সজল জাহিদ, ঢাকা
সারি সারি নারকেলগাছ। তার মাঝ দিয়ে বয়ে চলেছে স্বচ্ছ পানির নদী বা খাল। তার ওপরে ভাসছে রঙিন নৌকা। সেগুলোর কোনোটার ছাদ খোলা তো কোনোটার ছাদে বর্ণিল কারুকাজ। মনে ভরে ওঠে দেখলে। আছে পাহাড়, ঘন বন আর চা ও কফির বাগান।
দক্ষিণ ভারতের সিনেমার যারা ভক্ত, তাদের কাছে তামিলনাড়ু রাজ্যের এ সৌন্দর্য বর্ণনা না করলেও চলে। তবে হ্যাঁ। সিনেমায় দেখা এক আর নারকেলবাগানের মধ্য দিয়ে এঁকেবেঁকে যাওয়া নদীতে নৌকায় ঘুরে বেড়ানো, সেটা একেবারে অন্য জিনিস। এখন অবশ্য আর তেমন কঠিন নয় এই অবারিত সৌন্দর্য দুচোখ ভরে দেখা। চাইলেই যাওয়া যায়। যাওয়া যায় কেন বলি। যাচ্ছে তো মানুষ, প্রায় প্রতিদিন। আপনিই-বা কেন বসে থাকবেন? বেরিয়ে পড়ুন। শুধু ঠিক করে নিন সময়।
বাঙালি একসময় স্বাস্থ্য উদ্ধারে যেত পশ্চিমে অর্থাৎ বিহারে। আর এখন মানুষ যায় বিহার ছাড়িয়ে তামিলনাড়ু। অবশ্য শুধু স্বাস্থ্য উদ্ধার নয়। একই সঙ্গে মনের স্বাস্থ্য ভালো রাখার অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য এখন ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রাজধানী শহর চেন্নাই। ৩৬৮ বছরের পুরোনো এই শহরটিই আসলে মন ভালো করে দেয়। আর এখানকার পাহাড়, সমুদ্র, বন আর পুরোনো প্রাসাদ মনের মতো দেহের অসুখও দূর করতে পারে নিমেষেই।
মেরিনা বিচে দাঁড়িয়ে শহরটির দিকে তাকালে যে দৃশ্য চোখের ফ্রেমে ধরা পড়বে, তাতে ঘুরেফিরে আসবে তমিল সংস্কৃতির প্রাচীন গন্ধ। ভারত উপমহাদেশের প্রাচীনতম ভাষা ও সংস্কৃতিগুলোর নিদর্শন পাওয়া যাবে এখানে। কিন্তু হঠাৎ আপনার মনে হবে, মেরিনা বিচ অংশে সাগরের গভীরতা অনেক বেশি বলে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ে মন ভরে না। অবশ্য তেমন সমুদ্রসৈকত চাইলে চলে যেতে পারেন রামেশ্বরম— রাতের ট্রেনে। সবুজ আর ঘন প্রাকৃতিক বন আর চাবাগান দেখতে চাইলে চলে যেতে পারেন উটি, ঝরনা আর জলপ্রপাত দেখতে চাইলে চলে যান বেঙ্গালুরুর হোগেনেক্কাল। এখান থেকে এক রাতের জার্নি করে চলে যাওয়া যায় গোয়া, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটকের মতো দারুণ দারুণ জায়গায়। চাইলে সারা দিন ঘুরে পরের সন্ধ্যা বা রাতের ট্রেনে আবার চেন্নাই ফিরে আসা যায় চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কাজ সারতে।
চেন্নাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল হলো অ্যাপোলো। সবার কাছেই কমবেশি পরিচিত নামটি।
বাংলাদেশসহ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে এ হাসপাতালের শাখা আছে। তবে আশার কথা হলো, চেন্নাই অ্যাপোলোতে বেশ সহনীয় খরচেই চিকিৎসা করার সুযোগ রয়েছে। খরচটা একটু বেশি বলে ভিড় বেশ কম।
