রজত কান্তি রায়, ঢাকা
গতকাল শনিবার রাত থেকে শুরু করে আজ রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশে দুর্ঘটনায় মারা গেছেন প্রায় অর্ধশত মানুষ। এর মধ্যে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৫ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৪০০ মানুষের বেশি। সাভারে সড়ক দুর্ঘটনায় পরমাণু শক্তি কমিশনের তিন কর্মকর্তা ও বাসের চালকসহ মোট চারজন নিহত হয়েছেন। পিরোজপুরের কাউখালীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নাভিল নামে ১৬ বছর বয়সী এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে বালুভর্তি ইঞ্জিনচালিত ট্রলারডুবিতে ২ শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন। যেহেতু তাঁদের জীবিত উদ্ধারের কোনো সংবাদ এখন পর্যন্ত নেই, তাই ধরে নেওয়া অসংগত নয় যে, তাঁরাও মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিয়েছেন। এই ৫২ জন মানুষের মৃত্যুর খবর সংবাদমাধ্যমে এসেছে। সংবাদ না হওয়া মৃত্যুর ঘটনাও যে নেই, তা নয়।
এই ৫২ জন মৃত মানুষের মধ্যে সাতজন আছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মী, যাঁরা সীতাকুণ্ডে আগুন নেভাতে গিয়েছিলেন। অতীতেও দমকলকর্মীরা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মারা গেছেন। কিন্তু একই ঘটনায় একসঙ্গে সাতজন ফায়ার সার্ভিস কর্মীর মৃত্যু হয়নি এ দেশে। এটা অভাবিত। এই ৫২ জন মানুষের মৃত্যুই অভাবিত। এমন নয় যে রাসায়নিকের আগুন বিষয়ে আমাদের দমকল কর্মীদের অভিজ্ঞতা নেই।
আজ থেকে ঠিক এক যুগ আগে ৫ জুন ঘোষণা করা হয়েছিল রাষ্ট্রীয় শোক। ঘটনার দিন ১১৭ জন এবং পরে হাসপাতালে আরও দুজন মিলিয়ে মোট ১১৯ জন মানুষ মারা গিয়েছিলেন ২০১০ সালের ৩ জুন তারিখে। পুরান ঢাকার নবাব কাটরার নিমতলিতে। আহত হয়েছিলেন প্রায় ২০০ জন। সে আগুনের উৎস বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ হলেও গুদামের রাসায়নিক ঘটিয়েছিল তাণ্ডব। সে ঘটনার জন্য ৫ জুন ঘোষণা করা হয়েছিল রাষ্ট্রীয় শোক।
আজ ঠিক ১২ বছর পর আবারও ফিরে এল রাসায়নিকের আগুন, সীতাকুণ্ডে। অথচ সংবাদমাধ্যম চট্টগ্রাম বিস্ফোরক অধিদপ্তরের পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেনের বরাত দিয়ে জানাচ্ছে, সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে রাসায়নিক মজুতের অনুমোদন ছিল না। ডিপোতে রাসায়নিক মজুতের জন্য বিস্ফোরক অধিদপ্তর থেকে নেওয়া হয়নি লাইসেন্স কিংবা কোনো ধরনের অনুমতি। এই অননুমোদিত মজুতের কারণে হওয়া দুর্ঘটনার দায় কার?
এদিকে জানা যাচ্ছে, বিএম ডিপোর মূল মালিক স্মার্ট গ্রুপ। এ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমান চট্টগ্রামের একটি আঞ্চলিক সংবাদপত্রের সম্পাদকও বটে। আমরা জানি, গ্রুপ অব কোম্পানির মালিক হলেও অনুমোদনহীন রাসায়নিকের ডিপো চালানো যায় না। তবে কোন ক্ষমতা বলে সেটা চলছিল, তা সবাই বোঝে। আর সে জন্যই হয়তো কেউ তেমন গলা ছেড়ে আর এ বিষয়ে কথা বলতে চাইবে না।
কিন্তু একটি বিষয় তো স্পষ্ট, আজ থেকে ১২ বছর আগে আজকের দিনটিতে রাসায়নিক থেকে অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের জন্য রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হয়েছিল। ঠিক এক যুগ পর ইতিহাসের যখন পুনরাবৃত্তি হলো, তখন কি রাষ্ট্রীয় শোক প্রকাশ করা হবে না রাসায়নিকজাত আগুনে পুড়ে যাওয়া ৪৫ জন মানুষের জন্য?
গতকাল শনিবার রাত থেকে শুরু করে আজ রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশে দুর্ঘটনায় মারা গেছেন প্রায় অর্ধশত মানুষ। এর মধ্যে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৫ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৪০০ মানুষের বেশি। সাভারে সড়ক দুর্ঘটনায় পরমাণু শক্তি কমিশনের তিন কর্মকর্তা ও বাসের চালকসহ মোট চারজন নিহত হয়েছেন। পিরোজপুরের কাউখালীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নাভিল নামে ১৬ বছর বয়সী এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে বালুভর্তি ইঞ্জিনচালিত ট্রলারডুবিতে ২ শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন। যেহেতু তাঁদের জীবিত উদ্ধারের কোনো সংবাদ এখন পর্যন্ত নেই, তাই ধরে নেওয়া অসংগত নয় যে, তাঁরাও মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিয়েছেন। এই ৫২ জন মানুষের মৃত্যুর খবর সংবাদমাধ্যমে এসেছে। সংবাদ না হওয়া মৃত্যুর ঘটনাও যে নেই, তা নয়।
এই ৫২ জন মৃত মানুষের মধ্যে সাতজন আছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মী, যাঁরা সীতাকুণ্ডে আগুন নেভাতে গিয়েছিলেন। অতীতেও দমকলকর্মীরা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মারা গেছেন। কিন্তু একই ঘটনায় একসঙ্গে সাতজন ফায়ার সার্ভিস কর্মীর মৃত্যু হয়নি এ দেশে। এটা অভাবিত। এই ৫২ জন মানুষের মৃত্যুই অভাবিত। এমন নয় যে রাসায়নিকের আগুন বিষয়ে আমাদের দমকল কর্মীদের অভিজ্ঞতা নেই।
আজ থেকে ঠিক এক যুগ আগে ৫ জুন ঘোষণা করা হয়েছিল রাষ্ট্রীয় শোক। ঘটনার দিন ১১৭ জন এবং পরে হাসপাতালে আরও দুজন মিলিয়ে মোট ১১৯ জন মানুষ মারা গিয়েছিলেন ২০১০ সালের ৩ জুন তারিখে। পুরান ঢাকার নবাব কাটরার নিমতলিতে। আহত হয়েছিলেন প্রায় ২০০ জন। সে আগুনের উৎস বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ হলেও গুদামের রাসায়নিক ঘটিয়েছিল তাণ্ডব। সে ঘটনার জন্য ৫ জুন ঘোষণা করা হয়েছিল রাষ্ট্রীয় শোক।
আজ ঠিক ১২ বছর পর আবারও ফিরে এল রাসায়নিকের আগুন, সীতাকুণ্ডে। অথচ সংবাদমাধ্যম চট্টগ্রাম বিস্ফোরক অধিদপ্তরের পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেনের বরাত দিয়ে জানাচ্ছে, সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে রাসায়নিক মজুতের অনুমোদন ছিল না। ডিপোতে রাসায়নিক মজুতের জন্য বিস্ফোরক অধিদপ্তর থেকে নেওয়া হয়নি লাইসেন্স কিংবা কোনো ধরনের অনুমতি। এই অননুমোদিত মজুতের কারণে হওয়া দুর্ঘটনার দায় কার?
এদিকে জানা যাচ্ছে, বিএম ডিপোর মূল মালিক স্মার্ট গ্রুপ। এ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমান চট্টগ্রামের একটি আঞ্চলিক সংবাদপত্রের সম্পাদকও বটে। আমরা জানি, গ্রুপ অব কোম্পানির মালিক হলেও অনুমোদনহীন রাসায়নিকের ডিপো চালানো যায় না। তবে কোন ক্ষমতা বলে সেটা চলছিল, তা সবাই বোঝে। আর সে জন্যই হয়তো কেউ তেমন গলা ছেড়ে আর এ বিষয়ে কথা বলতে চাইবে না।
কিন্তু একটি বিষয় তো স্পষ্ট, আজ থেকে ১২ বছর আগে আজকের দিনটিতে রাসায়নিক থেকে অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের জন্য রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হয়েছিল। ঠিক এক যুগ পর ইতিহাসের যখন পুনরাবৃত্তি হলো, তখন কি রাষ্ট্রীয় শোক প্রকাশ করা হবে না রাসায়নিকজাত আগুনে পুড়ে যাওয়া ৪৫ জন মানুষের জন্য?
ধরে নিচ্ছি নির্বাচন হবে। তবে কবে হবে, সে বিষয়ে কোনো ভবিষ্যদ্বাণী করা যাবে না। ধরে নিচ্ছি, খুব শিগগির নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হবে, কিন্তু অরাজকতা সৃষ্টি করে তা বানচালের চেষ্টা হবে না, এ রকম নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না। সবটা মিলে যে ভজকট পাকিয়ে ফেলা হয়েছে,
১৪ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনা পুলিশ লাইনস স্কুলে দুই দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল অনিবন্ধিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেত্রকোনায় পদযাত্রা করবে বলে। তাদের কর্মসূচিতে আসা নিরাপত্তা প্রদানকারী পুলিশ এই স্কুলে অবস্থান করবে—এমনটা উল্লেখ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ একটি বন্ধের নোটিশ দেয়
১৪ ঘণ্টা আগেমোহাম্মদপুর থানার ওসি সাহেব ঠিক কথাটাই বলেছেন। ছিনতাইয়ের শিকার ভুক্তভোগীকে বলেছেন, ‘আমি ওসি হয়েও কম দামি ফোন ব্যবহার করি, আপনি এত দামি ফোন নিয়ে ঘুরলে ছিনতাই তো হবেই!’ এই নির্ভীক সত্যকথনের জন্য ওসি মহোদয় সাধুবাদ পেতেই পারেন। কে আর এত সুন্দর করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির হাল-হকিকতের বয়ান করতে পারতেন
১৪ ঘণ্টা আগে২৪ জুলাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক তরুণী জানালেন, তিনি তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে আপস করেছেন। তিনি আর মামলা চালাতে চান না। আদালত মামলাটি খারিজ করে দিলেন। প্রথম শুনলে এটি খুব সাধারণ ঘটনা মনে হতে পারে। পরিবারে তো সমস্যা হতেই পারে; ঝগড়া-বিবাদ, মান-অভিমান শেষে আপস-মীমাংসা তো হতেই পারে।
১ দিন আগে