কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে চাপ দেওয়ার পরিবর্তে বাংলাদেশের পশ্চিমা বন্ধুরা দেশটির সঙ্গে ব্যবসা করে যাচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। প্রত্যাবাসনে সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে চীন, রাশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘রোহিঙ্গা ক্রইসিস অ্যান্ড রিপ্যাট্রিয়েশন: ওয়াট ইজ টুবি ডান’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে ডিপ্লোমেটস পত্রিকা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।
সেমিনারে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখওয়াত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ ও অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন।
মিয়ানমার বাংলাদেশের শত্রু নয় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আমাদের প্রতিবেশী। রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে একমত হয়েছিল মিয়ানমার। আমরা শুধু জানতে চেয়েছিলাম যে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে কি-না। আর এর জন্য তিনটি চুক্তি করেছি, যাতে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। সেই সঙ্গে রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ তৈরিতেও রাজি হয়েছে। মিয়ানমার তাদের কথা রাখেনি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা শুরু হয়েছে। কোনো দেশ এগিয়ে আসেনি তাদের উদ্ধার করতে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উদারতা দেখিয়েছে। বহু পশ্চিমা দেশ মানবিক দিক থেকে বাংলাদেশকে সহায়তা দিয়ে আসছে। আর এ দেশগুলোর মধ্যে কিছু দেশের মিয়ানমারের সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক। বিশ্ব ও মানবতার নেতৃবৃন্দ যারা শক্ত ভাবে জাতিগত নিধন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে, তারা ক্রমাগত মিয়ানমারের সঙ্গে ব্যবসা করে যাচ্ছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে পশ্চিমাদের ব্যবসার মাত্রা দেখলে দেখা যায় যে তাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য গত ৪ বছরে ৩ গুন থেকে বেড়ে ১৫ গুনে গিয়েছে। এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়ন যারা শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছে, তাদের অনেক সদস্য রাষ্ট্র মিয়ানমারের সঙ্গে ভালো ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।’
আগে যখন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসেছিল, তখন তাদের ওপর অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন চাপ ছিল উল্লেখ করে আবদুল মোমেন বলেন, ‘পূর্বে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাধ্য হয়েছিল। চীন মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার।’ এ ছাড়া বাংলাদেশের অন্যান্য পশ্চিমা বন্ধু রাষ্ট্রগুলো মিয়ানমারকে চাপ দেওয়ার পরিবর্তে ব্যবসা করে যাচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
প্রত্যাবাসনে রোহিঙ্গাদের বিশ্বাস বাড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের নেতৃত্বে থাকা রাষ্ট্রগুলো, যারা মিয়ানমারের সঙ্গে ভালো ব্যবসা করছে, যেমন চীন, রাশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারতকে এগিয়ে আসতে বলেন তিনি। মিয়ানমারের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা এ দেশগুলোর দায়িত্ব।’
এ সময় এম সাখওয়াত হোসেন বলেন, ‘সাধারণত পশ্চিমা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে থাকে। যদি অস্ত্র বিক্রিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকে, তবে তা মিয়ানমারের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা হবে। কারণ অন্যান্য দেশ অস্ত্র বিক্রি করলেও তার অর্থ বিনিময় করতে পারবে না।’
ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘অঞ্চলের প্রধান শক্তিধর দেশগুলো চীন, ভারত এবং জাপানকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরও জোরালো ভূমিকা রাখতে সংযুক্ত করতে হবে। এ দেশগুলো প্রধান ভূমিকা পালন করতে পারে।’
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে চাপ দেওয়ার পরিবর্তে বাংলাদেশের পশ্চিমা বন্ধুরা দেশটির সঙ্গে ব্যবসা করে যাচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। প্রত্যাবাসনে সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে চীন, রাশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘রোহিঙ্গা ক্রইসিস অ্যান্ড রিপ্যাট্রিয়েশন: ওয়াট ইজ টুবি ডান’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে ডিপ্লোমেটস পত্রিকা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।
সেমিনারে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখওয়াত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ ও অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন।
মিয়ানমার বাংলাদেশের শত্রু নয় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আমাদের প্রতিবেশী। রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে একমত হয়েছিল মিয়ানমার। আমরা শুধু জানতে চেয়েছিলাম যে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে কি-না। আর এর জন্য তিনটি চুক্তি করেছি, যাতে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। সেই সঙ্গে রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ তৈরিতেও রাজি হয়েছে। মিয়ানমার তাদের কথা রাখেনি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা শুরু হয়েছে। কোনো দেশ এগিয়ে আসেনি তাদের উদ্ধার করতে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উদারতা দেখিয়েছে। বহু পশ্চিমা দেশ মানবিক দিক থেকে বাংলাদেশকে সহায়তা দিয়ে আসছে। আর এ দেশগুলোর মধ্যে কিছু দেশের মিয়ানমারের সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক। বিশ্ব ও মানবতার নেতৃবৃন্দ যারা শক্ত ভাবে জাতিগত নিধন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে, তারা ক্রমাগত মিয়ানমারের সঙ্গে ব্যবসা করে যাচ্ছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে পশ্চিমাদের ব্যবসার মাত্রা দেখলে দেখা যায় যে তাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য গত ৪ বছরে ৩ গুন থেকে বেড়ে ১৫ গুনে গিয়েছে। এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়ন যারা শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছে, তাদের অনেক সদস্য রাষ্ট্র মিয়ানমারের সঙ্গে ভালো ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।’
আগে যখন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসেছিল, তখন তাদের ওপর অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন চাপ ছিল উল্লেখ করে আবদুল মোমেন বলেন, ‘পূর্বে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাধ্য হয়েছিল। চীন মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার।’ এ ছাড়া বাংলাদেশের অন্যান্য পশ্চিমা বন্ধু রাষ্ট্রগুলো মিয়ানমারকে চাপ দেওয়ার পরিবর্তে ব্যবসা করে যাচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
প্রত্যাবাসনে রোহিঙ্গাদের বিশ্বাস বাড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের নেতৃত্বে থাকা রাষ্ট্রগুলো, যারা মিয়ানমারের সঙ্গে ভালো ব্যবসা করছে, যেমন চীন, রাশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারতকে এগিয়ে আসতে বলেন তিনি। মিয়ানমারের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা এ দেশগুলোর দায়িত্ব।’
এ সময় এম সাখওয়াত হোসেন বলেন, ‘সাধারণত পশ্চিমা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে থাকে। যদি অস্ত্র বিক্রিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকে, তবে তা মিয়ানমারের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা হবে। কারণ অন্যান্য দেশ অস্ত্র বিক্রি করলেও তার অর্থ বিনিময় করতে পারবে না।’
ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘অঞ্চলের প্রধান শক্তিধর দেশগুলো চীন, ভারত এবং জাপানকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরও জোরালো ভূমিকা রাখতে সংযুক্ত করতে হবে। এ দেশগুলো প্রধান ভূমিকা পালন করতে পারে।’
পরপর তিনটি নির্বাচনে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে মানুষ। দেড় দশকের কর্তৃত্ববাদী শাসন, চাকরিতে বৈষম্য, সীমাহীন দুর্নীতি, ব্যাংক খাতে লুটপাট, বিরোধী মত দমনে গুম, খুন ও নির্যাতনে ক্ষুব্ধ ছিল জনগণ। সেই ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে জুলাইয়ে ছাত্র- জনতার আন্দোলনে।
৪ ঘণ্টা আগেটানা তিনটি জাতীয় নির্বাচনে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে এবং দমনপীড়নের নির্লজ্জ রূপ প্রদর্শন করে ১৫ বছর ৭ মাস প্রধানমন্ত্রিত্ব ধরে রাখার মাধ্যমে শেখ হাসিনা বিশ্বের অন্যতম নিকৃষ্ট স্বৈরাচারী শাসকদের কাতারে নিজের অবস্থান পাকা করেছিলেন।
৪ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারা দেশের বিভিন্ন থানা ও পুলিশের স্থাপনা থেকে লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদের মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৪০০ অস্ত্র ও আড়াই লাখের মতো গোলাবারুদ এক বছরেও উদ্ধার হয়নি। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে খুন, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের...
৪ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে উত্তরার রবীন্দ্র সরোবরে ‘মুগ্ধ মঞ্চ’ নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে নির্মিত মঞ্চটি আজ সোমবার উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদের বীজ যেখানে
৭ ঘণ্টা আগে