নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘প্রায় ৩১ কোটি ডোজ টিকার ব্যবস্থা আমরা করে রেখেছি। একটি মানুষও যেন টিকা ছাড়া না থাকে, আমরা সেই ব্যবস্থা করেছি। এ ক্ষেত্রে আমরা দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানাব, কোনো ধরনের অপপ্রচার এবং গায়ে সুই ফোটানোর ভয়কে উপেক্ষা করে টিকা নিতে হবে। সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন থেকে বাঁচতে ভয় না পেয়ে টিকাটা নিয়ে নেবেন।’
আজ রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত আট বিভাগীয় শহরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৬০ শয্যাবিশিষ্ট সমন্বিত ক্যানসার, কিডনি ও হৃদ্রোগ ইউনিটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই নতুন ধরন নাকি শিশুদের জন্য সব থেকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। সে জন্য আমরা ১২ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থাও নিয়েছি। তা ছাড়া আমি সবাইকে অনুরোধ করব আপনারা ভয় না পেয়ে টিকাটা নিয়ে নিন। টিকাটা নিলে হয়তো কিছুদিন ভোগাবে, কিন্তু জীবনটা রক্ষা পাবে। এরই মধ্যে আমরা প্রায় ১৩ কোটির বেশি ডোজ টিকা প্রদান করেছি। এর মধ্যে ডাবল ডোজও হয়ে গেছে এবং এখন তো আমরা বুস্টার ডোজও দেওয়া শুরু করেছি। আমাদের দেশের মানুষ সুস্থ ও সুরক্ষিত থাকুক সেটাই আমি চাই।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালিক বলেন, জীবনব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি অসংক্রামক ব্যাধি বৃদ্ধি পাওয়ায় মৃত্যুর হার সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়ে ৬৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে ক্যানসার, কিডনি ফেবিয়ার, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হৃদ্রোগ ও বায়ুদূষণের ফলে শ্বাসকষ্টজনিত রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশে ক্যানসার রোগী আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ লোক এই রোগে মৃত্যুবরণ করে এবং দেড় লাখ লোক নতুন করে আক্রান্ত হয় ক্যানসারে। দেশে প্রায় ২০ লাখ ক্যানসারের রোগী রয়েছে, কিন্তু চিকিৎসা এখনো অপ্রতুল। সারা দেশে ক্যানসার রোগীর চিকিৎসায় বেডের সংখ্যা ৫০০-এর বেশি নয়। ক্যানসার চিকিৎসার যন্ত্র প্রতি ১০ লাখে একটি আছে। কিন্তু প্রয়োজন কয়েক হাজার। অথচ মোট প্রয়োজন ১০৭টি। কিন্তু এই রেডিও থেরাপি যন্ত্র সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ২০ থেকে ২৫টির বেশি হবে না। আমাদের দেশে কোনো না কোনোভাবে ২ কোটি লোক কিডনি রোগে আক্রান্ত থাকে। বছরে মারা যায় প্রায় ২০ হাজারের বেশি লোক এবং ৩০ হাজার মানুষের ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়ে থাকে। সরকারি-বেসরকারি মিলে সারা দেশে দিনে ২ হাজারের বেশি লোকের ডায়ালাইসিস করানো সম্ভব নয় বর্তমানে। ফলে বহু লোক চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হয়, বিশেষ করে গরিব মানুষ। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে লক্ষাধিক লোক মারা যায়। দেশে কোনো না কোনোভাবে কোটির ওপরে লোক হৃদ্রোগে আক্রান্ত আছে। দেশে সরকারি ও বেসরকারিভাবে হৃদ্রোগের চিকিৎসা উন্নতি লাভ করেছে, কিন্তু তুলনামূলক সেটা অপ্রতুল। দেশের আট বিভাগীয় শহরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৬০ শয্যাবিশিষ্ট সমন্বিত ক্যানসার, কিডনি ও হৃদ্রোগ ইউনিট স্থাপন করা হলে স্বাস্থ্য খাতে অভূতপূর্ব পরিবর্তন আসবে।
বক্তব্য শেষে আট বিভাগীয় শহরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৬০ শয্যাবিশিষ্ট সমন্বিত ক্যানসার, কিডনি ও হৃদ্রোগ ইউনিটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক ভিসি ও সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণগোপাল দত্ত, বিএসএমএমইউর ভিসি অধ্যাপক মো. ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম প্রমুখ।
এই আট হাসপাতালে সব মিলিয়ে বেডের সংখ্যা ৪ হাজার ৬৮০। এগুলো বাস্তবায়িত হলে শুধু চিকিৎসাসেবার মান পরিবর্তন হবে না, মানুষের জীবন রক্ষা হবে এবং বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার প্রবণতা অনেকাংশে কমবে। এতে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
‘প্রায় ৩১ কোটি ডোজ টিকার ব্যবস্থা আমরা করে রেখেছি। একটি মানুষও যেন টিকা ছাড়া না থাকে, আমরা সেই ব্যবস্থা করেছি। এ ক্ষেত্রে আমরা দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানাব, কোনো ধরনের অপপ্রচার এবং গায়ে সুই ফোটানোর ভয়কে উপেক্ষা করে টিকা নিতে হবে। সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন থেকে বাঁচতে ভয় না পেয়ে টিকাটা নিয়ে নেবেন।’
