Ajker Patrika

করোনা টিকার দাম ‘মনে নেই’, বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ জুন ২০২২, ১৯: ৩৫
Thumbnail image

এখন পর্যন্ত সরকার প্রায় ৩০ কোটি ৫০ লাখ করোনা টিকা সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে ১৮ কোটি টিকা নগদ টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে। বাকিগুলো কোভ্যাক্সের আওতায় উপহার হিসাবে পাওয়া। তবে সরকারের কেনা টিকার দাম ‘মনে নেই’ বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

আজ রোববার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির দলীয় সংসদ সদস্য মজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।

মুজিবুল হক চুন্নু তাঁর প্রশ্নে করোনা টিকা কতজনকে দেওয়া হয়েছে, কতগুলো টিকা কেনা হয়েছে ও উপহার পাওয়া গেছে এবং প্রতিটি টিকা কেনার পেছনে সরকারের ব্যয় মতো হয়েছে তা জানতে চান। জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী চুন্নুর কাছে লিখিত প্রশ্ন চেয়ে বলেন, ‘এই পর্যন্ত সাড়ে ৩০ কোটি করোনা টিকা সরকার সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে ২৬ কোটি টিকা দেওয়া হয়েছে। এক ডোজ করে টিকা দেওয়া হয়েছে ১৩ কোটি মানুষকে, দুই ডোজ করে দেওয়া হয়েছে পৌনে ১২ কোটি এবং দেড় কোটি মানুষকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। সেটা এখন চলছে।’

সরকার প্রায় ১৮ কোটি ডোজ কিনেছে বাকিটা কোভ্যাক্স থেকে পেয়েছেন বলে জানান তিনি। দামের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দামগুলো এখন মনে নাই। আপনি যদি নোটিশ দেন, তাহলে সবগুলোর দাম এবং কোথায় থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে বলতে পারব।’

সংসদের গত কয়েকটি অধিবেশনেও কয়েকজন সংসদ সদস্য করোনা টিকা কেনায় সরকারের ব্যয় সম্পর্কে সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত প্রশ্ন করেন। তখন মন্ত্রী জানান, চুক্তির গোপনীয়তার কারণে তিনি দাম বলতে পারবেন না।

২০২১-২২ অর্থবছরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের ৪১ শতাংশ ব্যয় হয়েছে। কী কারণে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় করা যায়নি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চান বিএনপির দলীয় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা। জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার কারণে কিছু কাজ ব্যাহত হয়েছে। এই খাতে শ্রমের মূল্য প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। উন্নয়ন বাজেটের ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের মধ্যে ৪০ শতাংশ ব্যয় হয়েছে। জুন মাস শেষের আগে ৯০ শতাংশের বেশি খরচ হয়ে যাবে এবং লক্ষ্য অর্জন হয়ে যাবে। কারণ এখনো অনেকগুলো বিলের অর্থ পরিশোধ হয়নি। অনেকগুলো মাল এখনো পৌঁছায়নি যার বিলগুলো দেওয়া হয়নি। এগুলো এই জুনের আগে সমাধান হয়ে যাবে।’

অবৈধ হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোয় সরকারকে ধন্যবাদ জানান বিএনপির দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ। তবে এখনো জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অনেক আওয়ামী লীগ নেতা পরিচালিত হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দেশের চিকিৎসা মতো জনবল খালি রয়েছে, সেটা কবে নাগাদ পূরণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এটা জানতে চান তিনি।

সরকার সব সময় দেশের মানুষকে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে বলে জবাবে জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রী। বলেন, ‘যারা ভালো সেবা দেবে না, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। আমরা দলীয় বিচারে ব্যবস্থা নিইনি। আপনারা (বিএনপি) নেন, কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে মানুষকে সেবা বঞ্চিত করেছেন। কিন্তু আমরা দলীয় বিচারে কোন হাসাপাতাল, ক্লিনিক বন্ধ করি নাই। যাদের লাইসেন্স নবায়ন নেই, ডাক্তার ও নার্স নেই সেগুলো বন্ধ করা হয়েছে। এগুলো ঠিক করলে আবারও চালু করে দেব।’

হাসপাতাল উন্নয়ন কমিটির যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রী। বলেন, ‘তারা যদি ক্ষমতা প্রয়োগ করে এবং নিয়মিত বৈঠক করে তাহলে হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সরা সজাগ থাকে। কিন্তু আমরা খোঁজ করে দেখেছি খুব একটা বৈঠক হয় না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত