Ajker Patrika

বিবাহবিচ্ছেদের পর সন্তান কার কাছে থাকবে

সুলতান মাহমুদ
আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১: ৩৮
বিবাহবিচ্ছেদের পর সন্তান কার কাছে থাকবে

দেশে বিবাহবিচ্ছেদের হার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এক বছরের ব্যবধানে বিচ্ছেদের হার বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ২০২২ সালে দেশে তালাকের হার ছিল প্রতি হাজারে ১ দশমিক ৪। আর ২০২১ সালে এই হার ছিল প্রতি হাজারে শূন্য দশমিক ৭।

গ্রামে তালাকের প্রবণতা বেশি বেড়েছে। গত বছর গ্রামাঞ্চলে প্রতি হাজারে ১ দশমিক ৫টি আর শহরে হাজারে ১টি বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। ডেমোগ্রাফি অ্যান্ড হেলথ উইংয়ের উপপরিচালক মো. আলমগীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য দিয়েছেন।

অনেক সময় মা-বাবার বিচ্ছেদের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হয় সন্তান। অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের প্রাথমিক আশ্রয় হয় দাদা-দাদি অথবা নানা-নানি। এরপর শুরু হয় অভিভাবকত্ব নিয়ে রশি টানাটানি। সন্তান বাবা নাকি মায়ের কাছে থাকবে—এ নিয়ে বিরোধ শেষ পর্যন্ত আদালতে গড়ায়। সম্প্রতি হাইকোর্টে জাপানি মা ও বাংলাদেশি বাবার মধ্যে তাঁদের তিন সন্তানের অভিভাবকত্ব নিয়ে চলা মামলা সারা দেশে আলোচিত হয়েছে।

বিবাহবিচ্ছেদ হলে সন্তান কার কাছে থাকবে
মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী, বাবা অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের আইনত অভিভাবক। মা হচ্ছেন সন্তানের তত্ত্বাবধায়ক বা জিম্মাদার। নাবালক সন্তানের কল্যাণের বিষয়টি চিন্তা করে দেশে প্রচলিত মুসলিম আইন অনুযায়ী, মাকে নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত সন্তানের জিম্মাদারির অধিকার দেওয়া হয়েছে। ছেলেশিশুকে সাত বছর এবং মেয়েশিশুকে তার বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত মা জিম্মায় রাখার অধিকারী।

তবে নাবালক সন্তান যারই তত্ত্বাবধানে থাকুক না কেন, সন্তানের খোঁজখবর নেওয়া, দেখাশোনা এবং ভরণপোষণের দায়িত্ব কিন্তু অভিভাবক হিসেবে বাবার।

সন্তানের ভালোর জন্য যদি তাকে মায়ের জিম্মায় আরও বেশি সময় রাখার প্রয়োজন হয়, সে ক্ষেত্রে আইন নির্ধারিত বয়সসীমার পরও মা সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে পারবেন। তবে এ জন্য ক্ষেত্রবিশেষে আদালতের অনুমতির প্রয়োজন হতে পারে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, পুরোনো আইনে ছেলেশিশুকে সাত বছর এবং মেয়েশিশুকে তার বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত মায়ের জিম্মায় থাকার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের সর্বশেষ একাধিক সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে পুরোনো আইন এখন আর দেখা যাবে না। এখন দেখতে হবে সন্তানের সবচেয়ে বেশি আগ্রহের বিষয়টি। আদালত বলেছেন, প্রত্যেকটি মামলা আলাদা আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে শিশুটি কোথায় সবচেয়ে ভালো থাকবে। আদালত শিশুকে বাবা কিংবা মা যে কারও জিম্মায় দিতে পারেন। এমনকি দাদা-দাদি কিংবা নানা-নারির কাছে দেওয়া যেতে পারে।

মা কখন সন্তানের জিম্মাদারির অধিকার হারান 

 ১. মা নীতিহীন জীবন যাপন করলে। 

 ২. সন্তানের প্রতি অবহেলা করলে এবং দায়িত্ব পালনে অপারগ হলে। 

 ৩. যদি তিনি ইসলাম ছেড়ে অন্য কোনো ধর্ম গ্রহণ করেন। 

 ৪. যদি সন্তানের বাবাকে তাঁর জিম্মায় থাকা অবস্থায় (উপযুক্ত কারণ ছাড়া) সন্তানকে দেখতে না দেন। 

 ৭. মা দ্বিতীয় বিয়ে করলে। 

এ বিষয়ে আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ‘মা যদি জিম্মাদার হন এবং তিনি আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘন করেন—তাহলে জিম্মাদারি হারাতে পারেন। তা ছাড়া মা যদি শিশুর ওপর কোনো ধরনের নির্যাতন করেন, আর বাবা যদি আদালতকে বিষয়টি অবহিত করেন তাহলে আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন শিশু মায়ের জিম্মায় থাকবে কি না।’ 

অভিভাবক হিসেবে বাবা কখন অযোগ্য হবেন
অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০-এর ১৯ ধারা অনুযায়ী বাবা অভিভাবক হিসেবে অযোগ্য গণ্য হতে পারেন। চারিত্রিকভাবে অসৎ হলে, যদি মাদকাসক্ত হন, শিশুর প্রতি অমানবিক আচরণ করলে, ফের বিয়ে করলে এবং নাবালক সন্তানের ভরণপোষণ দিতে অবহেলা করলে বাবা অভিভাবক হিসেবে অযোগ্য গণ্য হতে পারেন। 

১৭ ডিএলআর ১৩৪ অনুযায়ী, মায়ের জিম্মায় থাকাকালে সন্তানের বাবা যদি ভরণপোষণ বহন না করেন, সে ক্ষেত্রে মা সন্তানকে বাবার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করাতে বাধ্য নন বলে অভিমত দেওয়া আছে। 

সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে না দিলে কী করবেন
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও আইন অনুযায়ী সন্তানের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। বিচ্ছেদের পর সন্তান যার কাছেই থাকুক না কেন, মা কিংবা বাবার সমান অধিকার রয়েছে সন্তানের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করার। তালাকের পর কোনো পক্ষ সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে না দিলে পারিবারিক আদালতের আশ্রয় নিতে হবে। 

পারিবারিক আদালত তখন আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবেন—সন্তান কার কাছে থাকবে। আদালতের ক্ষমতা রয়েছে সন্তানের কল্যাণের দিকটি বিবেচনা করার। আদালত সন্তানের সুস্থ-স্বাভাবিক বিকাশের দিকটি বিবেচনা করে বাবা বা মা, যে কারও কাছে রাখার জন্য আদেশ দিতে পারেন। অনেক সময় সন্তানের যদি ভালো-মন্দ বোঝার মতো সক্ষমতা থাকে, তাহলে সন্তানের মতামতকেও আদালত গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। 

আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেছেন, ‘আদালত বলেছেন, সন্তানকে দেখার অধিকার থেকে মা কিংবা বাবাকে বঞ্চিত করা যাবে না। অর্থাৎ, সন্তান বাবার কাছে থাকলে মাকে দেখা করতে দিতে হবে, আবার মায়ের কাছে থাকলে বাবার সঙ্গে দেখা করতে দিতে হবে। মাসে কয়দিন দেখা করবে এবং কোথায় দেখা করবে তা যদি সন্তানের মা-বাবা সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন, তাহলে আদালত নির্ধারণ করে দেবেন।’

কখন পারিবারিক আদালতের আশ্রয় নেবেন
দম্পতির বিচ্ছেদের পরে সন্তানের অভিভাবকত্ব ও তত্ত্বাবধান নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে পারিবারিক আদালতে আশ্রয় নেওয়া যাবে। পারিবারিক আদালত তখন আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে, সন্তান কার কাছে থাকবে। তবে আইনের পাশাপাশি আদালতের ক্ষমতা রয়েছে সন্তানের কল্যাণের দিকটি বিবেচনা করা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।’ আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ‘হল অব প্রাইডে’ বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এ দেশের আপামর জনগণ, রাজনৈতিক দলসহ সর্বমহলের প্রত্যাশা পূরণের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব পুলিশের কাঁধে। সবার প্রত্যাশা—বাংলাদেশ পুলিশ সামনের জাতীয় নির্বাচনে এমন এক মানদণ্ড স্থাপন করবে, যা শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসিত হবে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশ সহ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘আইনের প্রয়োগ শুধু শক্তি দিয়ে নয়, ন্যায়, নিষ্ঠা ও মানবিকতা দিয়েও প্রতিষ্ঠিত হয়।’ পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী মাঠে আপনারা কেবল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী নন; আপনারা জনগণের নিরাপত্তা, আস্থা ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার প্রতীক।’

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পুলিশের বিভিন্ন রেঞ্জের ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও জেলার পুলিশ সুপারগণ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক বিকেলে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ০২
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবেন কমিশনের সদস্যরা। আজ সোমবার বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

কমিশন সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশন সভাপতির সঙ্গে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে তৈরি করা সুপারিশের ড্রাফটের বিষয়ে আলোচনা হবে এই বৈঠকে। সভাপতির মতামতের ভিত্তিতে সুপারিশের খসড়ায় সংযোজন-বিয়োজন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়ের পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ তৈরি করে পরে সরকারের কাছে জমা দেবে। অন্যদিকে খসড়ায় নতুন করে সংশোধনী না থাকলে আজই সেটি সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে।

কমিশনের এক সদস্য বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।’

কমিশন সূত্র জানায়, সনদ বাস্তবায়নে কমিশন সুপারিশের যে রূপরেখা ঠিক করেছে, তাতে প্রথমে একটি আদেশ জারি করা হবে। গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ নামে এই আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। বাস্তবায়নের পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে।

আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিক এবং কিছু কিছু বিষয় পরবর্তীকালে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে তা উল্লেখ থাকবে।

জুলাই সনদের ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। তবে সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের বিষয় উল্লেখ থাকবে না। শুধু কমিশনের ৮৪টি প্রস্তাব অথবা সিদ্ধান্তের উল্লেখ থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তথ্য উপদেষ্টার মন্তব্যে ‘বিভ্রান্তি দূর করতে’ অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ৫৬
তথ্য উপদেষ্টার মন্তব্যে ‘বিভ্রান্তি দূর করতে’ অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।

গতকাল রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভা নভেম্বরেই শেষ হয়ে যাবে—বলে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মন্তব্য নিয়ে ‘বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ায়’ সরকার এই বিবৃতি দিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে দেওয়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব মাহফুজ আলম উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘বস্তুত, সরকারের গৃহীত সংস্কার ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে এটা সঠিক নয়, বরং সংস্কার কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে চলমান থাকবে। এ ছাড়া, উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করা পর্যন্ত নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে।’

এর আগে, গতকাল তথ্য উপদেষ্টা ডিআরইউতে বলেছিলেন, ‘সংস্কার কমিশন থেকে ২৩টি আশু বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাব তোলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়ন করছে। নভেম্বরে কেবিনেট ক্লোজ হয়ে যাবে, যা করার আগামী মাসের মধ্যে করতে চাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: চূড়ান্ত ৪২৭৬১ ভোটকেন্দ্র, কক্ষ ২৪৪৬৪৯টি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ১৭
নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯। এর মধ্যে পুরুষের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭টি এবং নারীর জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ।

আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

সচিব আরও জানান, অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে ১৪টি এবং প্রায় ১২ হাজার অস্থায়ী ভোটকক্ষ থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত