মইনুল হাসান, ফ্রান্স
‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’, তিনটি শব্দে হৃদয়ের একান্ত আকুতি, আবেগ প্লাবিত উচ্ছ্বাস মুখ ফুটে উচ্চারণ করা যায় না। মুখে বললে তা মাধুর্য হারায়, তার শৈল্পিক সুষমা ম্লান হয়। আর তাই অন্তরের অব্যক্ত কথাটি ভালোবাসার মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় তিনটি লাল গোলাপ উপহার দিয়ে। একটি লাল গোলাপ উপহারে বলা হবে, ‘প্রথম দেখায় প্রেম’। আর দুটি গোলাপ মানে আগে থেকেই জানাশোনা, পারস্পরিক ভালোবাসার সুরভিত বার্তা। এমনি করেই সংখ্যা ও ফুল সজ্জা দিয়ে হৃদয়ের না বলা কথা প্রকাশের রীতি বহুকাল থেকেই বিভিন্ন সংস্কৃতিতে চালু আছে।
মনের আবেগ, প্রেম, ভালোবাসা, আনন্দ বিহ্বলতা প্রকাশে সেই প্রাচীনকাল থেকে মানুষ ফুল বেছে নিয়েছে। কল্পনায় সৃষ্টি করেছে ভালোবাসার দেবী আফ্রোদিতিকে। চোখ ধাঁধানো রূপসী আফ্রোদিতি যেখানে পা ফেলত, সেখানেই মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসত লাল গোলাপ। সৌন্দর্য ও মিষ্টি সুবাসের এক নির্মল, নিষ্কলুষ আবহ সৃষ্টিতে লাল গোলাপের তুলনা নেই। সে কারণেই অন্য সকল ফুলকে ছাড়িয়ে সমগ্র পৃথিবীতে আজ চিরন্তন ও বিশুদ্ধ প্রেমের প্রতীক আলতা সিঁদুর রাঙা লাল গোলাপ।
শুধু গোলাপ নয়, ভালোবাসা প্রকাশে মানুষের পছন্দের তালিকায় আছে পবিত্রতা ও শুদ্ধতার প্রতীক আরও অনেক ফুল। যেমন বাংলাদেশের বেশির ভাগ প্রেমের কাব্যে, গল্পে, কবিতায় অনেকখানি জায়গা জুড়ে আছে রজনীগন্ধা, বেলফুল, সুবাসিত শিউলি, কামিনী, বকুল ফুলের মালা অথবা খোঁপায় গুঁজে দেওয়া কাঠগোলাপ।
সৌন্দর্য ও সৌরভে পৃথিবীর প্রায় সকল সংস্কৃতি ও সংস্কারে ফুল স্বমহিমায় উজ্জ্বল। প্রাচীনকালে মানুষেরা দেব–দেবীর উদ্দেশ্যে পবিত্রতা এবং পুনর্জন্মের প্রতীক হিসেবে ফুল উৎসর্গ করত। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে। বর্তমানে সুন্দরের বন্দনায়, অনুভূতি প্রকাশে ফুল উপহার এক বাঙময় ব্যঞ্জনায় উন্নীত হয়েছে। অপার্থিব দেব-দেবীর স্থান চলে গেছে পার্থিব দেব-দেবী, প্রিয়জন পরিজনদের দখলে।
আবেদন, নিবেদন যা মুখে বা লিখে প্রকাশ করলে মাধুর্য হারায় তার জন্য ফুল উপহার দিলে রুচি, শিল্পবোধ আলাদা মাত্রায় উজ্জ্বল হয়, মর্মার্থ মর্মে পৌঁছে। তবে প্রেমিক বা প্রেমিকাকে ফুলের তোড়া তৈরিতে যথেষ্ট যত্নবান ও সতর্ক হতে হবে। কারণ ভুল ফুল দিয়ে তোড়া সাজালে ভুল বার্তা চলে যাবে উপহার গ্রহীতার কাছে। তাতে কাছে টানার পরিবর্তে দূরে সরিয়ে দিতে পারে আরাধ্য প্রিয়জনকে।
ভালোবাসার ফুল ঘৃণার বেদিতে নিষ্ঠুর বলি হয়ে অকালেই ঝরে যেতে পারে। শেক্সপিয়ার তাঁর ‘হ্যামলেট’ নাটকে ফুলের প্রতীকী অর্থ ব্যবহার করেছেন। প্রতিটি ফুলের জন্য আলাদা আলাদা অর্থ ও বিভিন্ন ফুল মিশিয়ে, সংখ্যার তারতম্য করে সাংকেতিক বার্তার রঙিন, সুঘ্রাণের আস্তরণে লেখা হয় অলিখিত পুষ্পক পত্র। এ ভাবেই ফ্লোরিওগ্রাফির আবির্ভাব।
