Ajker Patrika

কিরগিজস্তানের কলেজে সংঘর্ষ: গুরুতর আহতদের মধ্যে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নেই, ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন রাষ্ট্রদূত

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৯ মে ২০২৪, ২৩: ২০
Thumbnail image

কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে স্থানীয় নাগরিকদের সঙ্গে বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে সংঘর্ষ হয়েছে, তাতে বাংলাদেশি কোনো শিক্ষার্থীর গুরুতর আহত হওয়ার তথ্য নেই। তবে সেখানে নিরাপদ বোধ করছেন না বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। তাঁদের অনেকেই দেশে ফিরতে চান। 

এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সুস্থতা সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে কিরগিজস্তানে বাংলাদেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামকে শিগগির বিশকেক সফরে যেতে বলা হয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

মনিরুল ইসলাম উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দ থেকে কিরগিজস্তানে রাষ্ট্রদূত হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে থাকেন। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, বিশকেকে ১৭ মে রাতে সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। উজবেকিস্তানে দূতাবাসের মাধ্যমে বিশকেকের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সরকার দূতাবাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিরগিজ সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ সমন্বয় করছে। 

 ১৩ মে বিশকেকে স্থানীয় কিছু নাগরিকের সঙ্গে মিসরীয় ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর ১৭ মে পর্যন্ত স্থানীয়রা বাংলাদেশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের ওপরও হামলা চালায়। বিদেশি শিক্ষার্থীদের অনেক আবাসস্থলেও হামলা চালানো হয়। কয়েকজন নারী শিক্ষার্থীও হামলার সময় লাঞ্ছিত হন। 

সামিয়া কবির নামের একজন বাংলাদেশি মেডিকেল শিক্ষার্থী জানান, অনেক শিক্ষার্থী বিশকেকে নিরাপদ বোধ করছেন না। তাঁরা সাময়িকভাবে দেশে ফিরে অনলাইনে ক্লাস করার আগ্রহের কথা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জানিয়েছেন। 

রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানান, বিশকেকে অবস্থিত বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের কয়েকজন দেশে ফেরার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে তিনি দ্রুত বিশকেকে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। সেখানকার অবস্থা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

রেডিও ফ্রি ইউরোপের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিরগিজ জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক কমিটির প্রধান কামচিবেক তাশিয়েব বলেছেন, অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে সংগঠিত ক্ষোভ-বিক্ষোভ থেকে সংঘর্ষের সূচনা হয়ে। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৮ বিদেশি শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। তবে তাঁরা কোন দেশের নাগরিক, তা কিরগিজ সরকার প্রকাশ করেনি। 

সড়ক নিরাপত্তাঝুঁকির মুখে, এমন অভিযোগে প্রায় ৪০০ বিদেশি শিক্ষার্থীর দেওয়া ডেলিভারি সার্ভিস ১৫ মে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দিলে উত্তেজনা বেড়ে যায়। 

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগ নিজ নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছেন। পাকিস্তানের প্রায় ৬৫০ জন শিক্ষার্থী ফিরে গেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারীদের খেলায় আর নাক গলাবে না, দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষমা চাইল ভাঙচুরকারীরা

বিয়ে করলেন সারজিস আলম

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়ছে শ্রীলঙ্কা, ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ কোথায় দেখবেন

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় ফরিদপুরের ২ জনকে গুলি করে হত্যা

সাবেক শিক্ষার্থীর প্রাইভেট কারে ধাক্কা, জাবিতে ১২ বাস আটকে ক্ষতিপূরণ আদায় ছাত্রদলের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত