Ajker Patrika

কফির জগতে স্বাগত

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৫, ২১: ২৫
কফি বিশ্বের দ্বিতীয় বাণিজ্যিক পণ্য। ছবি: পেক্সেলস
কফি বিশ্বের দ্বিতীয় বাণিজ্যিক পণ্য। ছবি: পেক্সেলস

সাপের বিষ মিশিয়ে কফি পান!

আপনার মতো আমরাও যখন তথ্যটি প্রথম শুনি, খানিক হোঁচট তো খেয়েছিলাম; কিন্তু সামলে নিয়েছি। কারণ, আমরা জানি, পৃথিবীতে কফি হলো এক উন্মাদনার নাম। বুঝতেই পারছেন, কতটা উন্মাদনা থাকলে কফির সঙ্গে বিশেষ কৌশলে সাপের বিষ মিশিয়ে পান করা যায়! আবার সেটাকে মানুষ মনে করে ঐতিহ্যবাহী ওষুধ। নাহ্‌, ভাবা যায় না।

একটি কফি শপ। ছবি: পেক্সেলস
একটি কফি শপ। ছবি: পেক্সেলস

কফি আবিষ্কারের গল্পটাই তো এক দুর্দান্ত অনুসন্ধিৎসু মানুষের গল্প। মনে আছে নিশ্চয়। গল্পটা যাঁদের জানা নেই, তাঁদের জন্য বলি, ইথিওপিয়ান লোককথা অনুযায়ী, নবম শতাব্দীতে কালদি নামের এক ছাগলপালক দেখলেন, তাঁর ছাগলগুলো এক বিশেষ গাছের ফল খাওয়ার পর বেশি চঞ্চল হয়ে ওঠে। স্থানীয় এক সুফি সাধক সেই ফল দিয়ে একটি পানীয় তৈরি করলেন। সেই পানীয়ই পরে কফি হিসেবে পরিচিতি পায়।

অদ্ভুতভাবে ইউরোপে প্রথম দিকে কফিকে ‘শয়তানের পানীয়’ নামে ডাকা হতো। ঘটনাটি ছিল ষোলো শতকের দিকের। সেই সময় কফি প্রথম ইউরোপে পাড়ি জমায়। কয়েকজন খ্রিষ্টান ধর্মযাজক সেই পানীয় পান করে তাকে শয়তানের পানীয় নামে ডাকতে শুরু করেন। পরে পোপ ক্লেমেন্ট অষ্টম কফির স্বাদ নিয়ে বলেন, ‘এই পানীয় এত সুস্বাদু যে শুধু অবিশ্বাসীদের জন্য ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়!’ তারপরেই কফি ইউরোপে জনপ্রিয় হয়।

ইউরোপে এক সময় কফিকে 'শয়তানের পানীয়' নামে ডাকা হতো। ছবি: পেক্সেলস
ইউরোপে এক সময় কফিকে 'শয়তানের পানীয়' নামে ডাকা হতো। ছবি: পেক্সেলস

কাঁঠালের আঠা আর কফির সম্পর্ক কী? পিরিতি বা প্রেম। তবে এর সঙ্গে যুক্ত আছে ‘চুরি’ শব্দটিও। মানে প্রেম ও চুরি—দুটি-ই কফির সঙ্গে যুক্ত। সে এক বিশাল গল্প। সংক্ষেপে বলি। আগে প্রেমের গল্প। বর্তমান সময়ে কফি চাষের জন্য খুবই বিখ্যাত দেশের নাম ব্রাজিল। জি, শুধু ফুটবলের জন্যই বিখ্যাত নয় দেশটি। কফির জন্যও খ্যাতিমান। সেই ব্রাজিলে কফি গাছ প্রথম যায় ১৭২৭ সালে। যিনি কফি বীজ ব্রাজিলে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁর নাম ফ্রান্সিসকো দে মেলো পালহেতা। এই ভদ্রলোক ফ্রেঞ্চ গায়ানার গভর্নরের স্ত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কফি বীজ সংগ্রহ করেছিলেন! তারই ফল এখন পাচ্ছে ব্রাজিল। দেশটি এখন পুরো বিশ্বে উৎপাদিত কফির প্রায় ৪০ শতাংশ একাই সরবরাহ করে। আরও মজার তথ্য হলো, ব্রাজিলিয়ানরা প্রতিবছর প্রায় ২১ মিলিয়ন ব্যাগ কফি পান করে! আর ব্রাজিলের সান্তোস বন্দর দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কফি রপ্তানি হয়। কী বুঝলেন? প্রেমের ফল এমনই হয়।

