সম্পাদকীয়
মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের একটি মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা হিসেবে তিনি বিভিন্ন সময় যে জ্বালাময়ী বক্তৃতা করেছেন, তাতে সংবিধানবিরোধী এবং ইসলামবিরোধী উপাদানও যথেষ্ট পরিমাণে বিদ্যমান ছিল। শুধু মামুনুল হক নন, ধর্মীয় নেতা বলে যাঁরা আজকাল পরিচিতি পাচ্ছেন, তাঁদের অনেকেই এমন সব উদ্ভট কথাবার্তা বলে থাকেন, যা কোনোভাবেই কোনো সভ্য সমাজে বলা যায় না।
ভাগ্যের পরিহাস এই যে, ধর্মের লেবাসে এ ধরনের উদ্ভট কথা তাঁরা বলেন বলে কেউ সরাসরি তাঁদের চ্যালেঞ্জ করেন না। চ্যালেঞ্জ করার মতো সাহস তো আজকাল কমে গেছে। আরও দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে, এই প্রজন্মের একটা বড় অংশ কোনো ধরনের যুক্তিতর্কের মধ্যে না গিয়ে মামুনুল হকদের পরকাল নিয়ে ব্যবসার মোহে আকৃষ্ট হচ্ছে। যে জাতি ইসলামি লেবাসে থাকা অস্বাভাবিক একটি রাষ্ট্র থেকে বেরিয়ে এসে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ে তুলেছিল ১৯৭১ সালে, সে জাতি ‘বীরত্বের সঙ্গে’ কদমের পর কদম পিছু হটছে। এবং এই পিছু হটা এমন গতিতে চলছে যে সত্যিকারের অসাম্প্রদায়িক মানুষের পক্ষে টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে।
খেয়াল করলে দেখা যাবে, সাংস্কৃতিক জীবন ইতিমধ্যেই সংকুচিত হয়ে এসেছে। গ্রামীণ উৎসবগুলোর অবস্থা ম্রিয়মাণ। শিল্প ও সংস্কৃতির সাধনা ক্রমশ বিলুপ্ত হয়ে একশ্রেণির ধর্মব্যবসায়ীর ওয়াজ মাহফিলের রমরমা এনেছে সমাজে।
মামুনুল হকদের সত্যিকারের চেহারা উন্মোচন করা ছাড়া এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না।
একটা ছোট্ট বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যাঁরা ওয়াজের নামে ধর্মবিদ্বেষ ছড়ান, অন্য ধর্মকে ছোট করেন, নারীদের নিয়ে অশ্লীল কথাবার্তা বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তাঁদের ওয়াজগুলো রেকর্ড করে পরবর্তীকালে তাঁদের শুনিয়ে জবাবদিহি করানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এর যেকোনো একটি অপরাধ করে থাকলে সে যেন কঠোর শাস্তি পায়, তাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
ধর্ম এবং ধর্ম ব্যবসা যে এক নয়, সেটা পরিষ্কারভাবে বলে দেওয়া উচিত এবং ধর্ম ব্যবসার মাধ্যমে কেউ আখের গোছাতে চাইলে তার ঠিকানা যে কারাগার, সেটাও পরিষ্কারভাবে বলে দেওয়া দরকার। নইলে ওয়াজের মাধ্যমে অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ ছড়িয়ে পড়বে কোটি মানুষের হৃদয়ে এবং তাদের কেউ কেউ চাঁদের মধ্যে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মুখম-ল দেখতে পাবে। এই বদমায়েশির শেষ দেখা দরকার।
মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের একটি মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা হিসেবে তিনি বিভিন্ন সময় যে জ্বালাময়ী বক্তৃতা করেছেন, তাতে সংবিধানবিরোধী এবং ইসলামবিরোধী উপাদানও যথেষ্ট পরিমাণে বিদ্যমান ছিল। শুধু মামুনুল হক নন, ধর্মীয় নেতা বলে যাঁরা আজকাল পরিচিতি পাচ্ছেন, তাঁদের অনেকেই এমন সব উদ্ভট কথাবার্তা বলে থাকেন, যা কোনোভাবেই কোনো সভ্য সমাজে বলা যায় না।
ভাগ্যের পরিহাস এই যে, ধর্মের লেবাসে এ ধরনের উদ্ভট কথা তাঁরা বলেন বলে কেউ সরাসরি তাঁদের চ্যালেঞ্জ করেন না। চ্যালেঞ্জ করার মতো সাহস তো আজকাল কমে গেছে। আরও দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে, এই প্রজন্মের একটা বড় অংশ কোনো ধরনের যুক্তিতর্কের মধ্যে না গিয়ে মামুনুল হকদের পরকাল নিয়ে ব্যবসার মোহে আকৃষ্ট হচ্ছে। যে জাতি ইসলামি লেবাসে থাকা অস্বাভাবিক একটি রাষ্ট্র থেকে বেরিয়ে এসে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ে তুলেছিল ১৯৭১ সালে, সে জাতি ‘বীরত্বের সঙ্গে’ কদমের পর কদম পিছু হটছে। এবং এই পিছু হটা এমন গতিতে চলছে যে সত্যিকারের অসাম্প্রদায়িক মানুষের পক্ষে টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে।
