সম্পাদকীয়
কারও কারও কাছে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে, সন্দেহ-সংশয়ে ভ্রু কুঁচকেও তাকাতে পারেন কেউ কেউ। কিন্তু না, এটা সঠিক খবর—আমাদের দেশের একটি শিল্প গ্রুপ তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মূল বেতনের সমপরিমাণ একটি-দুটি নয় ১২টি বোনাস দিচ্ছে। এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো খবর এবং এমনটাই তো আসলে হওয়া উচিত। যাঁরা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেন, বাড়তি উৎপাদন করেন, মালিকের মুনাফার পরিমাণ বাড়িয়ে দেন—সেই শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য একটু সুবিধা দেওয়া তো আসলে উচিতই এবং তা ন্যায্য কাজ। তবে আমাদের দেশে এই উচিত ও ন্যায্য কাজটি বেশির ভাগ মালিক বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ করে না, করতে চায় না।
শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করা, নানা অজুহাতে বেতন-ভাতা কমিয়ে দেওয়া, ছাঁটাই করা, অতিরিক্ত সময় কাজের জন্য অতিরিক্ত মজুরি না দেওয়া, নারী শ্রমিকদের জন্য মজুরি বৈষম্য—ইত্যাদি খবরই আমরা পড়তে, শুনতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছি। এই সময় একটি ব্যতিক্রমী খবর পাওয়া গেছে দেশের একটি শিল্প গ্রুপের কাছ থেকে। পিএইচপি নামের এই শিল্প গ্রুপের ২৭টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০ হাজার কর্মীকে এ বছর নিয়মিত বোনাসের বাইরে ১০টি বাড়তি বোনাস দেওয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাসের এই সময় প্রাথমিকভাবে কিছুটা হোঁচট খেলেও পিএইচপি গ্রুপের কর্মীরা উৎপাদন অব্যাহত রেখে, নতুন পণ্য উৎপাদন করে এবং কর্তৃপক্ষ অপ্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়ে নতুন উদাহরণ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। পিএইচপি পরিবারের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, কর্মীরাই প্রতিষ্ঠানের সব। তাঁরা যদি ভালো থাকেন, তাহলে প্রতিষ্ঠানও ভালো থাকবে। করোনার দুঃসময়ে কর্মীরা নিজেদের উজাড় করে প্রতিষ্ঠানের পাশে থাকায় মালিকপক্ষ অনুপ্রাণিত হয়েছে। পিএইচপি প্রতি মাসে গ্রুপের কর্মীদের বেতন-ভাতাবাবদ ব্যয় হয় প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকা। গ্রুপটির বার্ষিক টার্নওভারের পরিমাণ ৩ হাজার কোটি টাকা।
শিল্পায়নে নতুন নতুন উদাহরণ তৈরিতে এই গ্রুপটি সাফল্য দেখাতে পারছে কর্মীদের ঐকান্তিক সহযোগিতার কারণেই। অন্যদিকে মালিকপক্ষও কর্মীদের পাশে থেকে তাঁদের মনোবল অটুট রাখতে কোনো কার্পণ্য করে না। আমাদের দেশে শ্রমিকদের প্রতি মালিকেরা একটু দরদি হলে অসম্ভবকেও যে সম্ভব করা যায়, তার নজির পিএইচপি গ্রুপ এর মধ্যেই স্থাপন করেছে। এই সহমর্মিতার ধারা পোশাকশিল্পসহ সব কলকারখানা, প্রতিষ্ঠানে সম্প্রসারিত হোক—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
কারও কারও কাছে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে, সন্দেহ-সংশয়ে ভ্রু কুঁচকেও তাকাতে পারেন কেউ কেউ। কিন্তু না, এটা সঠিক খবর—আমাদের দেশের একটি শিল্প গ্রুপ তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মূল বেতনের সমপরিমাণ একটি-দুটি নয় ১২টি বোনাস দিচ্ছে। এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো খবর এবং এমনটাই তো আসলে হওয়া উচিত। যাঁরা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেন, বাড়তি উৎপাদন করেন, মালিকের মুনাফার পরিমাণ বাড়িয়ে দেন—সেই শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য একটু সুবিধা দেওয়া তো আসলে উচিতই এবং তা ন্যায্য কাজ। তবে আমাদের দেশে এই উচিত ও ন্যায্য কাজটি বেশির ভাগ মালিক বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ করে না, করতে চায় না।
শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করা, নানা অজুহাতে বেতন-ভাতা কমিয়ে দেওয়া, ছাঁটাই করা, অতিরিক্ত সময় কাজের জন্য অতিরিক্ত মজুরি না দেওয়া, নারী শ্রমিকদের জন্য মজুরি বৈষম্য—ইত্যাদি খবরই আমরা পড়তে, শুনতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছি। এই সময় একটি ব্যতিক্রমী খবর পাওয়া গেছে দেশের একটি শিল্প গ্রুপের কাছ থেকে। পিএইচপি নামের এই শিল্প গ্রুপের ২৭টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০ হাজার কর্মীকে এ বছর নিয়মিত বোনাসের বাইরে ১০টি বাড়তি বোনাস দেওয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাসের এই সময় প্রাথমিকভাবে কিছুটা হোঁচট খেলেও পিএইচপি গ্রুপের কর্মীরা উৎপাদন অব্যাহত রেখে, নতুন পণ্য উৎপাদন করে এবং কর্তৃপক্ষ অপ্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়ে নতুন উদাহরণ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। পিএইচপি পরিবারের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, কর্মীরাই প্রতিষ্ঠানের সব। তাঁরা যদি ভালো থাকেন, তাহলে প্রতিষ্ঠানও ভালো থাকবে। করোনার দুঃসময়ে কর্মীরা নিজেদের উজাড় করে প্রতিষ্ঠানের পাশে থাকায় মালিকপক্ষ অনুপ্রাণিত হয়েছে। পিএইচপি প্রতি মাসে গ্রুপের কর্মীদের বেতন-ভাতাবাবদ ব্যয় হয় প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকা। গ্রুপটির বার্ষিক টার্নওভারের পরিমাণ ৩ হাজার কোটি টাকা।
শিল্পায়নে নতুন নতুন উদাহরণ তৈরিতে এই গ্রুপটি সাফল্য দেখাতে পারছে কর্মীদের ঐকান্তিক সহযোগিতার কারণেই। অন্যদিকে মালিকপক্ষও কর্মীদের পাশে থেকে তাঁদের মনোবল অটুট রাখতে কোনো কার্পণ্য করে না। আমাদের দেশে শ্রমিকদের প্রতি মালিকেরা একটু দরদি হলে অসম্ভবকেও যে সম্ভব করা যায়, তার নজির পিএইচপি গ্রুপ এর মধ্যেই স্থাপন করেছে। এই সহমর্মিতার ধারা পোশাকশিল্পসহ সব কলকারখানা, প্রতিষ্ঠানে সম্প্রসারিত হোক—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
গত সংখ্যায় লিখেছিলাম, এখন আর ছাত্র খুঁজে পাওয়া যায় না, চারদিকে পরীক্ষার্থী। কিন্তু দ্রুতই দেখা যাচ্ছে, ছাত্র এবং পরীক্ষার্থী কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ছাত্রদের একটা বৃহদাংশ রাজনীতিবিদে পরিণত হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, তাদের অঙ্গুলি হেলনে বড় বড় রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও হয়ে যাচ্ছে। ভেবেছিলাম প্রাথমিক শিক্ষা
১ দিন আগেবিজ্ঞানীরা বিংশ শতাব্দীজুড়ে বহির্জাগতিক প্রাণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চালিয়েছেন। খুঁজেছেন কার্বনভিত্তিক, সিলিকনভিত্তিক বা অ্যামোনিয়া যৌগনির্ভর প্রাণ। এটা আমাদের জানা জরুরি যে প্রাণের প্রকৃতি, আর অন্য জায়গায় প্রাণ আছে কি না, তা আসলে একই প্রশ্নের দুটো দিক। তা হলো, ‘কেন আমরা এখানে?’ বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে,
১ দিন আগেপরিবার হলো মূলত রক্ত-সম্পর্কিত ব্যক্তিদের সংগঠন, যেখানে সব সদস্যের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, নিরাপত্তা এবং বিনোদনের আয়োজন হয়ে থাকে। পরিবার কখন কী কারণে গড়ে উঠেছে, তা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। বেশির ভাগের মত হলো, মানুষ সমতলে বসবাস করার সময় কৃষিকাজ শিখে ফেলে। কৃষিজাত পণ্য সংরক্ষণের জন্য গোলাঘর
১ দিন আগেনিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বেশি, এ কথা নতুন নয়। এবং এ ব্যাপারে প্রমাণের অভাব নেই। একটা কিছু নিষিদ্ধ করলেই যে তা ব্যবহার করা বন্ধ হয়ে যাবে, এমন ভাবাটাই ভুল। ধরুন, একটি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে সেই দলটি যে ছদ্মবেশে বা তলে তলে রাজনীতি করবে না, সেই গ্যারান্টি কে দিতে পারে? তেমনি কেউ
১ দিন আগে