নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে টানা চার দিন করোনায় ২০০-এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন আরও ২১০ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যু দাঁড়াল ১৭ হাজার ৫২ জন।
এর আগের তিন দিন গত মঙ্গল, সোম ও রোববার যথাক্রমে ২০৩, ২২০ ও ২৩০ জনের মৃত্যু হয়। দেশে প্রথমবারের মতো ৭ জুলাই করোনায় মৃত্যু ২০০ ছাড়ায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১২ হাজার ৩৮৩ জনের। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ১৪ শনাক্ত। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত দেশে মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১০ লাখ ৫৯ হাজার ৫৩৮ জন।
গতকাল দেওয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও শনাক্ত ছিল এপ্রিলে। জুলাইয়ের প্রথম ১৪ দিনেই মৃত্যু ও শনাক্তে এপ্রিলের সেই সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটিই এখন বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরপরই রয়েছে খুলনা। এ বিভাগে মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ৩৯, রাজশাহীতে ১৫, বরিশালে ১০, সিলেটে ৯, রংপুরে ১৪ এবং ময়মনসিংহে ৮ জন মারা গেছেন।
চলতি বছরে শনাক্ত ও মৃত্যু
দেশে করোনার ভারতীয় ডেলটা ধরন ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে মৃত্যু ও সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে। শহর ছাড়িয়ে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে প্রত্যন্ত গ্রামে।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। ঈদুল আজহা সামনে রেখে গতকাল মধ্যরাত থেকে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। এর আগে গত এপ্রিলে কয়েক দফায় বিধিনিষেধ জারি করা হয়। সে সময় দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকলেও একপর্যায়ে শহর এলাকায় গণপরিবহনের পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, দোকানপাট খুলে দেওয়া হয়।
শনাক্তর তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে করোনায় ৭ হাজার ৫৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হয়েছিল ৫ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ জন। ২০২১ সালের ১৪ জুলাই পর্যন্ত ৯ হাজার ৪৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হয়েছে আরও ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৮৯ জন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে করোনা ও করোনার উপসর্গে ৫৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় শনাক্ত হয়েছে ২১ হাজার ১৩২ জন। ফেব্রুয়ারিতে করোনায় মৃত্যু কমে ২৭৯ জনে দাঁড়ায়। শনাক্ত হয় ১১ হাজার ২২০ জন। মার্চ থেকে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। জুলাইয়ের হিসাব বাদ দিলে এপ্রিলেই করোনা পরিস্থিতি সবচেয়ে নাজুক ছিল। এই মাসে ১ লাখ ৪২ হাজার ৮২০ জনের করোনা শনাক্ত ও মৃত্যু হয় ২ হাজার ৪০৫ জনের।
বিধিনিষেধের ফলে মে মাসে শনাক্ত ও মৃত্যু কমে আসে। কিন্তু ঈদুল ফিতরে কঠোর বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করায় ভারতীয় ডেলটা ধরন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। ফলে জুন থেকে আবার শনাক্ত ও মৃত্যু বাড়তে থাকে।
জুলাইয়ে শনাক্ত ও মৃত্যুর রেকর্ডে ভাঙাগড়া শুরু হয়। দেশে এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৩ হাজার ৭৬৮ জন, সর্বোচ্চ মৃত্যু হয় ২৩০ জনের। চলতি মাসের প্রথম ১৪ দিনেই ২ হাজার ৪০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হয়েছে রেকর্ড ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬৭৯ জন।
দেশে টানা চার দিন করোনায় ২০০-এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন আরও ২১০ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যু দাঁড়াল ১৭ হাজার ৫২ জন।
এর আগের তিন দিন গত মঙ্গল, সোম ও রোববার যথাক্রমে ২০৩, ২২০ ও ২৩০ জনের মৃত্যু হয়। দেশে প্রথমবারের মতো ৭ জুলাই করোনায় মৃত্যু ২০০ ছাড়ায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১২ হাজার ৩৮৩ জনের। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ১৪ শনাক্ত। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত দেশে মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১০ লাখ ৫৯ হাজার ৫৩৮ জন।
