মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
মেরিন ড্রাইভ থেকে বিলবোর্ড ঘেঁষে ছোট্ট একটি রাস্তা। একটু এগোলেই দরিয়ানগর সৈকত। এখানে প্যারাসেইলিং করতে টিকিট হাতে নিয়ে অপেক্ষা করছেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থেকে বেড়াতে আসা ব্যবসায়ী সাইফুদ্দিন আহমেদ। তাঁর ছেলে মেহেদী ও মেয়ে জেরিন সুলতানা প্যারাসেইলিং করবেন। দুজনই জীবনে প্রথম আকাশে উড়ে সমুদ্র দেখবেন।
প্রথমেই মেহেদীর পালা। ফ্লাই এয়ারের দক্ষ কর্মীরা তাঁর শরীরে লাইফ জ্যাকেট ও প্যারাস্যুট পরিয়ে দিচ্ছেন। ৩০০ মিটার দূরে সাগরে প্রস্তুত স্পিডবোট। মেহেদীকে নিয়মকানুন বুঝিয়ে দিয়ে প্রস্তুত করা হলো। সিগন্যাল দেওয়া হলো স্পিডবোটকে। স্বজনেরা তাঁর আকাশে ওড়ার মুহূর্তগুলো ছবি ও ভিডিও ধারণে ব্যস্ত।
সব ঠিক আছে কি না, দেখে তদারককারী ইরফানুল হকের ইশারা পেয়ে হ্যান্ডমাইকে ওড়ার ঘোষণা দেন এক যুবক। স্পিডবোটটি দূর সাগরে ছুটতে থাকে। তখনই রশির টানে ধীরে ধীরে প্যারাসেইলিং আকাশে উড়তে থাকে!
সমুদ্রতীরে সতর্ক অবস্থায় আরেকটি স্পিডবোট দুটি দ্রুতগতির জেট স্কি নিয়ে অপেক্ষা করছে। যেতে যেতে দেড়-দুই কিলোমিটার দূরে সাগরে উড্ডয়ন শেষে তীরে ফিরে আসেন মেহেদী।
এরপর একজন সঙ্গী দিয়ে জেরিনকেও পাঠানো হয়।
দরিয়ানগর সৈকতের আকর্ষণ এখন প্যারাসেইলিং। এর মাধ্যমে আকাশে ওড়ে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত, সবুজ পাহাড় ও প্রকৃতি, সাগরে ট্রলার দিয়ে মাছ ধরা বা ডলফিনের লাফালাফিসহ বিভিন্ন দুর্লভ দৃশ্য দেখা যায়। এত দিন যাঁরা কক্সবাজারে আলাদা আলাদা করে সমুদ্র, পাহাড় ও প্রকৃতি দেখেছেন, এখন প্যারাসেইলিংয়ের মাধ্যমে সেগুলো একসঙ্গে দেখার দারুণ সুযোগ পাবেন।
দেশে শুধু কক্সবাজারেই প্যারাসেইলিং করার সুযোগ রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পর্যটকদের কাছে প্যারাসেইলিং ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে ব্যয়বহুল হওয়ায় অনেকে এ সুযোগ নিতে পারেন না। কক্সবাজার শহরের কলাতলী মোড় থেকে মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে আড়াই কিলোমিটার গেলেই দরিয়ানগর সমুদ্রসৈকত। এখানে ও পাশের হিমছড়ি সৈকতে তিনটি প্যারাসেইলিং স্পট রয়েছে।
শুষ্ক মৌসুমে ঘুরতে আসা পর্যটক ও স্থানীয় লোকজন এখানে প্যারাসেইলিং করেন। বাতাসের গতিবেগ, ঝড়-বৃষ্টির অবস্থা বুঝে প্যারাসেইলিং করতে হয়। উল্টো বাতাস কিংবা বেশি বা কম বাতাসে প্যারাসেইলিং করা যায় না।
ফ্লাই এয়ার সি স্পোর্টস প্যারাসেইলিংয়ের কর্মী ইরফানুল হক জানান, চার বছর ধরে তাঁদের প্রতিষ্ঠান এখানে প্যারাসেইলিং করে আসছে। বাতাসের গতিবেগ ঠিক থাকলে দিনে ২৫ থেকে ৩০ জন উড়তে পারেন। এখনো কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি এ স্পটে।
প্যারাসেইলিং করতে আসা অনেকের সামর্থ্য না থাকলে টিকিটে ছাড় দেওয়া হয়।
যাঁদের নিষেধ আছে
হৃদ্রোগে আক্রান্ত মানুষ, গর্ভবতী, হাইট ফোবিয়ায় আক্রান্ত ও বেশি ওজনের মানুষ প্যারাসেইলিং করার উপযুক্ত নন। মোটামুটি সুস্থ-সবল ৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী নারী-পুরুষ প্যারাসেইলিং করতে পারেন। তবে যেকোনো কারণে যাঁরা দুর্বল চিত্তের, তাঁদেরও প্যারাসেইলিং না করা ভালো।
উপযুক্ত সময়
প্রতিবছর পর্যটন মৌসুমের নভেম্বর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত প্যারাসেইলিংয়ের সুযোগ বেশি। এ সময়েই পর্যটকেরা প্যারাসেইলিং স্পস্ট ভিড় করেন।
খরচ
একজনের প্যারাসেইলিং করতে খরচ পড়ে ২ হাজার ও ২ হাজার ৫০০ টাকা।
মেরিন ড্রাইভ থেকে বিলবোর্ড ঘেঁষে ছোট্ট একটি রাস্তা। একটু এগোলেই দরিয়ানগর সৈকত। এখানে প্যারাসেইলিং করতে টিকিট হাতে নিয়ে অপেক্ষা করছেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থেকে বেড়াতে আসা ব্যবসায়ী সাইফুদ্দিন আহমেদ। তাঁর ছেলে মেহেদী ও মেয়ে জেরিন সুলতানা প্যারাসেইলিং করবেন। দুজনই জীবনে প্রথম আকাশে উড়ে সমুদ্র দেখবেন।
প্রথমেই মেহেদীর পালা। ফ্লাই এয়ারের দক্ষ কর্মীরা তাঁর শরীরে লাইফ জ্যাকেট ও প্যারাস্যুট পরিয়ে দিচ্ছেন। ৩০০ মিটার দূরে সাগরে প্রস্তুত স্পিডবোট। মেহেদীকে নিয়মকানুন বুঝিয়ে দিয়ে প্রস্তুত করা হলো। সিগন্যাল দেওয়া হলো স্পিডবোটকে। স্বজনেরা তাঁর আকাশে ওড়ার মুহূর্তগুলো ছবি ও ভিডিও ধারণে ব্যস্ত।
সব ঠিক আছে কি না, দেখে তদারককারী ইরফানুল হকের ইশারা পেয়ে হ্যান্ডমাইকে ওড়ার ঘোষণা দেন এক যুবক। স্পিডবোটটি দূর সাগরে ছুটতে থাকে। তখনই রশির টানে ধীরে ধীরে প্যারাসেইলিং আকাশে উড়তে থাকে!
সমুদ্রতীরে সতর্ক অবস্থায় আরেকটি স্পিডবোট দুটি দ্রুতগতির জেট স্কি নিয়ে অপেক্ষা করছে। যেতে যেতে দেড়-দুই কিলোমিটার দূরে সাগরে উড্ডয়ন শেষে তীরে ফিরে আসেন মেহেদী।
এরপর একজন সঙ্গী দিয়ে জেরিনকেও পাঠানো হয়।
দরিয়ানগর সৈকতের আকর্ষণ এখন প্যারাসেইলিং। এর মাধ্যমে আকাশে ওড়ে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত, সবুজ পাহাড় ও প্রকৃতি, সাগরে ট্রলার দিয়ে মাছ ধরা বা ডলফিনের লাফালাফিসহ বিভিন্ন দুর্লভ দৃশ্য দেখা যায়। এত দিন যাঁরা কক্সবাজারে আলাদা আলাদা করে সমুদ্র, পাহাড় ও প্রকৃতি দেখেছেন, এখন প্যারাসেইলিংয়ের মাধ্যমে সেগুলো একসঙ্গে দেখার দারুণ সুযোগ পাবেন।
দেশে শুধু কক্সবাজারেই প্যারাসেইলিং করার সুযোগ রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পর্যটকদের কাছে প্যারাসেইলিং ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে ব্যয়বহুল হওয়ায় অনেকে এ সুযোগ নিতে পারেন না। কক্সবাজার শহরের কলাতলী মোড় থেকে মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে আড়াই কিলোমিটার গেলেই দরিয়ানগর সমুদ্রসৈকত। এখানে ও পাশের হিমছড়ি সৈকতে তিনটি প্যারাসেইলিং স্পট রয়েছে।
