Ajker Patrika

বিমানবন্দরে আগুন: কার্গো গুদামে ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক দ্রব্য

  • গুদামে মজুত মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিকের তালিকা হয়েছিল গত মে মাসে।
  • দাহ্য পদার্থের কারণে আগুন বেশি ছড়িয়েছে, নিয়ন্ত্রণেও সময় লেগেছে।
  • অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে ছিল ঝুঁকিপূর্ণ পণ্যও।
  • ঝুঁকিপূর্ণ পণ্যের আলাদা স্থান নির্ধারণের উদ্যোগ বাস্তবায়ন হয়নি।
মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ২১
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো (পণ্য) কমপ্লেক্সে বিভিন্ন আমদানি পণ্যের পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক দ্রব্যও মজুত ছিল। স্তূপাকারে ছিল দীর্ঘ দিন ধরে বাজেয়াপ্ত পুরোনো ও নষ্ট মালামাল। ঢাকা কাস্টমস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ফায়ার সার্ভিসের সূত্র বলেছে, দাহ্য রাসায়নিক পদার্থের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয়েছে। রাসায়নিক পণ্য থাকায় ক্ষতির পরিমাণও বেড়েছে।

আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে গত শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে সূত্রপাত হওয়া আগুন প্রায় ২৭ ঘণ্টা পর গতকাল রোববার পুরোপুরি নেভাতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিজিবি কাজ করে।

সূত্র জানায়, শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে কী পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক দ্রব্য আছে, তা নিরূপণে গত মে মাসে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে ঢাকা কাস্টমস। প্রতিবেদন তৈরিতে ছিলেন কাস্টমসের পাঁচ কর্মকর্তা, নেতৃত্বে ছিলেন এআরও ফরিদ উদ্দিন। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে রাসায়নিক পণ্যের মধ্যে ছিল জিংক ক্লোরাইড (যা ধুলা বা ধোঁয়ার সঙ্গে নিশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা করতে পারে), কেমিক্যাল পাউডার, অতি দাহ্য এভারক্লিয়ার, উচ্চমাত্রার বিষাক্ত কীটনাশক ক্লোরপাইরিফস, জৈব রঞ্জক রিঅ্যাকটিভ ডাইসসহ বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ পণ্য। এ ছাড়া ছিল বেশ কয়েক ধরনের মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য।

সূত্র জানায়, আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে আমদানি করা অন্যান্য পণ্যের সঙ্গেই ঝুঁকিপূর্ণ পণ্যও রাখা হয়। তবে ঝুঁকির বিষয়টি মাথায় রেখে এসব পণ্যের জন্য পৃথক স্থান নির্ধারণ করার কথা ছিল। কিন্তু পরে তা করা হয়নি। সবশেষ গত ডিসেম্বরেও এমন উদ্যোগ নেওয়া হলেও আলোর মুখ দেখেনি।

উড়োজাহাজ থেকে পণ্য নামানো থেকে শুরু করে আমদানিকারকের হাতে বুঝিয়ে দেওয়া পর্যন্ত দায়িত্বে থাকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের। পণ্য নামানো, স্ক্যানিং, ওজন, হ্যান্ডলিং, স্টোরেজ, বিলিং ও ডকুমেন্টেশন—সবই বিমান বাংলাদেশের কাজ। আমদানিকারক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য খালাস না করলে প্রতিদিনের জন্য আলাদা ফিও নেয় তারা।

ঝুঁকিপূর্ণ পণ্যের জন্য আলাদা স্থান নির্ধারণের বিষয়ে বিমান বাংলাদেশও অবগত। তবে এ বিষয়ে বিমানের কারও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিমান বাংলাদেশের একাধিক সূত্র জানায়, আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে কোনো পণ্য আসার সঙ্গে সঙ্গে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়। নিয়ম অনুযায়ী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে মালপত্র বুঝে নিতে হয়। কেউ পণ্য না নিলে ২১ কার্যদিবস পর তা বাজেয়াপ্ত হিসেবে বিবেচিত হয়। এরপর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তা নিলাম করে। কার্গো কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে যেসব মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক দ্রব্য রয়েছে, সেগুলো নিলাম করে ধ্বংস করা কাস্টমসের আওতাধীন। বিমান বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দফায় দফায় তাগাদা দেওয়ার পরও কাস্টমস এসব পণ্য নিলাম করেনি।

এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কোনো কর্মকর্তা নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) অবকাঠামো, নিরাপত্তা ও কার্গো টার্মিনাল ব্যবস্থাপনা তদারকি করে। এ জন্য বিমানবন্দর ব্যবহার, নিরাপত্তা যাচাই, স্ক্যানিং ও পার্কিং চার্জ নেয় বেবিচক।

ঢাকা কাস্টম হাউসের উপকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি বৈঠকে ঝুঁকিপূর্ণ পণ্যের জন্য আলাদা স্থান নির্ধারণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। তবে এরপর কী হয়েছে তা জানা নেই।

কাস্টমস সূত্র জানায়, এসব সামগ্রী বিপজ্জনক ও আগুন লাগার ঝুঁকি রয়েছে বলে ঢাকা কাস্টম হাউসের পক্ষ থেকে বেবিচককে একাধিকবার জানানো হয়েছিল। এগুলো দ্রুত সরানো না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানানো হলেও দীর্ঘদিন সরানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বেবিচকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কেউ বক্তব্য দেননি।

রপ্তানিকারকেরা দীর্ঘদিন ধরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লজিস্টিক অদক্ষতা ও অপর্যাপ্ত অবকাঠামো নিয়ে অভিযোগ করছেন। সীমিত স্থান ও অপর্যাপ্ত গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ব্যবস্থার কারণে পণ্যবাহী বড় উড়োজাহাজের পরিচালনাও সীমিত। রপ্তানিকারকদের অভিযোগ, বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতা, উদাসীনতা এবং অব্যবস্থাপনাই এই বিপর্যয়ের পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে।

গত শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে মালামাল খালাস বন্ধ ছিল। ফলে কমপ্লেক্সের গুদামে মজুত থাকা বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক, গার্মেন্টস পণ্য ও ওষুধশিল্পের কাঁচামাল পুড়ে গেছে।

আমদানি ও রপ্তানিকারকদের দাবি, এই আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার কামরুল ইসলাম জানান, ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি করে দিয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন দিলে ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জামায়াত নেতাকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
আহত জামায়াত নেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহত জামায়াত নেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে চায়নিজ কুড়াল দিয়ে আপেল মাহমুদ (৩৫) নামের এক জামায়াত নেতাকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী হাসান মিয়ার বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে পলাশবাড়ী পৌরসভার গোয়ালপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহত জামায়াত নেতা পৌরসভার বাড়াইপাড়ার বাসিন্দা। তিনি পলাশবাড়ী পৌর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের বায়তুলমাল সম্পাদক।

অভিযুক্ত হাসান মিয়া একই পৌরসভার গোয়ালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রশান্ত কুমার আজ শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আপেল মাহমুদ শুক্রবার রাতে পলাশবাড়ী থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। গোয়ালপাড়া এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ হাসান মিয়া চায়নিজ কুড়াল হাতে নিয়ে আপেল মাহমুদের ওপর হামলা করেন। চায়নিজ কুড়াল দিয়ে আপেল মাহমুদের বাঁ হাতে আঘাত করেন। এ সময় আপেল মাহমুদ চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হাসান মিয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় আপেল মাহমুদকে উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে পলাশবাড়ী থানার ওসি প্রশান্ত কুমার বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আজ দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে আমরা খোঁজখবর রাখছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইসলাম বিজয়ী হলে মানবতা প্রতিষ্ঠিত হবে: ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে খায়রুল হাসান

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
বক্তব্য দেন সম্মেলনের প্রধান আলোচক গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. খায়রুল হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা
বক্তব্য দেন সম্মেলনের প্রধান আলোচক গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. খায়রুল হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের কালীগঞ্জে ওলামা মাশায়েখ পরিষদের উদ্যোগে ‘ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে কালীগঞ্জ সরকারি শ্রমিক কলেজ মাঠে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আলেম-ওলামাদের অংশগ্রহণে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা বলেন, দেশ-জাতির সংকটকালে আলেম সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

সম্মেলনে প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও গাজীপুর মহানগর নায়েবে আমির মো. খায়রুল হাসান। তিনি বলেন, ‘ইসলাম নিছক কোনো পূজা-পার্বণের সমষ্টি নয়; এটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। ইতিহাসে যখনই ইসলামি অনুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, মানুষের অধিকার সুরক্ষিত হয়েছে। বর্তমান অস্থিরতা থেকে উত্তরণের পথ রাসুল (সা.)-এর দেখানো পথ।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইসলাম বিজয়ী হলে মানবতা প্রতিষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রে ইনসাফ কায়েম করতে ইসলামের আদর্শে সবাইকে এক হতে হবে।’

