অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী

জীবনে ব্যস্ততার শেষ নেই। এর মাঝে নিজের ও পরিবারের জন্য সময় বের করতে হয়। সময় বের করে অনেকে ভ্রমণে যায়। ভ্রমণ উপভোগ করতে সুস্থ থাকা চাই। তা না হলে পুরো ভ্রমণ হবে মাটি! অর্থ ও সময়– দুই-ই গচ্চা যাবে, মেজাজ হবে খিটখিটে।
ভ্রমণে গিয়ে সুস্থ থাকায় কিছু নিয়ম মানতে হবে। সেসব বলা যাক:
স্বাস্থ্যকর আহার
সক্রিয় ও সচল হওয়া যাত্রাপথে
পৌঁছে গেলেন যখন
কেন নয় কিছু রোমাঞ্চ অভিজ্ঞতা
আপনার আরামের জায়গা থেকে বেড়িয়ে আসুন। হাইকিং করুন। নইলে হেঁটে হেঁটে ঘুরে দেখুন, যা দেখতে এসেছেন। সুযোগ থাকলে কায়াকিং বা সারফিং রাখুন আপনার কাজকর্মের তালিকায়। বাঞ্জি জাম্প? চেষ্টা করে দেখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের দিকে খেয়াল রাখুন।
মনের স্বাস্থ্য ভালো রাখুন
ছুটি মানে প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করা, ব্যস্ত থাকা। এতে অনেক সময় চাপ পড়ে শরীর ও মনে। তাই কিছু সময় থাক না কিছু করার জন্য বা বিশ্রামের জন্য। মনের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে যা করবেন:

জীবনে ব্যস্ততার শেষ নেই। এর মাঝে নিজের ও পরিবারের জন্য সময় বের করতে হয়। সময় বের করে অনেকে ভ্রমণে যায়। ভ্রমণ উপভোগ করতে সুস্থ থাকা চাই। তা না হলে পুরো ভ্রমণ হবে মাটি! অর্থ ও সময়– দুই-ই গচ্চা যাবে, মেজাজ হবে খিটখিটে।
ভ্রমণে গিয়ে সুস্থ থাকায় কিছু নিয়ম মানতে হবে। সেসব বলা যাক:
স্বাস্থ্যকর আহার
সক্রিয় ও সচল হওয়া যাত্রাপথে
পৌঁছে গেলেন যখন
কেন নয় কিছু রোমাঞ্চ অভিজ্ঞতা
আপনার আরামের জায়গা থেকে বেড়িয়ে আসুন। হাইকিং করুন। নইলে হেঁটে হেঁটে ঘুরে দেখুন, যা দেখতে এসেছেন। সুযোগ থাকলে কায়াকিং বা সারফিং রাখুন আপনার কাজকর্মের তালিকায়। বাঞ্জি জাম্প? চেষ্টা করে দেখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের দিকে খেয়াল রাখুন।
মনের স্বাস্থ্য ভালো রাখুন
ছুটি মানে প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করা, ব্যস্ত থাকা। এতে অনেক সময় চাপ পড়ে শরীর ও মনে। তাই কিছু সময় থাক না কিছু করার জন্য বা বিশ্রামের জন্য। মনের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে যা করবেন:

সাম্প্রতিক ফ্যাশন ট্রেন্ডে হলিউড থেকে বলিউড—সবখানে চুলে ‘সাইড পার্ট’ বা এক পাশে সিঁথির জনপ্রিয়তা বেড়েছে। ছোট চুলের সঙ্গে এক পাশে সিঁথির মেলবন্ধনে স্টাইলিশ লুক পাওয়া যায়। যাঁদের চুল ছোট এবং ভাবছেন এই চুলে স্টাইল কীভাবে করবেন, সেই হদিস মিলবে এই লেখায়।
১ ঘণ্টা আগে
বেশ কিছু জনপ্রিয় প্রোটিন সাপ্লিমেন্টে এমন মাত্রায় সিসা পাওয়া গেছে যা স্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগজনক হতে পারে। গত মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কনজিউমার রিপোর্টস নামের একটি সংস্থা।
১৬ ঘণ্টা আগে
আগেকার দিনে ঘরের লম্বা চুলকে নারীর গৌরব বলে মনে করা হতো। চুল দেখেই বোঝা যায় আপনি নিজের প্রতি কতটা যত্নশীল। তবে কাজের চাপে অনেকেই পারলারে গিয়ে সময় নিয়ে চুলের যথাযথ যত্ন নিতে পারেন না। এর ওপর ধুলোবালি ও দূষণের প্রকোপ তো রয়েছেই।
১৭ ঘণ্টা আগে
দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে প্লাস্টিক। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো জানাচ্ছে, প্লাস্টিকের পাত্র, চামচ এবং এমনকি টি-ব্যাগও নীরবে আমাদের শরীরে প্রবেশ করাচ্ছে বিপুল পরিমাণ মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা। এসব প্লাস্টিক কণা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে।
১৮ ঘণ্টা আগেতুষ্টি মনোয়ার

সাম্প্রতিক ফ্যাশন ট্রেন্ডে হলিউড থেকে বলিউড—সবখানে চুলে ‘সাইড পার্ট’ বা এক পাশে সিঁথির জনপ্রিয়তা বেড়েছে। ছোট চুলের সঙ্গে এক পাশে সিঁথির মেলবন্ধনে স্টাইলিশ লুক পাওয়া যায়। যাঁদের চুল ছোট এবং ভাবছেন এই চুলে স্টাইল কীভাবে করবেন, সেই হদিস মিলবে এই লেখায়।
ব্লান্ট বব
যাঁরা আরেকটু বেশি আধুনিক ও ম্যানেজেবল হেয়ার স্টাইল পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য ব্লান্ট বব একটি দারুণ স্টাইল। থুতনি বা চোয়াল পর্যন্ত কাটা এই বব কাটে আপনাকে দেখাবে স্টাইলিশ ও প্রাণবন্ত। যাঁদের চুল ঘন, তাঁদের এই স্টাইল খুব সুন্দরভাবে মানিয়ে যায়। এই কাটে এক পাশে সিঁথি করে একটু জেল বা সেরাম ব্যবহারে দারুণ লুক তৈরি হয়; তরুণ প্রজন্মের কাছে এটি খুব জনপ্রিয়।

স্লিকড ব্যাক বান
তীব্র গরমে স্লিকড ব্যাক বান খুবই ভালো অপশন। পাশের সিঁথি ঠিক রেখে সব চুল মসৃণ করে পেছনে টেনে একটা খোঁপা করে নিন। কপালের দুই পাশে কিছু চুল ছেড়ে রেখে দিতে পারেন। এতে দেখতে সুন্দর লাগবে। এই স্টাইল যেকোনো পোশাকের সঙ্গে চমৎকারভাবে মানিয়ে যায়।

শোল্ডার লেন্থ লেয়ার
ঘন চুল যাঁদের, তাঁদের কাঁধ সমান লেয়ারে খুব সুন্দর মানিয়ে যায়। সঙ্গে এটি চুলে ঢেউখেলানো ভাব ও টেক্সচারও যোগ করে। এই কাটের সঙ্গে এক পাশে সিঁথি করলে চুলে তাৎক্ষণিক ঘনত্ব আসে এবং গরমে চুল সামলানোও সহজ হয়। কলেজ, অফিস বা যেকোনো অনুষ্ঠানে চুলের এই স্টাইল বেশ মানানসই।

হাফ আপ, হাফ ডাউন
এটি ছোট চুলের একটি দারুণ স্টাইল। পাশে সিঁথি ঠিক রেখে মাথার ওপরের কিছু চুল নিয়ে একটি পনিটেইল বা বান করতে পারেন। এতে ঘাড়ের দিকে চুল পড়ে না থাকায় গরমে আরাম দেবে, আবার পেছনের দিকে চুল ছাড়া থাকায় স্টাইল স্টেটমেন্টও বজায় থাকবে।

গ্রোন-আউট-পিক্সি
যাঁদের চুলে পিক্সি কাট করা ছিল এবং চুল খানিকটা লম্বা হয়েছে, তাঁদের জন্য এই স্টাইল। এক পাশে সিঁথি করলে এই পিক্সি কাট চুলে টেক্সচার ও ঢেউখেলানো ভাব যোগ হয়। ট্রেন্ডি ও সহজে ম্যানেজেবল হওয়ার কারণে ব্যস্ত নারীদের জন্য এটি আদর্শ একটি স্টাইল।

সাম্প্রতিক ফ্যাশন ট্রেন্ডে হলিউড থেকে বলিউড—সবখানে চুলে ‘সাইড পার্ট’ বা এক পাশে সিঁথির জনপ্রিয়তা বেড়েছে। ছোট চুলের সঙ্গে এক পাশে সিঁথির মেলবন্ধনে স্টাইলিশ লুক পাওয়া যায়। যাঁদের চুল ছোট এবং ভাবছেন এই চুলে স্টাইল কীভাবে করবেন, সেই হদিস মিলবে এই লেখায়।
ব্লান্ট বব
যাঁরা আরেকটু বেশি আধুনিক ও ম্যানেজেবল হেয়ার স্টাইল পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য ব্লান্ট বব একটি দারুণ স্টাইল। থুতনি বা চোয়াল পর্যন্ত কাটা এই বব কাটে আপনাকে দেখাবে স্টাইলিশ ও প্রাণবন্ত। যাঁদের চুল ঘন, তাঁদের এই স্টাইল খুব সুন্দরভাবে মানিয়ে যায়। এই কাটে এক পাশে সিঁথি করে একটু জেল বা সেরাম ব্যবহারে দারুণ লুক তৈরি হয়; তরুণ প্রজন্মের কাছে এটি খুব জনপ্রিয়।

স্লিকড ব্যাক বান
তীব্র গরমে স্লিকড ব্যাক বান খুবই ভালো অপশন। পাশের সিঁথি ঠিক রেখে সব চুল মসৃণ করে পেছনে টেনে একটা খোঁপা করে নিন। কপালের দুই পাশে কিছু চুল ছেড়ে রেখে দিতে পারেন। এতে দেখতে সুন্দর লাগবে। এই স্টাইল যেকোনো পোশাকের সঙ্গে চমৎকারভাবে মানিয়ে যায়।

শোল্ডার লেন্থ লেয়ার
ঘন চুল যাঁদের, তাঁদের কাঁধ সমান লেয়ারে খুব সুন্দর মানিয়ে যায়। সঙ্গে এটি চুলে ঢেউখেলানো ভাব ও টেক্সচারও যোগ করে। এই কাটের সঙ্গে এক পাশে সিঁথি করলে চুলে তাৎক্ষণিক ঘনত্ব আসে এবং গরমে চুল সামলানোও সহজ হয়। কলেজ, অফিস বা যেকোনো অনুষ্ঠানে চুলের এই স্টাইল বেশ মানানসই।

হাফ আপ, হাফ ডাউন
এটি ছোট চুলের একটি দারুণ স্টাইল। পাশে সিঁথি ঠিক রেখে মাথার ওপরের কিছু চুল নিয়ে একটি পনিটেইল বা বান করতে পারেন। এতে ঘাড়ের দিকে চুল পড়ে না থাকায় গরমে আরাম দেবে, আবার পেছনের দিকে চুল ছাড়া থাকায় স্টাইল স্টেটমেন্টও বজায় থাকবে।

গ্রোন-আউট-পিক্সি
যাঁদের চুলে পিক্সি কাট করা ছিল এবং চুল খানিকটা লম্বা হয়েছে, তাঁদের জন্য এই স্টাইল। এক পাশে সিঁথি করলে এই পিক্সি কাট চুলে টেক্সচার ও ঢেউখেলানো ভাব যোগ হয়। ট্রেন্ডি ও সহজে ম্যানেজেবল হওয়ার কারণে ব্যস্ত নারীদের জন্য এটি আদর্শ একটি স্টাইল।

জীবনে ব্যস্ততার শেষ নেই। এর মাঝে নিজের ও পরিবারের জন্য সময় বের করতে হয়। সময় বের করে অনেকে ভ্রমণে যায়। ভ্রমণ উপভোগ করতে সুস্থ থাকা চাই। তা না হলে পুরো ভ্রমণ হবে মাটি! অর্থ ও সময়– দুই-ই গচ্চা যাবে, মেজাজ হবে খিটখিটে।
১৭ আগস্ট ২০২৩
বেশ কিছু জনপ্রিয় প্রোটিন সাপ্লিমেন্টে এমন মাত্রায় সিসা পাওয়া গেছে যা স্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগজনক হতে পারে। গত মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কনজিউমার রিপোর্টস নামের একটি সংস্থা।
১৬ ঘণ্টা আগে
আগেকার দিনে ঘরের লম্বা চুলকে নারীর গৌরব বলে মনে করা হতো। চুল দেখেই বোঝা যায় আপনি নিজের প্রতি কতটা যত্নশীল। তবে কাজের চাপে অনেকেই পারলারে গিয়ে সময় নিয়ে চুলের যথাযথ যত্ন নিতে পারেন না। এর ওপর ধুলোবালি ও দূষণের প্রকোপ তো রয়েছেই।
১৭ ঘণ্টা আগে
দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে প্লাস্টিক। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো জানাচ্ছে, প্লাস্টিকের পাত্র, চামচ এবং এমনকি টি-ব্যাগও নীরবে আমাদের শরীরে প্রবেশ করাচ্ছে বিপুল পরিমাণ মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা। এসব প্লাস্টিক কণা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেশ কিছু জনপ্রিয় প্রোটিন সাপ্লিমেন্টে এমন মাত্রায় সিসা পাওয়া গেছে যা স্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগজনক হতে পারে। গত মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কনজিউমার রিপোর্টস নামের একটি সংস্থা।
অলাভজনক ওই প্রতিষ্ঠানটি ২৩ ধরনের প্রোটিন পাউডার ও শেকের নমুনা পরীক্ষা করে জানিয়েছে, এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি পণ্যে প্রতিদিনের নিরাপদ গ্রহণমাত্রার চেয়ে বেশি সিসা রয়েছে।
কনজিউমার রিপোর্টসের ফুড সেফটি রিসার্চ অ্যান্ড টেস্টিং বিভাগের ম্যানেজার সানা মুজাহিদ বলেন, ‘এই পণ্যগুলো থেকে তাৎক্ষণিক কোনো ক্ষতির ঝুঁকি নেই, বিশেষ করে যদি এগুলো কোনো সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি গ্রহণ করেন। তবে দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
যেহেতু মানুষ অন্যান্য খাবার থেকেও সিসার সংস্পর্শে আসে, তাই এর মাত্রা আরও বেড়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।
যে প্রোটিন সাপ্লিমেন্টগুলোকে কনজিউমার রিপোর্টস ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, সেগুলোর প্রত্যেক পরিবেশনে ০.৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি সিসা রয়েছে। যা ক্যালিফোর্নিয়ার কঠোর দৈনিক গ্রহণমাত্রার মানদণ্ডের ভিত্তিতে নির্ধারিত। তবে কিছু স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ আরও উচ্চমাত্রার সীমা নির্ধারণ করেছে।
২০২২ সাল থেকে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) জানিয়েছে, শিশুদের জন্য দৈনিক ২.২ মাইক্রোগ্রামের বেশি এবং সন্তান ধারণক্ষম নারীদের জন্য ৮.৮ মাইক্রোগ্রামের বেশি সিসা গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
তবুও, সিসা গ্রহণের কোনো মাত্রাকেই সম্পূর্ণ নিরাপদ বলা যায় না। সিসা অত্যন্ত বিষাক্ত এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীরে জমতে থাকে। অল্প পরিমাণ সংস্পর্শেও দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যসমস্যা দেখা দিতে পারে।

