কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁর সরকার সেখানে অবৈধভাবে অবস্থান করা বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে শুরু করেছে। দেশটিতে ‘অবৈধ’ বাংলাদেশিও আছেন বলে অভিযোগ ট্রাম্প প্রশাসনের। এই অভিযোগে বাংলাদেশের নাগরিকদেরও ফেরত পাঠানো শুরু করেছে তারা।
কূটনৈতিক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে অবস্থানের অনুমতি ও কাগজপত্র না থাকার কারণে বাংলাদেশের ৪০০-৫০০ নাগরিককে ফেরত পাঠানোর জন্য এরই মধ্যে দেশটির সরকার চিহ্নিত করেছে। সেখানে প্রয়োজনীয় আইনি সুরক্ষা নিতে ব্যর্থ হলে তাঁদের সবাইকে দেশে ফিরতে হতে পারে।
ফেরত আসা ব্যক্তিদের বিষয়ে কী করা যায়, তা খতিয়ে দেখতে ঢাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত বুধ ও গতকাল বৃহস্পতিবার দুই দফা বৈঠক করেছে। বুধবারের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। গতকালের বৈঠকে অংশ নেন পুলিশের বিশেষ শাখা, ইমিগ্রেশন ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
দুটি বৈঠকেই উপস্থিত ছিলেন এমন এক কর্মকর্তা গতকাল আজকের পত্রিকাকে জানান, যুক্তরাষ্ট্র সরকার এরই মধ্যে অবৈধ হয়ে পড়া ব্যক্তিদের ঢাকায় পাঠাতে শুরু করেছে। গড়ে সপ্তাহে ৬-৭ জনকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, কোনো দেশে অবস্থানের অনুমতি ও প্রয়োজনীয় আইনি সুরক্ষা না থাকার কারণে অবৈধ হয়ে পড়া নাগরিককে গ্রহণের বিষয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। এটা শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, সব দেশের জন্য প্রযোজ্য।
উপদেষ্টা বলেন, অবৈধ হয়ে পড়া নাগরিকদের ফেরত নিতে অসম্মতি জানালে যাঁরা বৈধ উপায়ে বিভিন্ন কাজে বা ভ্রমণে বিদেশে যান, তাঁদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এটি হতে দেওয়া যাবে না।
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ হয়ে পড়া অনেক ভারতীয় নাগরিককে মার্কিন সরকার হাতকড়া পরিয়ে সামরিক বিমানে ফেরত পাঠিয়েছে। বিষয়টির উল্লেখ করে বাংলাদেশের নাগরিকদের কীভাবে ফেরত পাঠানো হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ফেরত পাঠানোর জন্য চিহ্নিত ব্যক্তির বাংলাদেশের বৈধ পাসপোর্ট থাকলে তাঁকে সরাসরি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে তুলে দেওয়া হচ্ছে। ক্ষেত্রবিশেষে ফেরত আসা ব্যক্তির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এক বা একাধিক নিরাপত্তাকর্মী একই ফ্লাইটে আসছেন, এমনটিও ঘটছে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, কোনো ব্যক্তির বৈধ পাসপোর্ট না থাকলে তাঁর বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মিশনকে সরকারিভাবে জানানো হয়। সে ক্ষেত্রে মিশন প্রথমে যাচাই করে দেখে, ওই ব্যক্তি আসলেই বাংলাদেশের নাগরিক কি না। যাচাইয়ে বাংলাদেশের নাগরিক প্রমাণিত হলে তাঁর জন্য এককালীন ভ্রমণের পারমিট (টিপি-ট্রাভেল পারমিট) দেওয়া হয়। এরপর যুক্তরাষ্ট্র সরকার নিজেদের ব্যবস্থাপনায় তাঁকে পাঠিয়ে দেয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে যাঁদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে, তাঁদের ঢাকায় বিমানবন্দরে গ্রহণ করে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে সরকার সহযোগিতা করবে। বুধ ও বৃহস্পতিবারের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁর সরকার সেখানে অবৈধভাবে অবস্থান করা বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে শুরু করেছে। দেশটিতে ‘অবৈধ’ বাংলাদেশিও আছেন বলে অভিযোগ ট্রাম্প প্রশাসনের। এই অভিযোগে বাংলাদেশের নাগরিকদেরও ফেরত পাঠানো শুরু করেছে তারা।
কূটনৈতিক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে অবস্থানের অনুমতি ও কাগজপত্র না থাকার কারণে বাংলাদেশের ৪০০-৫০০ নাগরিককে ফেরত পাঠানোর জন্য এরই মধ্যে দেশটির সরকার চিহ্নিত করেছে। সেখানে প্রয়োজনীয় আইনি সুরক্ষা নিতে ব্যর্থ হলে তাঁদের সবাইকে দেশে ফিরতে হতে পারে।
ফেরত আসা ব্যক্তিদের বিষয়ে কী করা যায়, তা খতিয়ে দেখতে ঢাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত বুধ ও গতকাল বৃহস্পতিবার দুই দফা বৈঠক করেছে। বুধবারের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। গতকালের বৈঠকে অংশ নেন পুলিশের বিশেষ শাখা, ইমিগ্রেশন ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
দুটি বৈঠকেই উপস্থিত ছিলেন এমন এক কর্মকর্তা গতকাল আজকের পত্রিকাকে জানান, যুক্তরাষ্ট্র সরকার এরই মধ্যে অবৈধ হয়ে পড়া ব্যক্তিদের ঢাকায় পাঠাতে শুরু করেছে। গড়ে সপ্তাহে ৬-৭ জনকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, কোনো দেশে অবস্থানের অনুমতি ও প্রয়োজনীয় আইনি সুরক্ষা না থাকার কারণে অবৈধ হয়ে পড়া নাগরিককে গ্রহণের বিষয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। এটা শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, সব দেশের জন্য প্রযোজ্য।
উপদেষ্টা বলেন, অবৈধ হয়ে পড়া নাগরিকদের ফেরত নিতে অসম্মতি জানালে যাঁরা বৈধ উপায়ে বিভিন্ন কাজে বা ভ্রমণে বিদেশে যান, তাঁদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এটি হতে দেওয়া যাবে না।
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ হয়ে পড়া অনেক ভারতীয় নাগরিককে মার্কিন সরকার হাতকড়া পরিয়ে সামরিক বিমানে ফেরত পাঠিয়েছে। বিষয়টির উল্লেখ করে বাংলাদেশের নাগরিকদের কীভাবে ফেরত পাঠানো হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ফেরত পাঠানোর জন্য চিহ্নিত ব্যক্তির বাংলাদেশের বৈধ পাসপোর্ট থাকলে তাঁকে সরাসরি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে তুলে দেওয়া হচ্ছে। ক্ষেত্রবিশেষে ফেরত আসা ব্যক্তির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এক বা একাধিক নিরাপত্তাকর্মী একই ফ্লাইটে আসছেন, এমনটিও ঘটছে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, কোনো ব্যক্তির বৈধ পাসপোর্ট না থাকলে তাঁর বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মিশনকে সরকারিভাবে জানানো হয়। সে ক্ষেত্রে মিশন প্রথমে যাচাই করে দেখে, ওই ব্যক্তি আসলেই বাংলাদেশের নাগরিক কি না। যাচাইয়ে বাংলাদেশের নাগরিক প্রমাণিত হলে তাঁর জন্য এককালীন ভ্রমণের পারমিট (টিপি-ট্রাভেল পারমিট) দেওয়া হয়। এরপর যুক্তরাষ্ট্র সরকার নিজেদের ব্যবস্থাপনায় তাঁকে পাঠিয়ে দেয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে যাঁদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে, তাঁদের ঢাকায় বিমানবন্দরে গ্রহণ করে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে সরকার সহযোগিতা করবে। বুধ ও বৃহস্পতিবারের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পরপর তিনটি নির্বাচনে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে মানুষ। দেড় দশকের কর্তৃত্ববাদী শাসন, চাকরিতে বৈষম্য, সীমাহীন দুর্নীতি, ব্যাংক খাতে লুটপাট, বিরোধী মত দমনে গুম, খুন ও নির্যাতনে ক্ষুব্ধ ছিল জনগণ। সেই ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে জুলাইয়ে ছাত্র- জনতার আন্দোলনে।
৪ ঘণ্টা আগেটানা তিনটি জাতীয় নির্বাচনে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে এবং দমনপীড়নের নির্লজ্জ রূপ প্রদর্শন করে ১৫ বছর ৭ মাস প্রধানমন্ত্রিত্ব ধরে রাখার মাধ্যমে শেখ হাসিনা বিশ্বের অন্যতম নিকৃষ্ট স্বৈরাচারী শাসকদের কাতারে নিজের অবস্থান পাকা করেছিলেন।
৪ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারা দেশের বিভিন্ন থানা ও পুলিশের স্থাপনা থেকে লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদের মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৪০০ অস্ত্র ও আড়াই লাখের মতো গোলাবারুদ এক বছরেও উদ্ধার হয়নি। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে খুন, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের...
৪ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে উত্তরার রবীন্দ্র সরোবরে ‘মুগ্ধ মঞ্চ’ নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে নির্মিত মঞ্চটি আজ সোমবার উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদের বীজ যেখানে
৭ ঘণ্টা আগে