কফি বীজ চুরির সঙ্গে জড়িত এক ভারতীয় সন্ত। তাঁর নাম বাবা বুদান। ১৬ শতক পর্যন্ত কফি শুধু ইয়েমেনে চাষ হতো। আরবরা কফি বীজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছিল। ইয়েমেনের আইন অনুসারে সে সময় কফি বীজ রপ্তানি করা ছিল মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ। কিন্তু তারপরেও সেটি চুরি হয়েছিল।

বুদান গিরিতে বাবা বুদানের দরগা। ছবি: উইকিপিডিয়া
বুদান গিরিতে বাবা বুদানের দরগা। ছবি: উইকিপিডিয়া

কিংবদন্তি বলে, বাবা বুদান গিয়েছিলেন হজ করতে। মক্কা থেকে ফেরার সময় তিনি ইয়েমেনে যাত্রাবিরতি করেন। সেখানে কফি বীজ থেকে তৈরি হওয়া সুগন্ধি পানীয় দেখে মুগ্ধ হন। তিনি বীজ সংগ্রহের ইচ্ছা পোষণ করেন। কিন্তু স্থানীয়রা তাঁকে বীজ দিতে রাজি না হওয়ায় তিনি গোপনে ৭টি বীজ সংগ্রহ করেন। বাবা বুদান সেই বীজগুলো কর্ণাটকের চন্দ্রগিরি পাহাড়ে রোপণ করেন। সেখান থেকে চারা তৈরি হলে তা ছড়িয়ে পড়ে ভারতের অন্যান্য অঞ্চলেও। বাবা বুদানের প্রতি সম্মান জানাতে চন্দ্রগিরি পাহাড়ের নাম রাখা হয় বাবা বুদান গিরি। এই সন্তর প্রতি সম্মান জানাতেই হতো। কারণ, তিনি স্থানীয় কৃষকদের জন্য দারুণ এক অর্থকরী ফসলের সন্ধান দিয়েছিলেন মৃত্যুদণ্ডের মুখে দাঁড়িয়ে।

এসব পুরোনো গল্প থাক। আমরা বরং একটু নতুন দিনে আসি।

১৯০১ সালে ইতালির নাগরিক লুইগি বেজ্জেরা উদ্ভাবন করেন এসপ্রেসো মেশিন। তিনি দ্রুত কফি বানানোর জন্য বাষ্পচাপ ব্যবহার করেছিলেন। এসপ্রেসো অর্থ দ্রুত বা এক্সপ্রেস। সে জন্য এই মেশিনের নাম হয় এসপ্রেসো।

এসপ্রেসো মেশিন। ছবি: পেক্সেলস
এসপ্রেসো মেশিন। ছবি: পেক্সেলস

বিশ্বের দামি কফির নাম কী? অনেকে জানেন, তার নাম কোপি লুয়াক। ইন্দোনেশিয়ায় লুয়াক বা পাম সিভেট নামের এক প্রকার বেজি কফি ফল খেয়ে পরিপাক করে মলত্যাগ করে। সেই মল থেকে সংগ্রহ করা বীজ থেকে তৈরি হয় কোপি লুয়াক। এটি কিলোগ্রাম প্রতি ১০০ থেকে ৬০০ ডলার পর্যন্ত বিক্রি হয়!

কফির বীজ আসলে আসলে কফি চেরির (একধরনের বেরি) বীজ। প্রতিটি ফলে সাধারণত দুটি বীজ থাকে। তবে কখনো কখনো একটিমাত্র গোল বীজও থাকে, যাকে বলে পিবেরি।

ফিনল্যান্ড বিশ্বের সর্বোচ্চ কফি পানকারী দেশ। হ্যাঁ, সুখী দেশের মানুষেরাই বেশি কফি পান করে। এটা প্রমাণিত। ফিনিশরা একেকজন প্রতিবছর প্রায় ১২ কেজি কফি পান করে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। এমনকি সেখানে গর্ভকালীন ছুটির সময় কর্মজীবী নারীদের জন্য কফি ব্রেক বাধ্যতামূলক!

আমরা ভাবি, দূর্বা ঘাস প্রায় অমর। শুকনো সে ঘাস মাটি ও পানির সংস্পর্শে এলে আবার সবুজ হয়ে ওঠে। কিন্তু কফি বীজ তাকে টেক্কা দিয়েছে। জানা যাচ্ছে, কফি বীজ থেকে ১০০ বছর পরও অঙ্কুরিত হতে পারে! ২০০৮ সালে বিজ্ঞানীরা ১৮৪০ সালের সংরক্ষিত কফি বীজ থেকে একটি চারা জন্মাতে সক্ষম হন। আর কোনো প্রমাণ জরুরি কি?

কফি বনাম চা বিষয়ে ব্রিটিশ রাজনীতির কথায় আসি। ১৭-১৮ শতকে ব্রিটিশ রাজনীতিবিদেরা কফিকে ‘প্রগতিশীল পানীয়’ এবং চাকে ‘রক্ষণশীল পানীয়’ হিসেবে বিবেচনা করতেন!

কফি নিয়ে আরও কিছু তথ্য

বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক বাণিজ্যিক পণ্য

তেলের পরেই কফি হলো বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবসা হওয়া পণ্য। প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে ২ বিলিয়নের বেশি কাপ কফি পান করা হয়!

ব্ল্যাক কফি হজমক্ষমতা বাড়ায় এবং চর্বি কমাতে সাহায্য করে। ছবি: পেক্সেলস
ব্ল্যাক কফি হজমক্ষমতা বাড়ায় এবং চর্বি কমাতে সাহায্য করে। ছবি: পেক্সেলস

ব্ল্যাক কফি সত্যিই ওজন কমাতে সাহায্য করে

ব্ল্যাক কফি হজমক্ষমতা বাড়ায় এবং চর্বি কমাতে সাহায্য করে। ক্যাফেইন শরীরের শক্তি খরচ ৩ থেকে ১১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারে, যা ওজন কমানোর জন্য সহায়ক।

বাহাইয়ের বিশ্বাসে কফি নিষিদ্ধ ছিল

বাহাই ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা বাহাউল্লাহ প্রথমে কফি নিষিদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু পরে তিনি নিজেই এটি পান করা শুরু করেন এবং তাঁর অনুসারীদেরও পানের অনুমতি দেন।

কফি গাছের রক্ষণাবেক্ষণের কারণে যুদ্ধ হয়েছিল!

ফ্রান্স ব্রাজিল থেকে কফি চারা চুরি করে নিজেদের কলোনিতে চাষ করতে চেয়েছিল বলে ১৮০০ সালের দিকে দুই দেশের মধ্যে ‘কফি যুদ্ধ’ হয়েছিল।

কফি অমরত্ব দিতে না পারলেও দীর্ঘ জীবন দিতে পারে!

বেশ কিছু গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, নিয়মিত কফি পানকারীদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস, পার্কিনসন্স ও লিভারের রোগ হওয়ার আশঙ্কা কম। এমনকি কিছু গবেষণা বলছে, কফি পানকারীরা সাধারণত বেশি দিন বাঁচেন!

নীলফামারী জেলার একটি পরীক্ষামূলক কফি বাগানে রোবাস্টা কফি। ছবি: রজত কান্তি রায়
নীলফামারী জেলার একটি পরীক্ষামূলক কফি বাগানে রোবাস্টা কফি। ছবি: রজত কান্তি রায়

ক্যাফেইন ছাড়া কফিও আছে!

ডিক্যাফ কফি থেকে ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাফেইন সরানো হয়। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ক্যাফেইনমুক্ত নয়। একটি ডিক্যাফ কফিতেও ক্যাফেইন থাকে।

কফি স্নানও আছে!

জাপানের ইউনোমাতে ইউনোমারু ওনসেন নামের একটি হট স্প্রিং আছে। সেখানে কফি দিয়ে স্নান করা যায়! বিশ্বাস করা হয় যে এটি ত্বক মসৃণ করে এবং শরীরে রক্তসঞ্চালন বাড়ায়।

কফি গাছ ২০০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে!

একটি কফি গাছ সাধারণত ২০ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত ভালো ফলন দেয়। কিন্তু সঠিক যত্নে এটি ২০০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে!

