সম্পাদকীয়
সম্প্রতি অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি) আয়োজিত এক সংলাপে উঠে আসে শিশুশ্রমিকদের নির্যাতন বা দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হতাহতের ব্যাপারটি। শুধু তা-ই নয়, দীর্ঘ সময় ধরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করায় এই শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়—এমন অভিযোগও ছিল ওই সংলাপের বিষয়। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এটা বোঝা খুব কঠিন নয় যে দরিদ্র পরিবারের শিশুরা দারিদ্র্যের কারণেই যেকোনো ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে বাধ্য হয়। এ জন্য তাদের মা-বাবাকে দায়ী করার আগে পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, সে নিয়ে ভাবা জরুরি।
এ দেশে পথেঘাটে চলতে-ফিরতে দেখা যায়, শিশুরা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যুক্ত। বুক বাইন্ডিং, রাজমিস্ত্রি, লেগুনা ও বাসের হেলপার, ইট ভাঙা, হোটেল-রেস্তোরাঁর কাজে ও ওয়েল্ডিংয়ের কাজসহ নানা ধরনের কারখানায় শিশুরা শ্রম দেয়। অনেক ক্ষেত্রে মালিকেরা শুধু খাওয়ার বিনিময়ে মজুরি না দিয়ে কাজ করিয়ে নেন। অনেক শিশু গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে শুধু খাওয়ার বিনিময়ে। সামান্য ভুলের কারণে গৃহকর্তা শিশুদের ওপর নির্যাতন করেন। এই নির্যাতন কখনো কখনো হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনায় পরিণত হয়।
কোনো মা-বাবা ইচ্ছে করে কখনো নিজের সন্তানকে কাজে যুক্ত করতে চান না। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তাঁরা এমনটা করতে বাধ্য হন। সন্তানদের সামান্য আয় যেন সংসারে কিছুটা স্বস্তি যোগ করে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০২২ অনুযায়ী বাংলাদেশে ৫-১৭ বছর বয়সী কর্মজীবী শিশুর সংখ্যা ৩৫ লাখের বেশি। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ ৬৮ হাজার। এ পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট যে দেশে শিশুশ্রমিকের অবস্থা কতটা ভয়াবহ। যে বয়সে শিশুর স্কুলে যাওয়ার কথা, সমবয়সীদের সঙ্গে খেলাধুলা করে সময় কাটানোর কথা, সে বয়সে এ দেশের বিরাটসংখ্যক শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যুক্ত হতে হচ্ছে। এর চেয়ে নির্মম সংবাদ আর কী হতে পারে?
বেশির ভাগ শিশুশ্রমিকের জীবনের গল্পই দুঃসহ, হৃদয়বিদারক। শিশুশ্রম শিশুর জীবনের এক অমানবিক অধ্যায়, যা শিশুর স্বাভাবিক বেড়ে ওঠাকে বাধাগ্রস্ত করে; বুদ্ধিবৃত্তিক, সামাজিক ও পারিবারিক আচরণ এবং নৈতিক জীবনকে বাধাগ্রস্ত করে। জীবনের একটি পর্যায়ে অপরাধের দিকে ধাবিত হতে দেখা যায় তাদের।
বাংলাদেশের শ্রম আইন, ২০০৬ অনুযায়ী, ১৪ বছর বয়সের কম বয়সী কোনো শিশুকে কোনো ধরনের কাজেই নিয়োগ করা যাবে না এবং ১৮ বছর বয়সের নিচের কোনো শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ করা যাবে না। আইন ভঙ্গে অভিভাবকদের জন্য রয়েছে শাস্তির বিধান।
কিন্তু শুধু আইন করে শিশুশ্রম বন্ধ করা যাবে না। শিশুরা কেন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যুক্ত হতে বাধ্য হয়, তার আসল কারণ উদ্ঘাটন এবং সে সমস্যা সমাধানের উপায় বের করা জরুরি। এ বিষয়ে আমাদের দেশে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ কতটা গ্রহণ করা হয়েছে, সেটাও বিবেচনায় আনতে হবে।
সম্প্রতি অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি) আয়োজিত এক সংলাপে উঠে আসে শিশুশ্রমিকদের নির্যাতন বা দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হতাহতের ব্যাপারটি। শুধু তা-ই নয়, দীর্ঘ সময় ধরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করায় এই শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়—এমন অভিযোগও ছিল ওই সংলাপের বিষয়। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এটা বোঝা খুব কঠিন নয় যে দরিদ্র পরিবারের শিশুরা দারিদ্র্যের কারণেই যেকোনো ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে বাধ্য হয়। এ জন্য তাদের মা-বাবাকে দায়ী করার আগে পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, সে নিয়ে ভাবা জরুরি।
এ দেশে পথেঘাটে চলতে-ফিরতে দেখা যায়, শিশুরা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যুক্ত। বুক বাইন্ডিং, রাজমিস্ত্রি, লেগুনা ও বাসের হেলপার, ইট ভাঙা, হোটেল-রেস্তোরাঁর কাজে ও ওয়েল্ডিংয়ের কাজসহ নানা ধরনের কারখানায় শিশুরা শ্রম দেয়। অনেক ক্ষেত্রে মালিকেরা শুধু খাওয়ার বিনিময়ে মজুরি না দিয়ে কাজ করিয়ে নেন। অনেক শিশু গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে শুধু খাওয়ার বিনিময়ে। সামান্য ভুলের কারণে গৃহকর্তা শিশুদের ওপর নির্যাতন করেন। এই নির্যাতন কখনো কখনো হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনায় পরিণত হয়।
কোনো মা-বাবা ইচ্ছে করে কখনো নিজের সন্তানকে কাজে যুক্ত করতে চান না। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তাঁরা এমনটা করতে বাধ্য হন। সন্তানদের সামান্য আয় যেন সংসারে কিছুটা স্বস্তি যোগ করে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০২২ অনুযায়ী বাংলাদেশে ৫-১৭ বছর বয়সী কর্মজীবী শিশুর সংখ্যা ৩৫ লাখের বেশি। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ ৬৮ হাজার। এ পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট যে দেশে শিশুশ্রমিকের অবস্থা কতটা ভয়াবহ। যে বয়সে শিশুর স্কুলে যাওয়ার কথা, সমবয়সীদের সঙ্গে খেলাধুলা করে সময় কাটানোর কথা, সে বয়সে এ দেশের বিরাটসংখ্যক শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যুক্ত হতে হচ্ছে। এর চেয়ে নির্মম সংবাদ আর কী হতে পারে?
বেশির ভাগ শিশুশ্রমিকের জীবনের গল্পই দুঃসহ, হৃদয়বিদারক। শিশুশ্রম শিশুর জীবনের এক অমানবিক অধ্যায়, যা শিশুর স্বাভাবিক বেড়ে ওঠাকে বাধাগ্রস্ত করে; বুদ্ধিবৃত্তিক, সামাজিক ও পারিবারিক আচরণ এবং নৈতিক জীবনকে বাধাগ্রস্ত করে। জীবনের একটি পর্যায়ে অপরাধের দিকে ধাবিত হতে দেখা যায় তাদের।
বাংলাদেশের শ্রম আইন, ২০০৬ অনুযায়ী, ১৪ বছর বয়সের কম বয়সী কোনো শিশুকে কোনো ধরনের কাজেই নিয়োগ করা যাবে না এবং ১৮ বছর বয়সের নিচের কোনো শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ করা যাবে না। আইন ভঙ্গে অভিভাবকদের জন্য রয়েছে শাস্তির বিধান।
কিন্তু শুধু আইন করে শিশুশ্রম বন্ধ করা যাবে না। শিশুরা কেন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যুক্ত হতে বাধ্য হয়, তার আসল কারণ উদ্ঘাটন এবং সে সমস্যা সমাধানের উপায় বের করা জরুরি। এ বিষয়ে আমাদের দেশে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ কতটা গ্রহণ করা হয়েছে, সেটাও বিবেচনায় আনতে হবে।
রুমিন ফারহানা বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও রাজনীতি বিশ্লেষক। তিনি সংরক্ষিত নারী আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তিনি বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
৩ ঘণ্টা আগেদেশে প্রতিবছর বহু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। বাস্তবায়নের সময় মাঝে মাঝে সংবাদ চোখে পড়ে যে প্রকল্পের ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে গাছ কাটা পড়ছে, বনভূমি উজাড় হচ্ছে, খাল ও জলাভূমি ভরাট হচ্ছে, নির্মাণস্থলে নির্মাণকাজের ফলে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে, এমনকি কোনো কোনো প্রকল্প গ্রহণের ফলে পরিবেশের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব...
৩ ঘণ্টা আগেপাহাড় রক্ষা করা যখন খুবই জরুরি, তখন সে পাহাড় কেটে গোটা অঞ্চলের জন্য বিপদ ডেকে আনছে একদল দুর্বৃত্ত। খাগড়াছড়ির পানছড়ি এলাকায় অবাধে পাহাড় কাটা হচ্ছে, অথচ সরকারি কর্মকর্তারা এ বিষয়ে দায়সারা বক্তব্য দিয়ে নিজেদের ব্যর্থতাকে ঢাকার চেষ্টা করছেন।
৩ ঘণ্টা আগে১৯৪৯ সালের ২৩ জুন মওলানা ভাসানীকে সভাপতি এবং শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত হয়েছিল আওয়ামী লীগ। তখন শেখ মুজিবুর রহমান জেলে ছিলেন, তাঁকে করা হয়েছিল দলের যুগ্ম সম্পাদক। পরবর্তী সময়ে শামসুল হক অপ্রকৃতিস্থ হয়ে যাওয়ায় শেখ মুজিবুর রহমানকে দলের সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
১ দিন আগে