্তু তাতে কী? পবিত্র রমজান শেষে ঈদের মাত্র কয়েক দিন বাকি থাকতেই তৎপর হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ীরা! বিষয়টা এমন হচ্ছে যে এখনই ব্যবসাটা করে ফেলতে হবে! সংযমের মাসেও মুনাফায় সংযমী হতে দেখা যাচ্ছে না তাঁদের।
খবর বেরিয়েছে, মৌসুমেও চালের দাম বাড়ছে। এটা ঠিক যে এই সময়ে সরকারি গুদামে যে পরিমাণ মজুদ থাকার কথা, তা নেই। অর্থাৎ ঘাটতি রয়েছে। আমদানি বাড়িয়ে ঘাটতি মেটানোর পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা ঠিকমতো বাস্তবায়ন করা যায়নি। ঘাটতি থাকলেও বোরো ধানকাটা শুরু হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, ধানকাটা শুরু হলে বাজারে সরবরাহ বাড়ে, দাম সহনীয় হয়ে আসে। এবার দেখা যাচ্ছে এর উল্টো চিত্র। সরবরাহ বাড়ছে, অথচ চালের দাম কমছে না; বরং বাড়ছে। বিশ্লেষকেরা এটিকে অস্বাভাবিক বলছেন। তাঁদের মতে, মৌসুমে স্বাভাবিক সরবরাহের মধ্যে চালের দাম না কমে বেড়ে যাওয়া একটু অস্বাভাবিক। এতে ধারণা করা যাচ্ছে, বাজারে কারসাজি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা ঈদ সামনে রেখে অতিমুনাফা করার চেষ্টা করছেন।
একইভাবে দেখা যাচ্ছে, ঈদকে কেন্দ্র করে নিত্যপণ্য চিনির দামও বাড়ছে। রাজধানীর পাইকারি বাজারে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে চিনির দাম বস্তাপ্রতি ৭০ টাকা বেড়েছে। রাজধানীর পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে ৫০ কেজি ওজনের ১ বস্তা চিনির দাম ছিল ৩ হাজার ২৫০ টাকা। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৩২০ টাকায়। অবশ্য পাইকারি চিনি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ার পেছনে দায়ী করছেন মিলের মালিকদের। আর মিলমালিকেরা দিচ্ছেন আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির অজুহাত। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির এই অপসংস্কৃতি নতুন নয়। যেকোনো উৎসব-পার্বণে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা দেখা যায়। বিশ্বের অন্য দেশে উৎসবে যখন জিনিপত্রের দাম কমানো কিংবা বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়, বাংলাদেশে তার উল্টো। আর এ বছরের বিষয়টি তো আরও অস্বাভাবিক। করোনার কারণে বরং ব্যবসায়ীরা তাঁদের মুনাফায় কিছুটা ছাড় দিতে পারতেন। তা না করে, বিপদের মধ্যেও বাড়তি দাম নিচ্ছেন। ব্যবসায়ীদের এ ধরনের মন্দ মানসিকতার পরিবর্তন হওয়া জরুরি। মানুষ হিসেবেও মানুষের প্রতি নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে অতিমুনাফার বৃত্ত থেকে তাঁদের বের হয়ে আসা উচিত।
গত সংখ্যায় লিখেছিলাম, এখন আর ছাত্র খুঁজে পাওয়া যায় না, চারদিকে পরীক্ষার্থী। কিন্তু দ্রুতই দেখা যাচ্ছে, ছাত্র এবং পরীক্ষার্থী কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ছাত্রদের একটা বৃহদাংশ রাজনীতিবিদে পরিণত হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, তাদের অঙ্গুলি হেলনে বড় বড় রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও হয়ে যাচ্ছে। ভেবেছিলাম প্রাথমিক শিক্ষা
২০ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞানীরা বিংশ শতাব্দীজুড়ে বহির্জাগতিক প্রাণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চালিয়েছেন। খুঁজেছেন কার্বনভিত্তিক, সিলিকনভিত্তিক বা অ্যামোনিয়া যৌগনির্ভর প্রাণ। এটা আমাদের জানা জরুরি যে প্রাণের প্রকৃতি, আর অন্য জায়গায় প্রাণ আছে কি না, তা আসলে একই প্রশ্নের দুটো দিক। তা হলো, ‘কেন আমরা এখানে?’ বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে,
২১ ঘণ্টা আগেপরিবার হলো মূলত রক্ত-সম্পর্কিত ব্যক্তিদের সংগঠন, যেখানে সব সদস্যের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, নিরাপত্তা এবং বিনোদনের আয়োজন হয়ে থাকে। পরিবার কখন কী কারণে গড়ে উঠেছে, তা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। বেশির ভাগের মত হলো, মানুষ সমতলে বসবাস করার সময় কৃষিকাজ শিখে ফেলে। কৃষিজাত পণ্য সংরক্ষণের জন্য গোলাঘর
২১ ঘণ্টা আগেনিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বেশি, এ কথা নতুন নয়। এবং এ ব্যাপারে প্রমাণের অভাব নেই। একটা কিছু নিষিদ্ধ করলেই যে তা ব্যবহার করা বন্ধ হয়ে যাবে, এমন ভাবাটাই ভুল। ধরুন, একটি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে সেই দলটি যে ছদ্মবেশে বা তলে তলে রাজনীতি করবে না, সেই গ্যারান্টি কে দিতে পারে? তেমনি কেউ
২১ ঘণ্টা আগে