খেয়াল করলে দেখা যাবে, সাংস্কৃতিক জীবন ইতিমধ্যেই সংকুচিত হয়ে এসেছে। গ্রামীণ উৎসবগুলোর অবস্থা ম্রিয়মাণ। শিল্প ও সংস্কৃতির সাধনা ক্রমশ বিলুপ্ত হয়ে একশ্রেণির ধর্মব্যবসায়ীর ওয়াজ মাহফিলের রমরমা এনেছে সমাজে।
মামুনুল হকদের সত্যিকারের চেহারা উন্মোচন করা ছাড়া এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না।
একটা ছোট্ট বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যাঁরা ওয়াজের নামে ধর্মবিদ্বেষ ছড়ান, অন্য ধর্মকে ছোট করেন, নারীদের নিয়ে অশ্লীল কথাবার্তা বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তাঁদের ওয়াজগুলো রেকর্ড করে পরবর্তীকালে তাঁদের শুনিয়ে জবাবদিহি করানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এর যেকোনো একটি অপরাধ করে থাকলে সে যেন কঠোর শাস্তি পায়, তাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
ধর্ম এবং ধর্ম ব্যবসা যে এক নয়, সেটা পরিষ্কারভাবে বলে দেওয়া উচিত এবং ধর্ম ব্যবসার মাধ্যমে কেউ আখের গোছাতে চাইলে তার ঠিকানা যে কারাগার, সেটাও পরিষ্কারভাবে বলে দেওয়া দরকার। নইলে ওয়াজের মাধ্যমে অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ ছড়িয়ে পড়বে কোটি মানুষের হৃদয়ে এবং তাদের কেউ কেউ চাঁদের মধ্যে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মুখম-ল দেখতে পাবে। এই বদমায়েশির শেষ দেখা দরকার।
দেশের সংবিধান, পুলিশ, স্থানীয় সরকার, নির্বাচন, বিচারব্যবস্থাসহ বিভিন্ন খাতে সংস্কারের নানা আলাপ হয়েছে, হচ্ছে। কিন্তু এই সময়ে অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে খুব বেশি কিছু করা হয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনীতি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারেরই গঠন করা শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৩ ঘণ্টা আগেঈশ্বরকে এখনো বুঝে উঠতে পারিনি আমরা। এ কারণে মানবদেহ থাকলেও মনুষ্যত্ব, মানবিকতা নেই কিংবা মানুষ হয়ে উঠতে পারিনি। ঈশ্বরকে বোঝার জন্য আমরা দায়বদ্ধ নই, যদিও আমাদের দায়বদ্ধতার প্রসঙ্গটি এখানে আসার কথা ছিল না। শব্দটি প্রযোজ্য নয় এখানে। কিন্তু জন্ম, মৃত্যু ও ধর্মকে পুঁজি করে এক অদৃশ্য নাগপাশে বাঁধা পড়ে
১৩ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ও কার্যপরিধি নিয়ে রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজে আলোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। এক অংশ মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকার শুধু নির্বাচন পরিচালনার জন্য যথেষ্ট নয়; বিচার বিভাগে সংস্কার, হাসিনা সরকারের হত্যা-নির্যাতন, গুম-খুন ও দুর্নীতির বিচার, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরপেক্ষকরণসহ নানা
১৩ ঘণ্টা আগেঢাকা শহরে পরিবহনের অব্যবস্থাপনার কারণে নগরবাসী কাহিল অনেক আগে থেকেই। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যানজটের অসহনীয় যন্ত্রণা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বর্তমান সরকারের কিছু উদ্যোগ গ্রহণের কারণে মানুষ আশার আলো দেখতে পেলেও সময়ের সঙ্গে সেই আশাও নিরাশায় পরিণত হয়েছে। মূলত পরিবহনমালিক ও নেতাদের অসহযোগিতার কারণে
১৩ ঘণ্টা আগে