ফিচার ডেস্ক, ঢাকা
ভ্রমণে যাওয়ার আগে ব্যাগ, নাকি ঘর—কোনটি গোছাবেন? ভাবছেন, ব্যাগই তো গোছাতে হবে। ঘর কেন? তাহলে জেনে নিন, ভ্রমণ শেষে বাড়ি ফিরে ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাড়তি কাজ করতে না চাইলে, ভ্রমণে যাওয়ার আগে ঘরের বেশ কিছু কাজ সেরে রাখতে হবে। ফিরে এসে বাড়িটাও শান্তিময় মনে হবে। লম্বা ছুটি নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার আগে যে কয়েকটি কাজ সেরে রাখতে হবে, সেগুলো হলো—
বিছানায় বেডকভার পেতে দিন
যেদিন বের হবেন, সেদিনই বিছানায় ধোয়া চাদর পেতে দিন। ভোর, সন্ধ্যা বা রাত—যখনই বের হন না কেন, মনে করে ধোয়া চাদরের ওপর একটা বেডকভার ছড়িয়ে দিয়ে তারপরই বের হন। এমনভাবে বেডকভার ছড়িয়ে দিন, যাতে বালিশগুলোও ঢেকে যায়। এতে লম্বা সফর শেষে ক্লান্ত শরীরে যখন বাড়ি ফিরবেন, তখন খুব করে বিছানা ঝেড়ে বা চাদর পাল্টে শোয়ার ব্যবস্থা করতে হবে না; বরং ওপরের বেডকভারটি তুলে নিলেই নিচের ধোয়া চাদরের ওপর ঘুমাতে পারবেন। সোফা, টি-টেবিল ও ডাইনিং টেবিলও এভাবে পুরোনো চাদর দিয়ে ঢাকা দিতে পারেন। এতে ধুলোর পরত জমবে না। বাড়তি ঝাড়-মোছার ঝামেলাও কমবে।
বাসনকোসন ধুয়ে রাখুন
বের হওয়ার আগমুহূর্তে যে চায়ের কাপে চুমুক দিয়েছিলেন, সেটিও ধুয়ে রেখে যেতে হবে। ব্যবহৃত বাসন ধুয়ে না রাখলে রোগজীবাণুর সংক্রমণ হবে, এটাই স্বাভাবিক। ছত্রাকও ধরে যেতে পারে। সঙ্গে ঘরে বোঁটকা গন্ধ হবে। তাই ব্যবহৃত প্রতিটি বাসন ধুয়ে রেখে যান। এরপর সিংক ভালোভাবে ধুয়ে নিন। সবশেষে সিংকের ছিদ্রের ওপর কয়েকটা ন্যাপথলিন দিয়ে তারপর বের হন। এতে করে অনেক দিন বাড়িতে না থাকার কারণে সিংকের পাইপ দিয়ে পোকামাকড় উঠে আসার আশঙ্কা থাকবে না।
ময়লার ঝুড়ি পরিষ্কার করে নিন
বাড়ির বর্জ্য ফেলার পাত্রগুলো, অর্থাৎ যেগুলোতে পচনশীল জিনিসপত্র ফেলা হয়, সেগুলো পরিষ্কার করে না গেলে অনেক ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। মাছি ও তেলাপোকার উৎপাত বাড়বে। এ ছাড়া ঘরে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়বে। তাই প্রতিটি ময়লার ঝুড়ির বর্জ্য ফেলে দিয়ে সম্ভব হলে সেগুলো ভালো করে ধুয়ে উপুড় করে রেখে দিন বারান্দার এক কোণে। ফিরে এসে পুনরায় পরিষ্কার জিনিস ব্যবহার করতে পারবেন।
মেঝে পরিষ্কার রাখুন
ঘরে ঢুকে পা ফেলেই যেন বিরক্তি কাজ না করে, তাই ঘর ভালোভাবে ঝাড়ু দিয়ে যেতে হবে। সম্ভব হলে বের হওয়ার আগের রাতে ঘর একবার মপ দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে পারেন। ঘরের কোনায় কোনায় ন্যাপথলিন দিয়ে বের হতে পারেন। এতে খালি ঘরে পোকামাকড়ের উপদ্রবের আশঙ্কা থাকবে না।
ফ্রিজ খালি করুন
বেড়াতে যাওয়ার আগে ফ্রিজের সাধারণ অংশে রান্না করা খাবার, ডিম বা কাঁচা সবজি—কোনোটাই যেন না থাকে, সেটা খেয়াল করতে হবে। লম্বা সফরে বের হলে অবশ্যই তা নজরে রাখতে হবে। যেসব সবজি বা খাবার পচে যেতে পারে কিংবা ৫ থেকে ৬ দিন পরে আর খাওয়া যাবে না, সেগুলো আগে খেয়ে ফেলুন অথবা প্রতিবেশীকে দিয়ে যান। এতে ফ্রিজ পরিচ্ছন্ন থাকবে। সব খাবার শেষ করে সম্ভব হলে ভিনেগার মেশানো পানি দিয়ে একবার ফ্রিজের তাক ও ড্রয়ার মুছে নিতে পারেন। এতে তরতাজা ভাব বজায় থাকবে।
জানালায় নজর রাখুন
দীর্ঘদিনের জন্য ঘরের বাইরে গেলে জানালা লক করে যেতে হবে। সঙ্গে পর্দাও টেনে দিন ভালো করে। ইনডোর প্ল্যান্ট থাকলে তা বারান্দায় বের করে রাখুন। এতে গাছগুলো আলো-বাতাস পাবে। যদি টবে ছিদ্র করা না থাকে, তাহলে বেশি করে পানি দিয়ে বারান্দায় রাখুন। এতে বেশ কয়েক দিন পানি না দিলেও সমস্যা হবে না। অন্যদিকে রোদ, আলো ও বাতাসে গাছও বেড়ে উঠবে। শুধু রান্নাঘরের জানালা আধা ইঞ্চি ফাঁকা রাখুন। এতে কোনো কারণে গ্যাস লিক হয়ে গেলেও ঘরে জমতে পারবে না। আর বের হওয়ার সময় চুলা ভালোভাবে বন্ধ করেছেন কি না, অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।
সূত্র: ম্যাগি মেইড ও অন্যান্য
ভ্রমণে যাওয়ার আগে ব্যাগ, নাকি ঘর—কোনটি গোছাবেন? ভাবছেন, ব্যাগই তো গোছাতে হবে। ঘর কেন? তাহলে জেনে নিন, ভ্রমণ শেষে বাড়ি ফিরে ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাড়তি কাজ করতে না চাইলে, ভ্রমণে যাওয়ার আগে ঘরের বেশ কিছু কাজ সেরে রাখতে হবে। ফিরে এসে বাড়িটাও শান্তিময় মনে হবে। লম্বা ছুটি নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার আগে যে কয়েকটি কাজ সেরে রাখতে হবে, সেগুলো হলো—
বিছানায় বেডকভার পেতে দিন
যেদিন বের হবেন, সেদিনই বিছানায় ধোয়া চাদর পেতে দিন। ভোর, সন্ধ্যা বা রাত—যখনই বের হন না কেন, মনে করে ধোয়া চাদরের ওপর একটা বেডকভার ছড়িয়ে দিয়ে তারপরই বের হন। এমনভাবে বেডকভার ছড়িয়ে দিন, যাতে বালিশগুলোও ঢেকে যায়। এতে লম্বা সফর শেষে ক্লান্ত শরীরে যখন বাড়ি ফিরবেন, তখন খুব করে বিছানা ঝেড়ে বা চাদর পাল্টে শোয়ার ব্যবস্থা করতে হবে না; বরং ওপরের বেডকভারটি তুলে নিলেই নিচের ধোয়া চাদরের ওপর ঘুমাতে পারবেন। সোফা, টি-টেবিল ও ডাইনিং টেবিলও এভাবে পুরোনো চাদর দিয়ে ঢাকা দিতে পারেন। এতে ধুলোর পরত জমবে না। বাড়তি ঝাড়-মোছার ঝামেলাও কমবে।
বাসনকোসন ধুয়ে রাখুন
বের হওয়ার আগমুহূর্তে যে চায়ের কাপে চুমুক দিয়েছিলেন, সেটিও ধুয়ে রেখে যেতে হবে। ব্যবহৃত বাসন ধুয়ে না রাখলে রোগজীবাণুর সংক্রমণ হবে, এটাই স্বাভাবিক। ছত্রাকও ধরে যেতে পারে। সঙ্গে ঘরে বোঁটকা গন্ধ হবে। তাই ব্যবহৃত প্রতিটি বাসন ধুয়ে রেখে যান। এরপর সিংক ভালোভাবে ধুয়ে নিন। সবশেষে সিংকের ছিদ্রের ওপর কয়েকটা ন্যাপথলিন দিয়ে তারপর বের হন। এতে করে অনেক দিন বাড়িতে না থাকার কারণে সিংকের পাইপ দিয়ে পোকামাকড় উঠে আসার আশঙ্কা থাকবে না।
ময়লার ঝুড়ি পরিষ্কার করে নিন
বাড়ির বর্জ্য ফেলার পাত্রগুলো, অর্থাৎ যেগুলোতে পচনশীল জিনিসপত্র ফেলা হয়, সেগুলো পরিষ্কার করে না গেলে অনেক ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। মাছি ও তেলাপোকার উৎপাত বাড়বে। এ ছাড়া ঘরে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়বে। তাই প্রতিটি ময়লার ঝুড়ির বর্জ্য ফেলে দিয়ে সম্ভব হলে সেগুলো ভালো করে ধুয়ে উপুড় করে রেখে দিন বারান্দার এক কোণে। ফিরে এসে পুনরায় পরিষ্কার জিনিস ব্যবহার করতে পারবেন।
মেঝে পরিষ্কার রাখুন
ঘরে ঢুকে পা ফেলেই যেন বিরক্তি কাজ না করে, তাই ঘর ভালোভাবে ঝাড়ু দিয়ে যেতে হবে। সম্ভব হলে বের হওয়ার আগের রাতে ঘর একবার মপ দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে পারেন। ঘরের কোনায় কোনায় ন্যাপথলিন দিয়ে বের হতে পারেন। এতে খালি ঘরে পোকামাকড়ের উপদ্রবের আশঙ্কা থাকবে না।
ফ্রিজ খালি করুন
বেড়াতে যাওয়ার আগে ফ্রিজের সাধারণ অংশে রান্না করা খাবার, ডিম বা কাঁচা সবজি—কোনোটাই যেন না থাকে, সেটা খেয়াল করতে হবে। লম্বা সফরে বের হলে অবশ্যই তা নজরে রাখতে হবে। যেসব সবজি বা খাবার পচে যেতে পারে কিংবা ৫ থেকে ৬ দিন পরে আর খাওয়া যাবে না, সেগুলো আগে খেয়ে ফেলুন অথবা প্রতিবেশীকে দিয়ে যান। এতে ফ্রিজ পরিচ্ছন্ন থাকবে। সব খাবার শেষ করে সম্ভব হলে ভিনেগার মেশানো পানি দিয়ে একবার ফ্রিজের তাক ও ড্রয়ার মুছে নিতে পারেন। এতে তরতাজা ভাব বজায় থাকবে।
জানালায় নজর রাখুন
দীর্ঘদিনের জন্য ঘরের বাইরে গেলে জানালা লক করে যেতে হবে। সঙ্গে পর্দাও টেনে দিন ভালো করে। ইনডোর প্ল্যান্ট থাকলে তা বারান্দায় বের করে রাখুন। এতে গাছগুলো আলো-বাতাস পাবে। যদি টবে ছিদ্র করা না থাকে, তাহলে বেশি করে পানি দিয়ে বারান্দায় রাখুন। এতে বেশ কয়েক দিন পানি না দিলেও সমস্যা হবে না। অন্যদিকে রোদ, আলো ও বাতাসে গাছও বেড়ে উঠবে। শুধু রান্নাঘরের জানালা আধা ইঞ্চি ফাঁকা রাখুন। এতে কোনো কারণে গ্যাস লিক হয়ে গেলেও ঘরে জমতে পারবে না। আর বের হওয়ার সময় চুলা ভালোভাবে বন্ধ করেছেন কি না, অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।
সূত্র: ম্যাগি মেইড ও অন্যান্য
সাইকেল শুধু পরিবহন নয়, এটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশ্বে প্রায় ১ বিলিয়ন সাইকেল রয়েছে—এ সংখ্যা গাড়ির সংখ্যার দ্বিগুণ। করোনা মহামারির পর সাইকেল ব্যবহার আরও বেড়েছে। মানুষ এখন ব্যায়াম, অবসর ও পরিবেশবান্ধব পরিবহন হিসেবে সাইকেল ব্যবহার করছে। আমাদের দেশেও অসংখ্য সাইকেল চলাচল করে বটে...
১ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫। গ্রহ-নক্ষত্রের উত্থান-পতন তো চলতেই থাকবে, কিন্তু দিনের শেষে আপনি কী করছেন, সেটাই আসল। তাই সাহস দেখান, ধৈর্য ধরুন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—ফোনটা রেখে কাজে লেগে পড়ুন।
১ ঘণ্টা আগেচলছে অক্টোবর মাস। এটি স্তন ক্যানসার সচেতনতা বৃদ্ধির মাস। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বব্যাপী এ মাসে স্তন ক্যানসারের প্রতিরোধ ও প্রতিকার এবং জীবনের মানোন্নয়ন নিয়ে স্বাস্থ্যসেবকেরা কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এবারের প্রতিপাদ্য হলো, ‘প্রতিটি গল্প অনন্য, প্রতিটি যাত্রা মূল্যবান’।
২ ঘণ্টা আগেত্বক উজ্জ্বল, মসৃণ ও তারুণ্যময় রাখতে আমরা বিভিন্ন পণ্য ব্যবহার করি। সেসব পণ্যের বেশির ভাগ নানা রকমের রাসায়নিকে তৈরি। অনেক সময় ত্বকের যত্নে এসব রাসায়নিক উপাদান একটার সঙ্গে আরেকটা মিশে গেলে ফল খারাপ হতে পারে। ত্বকের প্রকৃত পরিচর্যায় আসলে ‘কমই যথেষ্ট’।
৩ ঘণ্টা আগে