আজ রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত আট বিভাগীয় শহরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৬০ শয্যাবিশিষ্ট সমন্বিত ক্যানসার, কিডনি ও হৃদ্রোগ ইউনিটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই নতুন ধরন নাকি শিশুদের জন্য সব থেকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। সে জন্য আমরা ১২ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থাও নিয়েছি। তা ছাড়া আমি সবাইকে অনুরোধ করব আপনারা ভয় না পেয়ে টিকাটা নিয়ে নিন। টিকাটা নিলে হয়তো কিছুদিন ভোগাবে, কিন্তু জীবনটা রক্ষা পাবে। এরই মধ্যে আমরা প্রায় ১৩ কোটির বেশি ডোজ টিকা প্রদান করেছি। এর মধ্যে ডাবল ডোজও হয়ে গেছে এবং এখন তো আমরা বুস্টার ডোজও দেওয়া শুরু করেছি। আমাদের দেশের মানুষ সুস্থ ও সুরক্ষিত থাকুক সেটাই আমি চাই।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালিক বলেন, জীবনব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি অসংক্রামক ব্যাধি বৃদ্ধি পাওয়ায় মৃত্যুর হার সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়ে ৬৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে ক্যানসার, কিডনি ফেবিয়ার, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হৃদ্রোগ ও বায়ুদূষণের ফলে শ্বাসকষ্টজনিত রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশে ক্যানসার রোগী আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ লোক এই রোগে মৃত্যুবরণ করে এবং দেড় লাখ লোক নতুন করে আক্রান্ত হয় ক্যানসারে। দেশে প্রায় ২০ লাখ ক্যানসারের রোগী রয়েছে, কিন্তু চিকিৎসা এখনো অপ্রতুল। সারা দেশে ক্যানসার রোগীর চিকিৎসায় বেডের সংখ্যা ৫০০-এর বেশি নয়। ক্যানসার চিকিৎসার যন্ত্র প্রতি ১০ লাখে একটি আছে। কিন্তু প্রয়োজন কয়েক হাজার। অথচ মোট প্রয়োজন ১০৭টি। কিন্তু এই রেডিও থেরাপি যন্ত্র সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ২০ থেকে ২৫টির বেশি হবে না। আমাদের দেশে কোনো না কোনোভাবে ২ কোটি লোক কিডনি রোগে আক্রান্ত থাকে। বছরে মারা যায় প্রায় ২০ হাজারের বেশি লোক এবং ৩০ হাজার মানুষের ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়ে থাকে। সরকারি-বেসরকারি মিলে সারা দেশে দিনে ২ হাজারের বেশি লোকের ডায়ালাইসিস করানো সম্ভব নয় বর্তমানে। ফলে বহু লোক চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হয়, বিশেষ করে গরিব মানুষ। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে লক্ষাধিক লোক মারা যায়। দেশে কোনো না কোনোভাবে কোটির ওপরে লোক হৃদ্রোগে আক্রান্ত আছে। দেশে সরকারি ও বেসরকারিভাবে হৃদ্রোগের চিকিৎসা উন্নতি লাভ করেছে, কিন্তু তুলনামূলক সেটা অপ্রতুল। দেশের আট বিভাগীয় শহরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৬০ শয্যাবিশিষ্ট সমন্বিত ক্যানসার, কিডনি ও হৃদ্রোগ ইউনিট স্থাপন করা হলে স্বাস্থ্য খাতে অভূতপূর্ব পরিবর্তন আসবে।
বক্তব্য শেষে আট বিভাগীয় শহরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৬০ শয্যাবিশিষ্ট সমন্বিত ক্যানসার, কিডনি ও হৃদ্রোগ ইউনিটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক ভিসি ও সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণগোপাল দত্ত, বিএসএমএমইউর ভিসি অধ্যাপক মো. ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম প্রমুখ।
এই আট হাসপাতালে সব মিলিয়ে বেডের সংখ্যা ৪ হাজার ৬৮০। এগুলো বাস্তবায়িত হলে শুধু চিকিৎসাসেবার মান পরিবর্তন হবে না, মানুষের জীবন রক্ষা হবে এবং বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার প্রবণতা অনেকাংশে কমবে। এতে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস (এসইএস) গঠন করতে যাচ্ছে সরকার। বিভিন্ন সার্ভিস থেকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে এই সার্ভিসে যোগ দেওয়া যাবে। এসইএসের অধীনে থাকবে উপসচিব থেকে সচিবের সব পদ। এ ছাড়া জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদের নাম...
৮ ঘণ্টা আগেফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, জরুরি পরিস্থিতিতে মোবাইল অপারেটরদের সহায়তায় বার্ন ইউনিটের ইমার্জেন্সি নম্বরগুলোকে সাময়িকভাবে টোল ফ্রি করা হয়েছে। দেশের সব কটি বার্ন ইউনিটকে একটিমাত্র শর্ট কোডে ও ৯৯৯-এর ইমার্জেন্সি কল সেন্টারে যুক্ত করতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়।
১০ ঘণ্টা আগেউত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর যখন পুরো দেশ শোক আর আতঙ্কে স্তব্ধ, তখন রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে দেখা গেল এক অনন্য মানবিক দৃশ্য—হাজারো মানুষের রক্তদানে ঝাঁপিয়ে পড়া।
১০ ঘণ্টা আগেই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদার ও তাঁর স্ত্রী সাবিয়া চৌধুরীকে বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগের মামলায় চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার (২১ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
১১ ঘণ্টা আগে