পৃথিবীর সুন্দরতম দিন ছিল আজ থেকে সাড়ে সতেরো কোটি বছর আগে, যেদিন এই গ্রহে প্রথম ফুলটি ফুটেছিল। আধুনিক মানুষের উদ্ভব হয়েছে তিন লাখ বছরের খানিকটা বেশি সময় আগে। তাই বলা চলে, মানুষের আবির্ভাব ঘটেছিল ফুলের পৃথিবীতে, ফুলেল অভ্যর্থনায়। পৃথিবীর প্রথম মানুষেরা ফুল দেখে বিস্মিত হয়েছিল, মুগ্ধতায় আচ্ছন্ন হয়েছিল। আজও মানুষের ফুল নিয়ে বিস্ময়, মুগ্ধতা কাটেনি; আজও ফুলের প্রতি অপ্রতিরোধ্য আকর্ষণ অনুভব করে মর্ত্যের মানুষ।
ফুলের পৃথিবীতে মানুষের ভালোবাসার ভাষা হচ্ছে ফুল। ফুলের এ ভাষা শুনতে পাওয়া যায় না, অনুভব করা যায়। যেমন ভালোবাসার কোনো দৃশ্যমান রূপ নেই, শুধুই অনুভব করা যায়। পৃথিবীতে যত দিন ফুল থাকবে তত দিন ভালোবাসার ক্ষয় হবে না। আর তাই হৃদয়ে একই অর্থে অনুরণন সৃষ্টি করে ফুল ও ভালোবাসা।
‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’, তিনটি শব্দে হৃদয়ের একান্ত আকুতি, আবেগ প্লাবিত উচ্ছ্বাস মুখ ফুটে উচ্চারণ করা যায় না। মুখে বললে তা মাধুর্য হারায়, তার শৈল্পিক সুষমা ম্লান হয়। আর তাই অন্তরের অব্যক্ত কথাটি ভালোবাসার মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় তিনটি লাল গোলাপ উপহার দিয়ে। একটি লাল গোলাপ উপহারে বলা হবে, ‘প্রথম দেখায় প্রেম’। আর দুটি গোলাপ মানে আগে থেকেই জানাশোনা, পারস্পরিক ভালোবাসার সুরভিত বার্তা। এমনি করেই সংখ্যা ও ফুল সজ্জা দিয়ে হৃদয়ের না বলা কথা প্রকাশের রীতি বহুকাল থেকেই বিভিন্ন সংস্কৃতিতে চালু আছে।
মনের আবেগ, প্রেম, ভালোবাসা, আনন্দ বিহ্বলতা প্রকাশে সেই প্রাচীনকাল থেকে মানুষ ফুল বেছে নিয়েছে। কল্পনায় সৃষ্টি করেছে ভালোবাসার দেবী আফ্রোদিতিকে। চোখ ধাঁধানো রূপসী আফ্রোদিতি যেখানে পা ফেলত, সেখানেই মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসত লাল গোলাপ। সৌন্দর্য ও মিষ্টি সুবাসের এক নির্মল, নিষ্কলুষ আবহ সৃষ্টিতে লাল গোলাপের তুলনা নেই। সে কারণেই অন্য সকল ফুলকে ছাড়িয়ে সমগ্র পৃথিবীতে আজ চিরন্তন ও বিশুদ্ধ প্রেমের প্রতীক আলতা সিঁদুর রাঙা লাল গোলাপ।
শুধু গোলাপ নয়, ভালোবাসা প্রকাশে মানুষের পছন্দের তালিকায় আছে পবিত্রতা ও শুদ্ধতার প্রতীক আরও অনেক ফুল। যেমন বাংলাদেশের বেশির ভাগ প্রেমের কাব্যে, গল্পে, কবিতায় অনেকখানি জায়গা জুড়ে আছে রজনীগন্ধা, বেলফুল, সুবাসিত শিউলি, কামিনী, বকুল ফুলের মালা অথবা খোঁপায় গুঁজে দেওয়া কাঠগোলাপ।
সৌন্দর্য ও সৌরভে পৃথিবীর প্রায় সকল সংস্কৃতি ও সংস্কারে ফুল স্বমহিমায় উজ্জ্বল। প্রাচীনকালে মানুষেরা দেব–দেবীর উদ্দেশ্যে পবিত্রতা এবং পুনর্জন্মের প্রতীক হিসেবে ফুল উৎসর্গ করত। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে। বর্তমানে সুন্দরের বন্দনায়, অনুভূতি প্রকাশে ফুল উপহার এক বাঙময় ব্যঞ্জনায় উন্নীত হয়েছে। অপার্থিব দেব-দেবীর স্থান চলে গেছে পার্থিব দেব-দেবী, প্রিয়জন পরিজনদের দখলে।
আবেদন, নিবেদন যা মুখে বা লিখে প্রকাশ করলে মাধুর্য হারায় তার জন্য ফুল উপহার দিলে রুচি, শিল্পবোধ আলাদা মাত্রায় উজ্জ্বল হয়, মর্মার্থ মর্মে পৌঁছে। তবে প্রেমিক বা প্রেমিকাকে ফুলের তোড়া তৈরিতে যথেষ্ট যত্নবান ও সতর্ক হতে হবে। কারণ ভুল ফুল দিয়ে তোড়া সাজালে ভুল বার্তা চলে যাবে উপহার গ্রহীতার কাছে। তাতে কাছে টানার পরিবর্তে দূরে সরিয়ে দিতে পারে আরাধ্য প্রিয়জনকে।
ভালোবাসার ফুল ঘৃণার বেদিতে নিষ্ঠুর বলি হয়ে অকালেই ঝরে যেতে পারে। শেক্সপিয়ার তাঁর ‘হ্যামলেট’ নাটকে ফুলের প্রতীকী অর্থ ব্যবহার করেছেন। প্রতিটি ফুলের জন্য আলাদা আলাদা অর্থ ও বিভিন্ন ফুল মিশিয়ে, সংখ্যার তারতম্য করে সাংকেতিক বার্তার রঙিন, সুঘ্রাণের আস্তরণে লেখা হয় অলিখিত পুষ্পক পত্র। এ ভাবেই ফ্লোরিওগ্রাফির আবির্ভাব।
পৃথিবীর সুন্দরতম দিন ছিল আজ থেকে সাড়ে সতেরো কোটি বছর আগে, যেদিন এই গ্রহে প্রথম ফুলটি ফুটেছিল। আধুনিক মানুষের উদ্ভব হয়েছে তিন লাখ বছরের খানিকটা বেশি সময় আগে। তাই বলা চলে, মানুষের আবির্ভাব ঘটেছিল ফুলের পৃথিবীতে, ফুলেল অভ্যর্থনায়। পৃথিবীর প্রথম মানুষেরা ফুল দেখে বিস্মিত হয়েছিল, মুগ্ধতায় আচ্ছন্ন হয়েছিল। আজও মানুষের ফুল নিয়ে বিস্ময়, মুগ্ধতা কাটেনি; আজও ফুলের প্রতি অপ্রতিরোধ্য আকর্ষণ অনুভব করে মর্ত্যের মানুষ।
ফুলের পৃথিবীতে মানুষের ভালোবাসার ভাষা হচ্ছে ফুল। ফুলের এ ভাষা শুনতে পাওয়া যায় না, অনুভব করা যায়। যেমন ভালোবাসার কোনো দৃশ্যমান রূপ নেই, শুধুই অনুভব করা যায়। পৃথিবীতে যত দিন ফুল থাকবে তত দিন ভালোবাসার ক্ষয় হবে না। আর তাই হৃদয়ে একই অর্থে অনুরণন সৃষ্টি করে ফুল ও ভালোবাসা।
কত নামে ডাকবেন তাকে। গুগলে সন্ধান করলে চমকে উঠতে হবে। এর নাম দেখাবে হেয়ার আইল্যান্ড। মনে হবে, আটলান্টিক মহাসাগর কিংবা ক্যারিবীয় কোনো নির্জন দ্বীপের নাম দেখছেন। কিন্তু আপনার ভুল ভাঙবে স্থানীয়দের ডাকা নামটি শুনলে। বুঝবেন, আপনি আছেন কলাগাছিয়ার চরে।
২ দিন আগেযতই উন্মুক্ত হচ্ছে, ততই যেন পুরো পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে সৌদি আরব। দেশটাই একটা চমকজাগানিয়া। মরুভূমি, প্রাচীন বৃক্ষের বন, প্রাচীন জনপদ ও সংস্কৃতি—সবই আছে সৌদি আরবে। আছে নিওম নামের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিলাসবহুল মেগাসিটি।
২ দিন আগেচীনে চলছে বসন্ত উৎসব কিংবা চান্দ্র নববর্ষের আনন্দমুখর আয়োজন। সারা দেশে এই উৎসব ঐতিহ্যবাহী প্রথা, বাহারি খাবার, সজ্জা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং নানান রীতি-রেওয়াজের মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হচ্ছে।
২ দিন আগেচীনা নববর্ষের ইতিহাস ৩ হাজার বছরেরও বেশি পুরোনো বলে ধারণা করা হয়। এটি শুরু হয়েছিল চীনের প্রাচীন কৃষি ভিত্তিক সমাজে। দেবতা এবং পূর্বপুরুষদের সম্মান, ভালো ফসলের প্রার্থনা এবং মন্দ আত্মা তাড়ানোর সামাজিক প্রথা থেকে এ উৎসবের সূচনা হয়েছিল। প্রায় ১৫ দিন ধরে চলা এ উৎসবের মূলে থাকে পরিবার।
২ দিন আগে