সম্পাদকীয়
আমাদের দেশে যাঁরা দায়িত্বপূর্ণ পদে থাকেন, থাকেন নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে—তাঁরা সাধারণত কখনো নিজের ভুল স্বীকার করেন না। তাঁদের কোনো কাজে অবহেলা বা গাফিলতি থাকে না। থাকে তুষ্টির কথা। সাফল্যের কথা। কোথাও কোনো সমস্যা নেই। সব ঠিক আছে।
এবার একটু ব্যতিক্রমী কথা শোনা গেল স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কণ্ঠে। গত ২৯ এপ্রিল এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘জোরালোভাবেই বলতে চাই, স্বাস্থ্য খাতকে আমরা সেভাবে গুরুত্ব দেইনি। এ খাতকে অবহেলা করেছি। স্বাস্থ্য খাতকে গুরুত্ব না দেওয়ার ফল এই করোনাকালে আমরা পেয়েছি।’ মন্ত্রী অবশ্য ‘আমরা’ বলতে শুধু বাংলাদেশকে বোঝাননি। তিনি অন্যসব দেশকেও এর সঙ্গে যুক্ত করে বলেছেন, ‘শুধু আমরাই নই, কোনো দেশই স্বাস্থ্য খাতকে তেমনভাবে গুরুত্ব দেয়নি। করোনা মহামারিতে এসে সবাই এটা বুঝতে পারছে। আমরা কতটা অসহায়।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এসব কথার সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশের সুযোগ কম। ঠিকই, শুধু আমাদের দেশ নয়, বড় বড় দেশগুলোর স্বাস্থ্য খাতের ভঙ্গুর অবস্থা অত্যন্ত প্রকটভাবে এবার নাগরিকদের সামনে এসেছে। তবে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার জন্য অন্য দেশের দৃষ্টান্ত না দিয়ে এখন যেটা জরুরি সেটা হলো—আর অবহেলা নয়, স্বাস্থ্য খাতের দিকে এখনই আমাদের মনোযোগ দিতে হবে। কোথায় আমাদের ত্রুটি, কোথায় গাফিলতি বা অবহেলা, তা নিশ্চয়ই এর মধ্যেই আমরা বুঝতে বা চিহ্নিত করতে পেরেছি। সমস্যা বুঝতে পারলে সমাধান সহজ হয়ে যায়। আমরা আশা করব, স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাঁর অবস্থানে থেকে ‘অবহেলা’ দূর করতে যথাযথ ভূমিকা রাখবেন।
মন্ত্রী বেশ ভালোভাবেই বলেছেন, ‘নভোযান পাঠানো হচ্ছে, মারণাস্ত্র তৈরি হচ্ছে। অথচ চোখে দেখা যায় না, হাতে ধরা যায় না, এমন একটা শত্রুর কাছে আজ দেশ পৃথিবী আক্রান্ত।’ স্বাস্থ্য খাতে দেশ পিছিয়ে আছে বলেও মন্ত্রী উল্লেখ করেছেন। মন্ত্রী হিসেবে জাহিদ মালেক খুব প্রশংসিত বলে মনে হয় না। তাঁর ব্যক্তিগত কোনো ‘অবহেলা’ স্বাস্থ্য খাতকে দুর্বল বা আক্রান্ত করেছে কি না, সে বিষয়টিও তিনি বিবেচনায় নিলে ভালো করবেন।
নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা হবে অল্প কয়েক দিন পরই। আমরা বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ যেমন বেশি দেখতে চাই, তেমনি স্বাস্থ্য খাতকে আরও দক্ষ এবং গতিশীল করার মাধ্যমে বরাদ্দ অর্থের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করার দাবিও জানাই। সব ধরনের দুর্নীতি-অপচয় বন্ধ করতে না পারলে আসলে প্রকৃত ‘অবহেলা’ দূর হবে না।
আমাদের দেশে যাঁরা দায়িত্বপূর্ণ পদে থাকেন, থাকেন নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে—তাঁরা সাধারণত কখনো নিজের ভুল স্বীকার করেন না। তাঁদের কোনো কাজে অবহেলা বা গাফিলতি থাকে না। থাকে তুষ্টির কথা। সাফল্যের কথা। কোথাও কোনো সমস্যা নেই। সব ঠিক আছে।
এবার একটু ব্যতিক্রমী কথা শোনা গেল স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কণ্ঠে। গত ২৯ এপ্রিল এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘জোরালোভাবেই বলতে চাই, স্বাস্থ্য খাতকে আমরা সেভাবে গুরুত্ব দেইনি। এ খাতকে অবহেলা করেছি। স্বাস্থ্য খাতকে গুরুত্ব না দেওয়ার ফল এই করোনাকালে আমরা পেয়েছি।’ মন্ত্রী অবশ্য ‘আমরা’ বলতে শুধু বাংলাদেশকে বোঝাননি। তিনি অন্যসব দেশকেও এর সঙ্গে যুক্ত করে বলেছেন, ‘শুধু আমরাই নই, কোনো দেশই স্বাস্থ্য খাতকে তেমনভাবে গুরুত্ব দেয়নি। করোনা মহামারিতে এসে সবাই এটা বুঝতে পারছে। আমরা কতটা অসহায়।