বাসস, রংপুর
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি স্বার্থান্বেষী মহল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার মাধ্যমে দেশে হট্টগোল উসকে দিচ্ছে অভিযোগ করে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য ছাত্র-জনতার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘সংবাদপত্রে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার প্রতিবেদন আসছে। তারা কেন হামলার শিকার হবে? তারা কি দেশের নাগরিক নন? তোমরা (শিক্ষার্থীরা) দেশকে বাঁচাতে পেরেছ, সংখ্যালঘু পরিবারগুলোকে কি বাঁচাতে পারবে না?’
ড. ইউনূস আজ রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শহীদ আবু সাঈদের বাবা-মাকে সান্ত্বনা দিতে তাদের বাড়িতে যান। পরে তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ আহ্বান জানান।
এ ধরনের হামলাকে ঘৃণ্য কাজ বলে উল্লেখ করে তিনি শিক্ষার্থীদের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব সংখ্যালঘু পরিবারকে যেকোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘তোমাদের বলতে হবে, কেউ তাদের ক্ষতি করতে পারবে না। তারা আমাদের ভাই, আমরা একসঙ্গে লড়াই করেছি, আমরা একসঙ্গেই থাকব।’
পুরো বাংলাদেশকে একটি পরিবার উল্লেখ করে নোবেল বিজয়ী ইউনূস বলেন, ‘এর চেয়ে সুন্দর পরিবার আর নেই। পৃথিবীতে অনেক দেশ আছে কিন্তু এত সুন্দর পরিবার নেই।’
ছাত্ররা দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন রংপুরের হাতে। তোমরা একে কোথায় নিতে চাও? যেখানে খুশি নিয়ে যেতে পারবে। তোমাদের সেই ক্ষমতা আছে। এটা গবেষণার বিষয় নয়। এটা তোমাদের অন্তর্নিহিত শক্তি।’
শহীদ আবু সাঈদের জীবন উৎসর্গের কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আবু সাঈদ এক মহাকাব্যিক চরিত্র। ভবিষ্যতে তাকে নিয়ে অনেক কবিতা, অনেক সাহিত্য, অনেক কিছু লেখা হবে।’
বাংলাদেশের ছাত্র-যুবকরা সারা বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তোমরা এখানে যা করেছ তা আমাদের দ্বিতীয় বিজয়। এই বিজয় উৎসব যেন আমাদের হাত ছাড়া হয়ে না যায়। কেবল তোমরাই এটা করতে পেরেছ। আমরা কেউই (বৃদ্ধরা) পারিনি।’
যৌবনের বয়সসীমা অতিক্রম করেছে এমন লোকেরা বাধা সৃষ্টি করছে উল্লেখ করে ডক্টর ইউনূস তাদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানান।
যে কোনো কাজ করতে স্বপ্নের প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘স্বপ্ন না থাকলে বিশৃঙ্খল কাজ হবে। তোমাদের যদি স্বপ্ন থাকে, তাহলে তোমরা স্বপ্নের পেছনে ছুটবে। দেখতে পাবে যে এটি হয়ে গেছে। প্রথমে এটা অসম্ভব মনে হবে। কাজে নামলেই দেখবে কাজ হয়ে গেছে। তোমাদের যে শক্তি আছে তা হল অসম্ভবকে সম্ভব করার শক্তি। তোমাদের সামনে কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’
তিনি যুবসমাজকে কখনো পিছপা না হওয়ার আহ্বান জানান।
ড. ইউনূস আরও বলেন, দেশে ছাত্ররা যা করেছে, তা দেশের প্রবীণরা করতে ব্যর্থ হয়েছে। ‘আমরা করতে পারিনি, আমরা ব্যর্থ হয়েছি। তোমাদের যেখানে যাওয়ার কথা ছিল, আমরা তোমাদের সেখানে নিয়ে যেতে পারিনি।’
তিনি শিক্ষার্থীদের এবার ব্যর্থ না হতে সতর্ক করে দেন, কেননা অনেক লোক তাদের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিতে সচেষ্ট রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা দেশ পরিষ্কার করার জন্য যা যা প্রয়োজন তাই করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা সবকিছু পরিষ্কার করব, সবকিছু পরিষ্কার না করা পর্যন্ত আমরা স্বস্তি পাব না।’
রংপুর সার্কিট হাউসে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আরেকটি অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস তাদের শৃঙ্খলায় ফেরার তাগিদ দেন।
সরকার দেশের নাগরিকদের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সব কিছু করবে উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশকে একটি সভ্য দেশে পরিণত করতে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি স্বার্থান্বেষী মহল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার মাধ্যমে দেশে হট্টগোল উসকে দিচ্ছে অভিযোগ করে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য ছাত্র-জনতার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘সংবাদপত্রে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার প্রতিবেদন আসছে। তারা কেন হামলার শিকার হবে? তারা কি দেশের নাগরিক নন? তোমরা (শিক্ষার্থীরা) দেশকে বাঁচাতে পেরেছ, সংখ্যালঘু পরিবারগুলোকে কি বাঁচাতে পারবে না?’