একবার কফি চাষ নিষিদ্ধ হয়েছিল

১৬৭৫ সালে ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় চার্লস কফি হাউসগুলো বন্ধের আদেশ দিয়েছিলেন। কারণ, তিনি মনে করতেন, সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়।

সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, হিস্ট্রি ডটকম, বিবিসি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ‘সুস্পষ্টভাবে’ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে তুলে ধরব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে বাবার হাতে খুন হলো নিষ্পাপ দুই শিশু

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিশ্বসুন্দরী মণিকা বিশ্বকর্মার গ্লো-আপ সিক্রেট

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বিশ্বসুন্দরীর আন্তর্জাতিক আসরগুলোতে যেতে হলে অনেক স্থানীয় প্রতিযোগিতায় পরীক্ষা দিয়ে তবেই মেলে ছাড়পত্র। আর তা-ও যে সবার জোটে না, সেটা বলাই বাহুল্য। ভারতের তেমনি একটি প্রতিযোগিতা হলো মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া। এটি গ্লামানন্দ গ্রুপ সংস্থার অধীনে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা। এর শুরু হয় ২০২৪ সালে। এ সংস্থাটি এখন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি নির্বাচন করে। গত বছরের বিজয়ী ছিলেন গুজরাটের ১৯ বছর বয়সী রিয়া সিংহ। এ বছরের বিজয়ী হলেন রাজস্থানের ২২ বছর বয়সী মণিকা বিশ্বকর্মা।

মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি। ত্বক ভালো রাখতে তিনি আধুনিক প্রসাধনী যেমন ব্যবহার করেন, তেমনি প্রাচীন ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোও ব্যবহার করতে ভোলেন না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের সঙ্গে একটি কথোপকথনে এই বিশ্বসুন্দরী তাঁর দৈনন্দিন সৌন্দর্য, রীতিনীতি ও উজ্জ্বল ত্বকের গোপন রহস্য প্রকাশ করেছেন।

কী রয়েছে মণিকার রূপ রুটিনে? জেনে নেওয়া যাক:

মণিকা মনে করেন, প্রাকৃতিক ত্বকের যত্ন কেবলই বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয় নয়, এটি নিজের শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার বিষয়ও। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
মণিকা মনে করেন, প্রাকৃতিক ত্বকের যত্ন কেবলই বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয় নয়, এটি নিজের শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার বিষয়ও। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

রেটিনল ও ময়েশ্চারাইজার

মণিকা জানান, তিনি তাঁর ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্য রেটিনল ও হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজারের ওপর নির্ভর করেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে, মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর রেটিনল সেরাম ব্যবহার করেন। এর পরপরই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। এতে তাঁর ত্বক রাতারাতি ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে ফেলতে পারে এবং পুনরুজ্জীবিত হয়। তবে মণিকা জানিয়েছেন, তিনি ত্বকের উপরিভাগের যত্ন নিয়েই থেমে থাকেন না। গভীর থেকে ত্বকের দেখভালের জন্য প্রতিদিন তাঁর খাদ্যতালিকায় থাকে শসা, বিটরুট এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে তৈরি তাজা রস।

মায়ের দেওয়া টোটকায় বিশ্বাস রাখেন

ত্বকের যত্নে বাজারে ব্র‍্যান্ডেড পণ্যের জোগান থাকা সত্ত্বেও, মণিকা এখনো প্রাকৃতিক ডিআইওয়াই প্যাকগুলোয় বিশ্বাস করেন। তিনি প্রায়ই বেসন ও হলুদের প্যাক ব্যবহার করেন বলে জানান। তাঁর ভাষ্য, এটি তাঁর মায়ের দেওয়া গোপন টিপস। এই প্রাচীন ভারতীয় সৌন্দর্য টিপস তাঁর ত্বক সতেজ, উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। মণিকা মনে করেন, প্রাকৃতিক ত্বকের যত্ন কেবলই বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয় নয়, এটি নিজের শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার বিষয়ও।

ত্বক পরিষ্কার করতে নারকেল তেল ব্যবহার করেন

মেকআপ অপসারণের জন্য নামীদামি মেকআপ রিমুভারের পরিবর্তে মণিকা খাঁটি নারকেল তেল ব্যবহারের পক্ষপাতী। তিনি তাঁর মেকআপ ভালোভাবে গলে যাওয়ার জন্য খাঁটি নারকেল তেলের প্রলেপ দেন। তেল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পর তিনি হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করেন এবং তাঁর পছন্দের ময়েশ্চারাইজার দিয়ে রূপ রুটিন শেষ করেন। এই রুটিন নিয়মমাফিক মেনে চলার কারণে তাঁর ত্বক নরম, পানিপূর্ণ ও ক্ষয়ক্ষতিমুক্ত থাকে বলে জানান তিনি।

সবচেয়ে সহজ কিন্তু শক্তিশালী রহস্য হাইড্রেশন

ত্বক সুন্দর রাখার সহজ মন্ত্রগুলোর মধ্যে একটি হলো ত্বকে পানির ভারসাম্য ঠিক রাখা। মণিকা সারা দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করেন বলে জানান। তাঁর মতে, হাইড্রেশন শরীর ডিটক্সিফাই করে ও ত্বকে এমন একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা যোগ করে, যা কোনো মেকআপ দিতে পারে না।

মণিকা বিশ্বকর্মার মতে, ত্বকের যত্ন মানেই কোনো জটিল সৌন্দর্যচর্চা নয়। দেশীয় উপকরণে তৈরি প্যাক ব্যবহার, অভ্যন্তরীণ যত্ন ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের সংমিশ্রণেই পাওয়া যায় জেল্লাদার ত্বক। বাজারে অনেক ধরনের নতুন পণ্য আসে এবং ভবিষ্যতেও আসবে। কিন্তু সেগুলোর ওপরই পুরোপুরি ভরসা করা ঠিক নয়। নিজের শিকড় থেকে পাওয়া ঘরোয়া টোটকাও অনেক সময় সেরা ফলাফল দেয়। আর এখানে বিশ্বাস রাখলেই অনেকটা কাজ এগিয়ে যায় বলে মনে করেন মণিকা বিশ্বকর্মা।

সূত্র: জি নিউজ

ছবি: ইনস্টাগ্রাম

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ‘সুস্পষ্টভাবে’ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে তুলে ধরব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে বাবার হাতে খুন হলো নিষ্পাপ দুই শিশু

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাওয়া বদলের মৌসুমে শিশুর ত্বক ও চুলের যত্ন

ডা. নূরজাহান বেগম
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৯: ৩৫
হাওয়া বদলের মৌসুমে শিশুর ত্বক ও চুলের যত্ন

শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক ও চুলের সুরক্ষায় বাড়তি সতর্কতার জন্য কিছু বিষয় লক্ষ রাখতে হবে।

ত্বকের যত্ন

এই মৌসুমে শিশুর গোসলের ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের অনেকে এক দিন পরপর গোসল করানোর কথা বলেন। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে শিশুর জন্মের ৭২ ঘণ্টা পর থেকে প্রতিদিন কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করানো যাবে। তবে সময়ের আগে হয়ে যাওয়া এবং কম ওজনের শিশুদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গোসল করানো যাবে না।

তবে দীর্ঘ সময় ধরে নবজাতক ও শিশুকে গোসল করানো যাবে না। উভয়ের ক্ষেত্রে গোসলের সময় কমিয়ে দিতে হবে। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা ভালো। বেশি গরম পানি ব্যবহার করলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়। শিশুর গোসলে সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে। গোসলের পরপরই ভালো করে শরীর মুছিয়ে অলিভ অয়েল কিংবা লোশন ব্যবহার করা যাবে।

শুষ্ক ত্বকে চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী দিনে দু-তিনবার ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। অলিভ অয়েল ও নারকেল তেল শিশুর ত্বকে সাধারণত সমস্যা করে না। তবে সরিষার তেল ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। অনেকে নবজাতক বা শিশুদের নাকে ও কানে সরিষার তেল দিয়ে থাকেন, যেটা একদম উচিত নয়। এটি শিশুর ত্বকের জন্য ভালো নয়। সরিষার তেল ত্বকে বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি, প্রদাহ এমনকি মাথার ত্বকে খুশকির প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। নবজাতক ও শিশুদের জন্য উপযোগী প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে ব্যবহারের পর যদি অ্যালার্জি হয়, তাহলে সেই প্রসাধনী বাদ দিতে হবে।

baby

চুলের যত্ন

দূষণের কারণে বড়দের মতো শিশুদের চুল ধুলাবালুর জন্য ময়লা হয়ে যায়। ফলে প্রায়ই খুশকির সমস্যায় ভুগতে হয়। তাই সপ্তাহে দু-তিন দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল পরিষ্কার রাখতে হবে। গোসলের পর চুল ভালো করে শুকাতে হবে এবং নিয়মিত আঁচড়ে দিতে হবে। মাঝেমধ্যে শ্যাম্পু করার এক ঘণ্টা আগে মাথার ত্বক ও চুলে নারকেল তেল ম্যাসাজ করে দিতে পারেন। এতে শ্যাম্পু করার পর চুলগুলো ঝরঝরে থাকবে।

আরাম পরিধেয়

এ সময় শিশুকে সুতির পাতলা আরামদায়ক কাপড় পরাতে হবে। নবজাতক ও শিশুরা যেন ঘেমে না যায়, সে ব্যাপারে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, শরীরে ঘাম জমলেই নানা ধরনের চর্মরোগ হবে। মাথার ত্বকও যেন ঘামে ভেজা না থাকে, সেদিকে নজর দেওয়া চাই। প্রয়োজনে পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে শিশুর মাথা বারবার আলতো হাতে মুছে দিতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ‘সুস্পষ্টভাবে’ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে তুলে ধরব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে বাবার হাতে খুন হলো নিষ্পাপ দুই শিশু

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোল

ফিচার ডেস্ক
ছবি: রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
ছবি: রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।

বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।

উপকরণ

ধুন্দল ৫০০ গ্রাম, আলু ২০০ গ্রাম, পোয়া মাছ ৬ পিস, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা এক চা-চামচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া এক চা-চামচ করে, কাঁচা মরিচ ফালি ৫টা, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, আস্ত জলপাই ২টা।

প্রণালি

আলু ও ধুন্দল খোঁসা ফেলে কেটে ধুয়ে রাখুন আলাদা করে। মাছ কেটে ধুয়ে লবণ মাখিয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, লবণ অল্প পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। আলু দিয়ে ৫ মিনিট কষিয়ে সামান্য পানি দিন। তারপর ধুন্দল দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। এবার কাঁচা পোয়া মাছ, কাঁচা মরিচ ফালি, জলপাই দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। সব সেদ্ধ হলে ধনেপাতাকুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন লবণ দেখে। তৈরি হয়ে গেল জলপাই দিয়ে মাছের ঝোল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ‘সুস্পষ্টভাবে’ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে তুলে ধরব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে বাবার হাতে খুন হলো নিষ্পাপ দুই শিশু

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডিজনির খরচ বাঁচানোর নতুন কৌশল

ফিচার ডেস্ক
ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। ছবি: পেক্সেলস
ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। ছবি: পেক্সেলস

পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন। এতে পিছিয়েও নেই ডিজনি ভক্তরা। তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন একটি উপায়, যার মাধ্যমে একে অপরকে অর্থ সাশ্রয়ে সাহায্য করতে পারেন। ডিজনি ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকেরা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় একত্র হচ্ছেন। যেখানে তাঁরা তাঁদের অবশিষ্ট বা অব্যবহৃত জিনিসপত্র ভাগ করে নিচ্ছেন। তাঁরা সেসব জিনিস আদান-প্রদান করছেন, যা ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া হতো।

এর মাধ্যমে মিতব্যয়িতা ও দয়ার ওপর ভিত্তি করে একটি সম্প্রদায় তৈরি হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
এর মাধ্যমে মিতব্যয়িতা ও দয়ার ওপর ভিত্তি করে একটি সম্প্রদায় তৈরি হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

ফেসবুক গ্রুপ

নির্দিষ্ট ডিজনির হোটেলগুলোর জন্য ফেসবুক গ্রুপ তৈরি হয়েছে। এই গ্রুপগুলোর ভেতরে ছুটি কাটাতে যাওয়া লোকেরা অন্যদের শুরুর দিকের ভ্রমণের জন্য খাবার, ডিসকাউন্টেড রিফিল পাওয়া পপকর্ন বাকেটও অফার করছেন। অবশ্য অনেকে এটিকে কোম্পানির ব্র্যান্ডিং অনুযায়ী ‘ডিজনি ম্যাজিক’ ছড়িয়ে দেওয়ার একটি পদ্ধতি হিসেবে দেখছেন। এর মাধ্যমে মিতব্যয়িতা ও দয়ার ওপর ভিত্তি করে একটি সম্প্রদায় তৈরি হচ্ছে। কেউ কেউ তাঁদের প্রি-পেইড অপশন ব্যবহার করে অন্যদের জন্য খাবারও কিনে দিচ্ছেন। একজন দর্শনার্থী পপ সেঞ্চুরি হোটেলে থাকার সময় তাঁর হোটেলের দরজায় মিকি মাউসের কান ও অন্যান্য স্যুভেনিয়ার ঝুলিয়ে রেখেছিলেন, যাতে অন্যরা সেগুলো নিতে পারেন। পরে তিনি বলেন, যেকোনো উপায়ে কাউকে টাকা বাঁচাতে সাহায্য করাটা দারুণ ব্যাপার। তিনি আরও জানান যে, থাকার শেষে যে জিনিসগুলো তিনি বাড়ি নিয়ে যেতে পারেননি, সেগুলোর একটি ব্যাগ তিনি রুমের বাইরে রেখে দেন এবং ফেসবুকে এ বিষয়ে অন্যদের জানানোর জন্য পোস্ট করেন। নিজের ডাইনিং প্ল্যানের কিছু খাবারও তিনি অন্য একটি পরিবারকে দুপুরের খাবার কিনে দিতে ব্যবহার করেছিলেন।

প্রয়োজনী জিনিস ভাগাভাগি

পারিবারিক ভ্রমণের জন্য পুশচেয়ার (স্ট্রলার) একটি অপরিহার্য জিনিস। ডিজনির ভক্তরা এগুলোও ভাগাভাগি করার উপায় খুঁজে পেয়েছেন। রোজি গার্সিয়া নামের এক মা একটি বড় পারিবারিক ভ্রমণের সময় এই সুবিধা নিয়েছিলেন। তাঁর ছয় বছরের ছেলের গোড়ালিতে আঘাত লাগলে তাঁরা অনলাইনে যোগাযোগ করে ছুটির জন্য একটি পুশচেয়ার ধার করতে সক্ষম হন। ফেবারিট গ্র্যাম্পি ট্রাভেলসের পরিচালক কার্স্টেন আন্দ্রেড ব্যাখ্যা করেন যে, কিছু গ্রুপ অতিথিদের মধ্যে জিনিসপত্র হস্তান্তরের ব্যবস্থা করার জন্য ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে। তিনি এটিকে ‘একধরনের গোপন ক্লাব, যার অংশ হতে আপনি অবশ্যই চাইবেন’ বলে মন্তব্য করেন এবং বলেন, এটি তখন ভাগ করে নেওয়া এবং ম্যাজিক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতিতে পরিণত হয়।

অনেকে ব্যবহার করা জিনিস রেখে যাচ্ছেন হোটেল রুমে এবং সেই ছবি দিচ্ছেন ফেসবুক পোস্টে। ছবি: সংগৃহীত
অনেকে ব্যবহার করা জিনিস রেখে যাচ্ছেন হোটেল রুমে এবং সেই ছবি দিচ্ছেন ফেসবুক পোস্টে। ছবি: সংগৃহীত

টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও উদ্যোগ

এই উদ্যোগগুলো এমন এক সময়ে আসছে, যখন ডিজনি সম্প্রতি আমেরিকার তাদের দুটি বড় থিম পার্কের টিকিটমূল্য বাড়িয়েছে। অরল্যান্ডোর ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট ও অ্যানাহেইমের ডিজনিল্যান্ড রিসোর্টের এক দিনের টিকিটের দাম বেড়েছে। পিক আওয়ারে একটি টিকিট এখন ১৯৯ ডলারের বেশি। ক্রিসমাস ও নতুন বছরের সময়ের জন্য অরল্যান্ডোর পার্কের টিকিট ২০৯ ডলার করা হয়েছে, যা বেড়েছে ৫ শতাংশ। একই সময়ে ডিজনিল্যান্ডের টিকিটের দাম ২২৪ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।

এই মূল্যবৃদ্ধি এমন এক সময়ে এল, যখন ডিজনি ১৯৯৮ সালে অ্যানিমেল কিংডম খোলার পর প্রথম নতুন পার্ক যুক্ত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে ডিজনির এক কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন যে, কোম্পানি এখনো ‘জাদুকরি অভিজ্ঞতা তৈরি করার’ প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাদের টিকিট, হোটেল ও ডাইনিং বিকল্পগুলো সব বাজেটের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই ফ্যান-টু-ফ্যান আদান-প্রদানগুলো প্রমাণ করে যে, খরচ যতই বাড়ুক না কেন, ডিজনির আসল জাদু হলো কমিউনিটি এবং একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা।

সূত্র: ডেইলি মেইল

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ‘সুস্পষ্টভাবে’ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে তুলে ধরব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে বাবার হাতে খুন হলো নিষ্পাপ দুই শিশু

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত