সম্পাদকীয়
২০০৯ সালে সরকারের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পরের বছর থেকে শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার আগেই শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যে পৌঁছে যেত নতুন বই। কখনো ছোটখাটো অনিয়ম হলেও সামগ্রিকভাবে বই বিতরণের ঘটনাটি শিক্ষার্থীদের কাছে একটি উৎসব বলেই বিবেচিত হতো।
এ বছর সেটা হয়নি। শিক্ষাবর্ষের শুরুতে স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যের বই পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই ব্যর্থতার দায় তাদেরই। অন্য কারও ওপর দায় চাপিয়ে ঝাড়া হাত-পা হওয়ার সুযোগ নেই।
সরকারি বই বিনা মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে না, অথচ সে বই দেদার বিক্রি হচ্ছে বাজারে। এ রকম একটি খবর ছাপা হয়েছে ২৪ জানুয়ারি আজকের পত্রিকায়। ২৩ জানুয়ারি বুধবার তথ্য পাওয়ার পর ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ ঢাকার বাংলাবাজার ইস্পাহানি গলির বিভিন্ন গুদামে অভিযান চালিয়ে বিনা মূল্যের দুই ট্রাক বই উদ্ধার করেছে। সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। একই ধরনের খবর এসেছে কুড়িগ্রামের রৌমারী থেকে। শেরপুর সদরে বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য ট্রাকভর্তি যে বইগুলো পাঠানো হয়েছিল, সেগুলো হাপিস করে দিয়েছিলেন রৌমারী উপজেলা মাধ্যমিক অফিসের একজন পিয়ন। নবম ও দশম শ্রেণির ৯ হাজার বই লুকিয়ে রাখা হয়েছিল সিজি জামান সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের দুটি কক্ষে। শিশুদের বিনা মূল্যে বই পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে আরও কত বই কোথায় কোথায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে কে জানে!
পাঠ্যপুস্তক সময়মতো শিক্ষার্থীদের হাতে না পৌঁছানো এ সরকারের জন্য বড় একটা ব্যর্থতা। ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ নাসিরুল যতই বলুন না কেন, ‘সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা নস্যাৎ করতে কিছু অসাধু চক্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনা মূল্যে বিতরণের বই অবৈধ মজুতদারির মাধ্যমে খোলাবাজারে বিক্রি করছে’, তাতে শিক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবকেরা মোটেই আশ্বস্ত হচ্ছে না। তাদের দরকার বই। সেটাই তারা পাচ্ছে না। এটাই বাস্তবতা।
এমন একটি রাষ্ট্র গড়ার অঙ্গীকার ছিল এই অন্তর্বর্তী সরকারের, যেখানে বৈষম্য থাকবে না, ক্ষমতায় এসে কেউ স্বৈরাচার হয়ে উঠবে না। কিন্তু জানুয়ারি মাসের শেষ প্রান্তে এসে অনেকেই আশঙ্কা করছেন, সেই অঙ্গীকার রক্ষা করা কঠিন পরীক্ষা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, দ্রব্যমূল্য নিয়ে তো ইতিমধ্যেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে এই সরকার, এখন অন্যান্য ক্ষেত্রে তাদের পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করবে তারা কত দিন জনসমর্থন পাবে। সব দোষ পূর্ববর্তী সরকারের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়ার ভাবনাও সুবিবেচনাপ্রসূত নয়। জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে নিজেদের কাজকে মিলিয়ে নেওয়ার যে সুযোগ রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের, সে সুযোগ হেলায় হারানো উচিত হবে না।
যে শিশুদের হাতে বিনা মূল্যের বই থাকার কথা, তারা যদি এখন চড়া দামে বাজার থেকে সে বই কিনতে বাধ্য হয়, তাহলে বুঝতে হবে, শিক্ষা উপদেষ্টা তাঁর ভাবনা ও কাজের পরিধি এখনো বাড়াতে পারেননি। আমরা চাইব, স্বাভাবিক নিয়মে সরকার শিশুদের হাতে বিনা মূল্যের বই পৌঁছে দিক।
২০০৯ সালে সরকারের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পরের বছর থেকে শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার আগেই শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যে পৌঁছে যেত নতুন বই। কখনো ছোটখাটো অনিয়ম হলেও সামগ্রিকভাবে বই বিতরণের ঘটনাটি শিক্ষার্থীদের কাছে একটি উৎসব বলেই বিবেচিত হতো।
এ বছর সেটা হয়নি। শিক্ষাবর্ষের শুরুতে স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যের বই পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই ব্যর্থতার দায় তাদেরই। অন্য কারও ওপর দায় চাপিয়ে ঝাড়া হাত-পা হওয়ার সুযোগ নেই।
সরকারি বই বিনা মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে না, অথচ সে বই দেদার বিক্রি হচ্ছে বাজারে। এ রকম একটি খবর ছাপা হয়েছে ২৪ জানুয়ারি আজকের পত্রিকায়। ২৩ জানুয়ারি বুধবার তথ্য পাওয়ার পর ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ ঢাকার বাংলাবাজার ইস্পাহানি গলির বিভিন্ন গুদামে অভিযান চালিয়ে বিনা মূল্যের দুই ট্রাক বই উদ্ধার করেছে। সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। একই ধরনের খবর এসেছে কুড়িগ্রামের রৌমারী থেকে। শেরপুর সদরে বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য ট্রাকভর্তি যে বইগুলো পাঠানো হয়েছিল, সেগুলো হাপিস করে দিয়েছিলেন রৌমারী উপজেলা মাধ্যমিক অফিসের একজন পিয়ন। নবম ও দশম শ্রেণির ৯ হাজার বই লুকিয়ে রাখা হয়েছিল সিজি জামান সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের দুটি কক্ষে। শিশুদের বিনা মূল্যে বই পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে আরও কত বই কোথায় কোথায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে কে জানে!
পাঠ্যপুস্তক সময়মতো শিক্ষার্থীদের হাতে না পৌঁছানো এ সরকারের জন্য বড় একটা ব্যর্থতা। ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ নাসিরুল যতই বলুন না কেন, ‘সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা নস্যাৎ করতে কিছু অসাধু চক্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনা মূল্যে বিতরণের বই অবৈধ মজুতদারির মাধ্যমে খোলাবাজারে বিক্রি করছে’, তাতে শিক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবকেরা মোটেই আশ্বস্ত হচ্ছে না। তাদের দরকার বই। সেটাই তারা পাচ্ছে না। এটাই বাস্তবতা।
এমন একটি রাষ্ট্র গড়ার অঙ্গীকার ছিল এই অন্তর্বর্তী সরকারের, যেখানে বৈষম্য থাকবে না, ক্ষমতায় এসে কেউ স্বৈরাচার হয়ে উঠবে না। কিন্তু জানুয়ারি মাসের শেষ প্রান্তে এসে অনেকেই আশঙ্কা করছেন, সেই অঙ্গীকার রক্ষা করা কঠিন পরীক্ষা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, দ্রব্যমূল্য নিয়ে তো ইতিমধ্যেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে এই সরকার, এখন অন্যান্য ক্ষেত্রে তাদের পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করবে তারা কত দিন জনসমর্থন পাবে। সব দোষ পূর্ববর্তী সরকারের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়ার ভাবনাও সুবিবেচনাপ্রসূত নয়। জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে নিজেদের কাজকে মিলিয়ে নেওয়ার যে সুযোগ রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের, সে সুযোগ হেলায় হারানো উচিত হবে না।
যে শিশুদের হাতে বিনা মূল্যের বই থাকার কথা, তারা যদি এখন চড়া দামে বাজার থেকে সে বই কিনতে বাধ্য হয়, তাহলে বুঝতে হবে, শিক্ষা উপদেষ্টা তাঁর ভাবনা ও কাজের পরিধি এখনো বাড়াতে পারেননি। আমরা চাইব, স্বাভাবিক নিয়মে সরকার শিশুদের হাতে বিনা মূল্যের বই পৌঁছে দিক।
রুমিন ফারহানা বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও রাজনীতি বিশ্লেষক। তিনি সংরক্ষিত নারী আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তিনি বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
৩ ঘণ্টা আগেদেশে প্রতিবছর বহু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। বাস্তবায়নের সময় মাঝে মাঝে সংবাদ চোখে পড়ে যে প্রকল্পের ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে গাছ কাটা পড়ছে, বনভূমি উজাড় হচ্ছে, খাল ও জলাভূমি ভরাট হচ্ছে, নির্মাণস্থলে নির্মাণকাজের ফলে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে, এমনকি কোনো কোনো প্রকল্প গ্রহণের ফলে পরিবেশের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব...
৩ ঘণ্টা আগেপাহাড় রক্ষা করা যখন খুবই জরুরি, তখন সে পাহাড় কেটে গোটা অঞ্চলের জন্য বিপদ ডেকে আনছে একদল দুর্বৃত্ত। খাগড়াছড়ির পানছড়ি এলাকায় অবাধে পাহাড় কাটা হচ্ছে, অথচ সরকারি কর্মকর্তারা এ বিষয়ে দায়সারা বক্তব্য দিয়ে নিজেদের ব্যর্থতাকে ঢাকার চেষ্টা করছেন।
৩ ঘণ্টা আগে১৯৪৯ সালের ২৩ জুন মওলানা ভাসানীকে সভাপতি এবং শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত হয়েছিল আওয়ামী লীগ। তখন শেখ মুজিবুর রহমান জেলে ছিলেন, তাঁকে করা হয়েছিল দলের যুগ্ম সম্পাদক। পরবর্তী সময়ে শামসুল হক অপ্রকৃতিস্থ হয়ে যাওয়ায় শেখ মুজিবুর রহমানকে দলের সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
১ দিন আগে