সম্পাদকীয়
এই তো সেদিন অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের ওপর ৪ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার করল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। কারণ, পবিত্র রমজানে পণ্যটির দাম সহনীয় রাখা। পরিপত্র জারির ঘোষণায় সবাই বেশ আশ্বস্ত হলেন যে ভোজ্যতেলের দাম কমে আসবে।
আশায় গুড়েবালি। দাম তো কমেইনি, বরং বেড়েছে। খবর বের হয়েছে, দেশের ভোজ্য তেল উৎপাদন ও বিপণনকারী কোম্পানিগুলো বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৫ টাকা বাড়িয়েছে। নতুন দর নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ১৪৪ টাকা। এই দামে কোম্পানিগুলো পরিবেশকদের কাছ থেকে সরবরাহ আদেশ নেওয়া শুরু করেছে। কোম্পানিগুলো যে নতুন দামে সরবরাহ আদেশ নেওয়া শুরু করেছে, তা জানা যায় পরিবেশকদের কাছ থেকে। পরিবেশকেরা জানান, কোম্পানির প্রতিনিধিরা তাঁদের কাছ থেকে প্রতি লিটারে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৪৪ টাকা ও ৫ লিটারে ৬৮৫ টাকা ধরে অর্ডার নেওয়া শুরু করেছেন। বৃদ্ধির খবরে বাজারে থাকা আগের দামে কেনা সয়াবিন তেলও বেশি দামে বিক্রি শুরু করেছেন খুচরা বিক্রেতারা। এই বাড়তি দাম নেওয়া হচ্ছে ১ লিটারের বোতলের ক্ষেত্রে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সর্বশেষ গত ১৫ মার্চ ১ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৩৯ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। এরপর থেকে ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত ওই দামেই বিক্রি করছিলেন। তবে ১৯ এপ্রিল কোম্পানিগুলোর সমিতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংস্থা বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে চিঠি দিয়ে নতুন দাম নির্ধারণের কথা জানায়। সব মিলিয়ে তেল কিনতে মানুষের ব্যয় আরেক দফা বাড়ছে। এখন প্রশ্ন—তাহলে কেন অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের ৪ শতাংশ অগ্রিম কর কমানো হলো? যদি দাম না-ই কমবে, তবে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি করে কর ছাড় দেওয়ার কী দরকার ছিল? বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ই বা কেন কর কমাতে বলে আবার ব্যবসায়ীদের নতুন দাম ঠিক করে দেয়? এটা ভোক্তাদের সঙ্গে অনেকটা রসিকতার মতো অবস্থা।
আসলে শুল্ক-কর কমিয়ে কখনও দাম কমিয়ে আনা যায় না। বিগত দিনেও বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বাড়লে শুল্ক-কর ছাড় দেওয়া হয়। তাতেও লাভ হয়নি। এবারও লাভ হবে না। ভোক্তা এর কোনো সুফল পান না। সরকারও বিপুল অংকের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়। শুধু শুধু রাজস্ব ছাড় দেওয়ার মানে হলো ব্যবসায়ীদের পকেট ভারী করা।
সুতরাং পণ্যের দাম বাড়তে থাকলে শুল্ক বা কর ছাড় কোনো সমাধান নয়। বরং বাজারে নজরদারিসহ অন্যান্য কৌশল বাস্তবায়ন করতে হবে।
এই তো সেদিন অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের ওপর ৪ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার করল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। কারণ, পবিত্র রমজানে পণ্যটির দাম সহনীয় রাখা। পরিপত্র জারির ঘোষণায় সবাই বেশ আশ্বস্ত হলেন যে ভোজ্যতেলের দাম কমে আসবে।
