কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ থেকে নিয়োগের ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়ে ১২ জুন বিবৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, এইচআরডব্লিউ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দায়িত্ব মানবাধিকার নিয়ে কাজ করার। কিন্তু তারা কোনো এক অদ্ভুত কারণে যুদ্ধাপরাধের বিচারের সময় থেকে ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
আজ রোববার ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আয়োজনটি ছিল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে।
এইচআরডব্লিউকে ডেকে কথা বলা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদের বলা হয়েছে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশের আগে যেন দেখতে দেওয়া হয়। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু তারা তা করেনি। এর পর থেকে সংগঠনের সঙ্গে আর যোগাযোগ না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এসব বিষয়ে ঢাকা সফররত জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারির সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর ১৬৯ জন জীবন দিয়েছেন। এই অবদানকে যাঁরা খাটো করে দেখছেন, ব্যর্থ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন, তাঁরা বাংলাদেশের বন্ধু নন, শত্রু। তাঁরা (কোনো দেশের) কংগ্রেসম্যান, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, যেই হোন—তাঁরা শত্রু।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ সরকার পছন্দ করে না। যারা এটি করে, তাঁদের অতীতেও সরকারের অবস্থানের কথা জানানো হয়েছে। তারপরও অনেকে এটি করে যান। এটি দুঃখজনক। নির্বাচনের সময় পর্যবেক্ষক পাঠানো ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে বিদেশিরা মন্তব্য করুক বা নাক গলাক, সরকার তা চায় না।
২০১৪ সালে বিএনপিবিহীন নির্বাচনের পর এক কূটনীতিক ব্রিফিংয়ে ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছিলেন একটি দেশের রাষ্ট্রদূত। এমনটি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওই সময়ও সরকার চাপে ছিল না। বর্তমানেও নেই। সংবিধান অনুযায়ী সরকারের ম্যান্ডেট যত দিন আছে, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সরকার দ্ব্যর্থহীনভাবে দায়িত্ব পালন করে যাবে। নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার পর বিভিন্ন বিষয় কমিশনের আওতাভুক্ত হয়ে যাবে। সেদিন থেকে সরকার কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কার্যক্রম পালন করবে।
বিদেশি নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি দেশ ছাড়া কেউ নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নীতি দেয়নি। সরকার বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। র্যাব প্রশ্নে ওই দেশের প্রতিনিধিরা বলেছেন যে গত দুই বছরে বেশ উন্নতি হয়েছে। তাহলে তাদের উচিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নতির পরেও যদি এটি প্রত্যাহার না হয়, তাহলে একদিন আমাদের বুঝতে হবে, এর পেছনে নিশ্চয়ই অন্য কোনো কারণ আছে।’
মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের চিঠি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির লোকজন টাকা ও চিঠির খসড়া নিয়ে ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন রাজনীতিবিদের কাছে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এ ধরনের চিঠি কোনো রাষ্ট্রের অবস্থান নয়। যারা চিঠি দিয়েছেন, তাঁরা বাংলাদেশকে ভালোভাবে জানেন কি না, সে ব্যাপারে সংশয় রয়েছে।
বিদেশে নানান কাজে বিদেশি সংগঠনকে নিয়োগ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লবিস্ট বা পিআর ফার্মের পেছনে জনগণের করের টাকা সরকার ব্যয় করতে চায় না। এখন ‘নেলসন মলিন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। আগে বিজিআর নামে পত্রিকায় প্রবন্ধ লেখার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাদের চুক্তি নবায়ন করা হয়নি।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো প্রসঙ্গে শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশ পরীক্ষামূলকভাবে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়। বুঝতে চায় ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অনুষ্ঠানে ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েসও বক্তব্য দেন।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ থেকে নিয়োগের ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়ে ১২ জুন বিবৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, এইচআরডব্লিউ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দায়িত্ব মানবাধিকার নিয়ে কাজ করার। কিন্তু তারা কোনো এক অদ্ভুত কারণে যুদ্ধাপরাধের বিচারের সময় থেকে ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
আজ রোববার ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আয়োজনটি ছিল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে।
এইচআরডব্লিউকে ডেকে কথা বলা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদের বলা হয়েছে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশের আগে যেন দেখতে দেওয়া হয়। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু তারা তা করেনি। এর পর থেকে সংগঠনের সঙ্গে আর যোগাযোগ না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এসব বিষয়ে ঢাকা সফররত জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারির সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর ১৬৯ জন জীবন দিয়েছেন। এই অবদানকে যাঁরা খাটো করে দেখছেন, ব্যর্থ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন, তাঁরা বাংলাদেশের বন্ধু নন, শত্রু। তাঁরা (কোনো দেশের) কংগ্রেসম্যান, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, যেই হোন—তাঁরা শত্রু।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ সরকার পছন্দ করে না। যারা এটি করে, তাঁদের অতীতেও সরকারের অবস্থানের কথা জানানো হয়েছে। তারপরও অনেকে এটি করে যান। এটি দুঃখজনক। নির্বাচনের সময় পর্যবেক্ষক পাঠানো ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে বিদেশিরা মন্তব্য করুক বা নাক গলাক, সরকার তা চায় না।
২০১৪ সালে বিএনপিবিহীন নির্বাচনের পর এক কূটনীতিক ব্রিফিংয়ে ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছিলেন একটি দেশের রাষ্ট্রদূত। এমনটি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওই সময়ও সরকার চাপে ছিল না। বর্তমানেও নেই। সংবিধান অনুযায়ী সরকারের ম্যান্ডেট যত দিন আছে, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সরকার দ্ব্যর্থহীনভাবে দায়িত্ব পালন করে যাবে। নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার পর বিভিন্ন বিষয় কমিশনের আওতাভুক্ত হয়ে যাবে। সেদিন থেকে সরকার কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কার্যক্রম পালন করবে।
বিদেশি নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি দেশ ছাড়া কেউ নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নীতি দেয়নি। সরকার বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। র্যাব প্রশ্নে ওই দেশের প্রতিনিধিরা বলেছেন যে গত দুই বছরে বেশ উন্নতি হয়েছে। তাহলে তাদের উচিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নতির পরেও যদি এটি প্রত্যাহার না হয়, তাহলে একদিন আমাদের বুঝতে হবে, এর পেছনে নিশ্চয়ই অন্য কোনো কারণ আছে।’
মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের চিঠি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির লোকজন টাকা ও চিঠির খসড়া নিয়ে ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন রাজনীতিবিদের কাছে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এ ধরনের চিঠি কোনো রাষ্ট্রের অবস্থান নয়। যারা চিঠি দিয়েছেন, তাঁরা বাংলাদেশকে ভালোভাবে জানেন কি না, সে ব্যাপারে সংশয় রয়েছে।
বিদেশে নানান কাজে বিদেশি সংগঠনকে নিয়োগ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লবিস্ট বা পিআর ফার্মের পেছনে জনগণের করের টাকা সরকার ব্যয় করতে চায় না। এখন ‘নেলসন মলিন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। আগে বিজিআর নামে পত্রিকায় প্রবন্ধ লেখার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাদের চুক্তি নবায়ন করা হয়নি।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো প্রসঙ্গে শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশ পরীক্ষামূলকভাবে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়। বুঝতে চায় ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অনুষ্ঠানে ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েসও বক্তব্য দেন।
নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সদস্যদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো, নূর আলম এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেনেপালের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার। সেখানে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক জানিয়ে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা এবং আহত ব্যক্তিদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছে।
২ ঘণ্টা আগেনেপালে উদ্ভূত পরিস্থিতি ও নিরাপত্তাজনিত কারণে ঢাকা-কাঠমান্ডু রুটের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট আগামীকাল বুধবার বেলা ২টা পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটির জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওঠা আপত্তিকর ভিডিওর অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাঁর নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের (এফআইডি) উপসচিক আফছানা বিলকিস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে