সম্পাদকীয়
ঝাল খাবারের প্রতি বাঙালির অকৃত্রিম ভালোবাসা রয়েছে, এ কথা স্বীকার করতেই হয়। সে জন্য কাঁচা মরিচ বাঙালির রান্নায় একটি অপরিহার্য উপকরণ, অর্থাৎ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস। অথচ হঠাৎ করেই বাজারে কাঁচা মরিচের দাম চার-পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে।
এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম ২০০ থেকে ২২০ টাকায় উঠেছে। দাম বাড়ার এই প্রবণতা কত দিন থাকবে, তা অনিশ্চিত। মরিচ প্রতিদিনের রান্নার একটি প্রয়োজনীয় উপকরণ হওয়ায় ক্রেতারা দারুণ সমস্যায় পড়েছেন। মানুষের আয়-উপার্জন করোনার জন্য কমে গেছে। অথচ ব্যয় বাড়ছে নানা উপলক্ষেই। কাঁচা মরিচের বাজার হঠাৎ অস্থির হয়ে উঠল কেন?
সাধারণত চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বা সরবরাহ কম হলে দাম বাড়ানোর একটি প্রবণতা আমাদের দেশের কিছু পাইকারি, এমনকি খুচরা ব্যবসায়ীর মধ্যে দেখা যায়। মুনাফা লোটার উদ্দেশ্যই এর পেছনে কাজ করে। নিত্য দরকারি জিনিসপত্রের দাম কৃত্রিম উপায়ে বাড়িয়ে মুনাফা হাতানো আমাদের দেশে
সহজ। কারণ, ক্রেতা বা ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য কারও কোনো সংগঠিত উদ্যোগ থাকে না। অন্যদিকে মুনাফা শিকারিরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সংগঠিত।
বলা হচ্ছে, সম্প্রতি অতিবৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে না। তাহলে? এই প্রশ্নের জবাব যাঁদের দেওয়ার কথা, তাঁরা এসব ক্ষেত্রে মুখে কুলুপ এঁটে থাকেন।
এটা বলার সুযোগ নেই যে কাঁচা মরিচ এমন কী দরকারি জিনিস যে বেশি দাম দিয়েই তা কিনতে হবে? কাঁচা মরিচ রান্নার একটি আবশ্যিক উপকরণ। মরিচে ক্যালরির পরিমাণ কম। তবে ভিটামিন, খনিজ, আঁশ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রচুর রয়েছে। যথেষ্ট ভিটামিন ও ফসফরাস থাকে।
মরিচ মেটাবলিজম রেট বৃদ্ধি, ক্ষুধা কমানো ও অতিরিক্ত চর্বি গলানোর মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। সবুজ মরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং দ্রুত ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। তা ছাড়া ঠান্ডা ও সাইনাসজনিত সমস্যা মোকাবিলায়ও সহায়তা করে কাঁচা মরিচ।
বাংলাদেশে মরিচ গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল। কাঁচা ও শুকনা উভয় অবস্থায়ই মরিচের ব্যাপক চাহিদা। আমাদের দেশে মরিচ ছাড়া রান্নার কথা চিন্তাই করা যায় না। গ্রামাঞ্চলে পান্তা ভাতের সঙ্গে কাঁচা মরিচ একটি অত্যন্ত মুখরোচক খাবার। তরকারি ও ভর্তা-ভাজির এক অপরিহার্য উপকরণ কাঁচা অথবা শুকনা মরিচ। মরিচ ছাড়া ভর্তার কথা কি ভাবা যায়?
দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই কাঁচা মরিচের চাষ হয়। তবে চরাঞ্চলে উৎপাদন বেশি হয়। উত্তরাঞ্চল ও চট্টগ্রামের কিছু কিছু এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে মরিচের আবাদ হয়। বাংলাদেশের আবহাওয়া মরিচ চাষের জন্য অত্যন্ত অনুকূল। বীজ বপনের তিন মাসের মধ্যেই মরিচগাছে ফলন আসে। তবে এটা ঠিক যে অন্য ফসল বা সবজির চেয়ে মরিচ চাষে উৎপাদন ব্যয় তুলনামূলক বেশি।
সরকারের উচিত, বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া। উৎপাদক কৃষক কিন্তু বেশি দাম পাচ্ছেন না। ভোক্তাদের পকেট কেটে কিছু ব্যবসায়ীর পকেট ভারী করার কোনো মানে হয় না।
ঝাল খাবারের প্রতি বাঙালির অকৃত্রিম ভালোবাসা রয়েছে, এ কথা স্বীকার করতেই হয়। সে জন্য কাঁচা মরিচ বাঙালির রান্নায় একটি অপরিহার্য উপকরণ, অর্থাৎ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস। অথচ হঠাৎ করেই বাজারে কাঁচা মরিচের দাম চার-পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে।
এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম ২০০ থেকে ২২০ টাকায় উঠেছে। দাম বাড়ার এই প্রবণতা কত দিন থাকবে, তা অনিশ্চিত। মরিচ প্রতিদিনের রান্নার একটি প্রয়োজনীয় উপকরণ হওয়ায় ক্রেতারা দারুণ সমস্যায় পড়েছেন। মানুষের আয়-উপার্জন করোনার জন্য কমে গেছে। অথচ ব্যয় বাড়ছে নানা উপলক্ষেই। কাঁচা মরিচের বাজার হঠাৎ অস্থির হয়ে উঠল কেন?
সাধারণত চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বা সরবরাহ কম হলে দাম বাড়ানোর একটি প্রবণতা আমাদের দেশের কিছু পাইকারি, এমনকি খুচরা ব্যবসায়ীর মধ্যে দেখা যায়। মুনাফা লোটার উদ্দেশ্যই এর পেছনে কাজ করে। নিত্য দরকারি জিনিসপত্রের দাম কৃত্রিম উপায়ে বাড়িয়ে মুনাফা হাতানো আমাদের দেশে
সহজ। কারণ, ক্রেতা বা ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য কারও কোনো সংগঠিত উদ্যোগ থাকে না। অন্যদিকে মুনাফা শিকারিরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সংগঠিত।
বলা হচ্ছে, সম্প্রতি অতিবৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে না। তাহলে? এই প্রশ্নের জবাব যাঁদের দেওয়ার কথা, তাঁরা এসব ক্ষেত্রে মুখে কুলুপ এঁটে থাকেন।
এটা বলার সুযোগ নেই যে কাঁচা মরিচ এমন কী দরকারি জিনিস যে বেশি দাম দিয়েই তা কিনতে হবে? কাঁচা মরিচ রান্নার একটি আবশ্যিক উপকরণ। মরিচে ক্যালরির পরিমাণ কম। তবে ভিটামিন, খনিজ, আঁশ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রচুর রয়েছে। যথেষ্ট ভিটামিন ও ফসফরাস থাকে।
মরিচ মেটাবলিজম রেট বৃদ্ধি, ক্ষুধা কমানো ও অতিরিক্ত চর্বি গলানোর মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। সবুজ মরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং দ্রুত ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। তা ছাড়া ঠান্ডা ও সাইনাসজনিত সমস্যা মোকাবিলায়ও সহায়তা করে কাঁচা মরিচ।
বাংলাদেশে মরিচ গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল। কাঁচা ও শুকনা উভয় অবস্থায়ই মরিচের ব্যাপক চাহিদা। আমাদের দেশে মরিচ ছাড়া রান্নার কথা চিন্তাই করা যায় না। গ্রামাঞ্চলে পান্তা ভাতের সঙ্গে কাঁচা মরিচ একটি অত্যন্ত মুখরোচক খাবার। তরকারি ও ভর্তা-ভাজির এক অপরিহার্য উপকরণ কাঁচা অথবা শুকনা মরিচ। মরিচ ছাড়া ভর্তার কথা কি ভাবা যায়?
দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই কাঁচা মরিচের চাষ হয়। তবে চরাঞ্চলে উৎপাদন বেশি হয়। উত্তরাঞ্চল ও চট্টগ্রামের কিছু কিছু এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে মরিচের আবাদ হয়। বাংলাদেশের আবহাওয়া মরিচ চাষের জন্য অত্যন্ত অনুকূল। বীজ বপনের তিন মাসের মধ্যেই মরিচগাছে ফলন আসে। তবে এটা ঠিক যে অন্য ফসল বা সবজির চেয়ে মরিচ চাষে উৎপাদন ব্যয় তুলনামূলক বেশি।
সরকারের উচিত, বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া। উৎপাদক কৃষক কিন্তু বেশি দাম পাচ্ছেন না। ভোক্তাদের পকেট কেটে কিছু ব্যবসায়ীর পকেট ভারী করার কোনো মানে হয় না।
দেশে কী ঘটছে, রাজনীতির গতিমুখ কোন দিকে—এসব নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল ও আগ্রহের শেষ নেই। অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন, জবাব নেই প্রায় কোনো প্রশ্নেরই। রাজনীতি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করার মতো জ্যোতিষীরও দেখা পাওয়া ভার। তবে গুজব, রটনা, কানকথার কোনো অভাব নেই। আমরা যাঁরা গণমাধ্যমে কাজ করি, আমাদের সঙ্গে পরিচিতজনদের
১ দিন আগেগত এপ্রিল মাসে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। উভয় দেশই পাল্টাপাল্টি হামলা চালায়। যদিও এই হামলার শুরুটা ভারতের দিক থেকে হয়েছিল। পরমাণু অস্ত্রধর দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে, বাণিজ্য ও যাতায়াত বন্ধ করে দেয়
১ দিন আগেতথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রশ্নটি তুলেছিলেন। জুলাই-আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যে মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটেছে, তার বিচারের ব্যাপারে কথাবলার আগে তিনি লিখেছেন, ‘একাত্তরের প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে।
১ দিন আগেগত শতকের নব্বইয়ের দশক থেকে দেশে আঙুর চাষের চেষ্টা চলেছে। দেশের মাটিতে আঙুরের ফলন হয়েছে ঠিকই, কিন্তু স্বাদ ছিল বেজায় টক। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ তখনো জানত না আঙুরগাছ দেখতে কেমন।
২ দিন আগে