
দেশের মহাসড়কগুলোতে এখন আতঙ্কের নাম ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ তিন চাকার যান। এসব নিষিদ্ধ যানবাহন প্রায়ই দূরপাল্লার বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে। অনেক সড়কে উল্টো পথে চলছে বেপরোয়া গতিতে। ফলে দূরপাল্লার যানবাহনের গতি কমার পাশাপাশি প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে প্রাণ হারাচ্ছে বহু মানুষ। হাইওয়ে পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব পালনে গাফিলতির কারণে এসব অবৈধ গাড়িতে মহাসড়ক ভরে যাচ্ছে বলে যাত্রীসহ সচেতন নাগরিকেরা অভিযোগ করেছেন।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ এবং বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘আমরা গতি বাড়ানোর জন্যই কিন্তু এত টাকা বিনিয়োগ করে মহাসড়ক করছি। কিন্তু সেই মহাসড়কের যে প্রোডাকটিভিটি থাকার কথা, সেটা তো আমরা পাচ্ছি না। কারণ, এই ধরনের বিশৃঙ্খল, ফিটনেসবিহীন, অবৈজ্ঞানিক, অননুমোদিত এবং অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন মহাসড়কে চলছে।’
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬ হাজার ৯২৭টি। এগুলোর মধ্যে মহাসড়কে ঘটেছে ২ হাজার ৩৫৭টি, যা মোট সংখ্যার ৩৪ শতাংশ। তিন চাকার যানবাহনে দুর্ঘটনার সংখ্যা (ইজিবাইক-সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-অটো ভ্যান-মিশুক ইত্যাদি) ২ হাজার ১৮৫টি। দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যায় শীর্ষ অবস্থানে আছে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের মতো যানবাহন, যা মোট সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ। এ ছাড়া অন্য যানবাহনের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ৬৩৭টি। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এই অঞ্চলে ১ হাজার ৫৮২টি দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৮৪০ জন নিহত হয়েছে।
গত ২৭ মার্চ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গাবতলী থেকে নবীনগর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে দেখা যায়, একমুখী রাস্তায় উভয় দিকেই গাড়ি চলাচল করছে; বিশেষ করে ব্যাটারিচালিত রিকশা, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও মোটরসাইকেলগুলোকে উল্টো সড়কে চলতে দেখা যায় বেশি। মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন নিষিদ্ধ হলেও সড়কজুড়ে ব্যাটারিচালিত রিকশার দৌরাত্ম্য রয়েছে। রাস্তার ওপর যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলোকে কখনো কখনো রাস্তার মাঝ ধরেই উল্টো পথে আসতে দেখা যায়। আমিনবাজার থেকে সাভার পর্যন্ত এমন অনিয়ম বেশি দেখা যায়।
হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন এলাকায় একজন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক জানান, ইউটার্ন দূরে হওয়ার কারণে উল্টো পথ দিয়েই আসেন তাঁরা। এতে সময় বেঁচে যায়।
রিকশাচালক আলাউদ্দিন বলেন, ‘মহাসড়কে রিকশা অবৈধ, এটা আমি জানি না। আমি তো একা চালাই না, অনেকেই চালায়। তা ছাড়া আমরা তো পুলিশের সামনেই চালাচ্ছি। পুলিশ তো কিছু বলে না।’ পুলিশকে কোনো টাকা দিতে হয় কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘না।’
ঢাকা-উত্তরবঙ্গ
জানা যায়, টাঙ্গাইল সড়ক বিভাগের অধীনে ১৩৩ দশমিক ২৫ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক, ৫৭ দশমিক ৯০ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং ৩৮৭ দশমিক ৪০ কিলোমিটার জেলা মহাসড়ক রয়েছে। এই মহাসড়কগুলোতে বাস, ট্রাকসহ ভারী যানবাহনের পাশাপাশি ব্যাটারিচালিত রিকশা, নছিমন চলাচল করছে অবাধে।
সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের আশেকপুর বাইপাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া গ্রামের প্রদীপ পাল। টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের মধুপুরের গোলাবাড়ী নামক স্থানে বেপরোয়া ট্রাকের চাপায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক আব্দুল গফুর, শিক্ষার্থী রুহুল আমিন রনি ও রুহুল আমিন নিহত হন।
বগুড়া-ঢাকা, বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের বগুড়া জেলায় ছয় লেনের মহাসড়ক রয়েছে ৬৮ কিলোমিটার। এই মহাসড়কে সিএনজিচালিত ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলের জন্য পৃথক লেন রয়েছে। কিন্তু দেখা গেছে, সেই লেনে চলাচল না করে এসব যান মূল মহাসড়কেই চলছে। এ ছাড়া বগুড়া-নাটোর মহাসড়ক ও বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কেও একই চিত্র। মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, বাস-ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহনের চেয়ে নিষিদ্ধ এসব যানবাহনের সংখ্যাই বেশি। বগুড়ার শেরপুর ও নন্দীগ্রামে দুটি হাইওয়ে থানা থাকলেও হাইওয়ে পুলিশের তেমন তৎপরতা দেখা যায় না নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে। অনেক সময় দেখা যায়, হাইওয়ে পুলিশের সামনে দিয়েই এসব যানবাহন চলাচল করছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম
বুধবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঘুরে দেখা গেছে, নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড, চিটাগাং রোড, কাঁচপুর, মদনপুর পর্যন্ত সড়কে দাপটের সঙ্গে চলাচল করছে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক। পুলিশের নজরদারি না থাকায় ইজিবাইকের এমন বেপরোয়া চলাচল।
চার লেনের মহাসড়কের সাইড লেন ছেড়ে দিতে হচ্ছে ইজিবাইকচালকদের জন্য। ফলে প্রশস্ত সড়ক পেয়েও তা ব্যবহার করতে পারছে না দ্রুতগতির যানবাহন। এ ছাড়া বিভিন্ন শাখা সড়কের মোড়ে যাত্রীর অপেক্ষায় ইজিবাইক দাঁড় করিয়ে রাখা এবং যাত্রী ওঠানো-নামানো হচ্ছে।
মনজিল বাসের চালক আজিজ বলেন, ‘মহাসড়কে আমরা চলি অনেক দ্রুত। আর ইজিবাইক চলে আস্তে আস্তে। এর মধ্যে কয়েকটা উল্টো পথে চালায়। ওদের জন্য আমাদের চলাচলে সমস্যা হয়। রাস্তায় বারবার ব্রেক করা লাগে। দিনের বেলা দেখা যায়, রাতে তো অ্যাক্সিডেন্ট হয় প্রায়ই।’

গত ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর ব্রিজে উল্টো পথে আসা ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে ইজিবাইক চালকসহ যাত্রী মা ও ছেলে নিহত হন। ৮ এপ্রিল রাত ৯টায় ঢাকাগামী ইম্পেরিয়াল এক্সপ্রেসের সঙ্গে উল্টো পথে আসা ইজিবাইকের সংঘর্ষ হয় ৷ এতে ইজিবাইকচালকসহ ৬ জন গুরুতর আহত হয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কুমিল্লার ১০৪ কিলোমিটার। দাউদকান্দি মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল প্লাজা থেকে চৌদ্দগ্রামে আমজাদের বাজার পর্যন্ত এই অংশে ব্যস্ততম বাইপাস, চৌমুহনী, বাজার এবং বাস স্টপেজগুলোতে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ তিন চাকার গাড়ির সংখ্যাই বেশি। কোনো নিয়মনীতি ছাড়াই মহাসড়ক দাবড়ে বেড়াচ্ছে মহাসড়কে।
কুমিল্লা জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটি জেলার তিন চাকার যানবাহনপ্রবণ ১২টি স্থান চিহিত করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাজার, ইলিয়টগঞ্জ বাজার, বলদা খাল, গোমতী-মেঘনা সেতুর টোল পয়েন্ট, শহীদ নগর; চান্দিনা উপজেলার মাদাইয়া বাজার ও চান্দিনা বাগুর বাসস্ট্যান্ড; বুড়িচং উপজেলার নিমসার বাজার; আদর্শ সদর উপজেলার ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট মোড় ও আলেখারচর; সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড, সুয়াগাজী বাজার ও কোটবাড়ি ইউটার্ন; চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চৌদ্দগ্রাম বাজার, চিওড়া বাজার, মিয়াবাজার ও বাবুর্চি বাজার।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কের ওই সব এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নিষিদ্ধ যান। অনেক সময় চলন্ত গাড়ি সংকেত দিয়ে দাঁড় করিয়ে মহাসড়কে পারাপার হচ্ছে এসব যান।
ঢাকা-ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ বিআরটিএ কার্যালয়ের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ৩২৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬৫ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং আহত হয়েছে ৪৫৯ জন। বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটেছে বাসের সঙ্গে থ্রি-হুইলারের।
গতকাল রোববার দিনভর মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, ময়মনসিংহ নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ, ঢাকা বাইপাস, দীঘারকান্দা, চুরখাই, বইলর, ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড, রাঘামারা, ভরাডোবা, ভালুকা বাসস্ট্যান্ড, সীডস্টোর, মাস্টারবাড়ী, জয়নাবাজারসহ বেশ কয়েকটি স্থানে রয়েছে অটোরিকশার জট। বাইপাস ও চরপাড়া মোড় থেকে ত্রিশাল অভিমুখে ছেড়ে যেতে দেখা যায় তিন চাকার সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মাহিন্দ্র নামে পরিচিত (কালো) অটোরিকশা। এসবের চালকেরা দূরপাল্লার বাস ও ট্রাকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাঁদের বাহনটি চালাচ্ছেন মহাসড়কে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রীপুর উপজেলার গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি বাজার থেকে জৈনা বাজার পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে গিজগিজ করে চলছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। বিশেষ করে জৈনা বাজার, নয়নপুর, এমসি, মাওনা, গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি, মাধখলা বাজার বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকে শত শত তিন চাকার যান। মহাসড়কের একটি লেন সব সময় অটোরিকশাচালকদের দখলে থাকে। সড়কের পুরোটাজুড়ে দূরপাল্লার পরিবহনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলাচল করে। সামনে অটোরিকশা পড়ায় দূরপাল্লার পরিবহনগুলোকে ধীরগতিতে চলাচল করতে দেখা যায়। অনেক বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানো হয়।
প্রভাতী পরিবহনের বাসচালক আব্দুল হাই বলেন, ‘আমরা সব সময় ভয়ে থাকি অটোরিকশার জন্য। ওদের নাই কোনো প্রশিক্ষণ। যত্রতত্র এদিক-সেদিক ঘুরিয়ে ফেলার কারণে দুর্ঘটনার শিকার হয়।’
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী ব্রিজ থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকা পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশে ৩০টি অটোরিকশার স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। মহাসড়ক পেরিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ঠাসা থাকে শাখা সড়কগুলো। টঙ্গী বাজার, স্টেশন রোড, টঙ্গী পূর্ব থানার প্রধান ফটকে, চেরাগ আলী, কলেজ গেট, হোসেন মার্কেট, এরশাদ নগর, খাঁ পাড়া সড়ক, গাজীপুরা বাসস্ট্যান্ড, তারগাছ, বোর্ডবাজার, কলমেশ্বর, ভোগড়া বাইপাস, চৌরাস্তা এলাকা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত থেমে থেমে এসব যানবাহনের জটলা দেখা যায়।
প্রযুক্তি নেই, সরাসরি নজরদারিও নেই
মহাসড়কে অব্যবস্থাপনা নিয়ে জানতে চাইলে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, মহাসড়কের অনিয়মগুলো পর্যবেক্ষণ করার জন্য সার্ভিল্যান্স ক্যামেরা থাকতে হয়, স্পিড ক্যামেরা থাকতে হয়। প্রযুক্তির সাহায্য নিলে এগুলো সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু আমাদের মহাসড়কগুলোতে এর ব্যবস্থা খুব একটা নেই। তিনি বলেন, এখন প্রযুক্তিগত নজরদারিও হচ্ছে না, সরাসরি নজরদারিও করছে না পুলিশ। ফলে মানুষের মধ্যে আইন ভাঙার প্রবণতা বেশি। ফলে দুর্ঘটনা বাড়ছে। অতএব প্রযুক্তিগত নজরদারির ব্যবস্থা নিতে হবে, সে অনুযায়ী আইনও প্রয়োগ করতে হবে। আইন আসলে মানার বিষয়, মানুষ আইন মানতে চায় না। আইন মানার বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরি।
বিশেষজ্ঞরা যা বলেন
শুধু অবকাঠামো তৈরি করে আসলেই দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব নয় জানিয়ে বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধ করতে আমাদের অবশ্যই সমন্বিত পদক্ষেপ লাগবে। কারণ, দুর্ঘটনা কোনো একক কারণে হয় না। যানবাহন থেকে শুরু করে যারা সড়কের ব্যবহারকারী আছে, সবাইকে সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি আমি সবচেয়ে বড় কথা বলব, সড়ক আমি যতই প্রশস্ত করি না কেন, সড়কের দুই পাশে ভূমি ব্যবস্থাপনার ওপর যদি আমরা নিয়ন্ত্রণ না করতে পারি, এই সড়ক সাময়িক কিছুটা স্বস্তি দিলেও এটা খুব দ্রুত ব্ল্যাক স্পটে পরিণত হয়ে যাবে। সেটা যেন না হতে পারে, তার জন্য অবশ্যই আমাদের পলিসি লাগবে। ভূমি ব্যবহারের ওপরে নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। নতুবা শুধু সড়ক নড়াচড়া করে আসলে এই দুর্ঘটনা কমবে না।’
হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ তিন চাকার যান থাকার কথা না। যদি থাকে, তাহলে এসব গাড়ি উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্টো পথে গাড়ি চালালেই মামলা দেওয়া হবে।’
[প্রতিবেদন তৈরি করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা এবং টাঙ্গাইল, বগুড়া, ময়মনসিংহ, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রায়পুরা, টঙ্গী ও শ্রীপুর প্রতিনিধি]

দেশের মহাসড়কগুলোতে এখন আতঙ্কের নাম ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ তিন চাকার যান। এসব নিষিদ্ধ যানবাহন প্রায়ই দূরপাল্লার বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে। অনেক সড়কে উল্টো পথে চলছে বেপরোয়া গতিতে। ফলে দূরপাল্লার যানবাহনের গতি কমার পাশাপাশি প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে প্রাণ হারাচ্ছে বহু মানুষ। হাইওয়ে পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব পালনে গাফিলতির কারণে এসব অবৈধ গাড়িতে মহাসড়ক ভরে যাচ্ছে বলে যাত্রীসহ সচেতন নাগরিকেরা অভিযোগ করেছেন।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ এবং বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘আমরা গতি বাড়ানোর জন্যই কিন্তু এত টাকা বিনিয়োগ করে মহাসড়ক করছি। কিন্তু সেই মহাসড়কের যে প্রোডাকটিভিটি থাকার কথা, সেটা তো আমরা পাচ্ছি না। কারণ, এই ধরনের বিশৃঙ্খল, ফিটনেসবিহীন, অবৈজ্ঞানিক, অননুমোদিত এবং অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন মহাসড়কে চলছে।’
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬ হাজার ৯২৭টি। এগুলোর মধ্যে মহাসড়কে ঘটেছে ২ হাজার ৩৫৭টি, যা মোট সংখ্যার ৩৪ শতাংশ। তিন চাকার যানবাহনে দুর্ঘটনার সংখ্যা (ইজিবাইক-সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-অটো ভ্যান-মিশুক ইত্যাদি) ২ হাজার ১৮৫টি। দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যায় শীর্ষ অবস্থানে আছে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের মতো যানবাহন, যা মোট সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ। এ ছাড়া অন্য যানবাহনের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ৬৩৭টি। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এই অঞ্চলে ১ হাজার ৫৮২টি দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৮৪০ জন নিহত হয়েছে।
গত ২৭ মার্চ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গাবতলী থেকে নবীনগর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে দেখা যায়, একমুখী রাস্তায় উভয় দিকেই গাড়ি চলাচল করছে; বিশেষ করে ব্যাটারিচালিত রিকশা, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও মোটরসাইকেলগুলোকে উল্টো সড়কে চলতে দেখা যায় বেশি। মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন নিষিদ্ধ হলেও সড়কজুড়ে ব্যাটারিচালিত রিকশার দৌরাত্ম্য রয়েছে। রাস্তার ওপর যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলোকে কখনো কখনো রাস্তার মাঝ ধরেই উল্টো পথে আসতে দেখা যায়। আমিনবাজার থেকে সাভার পর্যন্ত এমন অনিয়ম বেশি দেখা যায়।
হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন এলাকায় একজন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক জানান, ইউটার্ন দূরে হওয়ার কারণে উল্টো পথ দিয়েই আসেন তাঁরা। এতে সময় বেঁচে যায়।
রিকশাচালক আলাউদ্দিন বলেন, ‘মহাসড়কে রিকশা অবৈধ, এটা আমি জানি না। আমি তো একা চালাই না, অনেকেই চালায়। তা ছাড়া আমরা তো পুলিশের সামনেই চালাচ্ছি। পুলিশ তো কিছু বলে না।’ পুলিশকে কোনো টাকা দিতে হয় কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘না।’
ঢাকা-উত্তরবঙ্গ
জানা যায়, টাঙ্গাইল সড়ক বিভাগের অধীনে ১৩৩ দশমিক ২৫ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক, ৫৭ দশমিক ৯০ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং ৩৮৭ দশমিক ৪০ কিলোমিটার জেলা মহাসড়ক রয়েছে। এই মহাসড়কগুলোতে বাস, ট্রাকসহ ভারী যানবাহনের পাশাপাশি ব্যাটারিচালিত রিকশা, নছিমন চলাচল করছে অবাধে।
সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের আশেকপুর বাইপাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া গ্রামের প্রদীপ পাল। টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের মধুপুরের গোলাবাড়ী নামক স্থানে বেপরোয়া ট্রাকের চাপায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক আব্দুল গফুর, শিক্ষার্থী রুহুল আমিন রনি ও রুহুল আমিন নিহত হন।
বগুড়া-ঢাকা, বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের বগুড়া জেলায় ছয় লেনের মহাসড়ক রয়েছে ৬৮ কিলোমিটার। এই মহাসড়কে সিএনজিচালিত ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলের জন্য পৃথক লেন রয়েছে। কিন্তু দেখা গেছে, সেই লেনে চলাচল না করে এসব যান মূল মহাসড়কেই চলছে। এ ছাড়া বগুড়া-নাটোর মহাসড়ক ও বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কেও একই চিত্র। মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, বাস-ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহনের চেয়ে নিষিদ্ধ এসব যানবাহনের সংখ্যাই বেশি। বগুড়ার শেরপুর ও নন্দীগ্রামে দুটি হাইওয়ে থানা থাকলেও হাইওয়ে পুলিশের তেমন তৎপরতা দেখা যায় না নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে। অনেক সময় দেখা যায়, হাইওয়ে পুলিশের সামনে দিয়েই এসব যানবাহন চলাচল করছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম
বুধবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঘুরে দেখা গেছে, নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড, চিটাগাং রোড, কাঁচপুর, মদনপুর পর্যন্ত সড়কে দাপটের সঙ্গে চলাচল করছে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক। পুলিশের নজরদারি না থাকায় ইজিবাইকের এমন বেপরোয়া চলাচল।
চার লেনের মহাসড়কের সাইড লেন ছেড়ে দিতে হচ্ছে ইজিবাইকচালকদের জন্য। ফলে প্রশস্ত সড়ক পেয়েও তা ব্যবহার করতে পারছে না দ্রুতগতির যানবাহন। এ ছাড়া বিভিন্ন শাখা সড়কের মোড়ে যাত্রীর অপেক্ষায় ইজিবাইক দাঁড় করিয়ে রাখা এবং যাত্রী ওঠানো-নামানো হচ্ছে।
মনজিল বাসের চালক আজিজ বলেন, ‘মহাসড়কে আমরা চলি অনেক দ্রুত। আর ইজিবাইক চলে আস্তে আস্তে। এর মধ্যে কয়েকটা উল্টো পথে চালায়। ওদের জন্য আমাদের চলাচলে সমস্যা হয়। রাস্তায় বারবার ব্রেক করা লাগে। দিনের বেলা দেখা যায়, রাতে তো অ্যাক্সিডেন্ট হয় প্রায়ই।’

গত ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর ব্রিজে উল্টো পথে আসা ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে ইজিবাইক চালকসহ যাত্রী মা ও ছেলে নিহত হন। ৮ এপ্রিল রাত ৯টায় ঢাকাগামী ইম্পেরিয়াল এক্সপ্রেসের সঙ্গে উল্টো পথে আসা ইজিবাইকের সংঘর্ষ হয় ৷ এতে ইজিবাইকচালকসহ ৬ জন গুরুতর আহত হয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কুমিল্লার ১০৪ কিলোমিটার। দাউদকান্দি মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল প্লাজা থেকে চৌদ্দগ্রামে আমজাদের বাজার পর্যন্ত এই অংশে ব্যস্ততম বাইপাস, চৌমুহনী, বাজার এবং বাস স্টপেজগুলোতে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ তিন চাকার গাড়ির সংখ্যাই বেশি। কোনো নিয়মনীতি ছাড়াই মহাসড়ক দাবড়ে বেড়াচ্ছে মহাসড়কে।
কুমিল্লা জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটি জেলার তিন চাকার যানবাহনপ্রবণ ১২টি স্থান চিহিত করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাজার, ইলিয়টগঞ্জ বাজার, বলদা খাল, গোমতী-মেঘনা সেতুর টোল পয়েন্ট, শহীদ নগর; চান্দিনা উপজেলার মাদাইয়া বাজার ও চান্দিনা বাগুর বাসস্ট্যান্ড; বুড়িচং উপজেলার নিমসার বাজার; আদর্শ সদর উপজেলার ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট মোড় ও আলেখারচর; সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড, সুয়াগাজী বাজার ও কোটবাড়ি ইউটার্ন; চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চৌদ্দগ্রাম বাজার, চিওড়া বাজার, মিয়াবাজার ও বাবুর্চি বাজার।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কের ওই সব এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নিষিদ্ধ যান। অনেক সময় চলন্ত গাড়ি সংকেত দিয়ে দাঁড় করিয়ে মহাসড়কে পারাপার হচ্ছে এসব যান।
ঢাকা-ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ বিআরটিএ কার্যালয়ের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ৩২৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬৫ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং আহত হয়েছে ৪৫৯ জন। বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটেছে বাসের সঙ্গে থ্রি-হুইলারের।
গতকাল রোববার দিনভর মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, ময়মনসিংহ নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ, ঢাকা বাইপাস, দীঘারকান্দা, চুরখাই, বইলর, ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড, রাঘামারা, ভরাডোবা, ভালুকা বাসস্ট্যান্ড, সীডস্টোর, মাস্টারবাড়ী, জয়নাবাজারসহ বেশ কয়েকটি স্থানে রয়েছে অটোরিকশার জট। বাইপাস ও চরপাড়া মোড় থেকে ত্রিশাল অভিমুখে ছেড়ে যেতে দেখা যায় তিন চাকার সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মাহিন্দ্র নামে পরিচিত (কালো) অটোরিকশা। এসবের চালকেরা দূরপাল্লার বাস ও ট্রাকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাঁদের বাহনটি চালাচ্ছেন মহাসড়কে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রীপুর উপজেলার গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি বাজার থেকে জৈনা বাজার পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে গিজগিজ করে চলছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। বিশেষ করে জৈনা বাজার, নয়নপুর, এমসি, মাওনা, গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি, মাধখলা বাজার বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকে শত শত তিন চাকার যান। মহাসড়কের একটি লেন সব সময় অটোরিকশাচালকদের দখলে থাকে। সড়কের পুরোটাজুড়ে দূরপাল্লার পরিবহনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলাচল করে। সামনে অটোরিকশা পড়ায় দূরপাল্লার পরিবহনগুলোকে ধীরগতিতে চলাচল করতে দেখা যায়। অনেক বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানো হয়।
প্রভাতী পরিবহনের বাসচালক আব্দুল হাই বলেন, ‘আমরা সব সময় ভয়ে থাকি অটোরিকশার জন্য। ওদের নাই কোনো প্রশিক্ষণ। যত্রতত্র এদিক-সেদিক ঘুরিয়ে ফেলার কারণে দুর্ঘটনার শিকার হয়।’
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী ব্রিজ থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকা পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশে ৩০টি অটোরিকশার স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। মহাসড়ক পেরিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ঠাসা থাকে শাখা সড়কগুলো। টঙ্গী বাজার, স্টেশন রোড, টঙ্গী পূর্ব থানার প্রধান ফটকে, চেরাগ আলী, কলেজ গেট, হোসেন মার্কেট, এরশাদ নগর, খাঁ পাড়া সড়ক, গাজীপুরা বাসস্ট্যান্ড, তারগাছ, বোর্ডবাজার, কলমেশ্বর, ভোগড়া বাইপাস, চৌরাস্তা এলাকা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত থেমে থেমে এসব যানবাহনের জটলা দেখা যায়।
প্রযুক্তি নেই, সরাসরি নজরদারিও নেই
