মীর মহিবুল্লাহ, পটুয়াখালী
সমুদ্রসৈকত, দ্বীপ এবং বদলে যাওয়া শহর একসঙ্গে দেখতে চাইলে এই ঈদে পটুয়াখালী হতে পারে দারুণ ভ্রমণের গন্তব্য। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে পটুয়াখালীর চেহারা। লোহালিয়া ও লাউকাঠি নদীর তীরের ছোট্ট এ শহর এখন দেশের ‘দ্বিতীয় সুন্দরতম’ শহর হিসেবে পরিচিত। তাই এই ঈদের লম্বা ছুটি কিংবা ঝটিকা সফরের জন্য বেছে নেওয়া যেতে পারে পটুয়াখালী।
কুয়াকাটাই এখন আর পটুয়াখালীর ট্রেডমার্ক ভ্রমণ গন্তব্য নয়। এটি তো আছেই, এর সঙ্গে আছে ১০টি ছোট-বড় দ্বীপ। তবে দ্বীপ হিসেবে নয়, চর হিসেবে এগুলোকে চেনে সবাই। প্রতিটি চরে আছে অপূর্ব সৈকত। অধিকাংশ সৈকত থেকে দেখা যাবে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত। দেখা যাবে দেশি-বিদেশি পাখি, পূর্ণিমায় অপূর্ব জোছনা, লাল কাঁকড়ার ছোটাছুটি। কুয়াকাটাকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা এই ১০টি দ্বীপ বা চর যেন ১০ বোন! এগুলো হলো কাউয়ারচর, চর বিজয়, চর তুফানিয়া, জাহাজমারা, সোনারচর, চর হেয়ার, লেম্বুরচর, ফাতরারচর, নিদ্রা সৈকত, শুভ সন্ধ্যা। তবে আবহাওয়াগত কারণে এ সময় সব দ্বীপে যাওয়া সম্ভব নয়। এ সময় যাওয়া যাবে কাউয়ারচর বা গঙ্গামতি সৈকত, লেম্বুরচর ও ফাতরারচর।
কাউয়ারচর
ভোরবেলা কুয়াকাটা থেকে মোটরসাইকেল কিংবা অটোরিকশা অথবা বিচ কার নিয়ে সড়কপথে যাওয়া যাবে গঙ্গামতি বা কাউয়ারচর। এখান থেকে সূর্যোদয় দেখা যায়। এখানে আছে বন বিভাগের নয়নাভিরাম ঝাউবন। সকালে সৈকতের বালুকাবেলায় সাজানো থাকে জেলেদের নৌকার বহর। শেষ বিকেলে সেগুলো সাগরে ভাসে মাছ শিকারের জন্য। এখান থেকে দেখা যায় সাগরসংগ্রামী জেলেদের জীবনযাত্রা।
লেম্বুরচর
কুয়াকাটা থেকে পাঁচ কিলোমিটার পূর্বে লেবুর বনে ঘেরা দ্বীপ লেম্বুরচর বা নেম্বুরচর। তিন নদীর মোহনায় এর সৈকত থেকে মনোরম সূর্যাস্ত দেখা যায়। এক হাজার একর আয়তনের লেম্বুরচরে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ আছে। কুয়াকাটা সৈকতসংলগ্ন বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল, ভ্যান কিংবা যেকোনো যানবাহনে সড়কপথে যাওয়া যায় এই দ্বীপে। চাইলে হেঁটেও যাওয়া যায়। এ ছাড়া কুয়াকাটা সৈকত থেকে স্পিডবোট কিংবা ট্রলারেও যাওয়া যায়।
ফাতরারচর
কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে পশ্চিমে ১০ কিলোমিটার গেলে চোখে পড়বে নীল জলরাশির ওপর সবুজে ঘেরা ফাতরার বন বা ফাতরারচর নামের সংরক্ষিত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল। এ যেন সাগরের বুকে ভাসমান অরণ্য। ট্রলার জেটি পেরিয়ে ভেতরে ঢুকলেই চোখ পড়বে একটি সাইনবোর্ডে। তাতে লেখা আছে ‘টেংরাগিরি অরণ্য’। এর ভেতরে আছে শানবাঁধানো একটি পুকুর ও বন বিভাগের রেস্টহাউস। আছে অসংখ্য পাখি। চরের পূর্ব অংশে রয়েছে একটি ছোট সমুদ্রসৈকত। ভাটার সময় নামা যাবে সৈকতটিতে। কুয়াকাটা থেকে প্রতিদিন সকালে ট্যুরিস্ট বোট পর্যটকদের নিয়ে যায় বনে। চাইলে বোট রিজার্ভ করেও যাওয়া যায়। তাঁবুতে রাত যাপন করা যায়। নয়তো ফিরে যেতে হবে কুয়াকাটায়।
পটুয়াখালী মানেই কুয়াকাটা নয়, বিষয়টি মনে রাখতে হবে। শহর থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার। ফলে আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনা যদি শুধু পটুয়াখালী ও কুয়াকাটাকে কেন্দ্র করে হয়, তাহলে দুভাবে পরিকল্পনা করতে পারেন। প্রথমটি পটুয়াখালী শহর ঘুরে তারপর কুয়াকাটা; অন্যটি কুয়াকাটা ও অন্যান্য দ্বীপ ভ্রমণ করে ফিরতি পথে পটুয়াখালী শহরের জন্য বাড়তি সময় বের করা।
আর যদি আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনা পটুয়াখালী ও অন্যান্য দ্বীপ ভ্রমণ হয়ে থাকে, তবে অবশ্যই আপনাকে কুয়াকাটাকে কেন্দ্র করে গন্তব্যগুলো সাজিয়ে নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে ফিরতি পথে সময় বের করে পটুয়াখালী শহর ঘুরে দেখতে পারেন।
শহরের দর্শনীয় জায়গা
চার লেনের দৃষ্টিনন্দন সড়ক, সেলফি রোড, শিশুদের বিনোদনের জন্য শেখ রাসেল শিশু পার্ক, শহরের বুকে দুটি মনোরম লেক ও একটি পুকুর, হাতিরঝিলের আদলে সেতু ও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহীদ মিনার।
সমুদ্রসৈকত, দ্বীপ এবং বদলে যাওয়া শহর একসঙ্গে দেখতে চাইলে এই ঈদে পটুয়াখালী হতে পারে দারুণ ভ্রমণের গন্তব্য। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে পটুয়াখালীর চেহারা। লোহালিয়া ও লাউকাঠি নদীর তীরের ছোট্ট এ শহর এখন দেশের ‘দ্বিতীয় সুন্দরতম’ শহর হিসেবে পরিচিত। তাই এই ঈদের লম্বা ছুটি কিংবা ঝটিকা সফরের জন্য বেছে নেওয়া যেতে পারে পটুয়াখালী।
কুয়াকাটাই এখন আর পটুয়াখালীর ট্রেডমার্ক ভ্রমণ গন্তব্য নয়। এটি তো আছেই, এর সঙ্গে আছে ১০টি ছোট-বড় দ্বীপ। তবে দ্বীপ হিসেবে নয়, চর হিসেবে এগুলোকে চেনে সবাই। প্রতিটি চরে আছে অপূর্ব সৈকত। অধিকাংশ সৈকত থেকে দেখা যাবে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত। দেখা যাবে দেশি-বিদেশি পাখি, পূর্ণিমায় অপূর্ব জোছনা, লাল কাঁকড়ার ছোটাছুটি। কুয়াকাটাকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা এই ১০টি দ্বীপ বা চর যেন ১০ বোন! এগুলো হলো কাউয়ারচর, চর বিজয়, চর তুফানিয়া, জাহাজমারা, সোনারচর, চর হেয়ার, লেম্বুরচর, ফাতরারচর, নিদ্রা সৈকত, শুভ সন্ধ্যা। তবে আবহাওয়াগত কারণে এ সময় সব দ্বীপে যাওয়া সম্ভব নয়। এ সময় যাওয়া যাবে কাউয়ারচর বা গঙ্গামতি সৈকত, লেম্বুরচর ও ফাতরারচর।
কাউয়ারচর
ভোরবেলা কুয়াকাটা থেকে মোটরসাইকেল কিংবা অটোরিকশা অথবা বিচ কার নিয়ে সড়কপথে যাওয়া যাবে গঙ্গামতি বা কাউয়ারচর। এখান থেকে সূর্যোদয় দেখা যায়। এখানে আছে বন বিভাগের নয়নাভিরাম ঝাউবন। সকালে সৈকতের বালুকাবেলায় সাজানো থাকে জেলেদের নৌকার বহর। শেষ বিকেলে সেগুলো সাগরে ভাসে মাছ শিকারের জন্য। এখান থেকে দেখা যায় সাগরসংগ্রামী জেলেদের জীবনযাত্রা।
লেম্বুরচর
কুয়াকাটা থেকে পাঁচ কিলোমিটার পূর্বে লেবুর বনে ঘেরা দ্বীপ লেম্বুরচর বা নেম্বুরচর। তিন নদীর মোহনায় এর সৈকত থেকে মনোরম সূর্যাস্ত দেখা যায়। এক হাজার একর আয়তনের লেম্বুরচরে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ আছে। কুয়াকাটা সৈকতসংলগ্ন বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল, ভ্যান কিংবা যেকোনো যানবাহনে সড়কপথে যাওয়া যায় এই দ্বীপে। চাইলে হেঁটেও যাওয়া যায়। এ ছাড়া কুয়াকাটা সৈকত থেকে স্পিডবোট কিংবা ট্রলারেও যাওয়া যায়।
ফাতরারচর
কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে পশ্চিমে ১০ কিলোমিটার গেলে চোখে পড়বে নীল জলরাশির ওপর সবুজে ঘেরা ফাতরার বন বা ফাতরারচর নামের সংরক্ষিত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল। এ যেন সাগরের বুকে ভাসমান অরণ্য। ট্রলার জেটি পেরিয়ে ভেতরে ঢুকলেই চোখ পড়বে একটি সাইনবোর্ডে। তাতে লেখা আছে ‘টেংরাগিরি অরণ্য’। এর ভেতরে আছে শানবাঁধানো একটি পুকুর ও বন বিভাগের রেস্টহাউস। আছে অসংখ্য পাখি। চরের পূর্ব অংশে রয়েছে একটি ছোট সমুদ্রসৈকত। ভাটার সময় নামা যাবে সৈকতটিতে। কুয়াকাটা থেকে প্রতিদিন সকালে ট্যুরিস্ট বোট পর্যটকদের নিয়ে যায় বনে। চাইলে বোট রিজার্ভ করেও যাওয়া যায়। তাঁবুতে রাত যাপন করা যায়। নয়তো ফিরে যেতে হবে কুয়াকাটায়।
পটুয়াখালী মানেই কুয়াকাটা নয়, বিষয়টি মনে রাখতে হবে। শহর থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার। ফলে আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনা যদি শুধু পটুয়াখালী ও কুয়াকাটাকে কেন্দ্র করে হয়, তাহলে দুভাবে পরিকল্পনা করতে পারেন। প্রথমটি পটুয়াখালী শহর ঘুরে তারপর কুয়াকাটা; অন্যটি কুয়াকাটা ও অন্যান্য দ্বীপ ভ্রমণ করে ফিরতি পথে পটুয়াখালী শহরের জন্য বাড়তি সময় বের করা।
আর যদি আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনা পটুয়াখালী ও অন্যান্য দ্বীপ ভ্রমণ হয়ে থাকে, তবে অবশ্যই আপনাকে কুয়াকাটাকে কেন্দ্র করে গন্তব্যগুলো সাজিয়ে নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে ফিরতি পথে সময় বের করে পটুয়াখালী শহর ঘুরে দেখতে পারেন।
শহরের দর্শনীয় জায়গা
চার লেনের দৃষ্টিনন্দন সড়ক, সেলফি রোড, শিশুদের বিনোদনের জন্য শেখ রাসেল শিশু পার্ক, শহরের বুকে দুটি মনোরম লেক ও একটি পুকুর, হাতিরঝিলের আদলে সেতু ও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহীদ মিনার।
চায়ের কথা শুনলেই মন কেমন প্রশান্তিতে ছেয়ে যায়, তাই না? তবে চায়ের আছে অনেক ধরন— গ্রিন টি, লাল চা, দুধ চা, লেবু চা, মশলা চা আরও কত কি! এর মধ্যে আবার অনেকে পছন্দ করেন ধোঁয়া ওঠা গরম চা, অনেকে গরম চা ঠান্ডা করে খেতে পছন্দ করেন আবার কেউ ভালোবাসেন বরফ দেওয়া চা। এমন হরেক রকমের পছন্দের কথা বলতে গিয়ে এবার
৬ ঘণ্টা আগেঅনেকেই আছেন যাদের বারবার ক্ষুধা পায়। সারা দিনই কিছু না কিছু খেতে ইচ্ছা হয়। প্রাথমিকভাবে এতে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। এমন অবস্থা থেকে উদ্ধার পাওয়ার সহজ সমাধান হতে পারে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। প্রোটিন শরীরকে দীর্ঘ সময় পরিপূর্ণ রাখে, ক্ষুধা কমায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ...
৬ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেই পরিবর্তনের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ নিদর্শন হচ্ছে কিং আবদুল্লাহ ফাইন্যান্সিয়াল ডিস্ট্রিক্ট (কেএএফডি)—একটি উচ্চাভিলাষী মেগা প্রকল্প, যা ব্যবসা, প্রযুক্তি, পরিবেশবান্ধব নগরায়ণ ও আধুনিক জীবনযাত্রার এক অনন্য মিশ্রণ।
১ দিন আগেঘড়ি কেবল সময় দেখার যন্ত্র নয়। বহু আগেই ফ্যাশনের অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ঘড়ির ভিন্ন রূপে ফিরে আসা নিয়ে ‘ওয়াচেস অ্যান্ড ওয়ান্ডার্স’ নামের বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে জেনেভায়। যেখানে নামীদামি সব ব্র্যান্ড নিজেদের ঘড়ির পসরা সাজিয়ে বসেছে।
২ দিন আগে