বিভাবরী রায়
এখন বিশ্বজুড়ে ওয়েলনেস ও সৌন্দর্যবর্ধক পানীয়র জনপ্রিয়তা বাড়ছে। চলতি বছর জাপান, কোরিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকায় কোলাজেন ড্রিংক নামে এক ধরনের গোলাপি পানীয় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। রেডিমেড প্যাকেটে এসব পানীয়র পাউডার আমাদের দেশেও পাওয়া যাচ্ছে। অনলাইন বা অফলাইন স্টোরে এই গোলাপি কোলাজেন ড্রিংক পাউডার পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো এখন অনেক তরুণী ব্যবহার করছেন। বলা চলে, বিউটি ট্রেন্ডে নতুন করে যুক্ত হয়েছে এই পানীয়টি।
কোলাজেন আসলে কী
কোলাজেন হলো শরীরের এক ধরনের প্রোটিন। যা ত্বক, হাড়, জয়েন্ট ও অন্যান্য কোষে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ত্বক ভালো রাখতে এটি খুবই জরুরি উপাদান। এটি ত্বক উজ্জ্বল ও তারুণ্যদীপ্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বয়স বাড়ার সঙ্গে মানুষের শরীরে কোলাজেন উৎপাদন ধীরে ধীরে কমতে থাকে। ফলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়, চুল দুর্বল হয়ে পড়ে ও নখ ভঙ্গুর হয়ে যায়। এক কথায় কোলাজেন আমাদের ত্বক, চুল, নখ, হাড় ও জয়েন্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কোলাজেন পানীয় পান করলে কী হয়
বয়স বাড়ার সঙ্গে স্বাভাবিক নিয়মে ত্বকের টান টান ভাব চলে যায়, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হয়ে যায়। তাই ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি একটি বিশেষ রকম ‘ডিটক্স’ পানীয় এটি। ত্বকের চিকিৎসকেরা আধুনিক এই কোলাজেন পানীয়কে বলেন গোলাপি পানীয়। এটি নিয়মিত পান করলে ত্বকের কোষে কোলাজেন তৈরি হবে এবং মেলানিন রঞ্জকের ভারসাম্য বজায় থাকবে। শুধু তাই নয়। এই পানীয় ত্বকের রং উন্নত করে, বলিরেখা কমায় ও মৃত কোষ দূর করে, নতুন কোষের পুনর্গঠনেও সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতো, কোলাজেন ড্রিংক বা পানীয় দিনে একবার পান করা যথেষ্ট। এটি সকালে খালি পেটে বা রাতে ঘুমানোর আগে পান করা যেতে পারে। এতে শরীর সহজেই কোলাজেন শোষণ করতে পারে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার ও অতিরিক্ত চিনি কোলাজেন ভাঙতে পারে, তাই এড়িয়ে চলুন।
ধূমপান ও অতিবেগুনি রশ্মি কোলাজেনের ক্ষতি করে।
কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে ত্বক ও জয়েন্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখা সম্ভব।
তবে বাজার চলতি এসব গোলাপি রেডিমেড কোলাজেন পানীয়তে যদি ভরসা রাখতে না পারেন, তাহলে ঘরেও তৈরি করে নিতে পারেন ত্বকের সৌন্দর্যবর্ধনকারী এই পানীয়।
কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার
প্রাকৃতিকভাবে কোলাজেন পাওয়ার জন্য কিছু খাবার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যোগ করতে পারেন।
প্রাণীজ উৎস
হাড়ের ঝোল বা বোন ব্রথ: গরু, মুরগি বা মাছের হাড় সেদ্ধ করে তৈরি ঝোলে কোলাজেন ও জেলাটিন থাকে।
মাছ ও সামুদ্রিক খাবার: বিশেষ করে স্যামন, টুনা, চিংড়ি ও কাঁকড়ার মতো শেলফিশের ত্বক ও হাড়ে কোলাজেন থাকে।
গরুর মাংস, মুরগি ও ডিম: গরুর মাংস, মুরগির চামড়া ও ডিমের সাদা অংশে কোলাজেন উপাদান রয়েছে।
কোলাজেন উৎপাদনে সহায়ক খাবার
শরীরে কোলাজেন তৈরির জন্য ভিটামিন সি, জিংক ও কপার প্রয়োজন। এগুলো যেসব খাবারে আছে সেগুলো প্রতিদিন খেতে হবে। তাহলে প্রাকৃতিক ভাবে কোলাজেন পাওয়া যাবে।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল: কমলা, লেবু, স্ট্রবেরি, কিউই, আমলকী, পেয়ারা।
জিংক ও কপার সমৃদ্ধ খাবার: বাদাম, বীজ, শিম, গোটা শস্য, ডার্ক চকলেট।
সবুজ শাকসবজি: পালং শাক, ব্রকলি, ক্যাপসিকাম।
কোলাজেন সাপ্লিমেন্ট
চিকিৎসকের পরামর্শে জেলাটিন বা হাইড্রোলাইজড কোলাজেন পাউডার সাপ্লিমেন্ট হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। এর টাইপ ১ ও ৩ সাধারণত ত্বকের জন্য এবং টাইপ ২ জয়েন্টের জন্য ব্যবহৃত হয়।
বাড়িতে যেভাবে কোলাজেন পানীয় তৈরি করবেন
উপকরণ
মাঝারি বিটরুট ১ টা, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, আমলকী ২ থেকে ৩ টা, আদা এক ইঞ্চি পরিমাণ টুকরো, মধু এক টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া এক চিমটি।
প্রণালি
সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। তারপর গ্লাসে ঢেলে পান করুন।
প্রতিদিন এক গ্লাস পরিমাণ কোলাজেন পানীয় পান করাই যথেষ্ট।
সূত্র: হেলথ লাইন, এনসিবিআই ডট এনআইএইচ ডট হিওভি, এইচএআরভিএআরডি ডট ইডিইউ, মায়ো ক্লিনিক, টাইমস অব ইন্ডিয়া
এখন বিশ্বজুড়ে ওয়েলনেস ও সৌন্দর্যবর্ধক পানীয়র জনপ্রিয়তা বাড়ছে। চলতি বছর জাপান, কোরিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকায় কোলাজেন ড্রিংক নামে এক ধরনের গোলাপি পানীয় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। রেডিমেড প্যাকেটে এসব পানীয়র পাউডার আমাদের দেশেও পাওয়া যাচ্ছে। অনলাইন বা অফলাইন স্টোরে এই গোলাপি কোলাজেন ড্রিংক পাউডার পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো এখন অনেক তরুণী ব্যবহার করছেন। বলা চলে, বিউটি ট্রেন্ডে নতুন করে যুক্ত হয়েছে এই পানীয়টি।
কোলাজেন আসলে কী
কোলাজেন হলো শরীরের এক ধরনের প্রোটিন। যা ত্বক, হাড়, জয়েন্ট ও অন্যান্য কোষে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ত্বক ভালো রাখতে এটি খুবই জরুরি উপাদান। এটি ত্বক উজ্জ্বল ও তারুণ্যদীপ্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বয়স বাড়ার সঙ্গে মানুষের শরীরে কোলাজেন উৎপাদন ধীরে ধীরে কমতে থাকে। ফলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়, চুল দুর্বল হয়ে পড়ে ও নখ ভঙ্গুর হয়ে যায়। এক কথায় কোলাজেন আমাদের ত্বক, চুল, নখ, হাড় ও জয়েন্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কোলাজেন পানীয় পান করলে কী হয়
বয়স বাড়ার সঙ্গে স্বাভাবিক নিয়মে ত্বকের টান টান ভাব চলে যায়, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হয়ে যায়। তাই ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি একটি বিশেষ রকম ‘ডিটক্স’ পানীয় এটি। ত্বকের চিকিৎসকেরা আধুনিক এই কোলাজেন পানীয়কে বলেন গোলাপি পানীয়। এটি নিয়মিত পান করলে ত্বকের কোষে কোলাজেন তৈরি হবে এবং মেলানিন রঞ্জকের ভারসাম্য বজায় থাকবে। শুধু তাই নয়। এই পানীয় ত্বকের রং উন্নত করে, বলিরেখা কমায় ও মৃত কোষ দূর করে, নতুন কোষের পুনর্গঠনেও সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতো, কোলাজেন ড্রিংক বা পানীয় দিনে একবার পান করা যথেষ্ট। এটি সকালে খালি পেটে বা রাতে ঘুমানোর আগে পান করা যেতে পারে। এতে শরীর সহজেই কোলাজেন শোষণ করতে পারে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার ও অতিরিক্ত চিনি কোলাজেন ভাঙতে পারে, তাই এড়িয়ে চলুন।
ধূমপান ও অতিবেগুনি রশ্মি কোলাজেনের ক্ষতি করে।
কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে ত্বক ও জয়েন্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখা সম্ভব।
তবে বাজার চলতি এসব গোলাপি রেডিমেড কোলাজেন পানীয়তে যদি ভরসা রাখতে না পারেন, তাহলে ঘরেও তৈরি করে নিতে পারেন ত্বকের সৌন্দর্যবর্ধনকারী এই পানীয়।
কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার
প্রাকৃতিকভাবে কোলাজেন পাওয়ার জন্য কিছু খাবার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যোগ করতে পারেন।
প্রাণীজ উৎস
হাড়ের ঝোল বা বোন ব্রথ: গরু, মুরগি বা মাছের হাড় সেদ্ধ করে তৈরি ঝোলে কোলাজেন ও জেলাটিন থাকে।
মাছ ও সামুদ্রিক খাবার: বিশেষ করে স্যামন, টুনা, চিংড়ি ও কাঁকড়ার মতো শেলফিশের ত্বক ও হাড়ে কোলাজেন থাকে।
গরুর মাংস, মুরগি ও ডিম: গরুর মাংস, মুরগির চামড়া ও ডিমের সাদা অংশে কোলাজেন উপাদান রয়েছে।
কোলাজেন উৎপাদনে সহায়ক খাবার
শরীরে কোলাজেন তৈরির জন্য ভিটামিন সি, জিংক ও কপার প্রয়োজন। এগুলো যেসব খাবারে আছে সেগুলো প্রতিদিন খেতে হবে। তাহলে প্রাকৃতিক ভাবে কোলাজেন পাওয়া যাবে।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল: কমলা, লেবু, স্ট্রবেরি, কিউই, আমলকী, পেয়ারা।
জিংক ও কপার সমৃদ্ধ খাবার: বাদাম, বীজ, শিম, গোটা শস্য, ডার্ক চকলেট।
সবুজ শাকসবজি: পালং শাক, ব্রকলি, ক্যাপসিকাম।
কোলাজেন সাপ্লিমেন্ট
চিকিৎসকের পরামর্শে জেলাটিন বা হাইড্রোলাইজড কোলাজেন পাউডার সাপ্লিমেন্ট হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। এর টাইপ ১ ও ৩ সাধারণত ত্বকের জন্য এবং টাইপ ২ জয়েন্টের জন্য ব্যবহৃত হয়।
বাড়িতে যেভাবে কোলাজেন পানীয় তৈরি করবেন
উপকরণ
মাঝারি বিটরুট ১ টা, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, আমলকী ২ থেকে ৩ টা, আদা এক ইঞ্চি পরিমাণ টুকরো, মধু এক টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া এক চিমটি।
প্রণালি
সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। তারপর গ্লাসে ঢেলে পান করুন।
প্রতিদিন এক গ্লাস পরিমাণ কোলাজেন পানীয় পান করাই যথেষ্ট।
সূত্র: হেলথ লাইন, এনসিবিআই ডট এনআইএইচ ডট হিওভি, এইচএআরভিএআরডি ডট ইডিইউ, মায়ো ক্লিনিক, টাইমস অব ইন্ডিয়া
ভিয়েতনামের নাম শুনলেই চোখে ভেসে ওঠে হা লং উপসাগর, হ্যানয় কিংবা হো চি মিন সিটির দৃশ্যপট। তবে দেশটির গভীরতর সৌন্দর্য লুকিয়ে রয়েছে এসব জাঁকজমকের বাইরেও। প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও স্থানীয় জীবনের অনন্য মেলবন্ধন খুঁজতে চাইলে যেতে হবে ভিয়েতনামের সেই সব শহরে, যেগুলোর নাম আজও পর্যটন মানচিত্রে খুব বেশি আলোচিত নয়।
১ ঘণ্টা আগে২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি প্রায় ১৯টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন স্নেহা উল্লাল। হিন্দি, তেলুগু, কন্নড়, ইংরেজি ও বাংলা ভাষার চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু পরপর কয়েকটি চলচ্চিত্র ব্যবসাসফল না হওয়ায় অভিনয়জগৎ থেকে নিজেই বেরিয়ে যান স্নেহা।
১০ ঘণ্টা আগেরোদে ভালো ভাবে শুকিয়ে বয়ামে রেখে দিলে অনেক দিন ভালো থাকে কাঁঠালের বিচি। ভর্তা, তরকারি ও ভেজে খাওয়া ছাড়াও এটি দিয়ে স্মুদি তৈরি করা যায়। কীভাবে? আপনাদের জন্য কাঁঠালের বিচির স্মুদির রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী কোহিনূর বেগম।
১৩ ঘণ্টা আগেনামের মিল থাকলেও তিনি বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা সেন নন। তাঁর পুরো নাম সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়। ইদানীং নিশ্চয় তাঁর নাম আপনার সামনে চলে আসছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে। খেয়াল করেছেন নিশ্চয়। তিনি এখন বেশ আলোচনায় আছেন নেট দুনিয়ায়।
১ দিন আগে