সম্পাদকীয়
আজ থেকে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলা শুরু হচ্ছে। মাসব্যাপী এই আয়োজন প্রাণের মেলায় পরিণত হোক, সেই কামনা করি। তবে আজ বইমেলা নিয়ে নয়, বাংলা একাডেমি পুরস্কার নিয়ে যে নাটক অভিনীত হলো, তা নিয়েই কিছু কথা বলা সংগত হবে।
প্রথমে ১০ জনকে পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়, কিন্তু সংস্কৃতি উপদেষ্টার এক মন্তব্যের মাধ্যমে তা স্থগিত হয় এবং নানামুখী আলোচনা-সমালোচনার পর এই ১০ জনের মধ্যে তিনজনের নাম বাদ দিয়ে বাকি সাতজনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
বাংলা একাডেমি পুরস্কার নিয়ে এই নাটকও যদি দেশের মানুষকে আশাহত করে, তাহলে কি তাদের দোষ দেওয়া যাবে?
১০ জনের তালিকায় থাকা এবং পরে বাদ পড়া ড. মোহাম্মদ হাননানের ৩০ জানুয়ারি দেওয়া এক বিবৃতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবেই ছড়িয়ে পড়ে। তিনি তাঁর নাম বাদ পড়ায় বাংলা একাডেমিকে ধন্যবাদ দিয়ে যা লিখেছেন, তা পড়লে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ এবং তাদের অভিভাবক সংস্কৃতি উপদেষ্টা লজ্জা পাবেন। বিবৃতিতে ড. মোহাম্মদ হাননান অল্প কথায় তাঁর লেখকজীবনের পরিশ্রমী পথের বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে লিখলেও রাষ্ট্রীয় কোনো পুরস্কারের জন্য মনোনীত হইনি, গত ১৬ বছরেও না। এ বছর আমার জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার ঘোষণার পর আমার নাম বাদ দেওয়ায় আমি যে দলহীন, গোত্রহীন একজন লেখক, তা প্রমাণিত হয়েছে। আমি এর জন্য স্বস্তি অনুভব করছি।’
পুরস্কার নাটকের রেশ ধরে বাংলা একাডেমির জুরিবোর্ডের সদস্য মোরশেদ শফিউল হাসান তাঁর দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর একাডেমির নবগঠিত নির্বাহী কমিটির সদস্য সাজ্জাদ শরিফও সরে দাঁড়িয়েছেন। এই দুজনের কেউই আওয়ামী লীগের অনুগ্রহপ্রাপ্ত নন। পুরস্কার নিয়ে উপদেষ্টার অবস্থান এবং অন্যদের অবজ্ঞা
করার ঘটনাই হয়তো তাঁদের এই সিদ্ধান্ত
নিতে বাধ্য করেছে। সাজ্জাদ শরিফ বলেছেন, ‘বাংলা একাডেমির মর্যাদা ক্ষুণ্ন হওয়ায় এবং একাডেমির মহাপরিচালক ও নির্বাহী পরিষদের পদগুলো সম্মান না পাওয়ায় আমি নৈতিক কারণে পদত্যাগ করেছি।’ মোরশেদ শফিউল হাসান বলেছেন, ‘জুরি সদস্য হিসেবে আমার যে দায়িত্ব ছিল, তা পালন করেছি। যোগ্য একাধিক জনের মাঝ থেকে আমরা সবাইকে হয়তো পুরস্কার দিতে পারিনি। কিন্তু যাঁদের পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা হয়েছে, তাঁরা কেউ অযোগ্য নন। যোগ্যদের হাতেই পুরস্কার গেছে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘এখন পুরস্কারের বিষয়ে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো দেখে গর্বের চেয়ে বিব্রতবোধ করছি।’
বাংলা একাডেমি পুরস্কার হবে লেখকদের কাজের মূল্যায়ন, তাঁর রাজনৈতিক বিশ্বাসের মূল্যায়ন নয়। পরিবর্তনটা তো সেদিকেই হতে হবে। দল বা পছন্দের মানুষকে পুরস্কার দেওয়ার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। একাডেমির দায়িত্ব থেকে দুজনের সরে দাঁড়ানো, একজন লেখকের শ্লেষাত্মক বিবৃতি দেখে বোঝা যাচ্ছে, সদর্থক পরিবর্তন ঘটানো খুব সহজ কাজ নয়। পুরো ঘটনা হতাশারই জন্ম দিয়েছে।
আজ থেকে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলা শুরু হচ্ছে। মাসব্যাপী এই আয়োজন প্রাণের মেলায় পরিণত হোক, সেই কামনা করি। তবে আজ বইমেলা নিয়ে নয়, বাংলা একাডেমি পুরস্কার নিয়ে যে নাটক অভিনীত হলো, তা নিয়েই কিছু কথা বলা সংগত হবে।
প্রথমে ১০ জনকে পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়, কিন্তু সংস্কৃতি উপদেষ্টার এক মন্তব্যের মাধ্যমে তা স্থগিত হয় এবং নানামুখী আলোচনা-সমালোচনার পর এই ১০ জনের মধ্যে তিনজনের নাম বাদ দিয়ে বাকি সাতজনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
বাংলা একাডেমি পুরস্কার নিয়ে এই নাটকও যদি দেশের মানুষকে আশাহত করে, তাহলে কি তাদের দোষ দেওয়া যাবে?
১০ জনের তালিকায় থাকা এবং পরে বাদ পড়া ড. মোহাম্মদ হাননানের ৩০ জানুয়ারি দেওয়া এক বিবৃতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবেই ছড়িয়ে পড়ে। তিনি তাঁর নাম বাদ পড়ায় বাংলা একাডেমিকে ধন্যবাদ দিয়ে যা লিখেছেন, তা পড়লে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ এবং তাদের অভিভাবক সংস্কৃতি উপদেষ্টা লজ্জা পাবেন। বিবৃতিতে ড. মোহাম্মদ হাননান অল্প কথায় তাঁর লেখকজীবনের পরিশ্রমী পথের বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে লিখলেও রাষ্ট্রীয় কোনো পুরস্কারের জন্য মনোনীত হইনি, গত ১৬ বছরেও না। এ বছর আমার জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার ঘোষণার পর আমার নাম বাদ দেওয়ায় আমি যে দলহীন, গোত্রহীন একজন লেখক, তা প্রমাণিত হয়েছে। আমি এর জন্য স্বস্তি অনুভব করছি।’
পুরস্কার নাটকের রেশ ধরে বাংলা একাডেমির জুরিবোর্ডের সদস্য মোরশেদ শফিউল হাসান তাঁর দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর একাডেমির নবগঠিত নির্বাহী কমিটির সদস্য সাজ্জাদ শরিফও সরে দাঁড়িয়েছেন। এই দুজনের কেউই আওয়ামী লীগের অনুগ্রহপ্রাপ্ত নন। পুরস্কার নিয়ে উপদেষ্টার অবস্থান এবং অন্যদের অবজ্ঞা
করার ঘটনাই হয়তো তাঁদের এই সিদ্ধান্ত
নিতে বাধ্য করেছে। সাজ্জাদ শরিফ বলেছেন, ‘বাংলা একাডেমির মর্যাদা ক্ষুণ্ন হওয়ায় এবং একাডেমির মহাপরিচালক ও নির্বাহী পরিষদের পদগুলো সম্মান না পাওয়ায় আমি নৈতিক কারণে পদত্যাগ করেছি।’ মোরশেদ শফিউল হাসান বলেছেন, ‘জুরি সদস্য হিসেবে আমার যে দায়িত্ব ছিল, তা পালন করেছি। যোগ্য একাধিক জনের মাঝ থেকে আমরা সবাইকে হয়তো পুরস্কার দিতে পারিনি। কিন্তু যাঁদের পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা হয়েছে, তাঁরা কেউ অযোগ্য নন। যোগ্যদের হাতেই পুরস্কার গেছে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘এখন পুরস্কারের বিষয়ে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো দেখে গর্বের চেয়ে বিব্রতবোধ করছি।’
বাংলা একাডেমি পুরস্কার হবে লেখকদের কাজের মূল্যায়ন, তাঁর রাজনৈতিক বিশ্বাসের মূল্যায়ন নয়। পরিবর্তনটা তো সেদিকেই হতে হবে। দল বা পছন্দের মানুষকে পুরস্কার দেওয়ার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। একাডেমির দায়িত্ব থেকে দুজনের সরে দাঁড়ানো, একজন লেখকের শ্লেষাত্মক বিবৃতি দেখে বোঝা যাচ্ছে, সদর্থক পরিবর্তন ঘটানো খুব সহজ কাজ নয়। পুরো ঘটনা হতাশারই জন্ম দিয়েছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের গণহত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) যে তদন্ত করেছে, ২৭ জানুয়ারি সে তদন্তের ৫৫ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এইচআরডব্লিউর একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে...
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক ইতিহাসে ফেব্রুয়ারি একটি অনন্য মাস। ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি আমাদের জন্য যে পথ রচনা করে দিয়েছে, সেই পথই দেশকে পৌঁছে দিয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায়। প্রকৃতপক্ষে এ দেশের আপামর ছাত্র-শ্রমিক-জনতা রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলে সেই পথকে করেছে মসৃণ...
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি একধরনের সামাজিক ও রাজনৈতিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে নারীদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নানা বাধা দেখা যাচ্ছে। এসব ঘটনা শুধু বিচ্ছিন্ন কিছু প্রতিবন্ধকতা নয়; বরং বৃহত্তর সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন।
৩ ঘণ্টা আগে২০ বছর আগে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে অটিজম শব্দটির অস্তিত্ব প্রায় খুঁজে পাওয়া যেত না। অটিজম বিষয়ে মানুষের ধারণা সীমিত ছিল। ঠিক সেই সময়ে অটিজম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন পরিচালিত বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান ‘কানন’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৪ সালের ৪ এপ্রিল, বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটির একটি চারতলা ভাড়া বাড়িতে...
২১ ঘণ্টা আগে