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এসব কথার সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশের সুযোগ কম। ঠিকই, শুধু আমাদের দেশ নয়, বড় বড় দেশগুলোর স্বাস্থ্য খাতের ভঙ্গুর অবস্থা অত্যন্ত প্রকটভাবে এবার নাগরিকদের সামনে এসেছে। তবে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার জন্য অন্য দেশের দৃষ্টান্ত না দিয়ে এখন যেটা জরুরি সেটা হলো—আর অবহেলা নয়, স্বাস্থ্য খাতের দিকে এখনই আমাদের মনোযোগ দিতে হবে। কোথায় আমাদের ত্রুটি, কোথায় গাফিলতি বা অবহেলা, তা নিশ্চয়ই এর মধ্যেই আমরা বুঝতে বা চিহ্নিত করতে পেরেছি। সমস্যা বুঝতে পারলে সমাধান সহজ হয়ে যায়। আমরা আশা করব, স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাঁর অবস্থানে থেকে ‘অবহেলা’ দূর করতে যথাযথ ভূমিকা রাখবেন।
মন্ত্রী বেশ ভালোভাবেই বলেছেন, ‘নভোযান পাঠানো হচ্ছে, মারণাস্ত্র তৈরি হচ্ছে। অথচ চোখে দেখা যায় না, হাতে ধরা যায় না, এমন একটা শত্রুর কাছে আজ দেশ পৃথিবী আক্রান্ত।’ স্বাস্থ্য খাতে দেশ পিছিয়ে আছে বলেও মন্ত্রী উল্লেখ করেছেন। মন্ত্রী হিসেবে জাহিদ মালেক খুব প্রশংসিত বলে মনে হয় না। তাঁর ব্যক্তিগত কোনো ‘অবহেলা’ স্বাস্থ্য খাতকে দুর্বল বা আক্রান্ত করেছে কি না, সে বিষয়টিও তিনি বিবেচনায় নিলে ভালো করবেন।
নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা হবে অল্প কয়েক দিন পরই। আমরা বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ যেমন বেশি দেখতে চাই, তেমনি স্বাস্থ্য খাতকে আরও দক্ষ এবং গতিশীল করার মাধ্যমে বরাদ্দ অর্থের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করার দাবিও জানাই। সব ধরনের দুর্নীতি-অপচয় বন্ধ করতে না পারলে আসলে প্রকৃত ‘অবহেলা’ দূর হবে না।
বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান যুদ্ধ-সংঘাত, দুরবস্থা, দ্বৈতনীতি, পক্ষপাতিত্ব ইত্যাদির ভেতর বাংলাদেশ কেমন আছে? ফুটন্ত তেলের কড়াই থেকে জ্বলন্ত চুলা, আবার চুলা থেকে টগবগে কড়াই—এই তো চলছে এ দেশের জনগণকে নিয়ে। বরং যত দিন যাচ্ছে কড়াইয়ের তেল ও চুলার আগুন উভয়ই আরও উত্তপ্ত ও পরাবাস্তব হয়ে উঠছে।
১ ঘণ্টা আগেগত আট মাসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক ব্যতিক্রমী দৃশ্যমানতা তৈরি হয়েছে ২৬টি নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশের মধ্য দিয়ে। ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের রেশ না কাটতেই একে একে এদের উত্থান অনেককেই বিস্মিত করেছে, কেউ কেউ দেখেছেন সম্ভাবনার নতুন আলো, আবার কেউ কেউ দেখেছেন এটি বিদ্যমান রাজনৈতিক অস্থিরতারই
১ ঘণ্টা আগেশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ডিআইএতে নিয়োগ নিয়ে যা হয়ে গেল, তাকে ‘ম্যাজিক কারবার’ বলা হলে ভুল বলা হবে না। সকালে পরীক্ষা নিয়ে রাতেই ফল প্রকাশ করার এক অতি মানবীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ডিআইএ। তারাই প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করেছে, তারাই খাতা মূল্যায়নের ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। সুতরাং এই ম্যাজিকের জন্মদাতা কে—তা
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে এখন প্রেমও রাজনৈতিক। আগে প্রেমে পড়লে মানুষ কবিতা লিখত, এখন ফেসবুক স্ট্যাটাস দেয়। একসময় ‘কিছু বলব না, বুঝে নিও’ টাইপ প্রেমিকা ছিল—এখন ‘টক্সিসিটিই প্রেমের সৌন্দর্য’ বলে নিজের ফ্যান-ফলোয়ারদের মাঝে থ্রো করে দেয় একখানা থিওরিটিক্যাল বোমা।
১ ঘণ্টা আগে