শুষ্ক মৌসুমে ঘুরতে আসা পর্যটক ও স্থানীয় লোকজন এখানে প্যারাসেইলিং করেন। বাতাসের গতিবেগ, ঝড়-বৃষ্টির অবস্থা বুঝে প্যারাসেইলিং করতে হয়। উল্টো বাতাস কিংবা বেশি বা কম বাতাসে প্যারাসেইলিং করা যায় না।
ফ্লাই এয়ার সি স্পোর্টস প্যারাসেইলিংয়ের কর্মী ইরফানুল হক জানান, চার বছর ধরে তাঁদের প্রতিষ্ঠান এখানে প্যারাসেইলিং করে আসছে। বাতাসের গতিবেগ ঠিক থাকলে দিনে ২৫ থেকে ৩০ জন উড়তে পারেন। এখনো কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি এ স্পটে।
প্যারাসেইলিং করতে আসা অনেকের সামর্থ্য না থাকলে টিকিটে ছাড় দেওয়া হয়।
যাঁদের নিষেধ আছে
হৃদ্রোগে আক্রান্ত মানুষ, গর্ভবতী, হাইট ফোবিয়ায় আক্রান্ত ও বেশি ওজনের মানুষ প্যারাসেইলিং করার উপযুক্ত নন। মোটামুটি সুস্থ-সবল ৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী নারী-পুরুষ প্যারাসেইলিং করতে পারেন। তবে যেকোনো কারণে যাঁরা দুর্বল চিত্তের, তাঁদেরও প্যারাসেইলিং না করা ভালো।
উপযুক্ত সময়
প্রতিবছর পর্যটন মৌসুমের নভেম্বর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত প্যারাসেইলিংয়ের সুযোগ বেশি। এ সময়েই পর্যটকেরা প্যারাসেইলিং স্পস্ট ভিড় করেন।
খরচ
একজনের প্যারাসেইলিং করতে খরচ পড়ে ২ হাজার ও ২ হাজার ৫০০ টাকা।
মে দিবস মানেই ছুটির দিন। এদিন সকাল-সকাল কাজে যাওয়ার তাড়া নেই। আর এবার তো মে দিবস বৃহস্পতিবার পড়ায় সাপ্তাহিক ছুটির বাইরে আরও একটা দিন বাড়তি ছুটি পাওয়া গেল। তাতেই মনটা ফুরফুরে লাগছে, তাই না? তবে এক দিন বেশি ছুটি পেয়ে কি শুয়ে-বসেই কাটাবেন? মে মাসের প্রথম দিনটি স্বতঃস্ফূর্তভাবে উদ্যাপন করতে পারেন।
৩ ঘণ্টা আগেবছরের পর বছর ধরে যদি প্রিয় ডেনিমের পোশাকগুলো পরতে চান, তাহলে যত্ন তো নিতেই হবে। কিছু উপায় জেনে নিলে যত্ন নেওয়াটাও হবে সহজ। আজ ৩০ এপ্রিল, ডেনিম দিবস। আজ থেকেই মেনে চলুন ডেনিমের পোশাক ভালো রাখার উপায়গুলো।
১৩ ঘণ্টা আগেটক দইয়ে চিনি, নাকি লবণ মেশাবেন, সেটা নির্ভর করছে দই খাওয়ার কারণের ওপর। অর্থাৎ কেন দই খাচ্ছেন, তার ওপর। দুটির স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ভিন্ন ভিন্ন। টক দইয়ে উপস্থিত প্রচুর পুষ্টি উপাদান এবং প্রোবায়োটিকসের কারণে নিয়মিত টাটকা দই খাওয়া কিছু রোগ প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।
১ দিন আগেবলিউড নায়িকারা মা হওয়ার পরও কী করে ফিট থাকেন, এটা নিয়ে সবারই প্রশ্ন। এরপরের প্রশ্নটি হলো, মা হওয়ার পরও কীভাবে তাঁরা ক্যারিয়ার সামলাচ্ছেন। ভোগ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি ফিচারে জানা গেছে, বলিউড তারকা মায়েদের প্যারেন্টিং বিষয়ে। এতে নতুন ও কর্মজীবী মায়েদেরও কিছু টিপস দিয়েছেন তাঁরা।
১ দিন আগে