সম্পাদকীয়
আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, করোনাভাইরাসেরর প্রকোপ কিছুটা কমছে। অন্তত মৃত্যু ও আক্রান্তের যে পরিসংখ্যান, তাতে এমনটাই মনে হচ্ছে। খবর বলছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় (৪ মে সকাল থেকে ৫ মে সকাল ৮টা) পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে ১ হাজার ৭৪২ জনের মধ্যে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর আগের দিন অর্থাৎ ৩ মে দেশে ১ হাজার ৯১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। আর মৃত্যু হয়েছিল ৬১ জনের। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেলেন ১১ হাজার ৭৫৫ জন। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় এখন আক্রান্তের হার ৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঠিক করা মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বুঝতে পারার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। তার মানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ডের বিচারে আমাদের করোনা পরিস্থিতিকে সহনীয় বলা যাবে না। কিছুটা কমছে ঠিক, তবে তা থেকে আত্মতুষ্টির কিছু নেই।
অনেকে বলছেন, লকডাউনের প্রভাবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার নিম্নমুখী। কিন্তু মানুষের মধ্যে কোনো ভয় বা আতঙ্ক চোখে পড়ছে না। এটা ঠিক সামনে ঈদ। তাই লকডাউন কিছুটা শিথিল। মার্কেট খুলে দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের কিছুটা স্বস্তি দিতে এ শিথিলতা হলেও মানুষ যেন হুমড়ি খেয়ে পড়ছে দোকানে দোকানে। মনেই হচ্ছে না দেশে করোনায় প্রতিদিন অনেকে তাঁদের প্রিয়জন হারাচ্ছেন। অনেকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে আছেন। অনলাইনে শপিংয়ের সব ব্যবস্থা আছে। অবারিত সুযোগ তৈরি হয়েছে ঘরে বসে কেনাকাটার। তারপরও মানুষের এই বেপরোয়া শপিং সবার মধ্যে আতঙ্ক, উদ্বেগ তৈরি করছে। এমনিতেই ভারতের করোনাভাইরাসের ভয়াবহ চিত্র বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেটা যদি কোনোভাবে ছড়ায়, তবে তার পরিণাম কতটা ভয়ংকর হতে পারে, তা এখনই বোঝার উপায় নেই। তবে তা ঘটলে এর মূল্য দিতে হতে পারে সবাইকে—এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাই করোনার প্রকোপ কমে আসার তথ্যে কেউ যেন আত্মতুষ্টিতে না ভোগেন, এটা সতর্কতার সঙ্গে দেখতে হবে। সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সরকারকেও আরও তৎপর হতে হবে। লকডাউন হালকা করে হাল ছেড়ে দিলে হবে না। যতই ঈদ হোক আর যেকোনো উৎসব, মানুষের জীবন আগে। একটু অবহেলায় যেন দেশটি ভারতের মতো মৃত্যুপুরিতে পরিণত না হয়, তা মাথায় রাখতে হবে সবাইকে।
আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, করোনাভাইরাসেরর প্রকোপ কিছুটা কমছে। অন্তত মৃত্যু ও আক্রান্তের যে পরিসংখ্যান, তাতে এমনটাই মনে হচ্ছে। খবর বলছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় (৪ মে সকাল থেকে ৫ মে সকাল ৮টা) পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে ১ হাজার ৭৪২ জনের মধ্যে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর আগের দিন অর্থাৎ ৩ মে দেশে ১ হাজার ৯১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। আর মৃত্যু হয়েছিল ৬১ জনের। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেলেন ১১ হাজার ৭৫৫ জন। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় এখন আক্রান্তের হার ৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঠিক করা মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বুঝতে পারার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। তার মানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ডের বিচারে আমাদের করোনা পরিস্থিতিকে সহনীয় বলা যাবে না। কিছুটা কমছে ঠিক, তবে তা থেকে আত্মতুষ্টির কিছু নেই।
অনেকে বলছেন, লকডাউনের প্রভাবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার নিম্নমুখী। কিন্তু মানুষের মধ্যে কোনো ভয় বা আতঙ্ক চোখে পড়ছে না। এটা ঠিক সামনে ঈদ। তাই লকডাউন কিছুটা শিথিল। মার্কেট খুলে দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের কিছুটা স্বস্তি দিতে এ শিথিলতা হলেও মানুষ যেন হুমড়ি খেয়ে পড়ছে দোকানে দোকানে। মনেই হচ্ছে না দেশে করোনায় প্রতিদিন অনেকে তাঁদের প্রিয়জন হারাচ্ছেন। অনেকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে আছেন। অনলাইনে শপিংয়ের সব ব্যবস্থা আছে। অবারিত সুযোগ তৈরি হয়েছে ঘরে বসে কেনাকাটার। তারপরও মানুষের এই বেপরোয়া শপিং সবার মধ্যে আতঙ্ক, উদ্বেগ তৈরি করছে। এমনিতেই ভারতের করোনাভাইরাসের ভয়াবহ চিত্র বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেটা যদি কোনোভাবে ছড়ায়, তবে তার পরিণাম কতটা ভয়ংকর হতে পারে, তা এখনই বোঝার উপায় নেই। তবে তা ঘটলে এর মূল্য দিতে হতে পারে সবাইকে—এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাই করোনার প্রকোপ কমে আসার তথ্যে কেউ যেন আত্মতুষ্টিতে না ভোগেন, এটা সতর্কতার সঙ্গে দেখতে হবে। সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সরকারকেও আরও তৎপর হতে হবে। লকডাউন হালকা করে হাল ছেড়ে দিলে হবে না। যতই ঈদ হোক আর যেকোনো উৎসব, মানুষের জীবন আগে। একটু অবহেলায় যেন দেশটি ভারতের মতো মৃত্যুপুরিতে পরিণত না হয়, তা মাথায় রাখতে হবে সবাইকে।
নয়া কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা জোরদারকরণ, বিনিয়োগে খুদে উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি প্রভৃতি দিক বিবেচনায় বাজেটে ও রাষ্ট্রের অন্যান্য নীতিমালায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে (এসএমই) বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনের কথা বহুদিন ধরেই বলা হচ্ছে।
১২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবিকা কৃষির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। এই কৃষি খাত শুধু খাদ্যনিরাপত্তাই নিশ্চিত করে আসছে না, বরং অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
১২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা এক ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। যা সমাজের স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা এবং সমাজকে সামনে অগ্রসর হতে বাধার সৃষ্টি করছে। গত পাঁচ মাসে নারী ও শিশু নির্যাতনের ৯ হাজার ১০০টি মামলা দায়ের হয়েছে—যা দৈনিক ৬০টি এবং প্রতি ২৪ মিনিটে একটি মামলার সমান।
১২ ঘণ্টা আগেদুটো ঘটনা ঘটল পরপর। গোপালগঞ্জ আর চকরিয়ায়। প্রথম ঘটনায় দুঃখজনকভাবে ঝরে পড়েছে পাঁচটি প্রাণ। এই প্রাণহানি এড়ানো যেত কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দ্বিতীয় ঘটনাটিতে দেখা যাচ্ছে, কক্সবাজারে এনসিপির একজন নেতার বক্তৃতার সূত্র ধরে বিএনপি মহলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
১ দিন আগে