অন্যান্য বিশেষজ্ঞরাও এই প্রতিবেদনের ফলাফল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ড. স্টিফেন লুবি বলেন, এই ফলাফল ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক।’
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের সহযোগী অধ্যাপক ড. পিটার কোহেন সতর্ক করে বলেন, এই প্রতিবেদনটিকে ‘ক্রয় নির্দেশিকা’ হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সাপ্লিমেন্টে সিসা এবং অন্যান্য ভারী ধাতু পণ্য তৈরির প্রক্রিয়ায় ঢুকে পড়তে পারে। অথচ স্বাস্থ্য ভালো রাখার উদ্দেশ্যে আমরা এগুলো গ্রহণ করি।’
যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্য বা ওষুধের মতো সাপ্লিমেন্ট পণ্যগুলোও নিয়মিত কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে যায় না। ড. কোহেন পরামর্শ দেন, মানুষ যেন এমন কোম্পানির তৈরি সাপ্লিমেন্ট বেছে নেয় যারা গুণমান যাচাইকরণ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
কনজিউমার রিপোর্টস জানিয়েছে, পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে নেইকেড নিউট্রিশন কোম্পানির ভেগান মাস গেইনার (Vegan Mass Gainer) প্রোটিন পাউডারে, প্রতি সার্ভিংয়ে ৭.৭ মাইক্রোগ্রাম। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাত্রা পাওয়া গেছে হুয়েল কোম্পানির ব্ল্যাক এডিশন পাউডারে, ৬. ৩ মাইক্রোগ্রাম। অন্য যেসব পণ্যে নির্ধারিত ০.৫ মাইক্রোগ্রামের সীমা অতিক্রম করেছে, সেগুলোর বেশিরভাগে প্রতি সার্ভিংয়ে তিন মাইক্রোগ্রামের কম সিসা ছিল।
নেইকেড নিউট্রিশনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা জেমস ক্লার্ক এক বিবৃতিতে জানান, প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় তারা একটি স্বতন্ত্র পরীক্ষা করিয়েছেন, যা নিশ্চিত করেছে যে তাদের কোনো পণ্যের ভারী ধাতুর মাত্রা এফডিএ-এর রেফারেন্স সীমা অতিক্রম করেনি।
তিনি আরও বলেন, ভেগান মাস গেইনার ওজন বাড়ানোর জন্য তৈরি। এর সার্ভিং সাইজ অন্যান্য উদ্ভিদভিত্তিক প্রোটিন পাউডারের তুলনায় বড়। এ কারণে এতে সিসার পরিমাণ তুলনামূলক বেশি দেখা যেতে পারে।
অন্যদিকে, হুয়েলের পুষ্টিবিষয়ক প্রধান রেবেকা উইলিয়ামস দাবি করেন, তাদের পণ্যে সিসার মাত্রা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নিরাপত্তা মানের মধ্যেই রয়েছে এবং কোম্পানির সব পণ্যই ‘সম্পূর্ণ নিরাপদ’।
পরীক্ষায় পাওয়া সিসার মাত্রা ‘তাৎক্ষণিক ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি করার মতো উচ্চ নয়’ বলে স্বীকার করেছে কনজিউমার রিপোর্টস। তবে তারা এটিও উল্লেখ করেছে, পরীক্ষার ফলাফল সব সার্ভিং বা ব্যাচে একই থাকবে এমন নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না।
তবে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. স্টিফেন লুবি বলেন, কোম্পানিগুলো তাদের সরবরাহ চেইন যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ না করায় তিনি ‘বিস্মিত ও হতাশ’।

উল্লেখ্য, সিসার মতো ভারী ধাতু দূষিত মাটি ও ভূগর্ভস্থ পানি, কিংবা উৎপাদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেসহ বিভিন্ন উপায়ে খাদ্য সরবরাহে প্রবেশ করতে পারে।
কনজিউমার রিপোর্টস আরও জানায়, উদ্ভিদভিত্তিক প্রোটিন সাপ্লিমেন্টগুলোতে দুগ্ধ বা মাংসজাত উৎসের তুলনায় বেশি সিসা পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত করে যে দূষিত ফসলই সমস্যার একটি বড় উৎস হতে পারে।
তবে ড. লুবি বলেন, প্রতিবেদনে কিছু ক্ষেত্রে যে মাত্রার সিসা পাওয়া গেছে, তা উৎপাদনের আরও অন্যান্য ধাপেও দূষণ ঘটতে পারে বলে শঙ্কা তৈরি করছে।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. পিটার কোহেন বলেন, একবার সিসা শরীরে প্রবেশ করলে তা হাড়ে জমা হতে পারে এবং খুব ধীরে বের হয়। তাই দীর্ঘমেয়াদি সংস্পর্শ বিপজ্জনক। এতে স্নায়বিক সমস্যা ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
তিনি আরও জানান, শিশুরা সিসা বিষক্রিয়ার সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে থাকে। তাদের মধ্যে বিলম্বিত বিকাশ, শেখার অসুবিধা এবং খিঁচুনির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজেক্ট আনলেডেড নামের গবেষণা কর্মসূচির পরিচালক জেনা ফোরসাইথ বলেন, এই ফলাফল বিশেষভাবে গর্ভবতী নারীদের জন্য উদ্বেগজনক। কারণ গর্ভাবস্থায় প্রোটিন গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, গর্ভবতী নারী বা যাঁরা গর্ভধারণের পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের উচ্চ সিসাযুক্ত প্রোটিন পাউডার এড়িয়ে চলা উচিত। আর অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদেরও প্রতিদিন এমন সাপ্লিমেন্ট না খেয়ে বিকল্প উৎস বেছে নেওয়া ভালো।
ড. স্টিফেন লুবি বলেন, প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করার আগে ভোক্তাদের উচিত এর ঝুঁকি বিবেচনা করা। তিনি বলেন, ‘প্রোটিন পাউডার খাওয়া কি উপকারের চেয়ে বেশি ক্ষতি ডেকে আনছে? আমাদের ভাবা উচিত।’
এর আগেও জনপ্রিয় খাদ্যপণ্যে সিসা পাওয়া গেছে। ২০২৩ সালে দারুচিনি-স্বাদযুক্ত আপেল সসের লাখ লাখ পাউচ বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়, কারণ তাতে অত্যধিক মাত্রায় সিসা পাওয়া গিয়েছিল। গত বছর কনজিউমার রিপোর্টসের আরেকটি গবেষণায়ও এক ডজন দারুচিনি দিয়ে তৈরি পণ্যে সিসার মাত্রা উদ্বেগজনকভাবে বেশি ধরা পড়ে।

বেশ কিছু জনপ্রিয় প্রোটিন সাপ্লিমেন্টে এমন মাত্রায় সিসা পাওয়া গেছে যা স্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগজনক হতে পারে। গত মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কনজিউমার রিপোর্টস নামের একটি সংস্থা।
অলাভজনক ওই প্রতিষ্ঠানটি ২৩ ধরনের প্রোটিন পাউডার ও শেকের নমুনা পরীক্ষা করে জানিয়েছে, এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি পণ্যে প্রতিদিনের নিরাপদ গ্রহণমাত্রার চেয়ে বেশি সিসা রয়েছে।
কনজিউমার রিপোর্টসের ফুড সেফটি রিসার্চ অ্যান্ড টেস্টিং বিভাগের ম্যানেজার সানা মুজাহিদ বলেন, ‘এই পণ্যগুলো থেকে তাৎক্ষণিক কোনো ক্ষতির ঝুঁকি নেই, বিশেষ করে যদি এগুলো কোনো সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি গ্রহণ করেন। তবে দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
যেহেতু মানুষ অন্যান্য খাবার থেকেও সিসার সংস্পর্শে আসে, তাই এর মাত্রা আরও বেড়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।
যে প্রোটিন সাপ্লিমেন্টগুলোকে কনজিউমার রিপোর্টস ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, সেগুলোর প্রত্যেক পরিবেশনে ০.৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি সিসা রয়েছে। যা ক্যালিফোর্নিয়ার কঠোর দৈনিক গ্রহণমাত্রার মানদণ্ডের ভিত্তিতে নির্ধারিত। তবে কিছু স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ আরও উচ্চমাত্রার সীমা নির্ধারণ করেছে।
২০২২ সাল থেকে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) জানিয়েছে, শিশুদের জন্য দৈনিক ২.২ মাইক্রোগ্রামের বেশি এবং সন্তান ধারণক্ষম নারীদের জন্য ৮.৮ মাইক্রোগ্রামের বেশি সিসা গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
তবুও, সিসা গ্রহণের কোনো মাত্রাকেই সম্পূর্ণ নিরাপদ বলা যায় না। সিসা অত্যন্ত বিষাক্ত এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীরে জমতে থাকে। অল্প পরিমাণ সংস্পর্শেও দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যসমস্যা দেখা দিতে পারে।

অন্যান্য বিশেষজ্ঞরাও এই প্রতিবেদনের ফলাফল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ড. স্টিফেন লুবি বলেন, এই ফলাফল ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক।’
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের সহযোগী অধ্যাপক ড. পিটার কোহেন সতর্ক করে বলেন, এই প্রতিবেদনটিকে ‘ক্রয় নির্দেশিকা’ হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সাপ্লিমেন্টে সিসা এবং অন্যান্য ভারী ধাতু পণ্য তৈরির প্রক্রিয়ায় ঢুকে পড়তে পারে। অথচ স্বাস্থ্য ভালো রাখার উদ্দেশ্যে আমরা এগুলো গ্রহণ করি।’
যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্য বা ওষুধের মতো সাপ্লিমেন্ট পণ্যগুলোও নিয়মিত কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে যায় না। ড. কোহেন পরামর্শ দেন, মানুষ যেন এমন কোম্পানির তৈরি সাপ্লিমেন্ট বেছে নেয় যারা গুণমান যাচাইকরণ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
কনজিউমার রিপোর্টস জানিয়েছে, পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে নেইকেড নিউট্রিশন কোম্পানির ভেগান মাস গেইনার (Vegan Mass Gainer) প্রোটিন পাউডারে, প্রতি সার্ভিংয়ে ৭.৭ মাইক্রোগ্রাম। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাত্রা পাওয়া গেছে হুয়েল কোম্পানির ব্ল্যাক এডিশন পাউডারে, ৬. ৩ মাইক্রোগ্রাম। অন্য যেসব পণ্যে নির্ধারিত ০.৫ মাইক্রোগ্রামের সীমা অতিক্রম করেছে, সেগুলোর বেশিরভাগে প্রতি সার্ভিংয়ে তিন মাইক্রোগ্রামের কম সিসা ছিল।
নেইকেড নিউট্রিশনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা জেমস ক্লার্ক এক বিবৃতিতে জানান, প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় তারা একটি স্বতন্ত্র পরীক্ষা করিয়েছেন, যা নিশ্চিত করেছে যে তাদের কোনো পণ্যের ভারী ধাতুর মাত্রা এফডিএ-এর রেফারেন্স সীমা অতিক্রম করেনি।
তিনি আরও বলেন, ভেগান মাস গেইনার ওজন বাড়ানোর জন্য তৈরি। এর সার্ভিং সাইজ অন্যান্য উদ্ভিদভিত্তিক প্রোটিন পাউডারের তুলনায় বড়। এ কারণে এতে সিসার পরিমাণ তুলনামূলক বেশি দেখা যেতে পারে।
অন্যদিকে, হুয়েলের পুষ্টিবিষয়ক প্রধান রেবেকা উইলিয়ামস দাবি করেন, তাদের পণ্যে সিসার মাত্রা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নিরাপত্তা মানের মধ্যেই রয়েছে এবং কোম্পানির সব পণ্যই ‘সম্পূর্ণ নিরাপদ’।
পরীক্ষায় পাওয়া সিসার মাত্রা ‘তাৎক্ষণিক ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি করার মতো উচ্চ নয়’ বলে স্বীকার করেছে কনজিউমার রিপোর্টস। তবে তারা এটিও উল্লেখ করেছে, পরীক্ষার ফলাফল সব সার্ভিং বা ব্যাচে একই থাকবে এমন নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না।
তবে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. স্টিফেন লুবি বলেন, কোম্পানিগুলো তাদের সরবরাহ চেইন যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ না করায় তিনি ‘বিস্মিত ও হতাশ’।

উল্লেখ্য, সিসার মতো ভারী ধাতু দূষিত মাটি ও ভূগর্ভস্থ পানি, কিংবা উৎপাদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেসহ বিভিন্ন উপায়ে খাদ্য সরবরাহে প্রবেশ করতে পারে।
কনজিউমার রিপোর্টস আরও জানায়, উদ্ভিদভিত্তিক প্রোটিন সাপ্লিমেন্টগুলোতে দুগ্ধ বা মাংসজাত উৎসের তুলনায় বেশি সিসা পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত করে যে দূষিত ফসলই সমস্যার একটি বড় উৎস হতে পারে।
তবে ড. লুবি বলেন, প্রতিবেদনে কিছু ক্ষেত্রে যে মাত্রার সিসা পাওয়া গেছে, তা উৎপাদনের আরও অন্যান্য ধাপেও দূষণ ঘটতে পারে বলে শঙ্কা তৈরি করছে।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. পিটার কোহেন বলেন, একবার সিসা শরীরে প্রবেশ করলে তা হাড়ে জমা হতে পারে এবং খুব ধীরে বের হয়। তাই দীর্ঘমেয়াদি সংস্পর্শ বিপজ্জনক। এতে স্নায়বিক সমস্যা ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
তিনি আরও জানান, শিশুরা সিসা বিষক্রিয়ার সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে থাকে। তাদের মধ্যে বিলম্বিত বিকাশ, শেখার অসুবিধা এবং খিঁচুনির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজেক্ট আনলেডেড নামের গবেষণা কর্মসূচির পরিচালক জেনা ফোরসাইথ বলেন, এই ফলাফল বিশেষভাবে গর্ভবতী নারীদের জন্য উদ্বেগজনক। কারণ গর্ভাবস্থায় প্রোটিন গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, গর্ভবতী নারী বা যাঁরা গর্ভধারণের পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের উচ্চ সিসাযুক্ত প্রোটিন পাউডার এড়িয়ে চলা উচিত। আর অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদেরও প্রতিদিন এমন সাপ্লিমেন্ট না খেয়ে বিকল্প উৎস বেছে নেওয়া ভালো।
ড. স্টিফেন লুবি বলেন, প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করার আগে ভোক্তাদের উচিত এর ঝুঁকি বিবেচনা করা। তিনি বলেন, ‘প্রোটিন পাউডার খাওয়া কি উপকারের চেয়ে বেশি ক্ষতি ডেকে আনছে? আমাদের ভাবা উচিত।’
এর আগেও জনপ্রিয় খাদ্যপণ্যে সিসা পাওয়া গেছে। ২০২৩ সালে দারুচিনি-স্বাদযুক্ত আপেল সসের লাখ লাখ পাউচ বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়, কারণ তাতে অত্যধিক মাত্রায় সিসা পাওয়া গিয়েছিল। গত বছর কনজিউমার রিপোর্টসের আরেকটি গবেষণায়ও এক ডজন দারুচিনি দিয়ে তৈরি পণ্যে সিসার মাত্রা উদ্বেগজনকভাবে বেশি ধরা পড়ে।

জীবনে ব্যস্ততার শেষ নেই। এর মাঝে নিজের ও পরিবারের জন্য সময় বের করতে হয়। সময় বের করে অনেকে ভ্রমণে যায়। ভ্রমণ উপভোগ করতে সুস্থ থাকা চাই। তা না হলে পুরো ভ্রমণ হবে মাটি! অর্থ ও সময়– দুই-ই গচ্চা যাবে, মেজাজ হবে খিটখিটে।
১৭ আগস্ট ২০২৩
সাম্প্রতিক ফ্যাশন ট্রেন্ডে হলিউড থেকে বলিউড—সবখানে চুলে ‘সাইড পার্ট’ বা এক পাশে সিঁথির জনপ্রিয়তা বেড়েছে। ছোট চুলের সঙ্গে এক পাশে সিঁথির মেলবন্ধনে স্টাইলিশ লুক পাওয়া যায়। যাঁদের চুল ছোট এবং ভাবছেন এই চুলে স্টাইল কীভাবে করবেন, সেই হদিস মিলবে এই লেখায়।
১ ঘণ্টা আগে
আগেকার দিনে ঘরের লম্বা চুলকে নারীর গৌরব বলে মনে করা হতো। চুল দেখেই বোঝা যায় আপনি নিজের প্রতি কতটা যত্নশীল। তবে কাজের চাপে অনেকেই পারলারে গিয়ে সময় নিয়ে চুলের যথাযথ যত্ন নিতে পারেন না। এর ওপর ধুলোবালি ও দূষণের প্রকোপ তো রয়েছেই।
১৭ ঘণ্টা আগে
দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে প্লাস্টিক। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো জানাচ্ছে, প্লাস্টিকের পাত্র, চামচ এবং এমনকি টি-ব্যাগও নীরবে আমাদের শরীরে প্রবেশ করাচ্ছে বিপুল পরিমাণ মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা। এসব প্লাস্টিক কণা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে।
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

আগেকার দিনে ঘরের লম্বা চুলকে নারীর গৌরব বলে মনে করা হতো। চুল দেখেই বোঝা যায় আপনি নিজের প্রতি কতটা যত্নশীল। তবে কাজের চাপে অনেকেই পারলারে গিয়ে সময় নিয়ে চুলের যথাযথ যত্ন নিতে পারেন না। এর ওপর ধুলোবালি ও দূষণের প্রকোপ তো রয়েছেই। ফলে যত্নের অভাবে চুল ঝরতে থাকে। গোসলের আগে যদি আধাঘণ্টা সময় থাকে, তাহলে রান্নাঘরের কয়েকটি উপাদান দিয়েই চুল পড়ার সমস্যা ঠেকানো সম্ভব।
জেনে নিন রান্নাঘরে থাকা কোন কোন উপাদান চুল পড়ারোধে সহায়তা করে।
আদা
আদা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। অতিরিক্ত খুশকির কারণে যাঁদের চুল ঝরছে তাঁরা মাথার ত্বকে আদার রস ব্যবহার করতে পারেন। আদা কুচি করে কেটে নিন এবং এতে এক কাপ পানি যোগ করুন। এবার একটা হাঁড়িতে আদা মেশানো পানি ফুটতে দিন। পানির রং পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিন। রং পরিবর্তন হলে মিশ্রণটি ছেঁকে ঠান্ডা করে একটি স্প্রে বোতলে ভরে নিন। আপনার মাথার ত্বকে ও চুলের গোড়ায় এই মিশ্রণ ভালো করে স্প্রে করুন। এরপর ভালো করে ম্যাসাজ করে ৫ ঘণ্টা রাখুন। তারপর অ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফল পেতে ২ দিন পর পর এই নিয়মে স্প্রে করুন।
লেবু
লেবুতে আছে ভিটামিন সি। এ ভিটামিন কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে, চুল স্বাস্থ্য়োজ্জ্বল রাখে ও চুল পড়া কমাতে সহায়তা করে। লেবু মাথার ত্বকের ময়লা ও জমে থাকা তেল পরিষ্কার করতে এবং খুশকি কমাতে কার্যকর। একটি তাজা অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল বের করে তাতে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার চামচ দিয়ে নেড়ে একটি পাতলা পেস্ট তৈরি করুন। মাস্কটি আপনার চুলের গোড়ায় ও পুরো চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে ২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর একটি হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কটি অতিরিক্ত তেল, খুশকি, ময়লা দূর করবে এবং আপনার চুলের আর্দ্রতা ফেরাতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি চুল পড়াও কমবে। কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেতে সপ্তাহে একবার এটি ব্যবহার করুন।
চুল পড়া রোধে প্রতি মাসে দুবার প্রোটিন ট্রিটমেন্ট করিয়ে নিতে হবে। ডিম ও টক দইয়ের মিশ্রণ দিয়ে ঘরেই প্রোটিন প্যাক তৈরি করে নেওয়া যায়। সেই সঙ্গে ভিটামিন ই ও ভিটামিন সিযুক্ত খাবার খেতে হবে। তিন মাস এভাবে চললে চুল পড়ার সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়ে যাবে। শারমিন কচি রূপবিশেষজ্ঞ এবং স্বতাধিকারী, বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার
পেঁয়াজের রস
চুল পড়া রোধে পেঁয়াজের রস খুব ভালো কাজ করে। শুধু তাই নয়, চুল গজাতেও পেঁয়াজের রসের জুড়ি নেই। পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকে যা চুল ভাঙারোধ করে ও ঝরে যাওয়া প্রতিরোধ করে। পেঁয়াজের রস এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় চুলের অকাল ধূসরতাও বন্ধ করে। পেঁয়াজের রস ও জলপাই তেলের মিশ্রণ চুলে ব্যবহার করেও চুল পড়া রোধ করা যেতে পারে। ১ ভাগ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে দুই ভাগ জলপাই তেল মিশিয়ে মাথার ত্বক ও পুরো চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। তারপর আধাঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। খুশকি, চুল পড়া এবং চুলের অকাল ধূসর হয়ে যাওয়ার সমস্যা সমাধানে এটি খুব ভালো কাজ করে।

ডিম
ডিম আপনার চুলের খুব ভালো বন্ধু। এটি বায়োটিন ও ফোলেটের মতো প্রোটিনের ভালো উৎস, যা চুল মেরামত করে এবং পুষ্টি সরবরাহ করে। ডিমের কুসুম সরাসরি চুলে ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে নতুন চুল গজাবে। একটি বাটিতে দুই-তিনটি ডিমের কুসুম নিন এবং ২ টেবিল চামচ দই মিশিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা মধু যোগ করুন। পেস্টটি ভালো করে মিশিয়ে সরাসরি চুলে লাগান, গোড়ায় ব্যবহারের কথাও ভুলে যাবেন না। ৩০ মিনিট রেখে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কারি পাতা
কারি পাতা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বিভিন্ন খনিজ পদার্থের ভাণ্ডার, যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুব জরুরি। কারিপাতা ব্যবহারে চুল পড়া রোধ হয়। সরিষার তেল, কাঁচা নারকেল তেল ও কারি পাতার মিশ্রণ চুল পড়া রোধে দুর্দান্ত চিকিৎসা হতে পারে। এই তিনটি উপাদানের মিশ্রণ চুলের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে ও চুল সিল্কি রেখে মাথার ত্বকে পুষ্টির জোগান দিতে সাহায্য করবে। ভালো ফলাফলের জন্য এই মিশ্রণ রাতে চুলে লাগিয়ে রেখে সকালে ধুয়ে নিতে হবে।
সোর্স কী?

আগেকার দিনে ঘরের লম্বা চুলকে নারীর গৌরব বলে মনে করা হতো। চুল দেখেই বোঝা যায় আপনি নিজের প্রতি কতটা যত্নশীল। তবে কাজের চাপে অনেকেই পারলারে গিয়ে সময় নিয়ে চুলের যথাযথ যত্ন নিতে পারেন না। এর ওপর ধুলোবালি ও দূষণের প্রকোপ তো রয়েছেই। ফলে যত্নের অভাবে চুল ঝরতে থাকে। গোসলের আগে যদি আধাঘণ্টা সময় থাকে, তাহলে রান্নাঘরের কয়েকটি উপাদান দিয়েই চুল পড়ার সমস্যা ঠেকানো সম্ভব।
জেনে নিন রান্নাঘরে থাকা কোন কোন উপাদান চুল পড়ারোধে সহায়তা করে।
আদা
আদা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। অতিরিক্ত খুশকির কারণে যাঁদের চুল ঝরছে তাঁরা মাথার ত্বকে আদার রস ব্যবহার করতে পারেন। আদা কুচি করে কেটে নিন এবং এতে এক কাপ পানি যোগ করুন। এবার একটা হাঁড়িতে আদা মেশানো পানি ফুটতে দিন। পানির রং পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিন। রং পরিবর্তন হলে মিশ্রণটি ছেঁকে ঠান্ডা করে একটি স্প্রে বোতলে ভরে নিন। আপনার মাথার ত্বকে ও চুলের গোড়ায় এই মিশ্রণ ভালো করে স্প্রে করুন। এরপর ভালো করে ম্যাসাজ করে ৫ ঘণ্টা রাখুন। তারপর অ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফল পেতে ২ দিন পর পর এই নিয়মে স্প্রে করুন।
লেবু
লেবুতে আছে ভিটামিন সি। এ ভিটামিন কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে, চুল স্বাস্থ্য়োজ্জ্বল রাখে ও চুল পড়া কমাতে সহায়তা করে। লেবু মাথার ত্বকের ময়লা ও জমে থাকা তেল পরিষ্কার করতে এবং খুশকি কমাতে কার্যকর। একটি তাজা অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল বের করে তাতে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার চামচ দিয়ে নেড়ে একটি পাতলা পেস্ট তৈরি করুন। মাস্কটি আপনার চুলের গোড়ায় ও পুরো চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে ২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর একটি হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কটি অতিরিক্ত তেল, খুশকি, ময়লা দূর করবে এবং আপনার চুলের আর্দ্রতা ফেরাতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি চুল পড়াও কমবে। কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেতে সপ্তাহে একবার এটি ব্যবহার করুন।
চুল পড়া রোধে প্রতি মাসে দুবার প্রোটিন ট্রিটমেন্ট করিয়ে নিতে হবে। ডিম ও টক দইয়ের মিশ্রণ দিয়ে ঘরেই প্রোটিন প্যাক তৈরি করে নেওয়া যায়। সেই সঙ্গে ভিটামিন ই ও ভিটামিন সিযুক্ত খাবার খেতে হবে। তিন মাস এভাবে চললে চুল পড়ার সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়ে যাবে। শারমিন কচি রূপবিশেষজ্ঞ এবং স্বতাধিকারী, বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার
পেঁয়াজের রস
চুল পড়া রোধে পেঁয়াজের রস খুব ভালো কাজ করে। শুধু তাই নয়, চুল গজাতেও পেঁয়াজের রসের জুড়ি নেই। পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকে যা চুল ভাঙারোধ করে ও ঝরে যাওয়া প্রতিরোধ করে। পেঁয়াজের রস এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় চুলের অকাল ধূসরতাও বন্ধ করে। পেঁয়াজের রস ও জলপাই তেলের মিশ্রণ চুলে ব্যবহার করেও চুল পড়া রোধ করা যেতে পারে। ১ ভাগ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে দুই ভাগ জলপাই তেল মিশিয়ে মাথার ত্বক ও পুরো চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। তারপর আধাঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। খুশকি, চুল পড়া এবং চুলের অকাল ধূসর হয়ে যাওয়ার সমস্যা সমাধানে এটি খুব ভালো কাজ করে।

ডিম
ডিম আপনার চুলের খুব ভালো বন্ধু। এটি বায়োটিন ও ফোলেটের মতো প্রোটিনের ভালো উৎস, যা চুল মেরামত করে এবং পুষ্টি সরবরাহ করে। ডিমের কুসুম সরাসরি চুলে ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে নতুন চুল গজাবে। একটি বাটিতে দুই-তিনটি ডিমের কুসুম নিন এবং ২ টেবিল চামচ দই মিশিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা মধু যোগ করুন। পেস্টটি ভালো করে মিশিয়ে সরাসরি চুলে লাগান, গোড়ায় ব্যবহারের কথাও ভুলে যাবেন না। ৩০ মিনিট রেখে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কারি পাতা
কারি পাতা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বিভিন্ন খনিজ পদার্থের ভাণ্ডার, যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুব জরুরি। কারিপাতা ব্যবহারে চুল পড়া রোধ হয়। সরিষার তেল, কাঁচা নারকেল তেল ও কারি পাতার মিশ্রণ চুল পড়া রোধে দুর্দান্ত চিকিৎসা হতে পারে। এই তিনটি উপাদানের মিশ্রণ চুলের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে ও চুল সিল্কি রেখে মাথার ত্বকে পুষ্টির জোগান দিতে সাহায্য করবে। ভালো ফলাফলের জন্য এই মিশ্রণ রাতে চুলে লাগিয়ে রেখে সকালে ধুয়ে নিতে হবে।
সোর্স কী?

জীবনে ব্যস্ততার শেষ নেই। এর মাঝে নিজের ও পরিবারের জন্য সময় বের করতে হয়। সময় বের করে অনেকে ভ্রমণে যায়। ভ্রমণ উপভোগ করতে সুস্থ থাকা চাই। তা না হলে পুরো ভ্রমণ হবে মাটি! অর্থ ও সময়– দুই-ই গচ্চা যাবে, মেজাজ হবে খিটখিটে।
১৭ আগস্ট ২০২৩
সাম্প্রতিক ফ্যাশন ট্রেন্ডে হলিউড থেকে বলিউড—সবখানে চুলে ‘সাইড পার্ট’ বা এক পাশে সিঁথির জনপ্রিয়তা বেড়েছে। ছোট চুলের সঙ্গে এক পাশে সিঁথির মেলবন্ধনে স্টাইলিশ লুক পাওয়া যায়। যাঁদের চুল ছোট এবং ভাবছেন এই চুলে স্টাইল কীভাবে করবেন, সেই হদিস মিলবে এই লেখায়।
১ ঘণ্টা আগে
বেশ কিছু জনপ্রিয় প্রোটিন সাপ্লিমেন্টে এমন মাত্রায় সিসা পাওয়া গেছে যা স্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগজনক হতে পারে। গত মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কনজিউমার রিপোর্টস নামের একটি সংস্থা।
১৬ ঘণ্টা আগে
দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে প্লাস্টিক। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো জানাচ্ছে, প্লাস্টিকের পাত্র, চামচ এবং এমনকি টি-ব্যাগও নীরবে আমাদের শরীরে প্রবেশ করাচ্ছে বিপুল পরিমাণ মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা। এসব প্লাস্টিক কণা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে প্লাস্টিক। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো জানাচ্ছে, প্লাস্টিকের পাত্র, চামচ এবং এমনকি টি-ব্যাগও নীরবে আমাদের শরীরে প্রবেশ করাচ্ছে বিপুল পরিমাণ মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা। এসব প্লাস্টিক কণা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে।
গবেষকদের অনুমান, একজন আমেরিকান বছরে প্রায় ৩৯ হাজার থেকে ৫২ হাজার মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা গ্রহণ করে। এই কণাগুলো পানীয় জল, খাবার এবং খাবার তৈরির সরঞ্জাম—সবকিছু থেকেই আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে। যদিও আরও গবেষণার প্রয়োজন, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী এই কণাগুলো কোষের ক্ষতি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল এবং নির্দিষ্ট ধরনের ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।
রান্নাঘরে অদৃশ্য বিপদ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রান্নাঘরের কয়েকটি সাধারণ জিনিস মাইক্রোপ্লাস্টিক গ্রহণের প্রধান উৎস:
১. প্লাস্টিক ফুড স্টোরেজ কন্টেইনার
গত সেপ্টেম্বরের একটি গবেষণা অনুযায়ী, খাদ্য প্যাকেজিং-এ ব্যবহৃত ১৪ হাজার পরিচিত রাসায়নিকের মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশ (অর্থাৎ ৩,৬০৭ টি) মানুষের শরীরে শনাক্ত হয়েছে।
২০২৩ সালের জুনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্লাস্টিকের পাত্র মাইক্রোওয়েভে গরম করলে খাদ্যে মাইক্রোপ্লাস্টিক ও ন্যানোপ্লাস্টিকের সর্বোচ্চ নিঃসরণ ঘটে। ন্যানোপ্লাস্টিকগুলো ১ মাইক্রনের চেয়ে ছোট হওয়ায় তা আরও বেশি ক্ষতিকর হতে পারে। এমনকি ফ্রিজে রাখা বা সাধারণ তাপমাত্রায় রাখলেও ছয় মাসে কোটি কোটি কণা নিঃসৃত হতে পারে।
বিপিএ-মুক্ত (BPA-free) পাত্রও নিরাপদ নয়। দাবি করা হয়, এই ধরনের পাত্রে শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত রাসায়নিক বাইস্ফেনল-এ থাকে না। এ ধরনের পাত্র সাধারণ প্লাস্টিকের চেয়ে কিছুটা ভালো, তবুও ওভেনে কাচের পাত্র বা সিলিকন ব্যবহার করাই সবচেয়ে নিরাপদ বিকল্প। কাচের পাত্র ওভেনে, ফ্রিজে বা মাইক্রোওয়েভে ব্যবহার করা নিরাপদ।
২. রান্নাঘরের প্লাস্টিকের সরঞ্জাম
গত জুনে প্রকাশিত একটি পদ্ধতিগত পর্যালোচনা অনুসারে, প্লাস্টিকের চামচ বা স্প্যাচুলার মতো সরঞ্জামও রান্নার সময় খাদ্যদ্রব্যে মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা অবমুক্ত করে। কারণে রান্নার কাজে কাঠ বা স্টেইনলেস স্টিলের সরঞ্জাম ব্যবহার করা উচিত। মাছ ভাজার জন্য স্টেইনলেস স্টিলের ‘ফিশ টার্নার’ একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।
৩. নন-স্টিক এয়ার ফ্রায়ার
নন-স্টিক এয়ার ফ্রায়ারের ভেতরের আস্তরণে সাধারণত পিটিইই (এক ধরনের প্লাস্টিক) কোটিং থাকে। ২০২৪ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, শক্ত বা ধারালো সরঞ্জাম ব্যবহার করলে বা খুব উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করলে পিটিইই কোটিং থেকেও মাইক্রোপ্লাস্টিক বা ন্যানোপ্লাস্টিক নিঃসৃত হতে পারে।
বিকল্প হিসেবে প্লাস্টিক এবং পিটিইই মুক্ত ন্যানো-সিরামিক কোটিংসহ এয়ার ফ্রায়ার এখন বাজারে পাওয়া যায়। এগুলো অপেক্ষাকৃত নিরাপদ।
৪. টি-ব্যাগ
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত একটি পর্যালোচনা দেখায়, টি-ব্যাগ গরম চায়ে মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা যোগ করার অন্যতম প্রধান উৎস। একটি টি-ব্যাগ থেকে ১০০ কোটিরও বেশি কণা নিঃসৃত হতে পারে। এমনকি ‘কম্পোস্টেবল’ লেবেল দেওয়া টি-ব্যাগও অনেক সময় উদ্ভিজ্জ উপাদানের আড়ালে প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হতে পারে।
এ কারণে গরম পানীয়ের জন্য খোলা চা পাতা এবং স্টেইনলেস স্টিলের টি-ইনফিউজার ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। পানি গরম করার জন্য কাচের বৈদ্যুতিক কেটলি ব্যবহার করাও নিরাপদ।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, তবে ধীরে ধীরে রান্নাঘর থেকে প্লাস্টিকের জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলার অভ্যাস করাই বুদ্ধিমানের কাজ। যে প্লাস্টিক সামগ্রীগুলো ঘন ঘন গরম করা হয়, ফ্রিজে রাখা হয় বা ডিশওয়াশারে ধোয়া হয়, সেগুলোর পরিবর্তে সিলিকন, কাঠ, ধাতু বা কাচের জিনিস ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।

দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে প্লাস্টিক। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো জানাচ্ছে, প্লাস্টিকের পাত্র, চামচ এবং এমনকি টি-ব্যাগও নীরবে আমাদের শরীরে প্রবেশ করাচ্ছে বিপুল পরিমাণ মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা। এসব প্লাস্টিক কণা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে।
গবেষকদের অনুমান, একজন আমেরিকান বছরে প্রায় ৩৯ হাজার থেকে ৫২ হাজার মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা গ্রহণ করে। এই কণাগুলো পানীয় জল, খাবার এবং খাবার তৈরির সরঞ্জাম—সবকিছু থেকেই আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে। যদিও আরও গবেষণার প্রয়োজন, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী এই কণাগুলো কোষের ক্ষতি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল এবং নির্দিষ্ট ধরনের ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।
রান্নাঘরে অদৃশ্য বিপদ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রান্নাঘরের কয়েকটি সাধারণ জিনিস মাইক্রোপ্লাস্টিক গ্রহণের প্রধান উৎস:
১. প্লাস্টিক ফুড স্টোরেজ কন্টেইনার
গত সেপ্টেম্বরের একটি গবেষণা অনুযায়ী, খাদ্য প্যাকেজিং-এ ব্যবহৃত ১৪ হাজার পরিচিত রাসায়নিকের মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশ (অর্থাৎ ৩,৬০৭ টি) মানুষের শরীরে শনাক্ত হয়েছে।
২০২৩ সালের জুনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্লাস্টিকের পাত্র মাইক্রোওয়েভে গরম করলে খাদ্যে মাইক্রোপ্লাস্টিক ও ন্যানোপ্লাস্টিকের সর্বোচ্চ নিঃসরণ ঘটে। ন্যানোপ্লাস্টিকগুলো ১ মাইক্রনের চেয়ে ছোট হওয়ায় তা আরও বেশি ক্ষতিকর হতে পারে। এমনকি ফ্রিজে রাখা বা সাধারণ তাপমাত্রায় রাখলেও ছয় মাসে কোটি কোটি কণা নিঃসৃত হতে পারে।
বিপিএ-মুক্ত (BPA-free) পাত্রও নিরাপদ নয়। দাবি করা হয়, এই ধরনের পাত্রে শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত রাসায়নিক বাইস্ফেনল-এ থাকে না। এ ধরনের পাত্র সাধারণ প্লাস্টিকের চেয়ে কিছুটা ভালো, তবুও ওভেনে কাচের পাত্র বা সিলিকন ব্যবহার করাই সবচেয়ে নিরাপদ বিকল্প। কাচের পাত্র ওভেনে, ফ্রিজে বা মাইক্রোওয়েভে ব্যবহার করা নিরাপদ।
২. রান্নাঘরের প্লাস্টিকের সরঞ্জাম
গত জুনে প্রকাশিত একটি পদ্ধতিগত পর্যালোচনা অনুসারে, প্লাস্টিকের চামচ বা স্প্যাচুলার মতো সরঞ্জামও রান্নার সময় খাদ্যদ্রব্যে মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা অবমুক্ত করে। কারণে রান্নার কাজে কাঠ বা স্টেইনলেস স্টিলের সরঞ্জাম ব্যবহার করা উচিত। মাছ ভাজার জন্য স্টেইনলেস স্টিলের ‘ফিশ টার্নার’ একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।
৩. নন-স্টিক এয়ার ফ্রায়ার
নন-স্টিক এয়ার ফ্রায়ারের ভেতরের আস্তরণে সাধারণত পিটিইই (এক ধরনের প্লাস্টিক) কোটিং থাকে। ২০২৪ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, শক্ত বা ধারালো সরঞ্জাম ব্যবহার করলে বা খুব উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করলে পিটিইই কোটিং থেকেও মাইক্রোপ্লাস্টিক বা ন্যানোপ্লাস্টিক নিঃসৃত হতে পারে।
বিকল্প হিসেবে প্লাস্টিক এবং পিটিইই মুক্ত ন্যানো-সিরামিক কোটিংসহ এয়ার ফ্রায়ার এখন বাজারে পাওয়া যায়। এগুলো অপেক্ষাকৃত নিরাপদ।
৪. টি-ব্যাগ
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত একটি পর্যালোচনা দেখায়, টি-ব্যাগ গরম চায়ে মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা যোগ করার অন্যতম প্রধান উৎস। একটি টি-ব্যাগ থেকে ১০০ কোটিরও বেশি কণা নিঃসৃত হতে পারে। এমনকি ‘কম্পোস্টেবল’ লেবেল দেওয়া টি-ব্যাগও অনেক সময় উদ্ভিজ্জ উপাদানের আড়ালে প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হতে পারে।
এ কারণে গরম পানীয়ের জন্য খোলা চা পাতা এবং স্টেইনলেস স্টিলের টি-ইনফিউজার ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। পানি গরম করার জন্য কাচের বৈদ্যুতিক কেটলি ব্যবহার করাও নিরাপদ।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, তবে ধীরে ধীরে রান্নাঘর থেকে প্লাস্টিকের জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলার অভ্যাস করাই বুদ্ধিমানের কাজ। যে প্লাস্টিক সামগ্রীগুলো ঘন ঘন গরম করা হয়, ফ্রিজে রাখা হয় বা ডিশওয়াশারে ধোয়া হয়, সেগুলোর পরিবর্তে সিলিকন, কাঠ, ধাতু বা কাচের জিনিস ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।

জীবনে ব্যস্ততার শেষ নেই। এর মাঝে নিজের ও পরিবারের জন্য সময় বের করতে হয়। সময় বের করে অনেকে ভ্রমণে যায়। ভ্রমণ উপভোগ করতে সুস্থ থাকা চাই। তা না হলে পুরো ভ্রমণ হবে মাটি! অর্থ ও সময়– দুই-ই গচ্চা যাবে, মেজাজ হবে খিটখিটে।
১৭ আগস্ট ২০২৩
সাম্প্রতিক ফ্যাশন ট্রেন্ডে হলিউড থেকে বলিউড—সবখানে চুলে ‘সাইড পার্ট’ বা এক পাশে সিঁথির জনপ্রিয়তা বেড়েছে। ছোট চুলের সঙ্গে এক পাশে সিঁথির মেলবন্ধনে স্টাইলিশ লুক পাওয়া যায়। যাঁদের চুল ছোট এবং ভাবছেন এই চুলে স্টাইল কীভাবে করবেন, সেই হদিস মিলবে এই লেখায়।
১ ঘণ্টা আগে
বেশ কিছু জনপ্রিয় প্রোটিন সাপ্লিমেন্টে এমন মাত্রায় সিসা পাওয়া গেছে যা স্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগজনক হতে পারে। গত মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কনজিউমার রিপোর্টস নামের একটি সংস্থা।
১৬ ঘণ্টা আগে
আগেকার দিনে ঘরের লম্বা চুলকে নারীর গৌরব বলে মনে করা হতো। চুল দেখেই বোঝা যায় আপনি নিজের প্রতি কতটা যত্নশীল। তবে কাজের চাপে অনেকেই পারলারে গিয়ে সময় নিয়ে চুলের যথাযথ যত্ন নিতে পারেন না। এর ওপর ধুলোবালি ও দূষণের প্রকোপ তো রয়েছেই।
১৭ ঘণ্টা আগে