সম্পাদকীয়
আমাদের মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা যেন সুযোগের অপেক্ষাতেই থাকেন! উৎসব-পার্বণে কোনো কারণ ছাড়াই জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেওয়া, পণ্যের সংকট তৈরি করে বাড়তি দাম নেওয়া বলা যায় রীতিতে পরিণত করেছেন তাঁরা! বিশেষ করে রোজা, ঈদ, বাংলা নববর্ষ, পূজাসহ নানান উৎসবে তাঁদের আসল চেহারাটা দেখা যায়। আর নানান অজুহাতে বিভিন্ন সময়ে একেকটি পণ্য নিয়ে তো তাঁদের কারসাজি আছেই। এই যেমন সম্প্রতি ভোজ্যতেল নিয়ে তুঘলকি কাণ্ড! ঠিক আছে বিশ্ববাজারে পণ্যটির দাম বাড়তির দিকে। তাই বলে দেশের বাজারে এত বেশি হারে দাম বাড়বে? খবরে জানা গেছে, দুদিন আগে ভোজ্যতেলের দাম এক লাফে লিটারে ৯ টাকা বাড়ানো হয়েছে। কোম্পানিগুলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব দিয়েছিল ১৩ টাকা বাড়াতে। আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৯ টাকা বাড়াতে রাজি হয়েছে।
কদিন পরপরই ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে ধরেন, আর মন্ত্রণালয়ও দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে সায় দিয়ে দেয়। খুব যে গবেষণা করে কতটুকু বাড়ানো প্রয়োজন বা দাম বাড়ানো নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে—এটা বোঝা যায় না। কারণ, বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেশের বাজারে দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। যে তেল মজুত রয়েছে, তার দাম কেন সঙ্গে সঙ্গেই বাড়বে? উৎস দেশ থেকে পণ্যটি আসতে তো সময় লাগে। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে কমপক্ষে এক মাস সময় লাগার কথা। অথচ শোনামাত্র খুচরা পর্যায়েও দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা দেখি আমরা। উৎস দেশে যদি দাম বাড়ে ১০ শতাংশ, আমাদের এখানে তা অন্তত ২০-২৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। এর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাব পাওয়ামাত্র দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দিয়ে দেয়।
এ ধরনের বিষয়গুলোর আরও সূক্ষ্ম পর্যালোচনা প্রয়োজন। যে পণ্যটি জাহাজে আছে, কিংবা গুদামে বা খুচরা দোকানে মজুত আছে, তার দাম যেন কোনোভাবেই না বাড়তে পারে তার নিশ্চয়তা থাকতে হবে। কয়েক মাস ধরেই বলা যায় ভোজ্যতেলের দামে একধরনের নৈরাজ্য চলছে। কিছুদিন আগে ব্যবসায়ীরা দাবি করলেন—ভোজ্যতেলের অগ্রিম কর কমালে দাম কমবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর তা কমিয়ে দিল। দাম কমেনি বরং এরপর থেকে বাড়ছে তো বাড়ছেই। এখন প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ভোক্তাকে কিনতে হবে ১৫৩ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, আমদানি খরচ হিসাব করে ১৩ টাকা লিটারে বাড়াতে প্রস্তাব দেন তাঁরা। তাঁদের হিসাবটি কতটা স্বচ্ছ সে হিসাব কি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় করেছে? যদি করে থাকে, সেটা কি সবার কাছে প্রকাশ করেছে? এর জবাব আমরা জানি না। সরকারকেও ভোক্তাদের কাছে স্বচ্ছ থাকতে হবে।
কারণ, আমরা বিগত সময়েও দেখেছি, কিছু একটা হলেই ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে পণ্যের দাম বাড়াতে সরকারকে চাপ দিতে থাকেন। আবার শুল্ক-কর কমানোরও দাবি করতে থাকেন। এভাবে তাঁরা বিভিন্ন সময়ে শুল্ক-কর ছাড় নেন, কিন্তু সাধারণ ভোক্তা এর সুফল পান না। এনবিআরের কাছে হিসাব আছে, শুল্ক-কর ছাড়ের ফলে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা কত হাজার কোটি টাকা শুধু শুল্ক-কর ছাড় নিয়েছেন।
আশা করা হয়েছিল, তাঁরা যে ছাড়টি পাবেন, এর সুবিধা সরাসরি ভোক্তারা পাবেন। বাস্তবে কখনোই তা দেখা যায়নি। বরং এই সুফলের পুরোটাই গেছে ব্যবসায়ীদের পকেটে। এবারও তাঁরা শুল্ক কমানোর দাবি করছেন। তাঁদের প্রস্তাব—শুল্ক কমালে পণ্যটির দাম কমে আসবে। এটিও তাঁদের একটি অজুহাত। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রীতি মেনে আবারও এনবিআরকে অনুরোধ করবে, চাপ তৈরি হবে। এনবিআর ঠিকই শুল্ক কমাবে। কিন্তু ভোক্তারা সুফল পাবেন না। তাই আমরা মনে করি, শুল্ক কমানোর আগে বিষয়গুলো সূক্ষ্মভাবে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। শুধু ব্যবসায়ীদের কথায় যেন সরকারের রাজস্ব ক্ষতি না করা হয়।
আমাদের মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা যেন সুযোগের অপেক্ষাতেই থাকেন! উৎসব-পার্বণে কোনো কারণ ছাড়াই জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেওয়া, পণ্যের সংকট তৈরি করে বাড়তি দাম নেওয়া বলা যায় রীতিতে পরিণত করেছেন তাঁরা! বিশেষ করে রোজা, ঈদ, বাংলা নববর্ষ, পূজাসহ নানান উৎসবে তাঁদের আসল চেহারাটা দেখা যায়। আর নানান অজুহাতে বিভিন্ন সময়ে একেকটি পণ্য নিয়ে তো তাঁদের কারসাজি আছেই। এই যেমন সম্প্রতি ভোজ্যতেল নিয়ে তুঘলকি কাণ্ড! ঠিক আছে বিশ্ববাজারে পণ্যটির দাম বাড়তির দিকে। তাই বলে দেশের বাজারে এত বেশি হারে দাম বাড়বে? খবরে জানা গেছে, দুদিন আগে ভোজ্যতেলের দাম এক লাফে লিটারে ৯ টাকা বাড়ানো হয়েছে। কোম্পানিগুলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব দিয়েছিল ১৩ টাকা বাড়াতে। আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৯ টাকা বাড়াতে রাজি হয়েছে।
কদিন পরপরই ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে ধরেন, আর মন্ত্রণালয়ও দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে সায় দিয়ে দেয়। খুব যে গবেষণা করে কতটুকু বাড়ানো প্রয়োজন বা দাম বাড়ানো নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে—এটা বোঝা যায় না। কারণ, বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেশের বাজারে দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। যে তেল মজুত রয়েছে, তার দাম কেন সঙ্গে সঙ্গেই বাড়বে? উৎস দেশ থেকে পণ্যটি আসতে তো সময় লাগে। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে কমপক্ষে এক মাস সময় লাগার কথা। অথচ শোনামাত্র খুচরা পর্যায়েও দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা দেখি আমরা। উৎস দেশে যদি দাম বাড়ে ১০ শতাংশ, আমাদের এখানে তা অন্তত ২০-২৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। এর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাব পাওয়ামাত্র দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দিয়ে দেয়।
এ ধরনের বিষয়গুলোর আরও সূক্ষ্ম পর্যালোচনা প্রয়োজন। যে পণ্যটি জাহাজে আছে, কিংবা গুদামে বা খুচরা দোকানে মজুত আছে, তার দাম যেন কোনোভাবেই না বাড়তে পারে তার নিশ্চয়তা থাকতে হবে। কয়েক মাস ধরেই বলা যায় ভোজ্যতেলের দামে একধরনের নৈরাজ্য চলছে। কিছুদিন আগে ব্যবসায়ীরা দাবি করলেন—ভোজ্যতেলের অগ্রিম কর কমালে দাম কমবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর তা কমিয়ে দিল। দাম কমেনি বরং এরপর থেকে বাড়ছে তো বাড়ছেই। এখন প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ভোক্তাকে কিনতে হবে ১৫৩ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, আমদানি খরচ হিসাব করে ১৩ টাকা লিটারে বাড়াতে প্রস্তাব দেন তাঁরা। তাঁদের হিসাবটি কতটা স্বচ্ছ সে হিসাব কি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় করেছে? যদি করে থাকে, সেটা কি সবার কাছে প্রকাশ করেছে? এর জবাব আমরা জানি না। সরকারকেও ভোক্তাদের কাছে স্বচ্ছ থাকতে হবে।
কারণ, আমরা বিগত সময়েও দেখেছি, কিছু একটা হলেই ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে পণ্যের দাম বাড়াতে সরকারকে চাপ দিতে থাকেন। আবার শুল্ক-কর কমানোরও দাবি করতে থাকেন। এভাবে তাঁরা বিভিন্ন সময়ে শুল্ক-কর ছাড় নেন, কিন্তু সাধারণ ভোক্তা এর সুফল পান না। এনবিআরের কাছে হিসাব আছে, শুল্ক-কর ছাড়ের ফলে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা কত হাজার কোটি টাকা শুধু শুল্ক-কর ছাড় নিয়েছেন।
আশা করা হয়েছিল, তাঁরা যে ছাড়টি পাবেন, এর সুবিধা সরাসরি ভোক্তারা পাবেন। বাস্তবে কখনোই তা দেখা যায়নি। বরং এই সুফলের পুরোটাই গেছে ব্যবসায়ীদের পকেটে। এবারও তাঁরা শুল্ক কমানোর দাবি করছেন। তাঁদের প্রস্তাব—শুল্ক কমালে পণ্যটির দাম কমে আসবে। এটিও তাঁদের একটি অজুহাত। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রীতি মেনে আবারও এনবিআরকে অনুরোধ করবে, চাপ তৈরি হবে। এনবিআর ঠিকই শুল্ক কমাবে। কিন্তু ভোক্তারা সুফল পাবেন না। তাই আমরা মনে করি, শুল্ক কমানোর আগে বিষয়গুলো সূক্ষ্মভাবে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। শুধু ব্যবসায়ীদের কথায় যেন সরকারের রাজস্ব ক্ষতি না করা হয়।
গত সংখ্যায় লিখেছিলাম, এখন আর ছাত্র খুঁজে পাওয়া যায় না, চারদিকে পরীক্ষার্থী। কিন্তু দ্রুতই দেখা যাচ্ছে, ছাত্র এবং পরীক্ষার্থী কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ছাত্রদের একটা বৃহদাংশ রাজনীতিবিদে পরিণত হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, তাদের অঙ্গুলি হেলনে বড় বড় রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও হয়ে যাচ্ছে। ভেবেছিলাম প্রাথমিক শিক্ষা
১৮ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞানীরা বিংশ শতাব্দীজুড়ে বহির্জাগতিক প্রাণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চালিয়েছেন। খুঁজেছেন কার্বনভিত্তিক, সিলিকনভিত্তিক বা অ্যামোনিয়া যৌগনির্ভর প্রাণ। এটা আমাদের জানা জরুরি যে প্রাণের প্রকৃতি, আর অন্য জায়গায় প্রাণ আছে কি না, তা আসলে একই প্রশ্নের দুটো দিক। তা হলো, ‘কেন আমরা এখানে?’ বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে,
১৮ ঘণ্টা আগেপরিবার হলো মূলত রক্ত-সম্পর্কিত ব্যক্তিদের সংগঠন, যেখানে সব সদস্যের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, নিরাপত্তা এবং বিনোদনের আয়োজন হয়ে থাকে। পরিবার কখন কী কারণে গড়ে উঠেছে, তা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। বেশির ভাগের মত হলো, মানুষ সমতলে বসবাস করার সময় কৃষিকাজ শিখে ফেলে। কৃষিজাত পণ্য সংরক্ষণের জন্য গোলাঘর
১৮ ঘণ্টা আগেনিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বেশি, এ কথা নতুন নয়। এবং এ ব্যাপারে প্রমাণের অভাব নেই। একটা কিছু নিষিদ্ধ করলেই যে তা ব্যবহার করা বন্ধ হয়ে যাবে, এমন ভাবাটাই ভুল। ধরুন, একটি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে সেই দলটি যে ছদ্মবেশে বা তলে তলে রাজনীতি করবে না, সেই গ্যারান্টি কে দিতে পারে? তেমনি কেউ
১৮ ঘণ্টা আগে