এ ছাড়া যাঁরা শুধু চোখের চিকিৎসা করাতে চান, তাঁদের জন্য এখানে আছে বিখ্যাত হাসপাতাল শংকর নেত্রালয়।
চেন্নাইতে প্রচুর হোটেল মোটেল আছে। ১ হাজার ৫০০ রুপি থেকে শুরু করে সাধ ও সাধ্যের মধ্যে বেছে নিতে পারবেন থাকার জায়গা।
চেন্নাই থেকে ১৪৫ কিলোমিটার দূরে ভেলোর শহরে আছে জনপ্রিয় হাসপাতাল সিএমসি, ভেলোর। এই হাসপাতালে প্রচুর বাংলাদেশি যান চিকিৎসার জন্য। এখানে প্রায় সব ধরনের চিকিৎসাই হয় বেশ স্বল্প খরচে। তবে ভারত ও বাংলাদেশের ব্যাপক রোগীর কারণে এ হাসপাতালে প্রচুর ভিড় হয় বলে চিকিৎসাসেবা নিতে সময় লাগে বেশি। তাই যারা সিএমসিকেই চিকিৎসার গন্তব্য ভেবে রাখছেন, তাঁদের প্রতি পরামর্শ, এখানে হাতে অনেক সময় আর বাজেটের চেয়ে অবশ্যই কিছু বেশি অর্থ নিয়ে যাবেন।
এখানে থাকতে ৮০০ রুপি থেকে শুরু করে সাধ্যের মধ্যেই পেয়ে যাবেন নানা রকম আবাসন। সেই সঙ্গে বেশ কম খরচে স্থানীয় খাবার পাবেন সব জায়গাতেই।
যেভাবে যাবেন
মোটামুটি দুইভাবে বেশ সহজে চেন্নাই যাওয়া যায়। প্রথমত, ঢাকা থেকে সরাসরি আকাশ পথে চেন্নাই। টিকিটের দাম কমবেশি হয়। ফলে টিকিট কাটার আগে খোঁজ করে নিতে হবে।
চেন্নাই থেকে ট্রেনে যাওয়া যাবে ভেলোর। সময় লাগবে দুই থেকে তিন ঘণ্টা।
আর যাঁদের হাতে সময় বেশি থাকবে তারা বেশ কম খরচে যেতে, পারবেন কলকাতা হয়ে। ঢাকা থেকে সরাসরি কলকাতা। সেখান থেকে ট্রেনে ভেলোরের কাটপাডি স্টেশন। মোটামুটি ২৮ থেকে ৩০ ঘণ্টা সময় লাগে কলকাতা থেকে কাটপাডি স্টেশনে যেতে। সে স্টেশন থেকে সিএমসির দূরত্ব মাত্র ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার। তবে যেখানেই যান না কেন, ট্রেন হোক বা বাস, অবশ্যই যাওয়া এবং আসার উভয় টিকিট করে রাখবেন আগে থেকেই। বিশেষ করে ট্রেন হলে তো অবশ্যই সেটা করতে হবে। নইলে ভ্রমণের আনন্দ বিষাদে রূপ নিতে পারে।
কারণ পুরো ভারতেই সারা রাত ট্রেন-যাত্রার তাৎক্ষণিক টিকিট কখনোই পাওয়া যায় না।
সারি সারি নারকেলগাছ। তার মাঝ দিয়ে বয়ে চলেছে স্বচ্ছ পানির নদী বা খাল। তার ওপরে ভাসছে রঙিন নৌকা। সেগুলোর কোনোটার ছাদ খোলা তো কোনোটার ছাদে বর্ণিল কারুকাজ। মনে ভরে ওঠে দেখলে। আছে পাহাড়, ঘন বন আর চা ও কফির বাগান।
দক্ষিণ ভারতের সিনেমার যারা ভক্ত, তাদের কাছে তামিলনাড়ু রাজ্যের এ সৌন্দর্য বর্ণনা না করলেও চলে। তবে হ্যাঁ। সিনেমায় দেখা এক আর নারকেলবাগানের মধ্য দিয়ে এঁকেবেঁকে যাওয়া নদীতে নৌকায় ঘুরে বেড়ানো, সেটা একেবারে অন্য জিনিস। এখন অবশ্য আর তেমন কঠিন নয় এই অবারিত সৌন্দর্য দুচোখ ভরে দেখা। চাইলেই যাওয়া যায়। যাওয়া যায় কেন বলি। যাচ্ছে তো মানুষ, প্রায় প্রতিদিন। আপনিই-বা কেন বসে থাকবেন? বেরিয়ে পড়ুন। শুধু ঠিক করে নিন সময়।
বাঙালি একসময় স্বাস্থ্য উদ্ধারে যেত পশ্চিমে অর্থাৎ বিহারে। আর এখন মানুষ যায় বিহার ছাড়িয়ে তামিলনাড়ু। অবশ্য শুধু স্বাস্থ্য উদ্ধার নয়। একই সঙ্গে মনের স্বাস্থ্য ভালো রাখার অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য এখন ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রাজধানী শহর চেন্নাই। ৩৬৮ বছরের পুরোনো এই শহরটিই আসলে মন ভালো করে দেয়। আর এখানকার পাহাড়, সমুদ্র, বন আর পুরোনো প্রাসাদ মনের মতো দেহের অসুখও দূর করতে পারে নিমেষেই।
মেরিনা বিচে দাঁড়িয়ে শহরটির দিকে তাকালে যে দৃশ্য চোখের ফ্রেমে ধরা পড়বে, তাতে ঘুরেফিরে আসবে তমিল সংস্কৃতির প্রাচীন গন্ধ। ভারত উপমহাদেশের প্রাচীনতম ভাষা ও সংস্কৃতিগুলোর নিদর্শন পাওয়া যাবে এখানে। কিন্তু হঠাৎ আপনার মনে হবে, মেরিনা বিচ অংশে সাগরের গভীরতা অনেক বেশি বলে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ে মন ভরে না। অবশ্য তেমন সমুদ্রসৈকত চাইলে চলে যেতে পারেন রামেশ্বরম— রাতের ট্রেনে। সবুজ আর ঘন প্রাকৃতিক বন আর চাবাগান দেখতে চাইলে চলে যেতে পারেন উটি, ঝরনা আর জলপ্রপাত দেখতে চাইলে চলে যান বেঙ্গালুরুর হোগেনেক্কাল। এখান থেকে এক রাতের জার্নি করে চলে যাওয়া যায় গোয়া, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটকের মতো দারুণ দারুণ জায়গায়। চাইলে সারা দিন ঘুরে পরের সন্ধ্যা বা রাতের ট্রেনে আবার চেন্নাই ফিরে আসা যায় চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কাজ সারতে।
চেন্নাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল হলো অ্যাপোলো। সবার কাছেই কমবেশি পরিচিত নামটি।
বাংলাদেশসহ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে এ হাসপাতালের শাখা আছে। তবে আশার কথা হলো, চেন্নাই অ্যাপোলোতে বেশ সহনীয় খরচেই চিকিৎসা করার সুযোগ রয়েছে। খরচটা একটু বেশি বলে ভিড় বেশ কম।
এ ছাড়া যাঁরা শুধু চোখের চিকিৎসা করাতে চান, তাঁদের জন্য এখানে আছে বিখ্যাত হাসপাতাল শংকর নেত্রালয়।
চেন্নাইতে প্রচুর হোটেল মোটেল আছে। ১ হাজার ৫০০ রুপি থেকে শুরু করে সাধ ও সাধ্যের মধ্যে বেছে নিতে পারবেন থাকার জায়গা।
চেন্নাই থেকে ১৪৫ কিলোমিটার দূরে ভেলোর শহরে আছে জনপ্রিয় হাসপাতাল সিএমসি, ভেলোর। এই হাসপাতালে প্রচুর বাংলাদেশি যান চিকিৎসার জন্য। এখানে প্রায় সব ধরনের চিকিৎসাই হয় বেশ স্বল্প খরচে। তবে ভারত ও বাংলাদেশের ব্যাপক রোগীর কারণে এ হাসপাতালে প্রচুর ভিড় হয় বলে চিকিৎসাসেবা নিতে সময় লাগে বেশি। তাই যারা সিএমসিকেই চিকিৎসার গন্তব্য ভেবে রাখছেন, তাঁদের প্রতি পরামর্শ, এখানে হাতে অনেক সময় আর বাজেটের চেয়ে অবশ্যই কিছু বেশি অর্থ নিয়ে যাবেন।
এখানে থাকতে ৮০০ রুপি থেকে শুরু করে সাধ্যের মধ্যেই পেয়ে যাবেন নানা রকম আবাসন। সেই সঙ্গে বেশ কম খরচে স্থানীয় খাবার পাবেন সব জায়গাতেই।
যেভাবে যাবেন
মোটামুটি দুইভাবে বেশ সহজে চেন্নাই যাওয়া যায়। প্রথমত, ঢাকা থেকে সরাসরি আকাশ পথে চেন্নাই। টিকিটের দাম কমবেশি হয়। ফলে টিকিট কাটার আগে খোঁজ করে নিতে হবে।
চেন্নাই থেকে ট্রেনে যাওয়া যাবে ভেলোর। সময় লাগবে দুই থেকে তিন ঘণ্টা।
আর যাঁদের হাতে সময় বেশি থাকবে তারা বেশ কম খরচে যেতে, পারবেন কলকাতা হয়ে। ঢাকা থেকে সরাসরি কলকাতা। সেখান থেকে ট্রেনে ভেলোরের কাটপাডি স্টেশন। মোটামুটি ২৮ থেকে ৩০ ঘণ্টা সময় লাগে কলকাতা থেকে কাটপাডি স্টেশনে যেতে। সে স্টেশন থেকে সিএমসির দূরত্ব মাত্র ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার। তবে যেখানেই যান না কেন, ট্রেন হোক বা বাস, অবশ্যই যাওয়া এবং আসার উভয় টিকিট করে রাখবেন আগে থেকেই। বিশেষ করে ট্রেন হলে তো অবশ্যই সেটা করতে হবে। নইলে ভ্রমণের আনন্দ বিষাদে রূপ নিতে পারে।
কারণ পুরো ভারতেই সারা রাত ট্রেন-যাত্রার তাৎক্ষণিক টিকিট কখনোই পাওয়া যায় না।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিস্তারের ফলে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ঐতিহাসিক পোশাক ও পুরোনো স্টাইল আইকনের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টের কস্টিউম ইনস্টিটিউটের প্রদর্শনী ও মেট গালা অনুষ্ঠান এসব আগ্রহ আরও উসকে দিচ্ছে।
৯ ঘণ্টা আগেফ্রিজে মাঝে মাঝে বরফ এত বেশি জমাট বাঁধে যে সেগুলো দেখতে গুহার মতো লাগে। ফলে ফ্রিজের ভেতরের জায়গা কমে যায়, খাবার ঠিকমতো সংরক্ষণ করা যায় না, মেশিনের কাজের দক্ষতা কমে যায় এবং বিদ্যুতের বিল বাড়ে।
১৪ ঘণ্টা আগেনীল রং নিয়ে আমাদের আদিখ্যেতার শেষ নেই। কত যে উপমা তৈরি করা হয়েছে এই রং নিয়ে, তার হিসাব নেই। কিন্তু জানেন তো, এটি কষ্টেরও রং! শুধু মানসিক কষ্ট নয়, ত্বকবিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনার ব্যবহার করা মোবাইল ফোন, কম্পিউটারসহ যেকোনো ডিভাইস থেকে বের হওয়া নীল আলো বা ব্লু লাইট ত্বকেরও কষ্টের কারণ!
১৫ ঘণ্টা আগেস্বভাবে অলস, অথচ গাছপ্রেমী; এমন মানুষদের অফিসের ডেস্কে, ড্রয়িংরুমে কিংবা বেড সাইড টেবিলে যে উদ্ভিদ শোভা পায়, তার নাম লাকি ব্যাম্বু। সহজে মাটি অথবা পানিতে বেড়ে ওঠা এই উদ্ভিদ আমাদের দেশেও ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গত ১০ বছরে।
১৬ ঘণ্টা আগে