আশায় গুড়েবালি। দাম তো কমেইনি, বরং বেড়েছে। খবর বের হয়েছে, দেশের ভোজ্য তেল উৎপাদন ও বিপণনকারী কোম্পানিগুলো বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৫ টাকা বাড়িয়েছে। নতুন দর নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ১৪৪ টাকা। এই দামে কোম্পানিগুলো পরিবেশকদের কাছ থেকে সরবরাহ আদেশ নেওয়া শুরু করেছে। কোম্পানিগুলো যে নতুন দামে সরবরাহ আদেশ নেওয়া শুরু করেছে, তা জানা যায় পরিবেশকদের কাছ থেকে। পরিবেশকেরা জানান, কোম্পানির প্রতিনিধিরা তাঁদের কাছ থেকে প্রতি লিটারে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৪৪ টাকা ও ৫ লিটারে ৬৮৫ টাকা ধরে অর্ডার নেওয়া শুরু করেছেন। বৃদ্ধির খবরে বাজারে থাকা আগের দামে কেনা সয়াবিন তেলও বেশি দামে বিক্রি শুরু করেছেন খুচরা বিক্রেতারা। এই বাড়তি দাম নেওয়া হচ্ছে ১ লিটারের বোতলের ক্ষেত্রে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সর্বশেষ গত ১৫ মার্চ ১ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৩৯ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। এরপর থেকে ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত ওই দামেই বিক্রি করছিলেন। তবে ১৯ এপ্রিল কোম্পানিগুলোর সমিতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংস্থা বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে চিঠি দিয়ে নতুন দাম নির্ধারণের কথা জানায়। সব মিলিয়ে তেল কিনতে মানুষের ব্যয় আরেক দফা বাড়ছে। এখন প্রশ্ন—তাহলে কেন অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের ৪ শতাংশ অগ্রিম কর কমানো হলো? যদি দাম না-ই কমবে, তবে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি করে কর ছাড় দেওয়ার কী দরকার ছিল? বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ই বা কেন কর কমাতে বলে আবার ব্যবসায়ীদের নতুন দাম ঠিক করে দেয়? এটা ভোক্তাদের সঙ্গে অনেকটা রসিকতার মতো অবস্থা।
আসলে শুল্ক-কর কমিয়ে কখনও দাম কমিয়ে আনা যায় না। বিগত দিনেও বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বাড়লে শুল্ক-কর ছাড় দেওয়া হয়। তাতেও লাভ হয়নি। এবারও লাভ হবে না। ভোক্তা এর কোনো সুফল পান না। সরকারও বিপুল অংকের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়। শুধু শুধু রাজস্ব ছাড় দেওয়ার মানে হলো ব্যবসায়ীদের পকেট ভারী করা।
সুতরাং পণ্যের দাম বাড়তে থাকলে শুল্ক বা কর ছাড় কোনো সমাধান নয়। বরং বাজারে নজরদারিসহ অন্যান্য কৌশল বাস্তবায়ন করতে হবে।
বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান যুদ্ধ-সংঘাত, দুরবস্থা, দ্বৈতনীতি, পক্ষপাতিত্ব ইত্যাদির ভেতর বাংলাদেশ কেমন আছে? ফুটন্ত তেলের কড়াই থেকে জ্বলন্ত চুলা, আবার চুলা থেকে টগবগে কড়াই—এই তো চলছে এ দেশের জনগণকে নিয়ে। বরং যত দিন যাচ্ছে কড়াইয়ের তেল ও চুলার আগুন উভয়ই আরও উত্তপ্ত ও পরাবাস্তব হয়ে উঠছে।
১ ঘণ্টা আগেগত আট মাসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক ব্যতিক্রমী দৃশ্যমানতা তৈরি হয়েছে ২৬টি নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশের মধ্য দিয়ে। ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের রেশ না কাটতেই একে একে এদের উত্থান অনেককেই বিস্মিত করেছে, কেউ কেউ দেখেছেন সম্ভাবনার নতুন আলো, আবার কেউ কেউ দেখেছেন এটি বিদ্যমান রাজনৈতিক অস্থিরতারই
১ ঘণ্টা আগেশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ডিআইএতে নিয়োগ নিয়ে যা হয়ে গেল, তাকে ‘ম্যাজিক কারবার’ বলা হলে ভুল বলা হবে না। সকালে পরীক্ষা নিয়ে রাতেই ফল প্রকাশ করার এক অতি মানবীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ডিআইএ। তারাই প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করেছে, তারাই খাতা মূল্যায়নের ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। সুতরাং এই ম্যাজিকের জন্মদাতা কে—তা
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে এখন প্রেমও রাজনৈতিক। আগে প্রেমে পড়লে মানুষ কবিতা লিখত, এখন ফেসবুক স্ট্যাটাস দেয়। একসময় ‘কিছু বলব না, বুঝে নিও’ টাইপ প্রেমিকা ছিল—এখন ‘টক্সিসিটিই প্রেমের সৌন্দর্য’ বলে নিজের ফ্যান-ফলোয়ারদের মাঝে থ্রো করে দেয় একখানা থিওরিটিক্যাল বোমা।
১ ঘণ্টা আগে