মহাসড়কে অব্যবস্থাপনা নিয়ে জানতে চাইলে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, মহাসড়কের অনিয়মগুলো পর্যবেক্ষণ করার জন্য সার্ভিল্যান্স ক্যামেরা থাকতে হয়, স্পিড ক্যামেরা থাকতে হয়। প্রযুক্তির সাহায্য নিলে এগুলো সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু আমাদের মহাসড়কগুলোতে এর ব্যবস্থা খুব একটা নেই। তিনি বলেন, এখন প্রযুক্তিগত নজরদারিও হচ্ছে না, সরাসরি নজরদারিও করছে না পুলিশ। ফলে মানুষের মধ্যে আইন ভাঙার প্রবণতা বেশি। ফলে দুর্ঘটনা বাড়ছে। অতএব প্রযুক্তিগত নজরদারির ব্যবস্থা নিতে হবে, সে অনুযায়ী আইনও প্রয়োগ করতে হবে। আইন আসলে মানার বিষয়, মানুষ আইন মানতে চায় না। আইন মানার বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরি।
বিশেষজ্ঞরা যা বলেন
শুধু অবকাঠামো তৈরি করে আসলেই দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব নয় জানিয়ে বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধ করতে আমাদের অবশ্যই সমন্বিত পদক্ষেপ লাগবে। কারণ, দুর্ঘটনা কোনো একক কারণে হয় না। যানবাহন থেকে শুরু করে যারা সড়কের ব্যবহারকারী আছে, সবাইকে সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি আমি সবচেয়ে বড় কথা বলব, সড়ক আমি যতই প্রশস্ত করি না কেন, সড়কের দুই পাশে ভূমি ব্যবস্থাপনার ওপর যদি আমরা নিয়ন্ত্রণ না করতে পারি, এই সড়ক সাময়িক কিছুটা স্বস্তি দিলেও এটা খুব দ্রুত ব্ল্যাক স্পটে পরিণত হয়ে যাবে। সেটা যেন না হতে পারে, তার জন্য অবশ্যই আমাদের পলিসি লাগবে। ভূমি ব্যবহারের ওপরে নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। নতুবা শুধু সড়ক নড়াচড়া করে আসলে এই দুর্ঘটনা কমবে না।’
হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ তিন চাকার যান থাকার কথা না। যদি থাকে, তাহলে এসব গাড়ি উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্টো পথে গাড়ি চালালেই মামলা দেওয়া হবে।’
[প্রতিবেদন তৈরি করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা এবং টাঙ্গাইল, বগুড়া, ময়মনসিংহ, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রায়পুরা, টঙ্গী ও শ্রীপুর প্রতিনিধি]

বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৬ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১ দিন আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১ দিন আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা চারটি দেশকে ইনভাইট করেছি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্ককে আসতে বলেছি। তাদের স্পেশালিস্ট আমরা আনতে চাচ্ছি। তারা তদন্ত করে কারণটা কী এবং কে দায়ী বের করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দরের ভেতরে চারটি ইউনিট আছে। চারটি ইউনিটই কাজ করছে। আমরা আশা করছিলাম তাড়াতাড়ি কন্ট্রোলে আসবে। কন্ট্রোলে আসতে একটু সময় লাগছে। যেহেতু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করতে হয়। যেহেতু দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। অনেক সময় বাতাস থাকলে নেভাতে সময় লাগে।’
কার্গো ভিলেজে বিশেষায়িত ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কেন ছিল না—এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগুন নেভানোর জন্য বিমানে যে ইউনিট থাকে, সেটা কার্গো ভিলেজেও কাজ করতে পারে। এটিতে কোনো অসুবিধা নাই।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে কেউ ফেল করেনি। কিন্তু সময় লাগছে। ফেল করলে সব জ্বলে যেত। ওই দিন রাত ৯টার সময় বিমানবন্দর চালু করে দিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দর অথরিটির চারটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। সেগুলো ৩০ সেকেন্ডের ভেতরে চলে আসছিল। ফায়ার সার্ভিসের যে ইউনিটগুলো আছে, তার একটি দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের ওখানে, আরেকটি কুর্মিটোলায়। সেগুলো ২০ মিনিটের ভেতরে চলে আসছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেখানে আগুন ধরেছে, সেখানে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস ম্যাটেরিয়াল ছিল। দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। যার কারণে আগুনটা ছড়িয়ে গেছে তাড়াতাড়ি। কন্ট্রোল করতে সময় নিয়েছে।’
১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট-সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের চেষ্টায় রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুরোপুরি নির্বাপণ হয় ২৬ ঘণ্টা পর ১৯ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে।
আরও খবর পড়ুন:

বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা চারটি দেশকে ইনভাইট করেছি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্ককে আসতে বলেছি। তাদের স্পেশালিস্ট আমরা আনতে চাচ্ছি। তারা তদন্ত করে কারণটা কী এবং কে দায়ী বের করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দরের ভেতরে চারটি ইউনিট আছে। চারটি ইউনিটই কাজ করছে। আমরা আশা করছিলাম তাড়াতাড়ি কন্ট্রোলে আসবে। কন্ট্রোলে আসতে একটু সময় লাগছে। যেহেতু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করতে হয়। যেহেতু দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। অনেক সময় বাতাস থাকলে নেভাতে সময় লাগে।’
কার্গো ভিলেজে বিশেষায়িত ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কেন ছিল না—এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগুন নেভানোর জন্য বিমানে যে ইউনিট থাকে, সেটা কার্গো ভিলেজেও কাজ করতে পারে। এটিতে কোনো অসুবিধা নাই।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে কেউ ফেল করেনি। কিন্তু সময় লাগছে। ফেল করলে সব জ্বলে যেত। ওই দিন রাত ৯টার সময় বিমানবন্দর চালু করে দিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দর অথরিটির চারটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। সেগুলো ৩০ সেকেন্ডের ভেতরে চলে আসছিল। ফায়ার সার্ভিসের যে ইউনিটগুলো আছে, তার একটি দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের ওখানে, আরেকটি কুর্মিটোলায়। সেগুলো ২০ মিনিটের ভেতরে চলে আসছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেখানে আগুন ধরেছে, সেখানে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস ম্যাটেরিয়াল ছিল। দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। যার কারণে আগুনটা ছড়িয়ে গেছে তাড়াতাড়ি। কন্ট্রোল করতে সময় নিয়েছে।’
১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট-সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের চেষ্টায় রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুরোপুরি নির্বাপণ হয় ২৬ ঘণ্টা পর ১৯ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে।
আরও খবর পড়ুন:

দেশের মহাসড়কগুলোতে এখন আতঙ্কের নাম ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ তিন চাকার যান। এসব নিষিদ্ধ যানবাহন প্রায়ই দূরপাল্লার বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে। অনেক সড়কে উল্টো পথে চলছে বেপরোয়া গতিতে। ফলে দূরপাল্লার যানবাহনের গতি কমার পাশাপাশি প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে প্রাণ হারাচ্ছে বহু মানুষ। হাইওয়ে পুলিশসহ সংশ্লিষ
১৪ এপ্রিল ২০২৫
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১ দিন আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১ দিন আগেঅষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) ও রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

দেশের মহাসড়কগুলোতে এখন আতঙ্কের নাম ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ তিন চাকার যান। এসব নিষিদ্ধ যানবাহন প্রায়ই দূরপাল্লার বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে। অনেক সড়কে উল্টো পথে চলছে বেপরোয়া গতিতে। ফলে দূরপাল্লার যানবাহনের গতি কমার পাশাপাশি প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে প্রাণ হারাচ্ছে বহু মানুষ। হাইওয়ে পুলিশসহ সংশ্লিষ
১৪ এপ্রিল ২০২৫
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৬ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১ দিন আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ শুক্রবার আবারও যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। তবে গতকাল বৃহস্পতিবারের মতো আজও তাঁদের পদযাত্রা শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
এর আগে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে যমুনা অভিমুখে থালাবাটি নিয়ে ভুখা মিছিল করেন প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। শাহবাগ থানার সামনে মিছিলটি পুলিশ আটকে দিলে সেখানেই বিক্ষোভ করেন তাঁরা। একপর্যায়ে সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
গত রোববার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করা চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের সদস্যসচিব আলিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবিতে গত রোববার শাহবাগে অবস্থান করে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করা হয়। সেদিন পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। এরপর সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের দাবি জানানো হয়। তাঁর কাছ থেকে কোনো সমাধান না পেয়ে আমরা বেশ কয়েকবার যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করি, কিন্তু পুলিশ আমাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে।’
আলিফ হোসেন আরও বলেন, ‘আজও শাহবাগ থানার সামনে আমাদের পদযাত্রা আটকে দেওয়া হয় এবং বেশ কয়েকজনকে পুলিশ মারধরও করেছে।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ করা নিষেধ। তাই চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীরা দাবিদাওয়া নিয়ে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করায় তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতিলেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবেন—এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ শুক্রবার আবারও যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। তবে গতকাল বৃহস্পতিবারের মতো আজও তাঁদের পদযাত্রা শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
এর আগে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে যমুনা অভিমুখে থালাবাটি নিয়ে ভুখা মিছিল করেন প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। শাহবাগ থানার সামনে মিছিলটি পুলিশ আটকে দিলে সেখানেই বিক্ষোভ করেন তাঁরা। একপর্যায়ে সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
গত রোববার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করা চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের সদস্যসচিব আলিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবিতে গত রোববার শাহবাগে অবস্থান করে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করা হয়। সেদিন পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। এরপর সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের দাবি জানানো হয়। তাঁর কাছ থেকে কোনো সমাধান না পেয়ে আমরা বেশ কয়েকবার যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করি, কিন্তু পুলিশ আমাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে।’
আলিফ হোসেন আরও বলেন, ‘আজও শাহবাগ থানার সামনে আমাদের পদযাত্রা আটকে দেওয়া হয় এবং বেশ কয়েকজনকে পুলিশ মারধরও করেছে।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ করা নিষেধ। তাই চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীরা দাবিদাওয়া নিয়ে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করায় তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতিলেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবেন—এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।

দেশের মহাসড়কগুলোতে এখন আতঙ্কের নাম ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ তিন চাকার যান। এসব নিষিদ্ধ যানবাহন প্রায়ই দূরপাল্লার বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে। অনেক সড়কে উল্টো পথে চলছে বেপরোয়া গতিতে। ফলে দূরপাল্লার যানবাহনের গতি কমার পাশাপাশি প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে প্রাণ হারাচ্ছে বহু মানুষ। হাইওয়ে পুলিশসহ সংশ্লিষ
১৪ এপ্রিল ২০২৫
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৬ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১ দিন আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি ও বিমানবন্দর পরিচালক এয়ার কমোডর মো. নুর-ই-আজম।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের মতোই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা চলবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়।
বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক কিছু প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। বিশেষ করে, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে সংযোগের পরিকল্পনাও ছিল সরকারের।

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি ও বিমানবন্দর পরিচালক এয়ার কমোডর মো. নুর-ই-আজম।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের মতোই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা চলবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়।
বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক কিছু প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। বিশেষ করে, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে সংযোগের পরিকল্পনাও ছিল সরকারের।

দেশের মহাসড়কগুলোতে এখন আতঙ্কের নাম ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ তিন চাকার যান। এসব নিষিদ্ধ যানবাহন প্রায়ই দূরপাল্লার বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে। অনেক সড়কে উল্টো পথে চলছে বেপরোয়া গতিতে। ফলে দূরপাল্লার যানবাহনের গতি কমার পাশাপাশি প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে প্রাণ হারাচ্ছে বহু মানুষ। হাইওয়ে পুলিশসহ সংশ্লিষ
১৪ এপ্রিল ২০২৫
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৬ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১ দিন আগে