ড. ইউনূস আজ রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শহীদ আবু সাঈদের বাবা-মাকে সান্ত্বনা দিতে তাদের বাড়িতে যান। পরে তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ আহ্বান জানান।
এ ধরনের হামলাকে ঘৃণ্য কাজ বলে উল্লেখ করে তিনি শিক্ষার্থীদের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব সংখ্যালঘু পরিবারকে যেকোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘তোমাদের বলতে হবে, কেউ তাদের ক্ষতি করতে পারবে না। তারা আমাদের ভাই, আমরা একসঙ্গে লড়াই করেছি, আমরা একসঙ্গেই থাকব।’
পুরো বাংলাদেশকে একটি পরিবার উল্লেখ করে নোবেল বিজয়ী ইউনূস বলেন, ‘এর চেয়ে সুন্দর পরিবার আর নেই। পৃথিবীতে অনেক দেশ আছে কিন্তু এত সুন্দর পরিবার নেই।’
ছাত্ররা দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন রংপুরের হাতে। তোমরা একে কোথায় নিতে চাও? যেখানে খুশি নিয়ে যেতে পারবে। তোমাদের সেই ক্ষমতা আছে। এটা গবেষণার বিষয় নয়। এটা তোমাদের অন্তর্নিহিত শক্তি।’
শহীদ আবু সাঈদের জীবন উৎসর্গের কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আবু সাঈদ এক মহাকাব্যিক চরিত্র। ভবিষ্যতে তাকে নিয়ে অনেক কবিতা, অনেক সাহিত্য, অনেক কিছু লেখা হবে।’
বাংলাদেশের ছাত্র-যুবকরা সারা বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তোমরা এখানে যা করেছ তা আমাদের দ্বিতীয় বিজয়। এই বিজয় উৎসব যেন আমাদের হাত ছাড়া হয়ে না যায়। কেবল তোমরাই এটা করতে পেরেছ। আমরা কেউই (বৃদ্ধরা) পারিনি।’
যৌবনের বয়সসীমা অতিক্রম করেছে এমন লোকেরা বাধা সৃষ্টি করছে উল্লেখ করে ডক্টর ইউনূস তাদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানান।
যে কোনো কাজ করতে স্বপ্নের প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘স্বপ্ন না থাকলে বিশৃঙ্খল কাজ হবে। তোমাদের যদি স্বপ্ন থাকে, তাহলে তোমরা স্বপ্নের পেছনে ছুটবে। দেখতে পাবে যে এটি হয়ে গেছে। প্রথমে এটা অসম্ভব মনে হবে। কাজে নামলেই দেখবে কাজ হয়ে গেছে। তোমাদের যে শক্তি আছে তা হল অসম্ভবকে সম্ভব করার শক্তি। তোমাদের সামনে কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’
তিনি যুবসমাজকে কখনো পিছপা না হওয়ার আহ্বান জানান।
ড. ইউনূস আরও বলেন, দেশে ছাত্ররা যা করেছে, তা দেশের প্রবীণরা করতে ব্যর্থ হয়েছে। ‘আমরা করতে পারিনি, আমরা ব্যর্থ হয়েছি। তোমাদের যেখানে যাওয়ার কথা ছিল, আমরা তোমাদের সেখানে নিয়ে যেতে পারিনি।’
তিনি শিক্ষার্থীদের এবার ব্যর্থ না হতে সতর্ক করে দেন, কেননা অনেক লোক তাদের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিতে সচেষ্ট রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা দেশ পরিষ্কার করার জন্য যা যা প্রয়োজন তাই করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা সবকিছু পরিষ্কার করব, সবকিছু পরিষ্কার না করা পর্যন্ত আমরা স্বস্তি পাব না।’
রংপুর সার্কিট হাউসে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আরেকটি অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস তাদের শৃঙ্খলায় ফেরার তাগিদ দেন।
সরকার দেশের নাগরিকদের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সব কিছু করবে উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশকে একটি সভ্য দেশে পরিণত করতে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস (এসইএস) গঠন করতে যাচ্ছে সরকার। বিভিন্ন সার্ভিস থেকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে এই সার্ভিসে যোগ দেওয়া যাবে। এসইএসের অধীনে থাকবে উপসচিব থেকে সচিবের সব পদ। এ ছাড়া জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদের নাম...
৪ ঘণ্টা আগেফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, জরুরি পরিস্থিতিতে মোবাইল অপারেটরদের সহায়তায় বার্ন ইউনিটের ইমার্জেন্সি নম্বরগুলোকে সাময়িকভাবে টোল ফ্রি করা হয়েছে। দেশের সব কটি বার্ন ইউনিটকে একটিমাত্র শর্ট কোডে ও ৯৯৯-এর ইমার্জেন্সি কল সেন্টারে যুক্ত করতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়।
৬ ঘণ্টা আগেউত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর যখন পুরো দেশ শোক আর আতঙ্কে স্তব্ধ, তখন রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে দেখা গেল এক অনন্য মানবিক দৃশ্য—হাজারো মানুষের রক্তদানে ঝাঁপিয়ে পড়া।
৭ ঘণ্টা আগেই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদার ও তাঁর স্ত্রী সাবিয়া চৌধুরীকে বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগের মামলায় চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার (২১ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
৮ ঘণ্টা আগে