গতকাল দেওয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও শনাক্ত ছিল এপ্রিলে। জুলাইয়ের প্রথম ১৪ দিনেই মৃত্যু ও শনাক্তে এপ্রিলের সেই সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটিই এখন বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরপরই রয়েছে খুলনা। এ বিভাগে মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ৩৯, রাজশাহীতে ১৫, বরিশালে ১০, সিলেটে ৯, রংপুরে ১৪ এবং ময়মনসিংহে ৮ জন মারা গেছেন।
চলতি বছরে শনাক্ত ও মৃত্যু
দেশে করোনার ভারতীয় ডেলটা ধরন ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে মৃত্যু ও সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে। শহর ছাড়িয়ে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে প্রত্যন্ত গ্রামে।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। ঈদুল আজহা সামনে রেখে গতকাল মধ্যরাত থেকে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। এর আগে গত এপ্রিলে কয়েক দফায় বিধিনিষেধ জারি করা হয়। সে সময় দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকলেও একপর্যায়ে শহর এলাকায় গণপরিবহনের পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, দোকানপাট খুলে দেওয়া হয়।
শনাক্তর তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে করোনায় ৭ হাজার ৫৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হয়েছিল ৫ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ জন। ২০২১ সালের ১৪ জুলাই পর্যন্ত ৯ হাজার ৪৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হয়েছে আরও ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৮৯ জন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে করোনা ও করোনার উপসর্গে ৫৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় শনাক্ত হয়েছে ২১ হাজার ১৩২ জন। ফেব্রুয়ারিতে করোনায় মৃত্যু কমে ২৭৯ জনে দাঁড়ায়। শনাক্ত হয় ১১ হাজার ২২০ জন। মার্চ থেকে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। জুলাইয়ের হিসাব বাদ দিলে এপ্রিলেই করোনা পরিস্থিতি সবচেয়ে নাজুক ছিল। এই মাসে ১ লাখ ৪২ হাজার ৮২০ জনের করোনা শনাক্ত ও মৃত্যু হয় ২ হাজার ৪০৫ জনের।
বিধিনিষেধের ফলে মে মাসে শনাক্ত ও মৃত্যু কমে আসে। কিন্তু ঈদুল ফিতরে কঠোর বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করায় ভারতীয় ডেলটা ধরন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। ফলে জুন থেকে আবার শনাক্ত ও মৃত্যু বাড়তে থাকে।
জুলাইয়ে শনাক্ত ও মৃত্যুর রেকর্ডে ভাঙাগড়া শুরু হয়। দেশে এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৩ হাজার ৭৬৮ জন, সর্বোচ্চ মৃত্যু হয় ২৩০ জনের। চলতি মাসের প্রথম ১৪ দিনেই ২ হাজার ৪০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হয়েছে রেকর্ড ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬৭৯ জন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের যুক্তরাজ্য সফরকালে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি সাবেক ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। দুর্নীতির অভিযোগে সৃষ্ট ‘ভুল বোঝাবুঝি’ মেটাতে টিউলিপ এ সাক্ষাৎ চান বলে দ্য গার্ডিয়ানের
৩৩ মিনিট আগেসম্প্রতি কোভিড-১৯ সংক্রমণ হারের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনা করে জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় সকলকে মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। বিশেষত বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ ধরনের স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্দেশদাতা উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে আনা ৫টি অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
১৭ ঘণ্টা আগেআগামী ৫ দিন পর্যন্ত গঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানি সমতল বাড়তে পারে, তবে বিপদসীমার নীচ দিয়ে তা প্রবাহিত হতে পারে। আজ শনিবার গঙ্গা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে ও পদ্মা নদীর পানি সমতল বাড়ছে ।
১৮ ঘণ্টা আগে