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কালীগঞ্জ উপজেলা ওলামা মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি মাওলানা যাকারিয়া হোসাইন বিন কবির। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তা’মিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ ও শিক্ষাবিদ মাওলানা যাইনুল আবেদীন। তিনি বলেন, ‘আলেমরা নবীদের উত্তরসূরি। দুঃসময়ে জাতিকে দিশা দিতে আলেমদেরই সামনে আসতে হবে। বিভেদ ভুলে ঐক্যের ভিত্তিতে দ্বীনের খেদমত করতে হবে।’

বক্তব্য দেন সম্মেলনের প্রধান আলোচক গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. খায়রুল হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা
বক্তব্য দেন সম্মেলনের প্রধান আলোচক গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. খায়রুল হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মাওলানা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও মাওলানা শিহাব উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা জামায়াতের আমির আফতাবউদ্দিন, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ছাইদুল হক, গাজীপুর জেলা নায়েবে আমির মাওলানা সেফাউল হক, ড. মাওলানা রুহুল আমিন, মাওলানা জাকারিয়া, মাওলানা ফেরদৌস খান সালেহী এবং মাওলানা এস এম আব্দুল হান্নান বেলালী।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম কালীগঞ্জের সভাপতি খুরশীদ আলম, উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা রুহুল আমিন গাজীপুরি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র সভাপতি আবু হানিফসহ বিভিন্ন মসজিদের ইমাম-খতিব এবং রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের নেতারা।

ইসলামি সংগীত পরিবেশন করে দর্শকদের মুগ্ধ করে কালীগঞ্জ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদ। মোনাজাতের মাধ্যমে সম্মেলন শেষ হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তর্কে জড়ানো চিকিৎসককে বহিষ্কারের নির্দেশ ডিজির

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ক্যাজুয়ালটির ইনচার্জ ডা. ধনদেব বর্মন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে তর্কে জড়ান। ছবি: আজকের পত্রিকা
ক্যাজুয়ালটির ইনচার্জ ডা. ধনদেব বর্মন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে তর্কে জড়ান। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার মান ও ব্যবস্থাপনা পর্যালোচনার সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে এক চিকিৎসকের বাগ্‌বিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ক্যাজুয়ালটির ইনচার্জ ডা. ধনদেব বর্মনকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়। বাগ্‌বিতণ্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

শনিবার সকালে শিশুদের মূত্রাশয় ও প্রজননতন্ত্র-সম্পর্কিত রোগের চিকিৎসাবিষয়ক চলমান চিকিৎসার সাম্প্রতিক অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে একটি সেমিনারে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রধান অতিথি হিসেবে আসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আবু জাফর। সেমিনারে অংশগ্রহণের আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে সেবার মান, জরুরি বিভাগ পরিচালনা, রোগী ব্যবস্থাপনা ও স্টাফদের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এ সময় ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ডা. ধনদেব বর্মন তাঁর বিভাগের সীমাবদ্ধতা, জনবল-সংকট এবং দায়িত্ব পালনের চাপ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে ডিজি ও তাঁর মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পরে ডা. ধনদেব বর্মনকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন খান বলেন, ‘পরিদর্শনে সেবার মান নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্যার এবং ডা. ধনদেব বর্মনের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে, যা মোটেও কাম্য নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ৮ দলের সমাবেশ শুরু

সিলেট প্রতিনিধি
সমাবেশ সফল করতে সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হতে শুরু করেছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সমাবেশ সফল করতে সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হতে শুরু করেছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ৮ দলের সমাবেশ শুরু হয়েছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে জড়ো হতে দেখা গেছে ৮ দলের নেতা-কর্মীদের। বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন দিয়ে তাঁরা আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে আসছেন। জাতীয় নির্বাচনের আগে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের ওপর গণভোট, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডসহ পাঁচ দাবি ও গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয় নিশ্চিতে সিলেটে ইসলামী ও সমমনা ৮ দলের বিভাগীয় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

শনিবার দুপুর ১২টা থেকে সমাবেশ শুরু হয়ে আসরের আগে সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে। সমাবেশ সফল করতে ৮ দলের পক্ষ থেকে কয়েক দিন ধরে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সমাবেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

সমাবেশে ৮ দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির মাওলানা সারওয়ার কামাল আজিজি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) কেন্দ্রীয় সহসভাপতি রাশেদ প্রধান ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির (বিডিপি) সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হক চাঁন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত