প্রশ্ন: সতেরো বছরে যবিপ্রবি কতটা এগিয়েছে বলে মনে করেন?
উত্তর: কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রথম দিকে পথচলায় হোঁচট খেলেও গত পাঁচ-ছয় বছরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি ঈর্ষণীয় ও গ্রহণযোগ্য। এটি নবীন উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে নিজের অবস্থান করে নিয়েছে, তা বলা যায়। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে লক্ষ্য থাকে, সরকার এবং জনগণের সার্ভিস দেওয়া, এ কাজগুলো করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টি যথেষ্ট অগ্রগামী হয়েছে।
প্রশ্ন: এ লক্ষ্য অর্জনে দায়িত্ব গ্রহণের পরে আপনি কী কী উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন?
উত্তর: প্রথমে যখন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছিলাম, প্রথম দুই বছর এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অরাজক পরিস্থিতি ছিল, তা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ তৈরি করি। এরপরেই দেখা দিল করোনা পরিস্থিতি। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়টি জাতির প্রতি যে দায়িত্ব, তা পালন করেছে। বাংলাদেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এখানে করোনা শনাক্ত, করোনা জীবাণুর জীবন-রহস্য উন্মোচন এবং করোনা শনাক্তে নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করা হয়েছে। মানুষ যেন করোনার থাবা থেকে মুক্ত হতে পারে, এ জন্য সরাসরি করোনা শনাক্ত ও এর জীবন-রহস্য উন্মোচনের মাধ্যমে দেশ ও বিশ্বকে উপকৃত করেছে যবিপ্রবি।
প্রশ্ন: গবেষণা কার্যক্রমের ওপর নিশ্চয়ই আপনারা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন?
উত্তর: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যখন আমি যোগ দিই, তখন বিশ্বের অনেক বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। আমার একটাই উপলব্ধি হয়েছে, কখনো ইমপোর্টেড মানুষ ও প্রযুক্তি দিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান এগোতে পারে না, তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারে না। বর্তমান সরকারের যে ভিশন-২০৩১ ও ভিশন-২০৪১ আছে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য রয়েছে, সেটির বাস্তবায়ন ইমপোর্টেড মানুষ ও প্রযুক্তি দিয়ে সম্ভব নয়। এ জন্য নিজস্ব প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে। এ লক্ষ্য অর্জনে আমাদের দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। সে কারণে গবেষণা অপরিহার্য। গবেষণার দুটি ধাপ থাকে, প্রথমে প্রমাণ করতে হয়, আমাদের গবেষণালব্ধ জ্ঞানটি অত্যন্ত উচ্চমানের এবং বিশ্বের জন্য এটি ব্যবহার উপযোগী। এরপরেই আসে প্রযুক্তি উন্নয়নের অংশ। এখন প্রথম অংশটি পার করছে বাংলাদেশ। এ জায়গায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে। শুধু বলিষ্ঠ ভূমিকা আমি বলব না, এখানে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অনেকটা লিডিং পর্যায়ে আছে।
প্রশ্ন: আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যবিপ্রবির ভূমিকা কেমন থাকবে?
উত্তর: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করে যাচ্ছে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রথমে স্মার্ট করার জন্য সচেষ্ট হয়েছি। আমরা ডি-নথি বাস্তবায়ন করেছি, শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম অটোমেশন করা হয়েছে, হলগুলো অটোমেশনের কাজে হাত দিয়েছি, অনেক ল্যাবরেটরি অটোমেশন করা আছে এবং বেশ কয়েকটি ল্যাবরেটরি আন্তর্জাতিকভাবে অ্যাক্রিডিটেড হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে একটি স্মার্ট দেশ গড়ার জন্য শিক্ষার্থীদেরও স্মার্ট করে গড়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছি। পরিবর্তিত বিশ্বে এবং চাকরির বাজারে টিকে থাকতে হলে যত ইনফরমেশন প্রয়োজন, সেভাবেই তাদের তৈরি করা হচ্ছে। তারা যেন স্মার্ট ও দক্ষ জনশক্তি হিসেবে চাকরির বাজারে যেতে পারে, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রশ্ন: এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
উত্তর: এই প্রতিষ্ঠান হবে বাংলাদেশের প্রথম গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়, এটাই আমার পরিকল্পনা।
প্রশ্ন: সতেরো বছরে যবিপ্রবি কতটা এগিয়েছে বলে মনে করেন?
উত্তর: কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রথম দিকে পথচলায় হোঁচট খেলেও গত পাঁচ-ছয় বছরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি ঈর্ষণীয় ও গ্রহণযোগ্য। এটি নবীন উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে নিজের অবস্থান করে নিয়েছে, তা বলা যায়। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে লক্ষ্য থাকে, সরকার এবং জনগণের সার্ভিস দেওয়া, এ কাজগুলো করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টি যথেষ্ট অগ্রগামী হয়েছে।
প্রশ্ন: এ লক্ষ্য অর্জনে দায়িত্ব গ্রহণের পরে আপনি কী কী উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন?
উত্তর: প্রথমে যখন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছিলাম, প্রথম দুই বছর এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অরাজক পরিস্থিতি ছিল, তা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ তৈরি করি। এরপরেই দেখা দিল করোনা পরিস্থিতি। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়টি জাতির প্রতি যে দায়িত্ব, তা পালন করেছে। বাংলাদেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এখানে করোনা শনাক্ত, করোনা জীবাণুর জীবন-রহস্য উন্মোচন এবং করোনা শনাক্তে নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করা হয়েছে। মানুষ যেন করোনার থাবা থেকে মুক্ত হতে পারে, এ জন্য সরাসরি করোনা শনাক্ত ও এর জীবন-রহস্য উন্মোচনের মাধ্যমে দেশ ও বিশ্বকে উপকৃত করেছে যবিপ্রবি।
প্রশ্ন: গবেষণা কার্যক্রমের ওপর নিশ্চয়ই আপনারা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন?
উত্তর: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যখন আমি যোগ দিই, তখন বিশ্বের অনেক বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। আমার একটাই উপলব্ধি হয়েছে, কখনো ইমপোর্টেড মানুষ ও প্রযুক্তি দিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান এগোতে পারে না, তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারে না। বর্তমান সরকারের যে ভিশন-২০৩১ ও ভিশন-২০৪১ আছে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য রয়েছে, সেটির বাস্তবায়ন ইমপোর্টেড মানুষ ও প্রযুক্তি দিয়ে সম্ভব নয়। এ জন্য নিজস্ব প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে। এ লক্ষ্য অর্জনে আমাদের দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। সে কারণে গবেষণা অপরিহার্য। গবেষণার দুটি ধাপ থাকে, প্রথমে প্রমাণ করতে হয়, আমাদের গবেষণালব্ধ জ্ঞানটি অত্যন্ত উচ্চমানের এবং বিশ্বের জন্য এটি ব্যবহার উপযোগী। এরপরেই আসে প্রযুক্তি উন্নয়নের অংশ। এখন প্রথম অংশটি পার করছে বাংলাদেশ। এ জায়গায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে। শুধু বলিষ্ঠ ভূমিকা আমি বলব না, এখানে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অনেকটা লিডিং পর্যায়ে আছে।
প্রশ্ন: আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যবিপ্রবির ভূমিকা কেমন থাকবে?
উত্তর: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করে যাচ্ছে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রথমে স্মার্ট করার জন্য সচেষ্ট হয়েছি। আমরা ডি-নথি বাস্তবায়ন করেছি, শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম অটোমেশন করা হয়েছে, হলগুলো অটোমেশনের কাজে হাত দিয়েছি, অনেক ল্যাবরেটরি অটোমেশন করা আছে এবং বেশ কয়েকটি ল্যাবরেটরি আন্তর্জাতিকভাবে অ্যাক্রিডিটেড হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে একটি স্মার্ট দেশ গড়ার জন্য শিক্ষার্থীদেরও স্মার্ট করে গড়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছি। পরিবর্তিত বিশ্বে এবং চাকরির বাজারে টিকে থাকতে হলে যত ইনফরমেশন প্রয়োজন, সেভাবেই তাদের তৈরি করা হচ্ছে। তারা যেন স্মার্ট ও দক্ষ জনশক্তি হিসেবে চাকরির বাজারে যেতে পারে, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রশ্ন: এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
উত্তর: এই প্রতিষ্ঠান হবে বাংলাদেশের প্রথম গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়, এটাই আমার পরিকল্পনা।
বলিউড পাড়ায় নতুন খবর, ‘মা হতে যাচ্ছেন কিয়ারা আদভানি’। সম্প্রতি সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও কিয়ারা আদভানি দম্পতি ঘোষণা করেছেন, তাঁদের কোল আলো করে সন্তান আসতে চলেছে। এখন বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন এ দম্পতি।
১২ ঘণ্টা আগেআশি কিংবা নব্বইয়ের দশকের বাংলা সিনেমা দেখে এই প্রজন্মের অনেক মেয়েরই চোখ ছানাবড়া হবে। না না, নেতিবাচক অর্থে বলছি না। সে সময় দুই গালে মেয়েরা লালচে আভার ব্লাশন ব্যবহার করত। খানিকটা বাড়তি ব্লাশন ব্যবহারই ছিল সে সময়কার ট্রেন্ড। ওই যে লোকে বলে না, তুষারকন্যার গাল ছিল আপেলের মতো লাল! তাই রাজকুমারীর মতো...
১ দিন আগেবাঙালি কম তেলে রাঁধতে জানে না, এ কথা স্বীকার করতে হবে গড়িমসি করে হলেও। বাড়িতে দাওয়াত রয়েছে মানে কড়াইয়ে নিত্যদিনের তুলনায় একটু বেশি তেল ঢেলে ফেলি। তেল জবজবে খাবার মানে কি সুস্বাদু? আর যদি হয়ও, তবে তা কোনোভাবেই স্বাস্থ্যকর নয়।
১ দিন আগেঅফিস থেকে ফিরেই যদি হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ ভেসে ওঠে—দল বেঁধে আজ রাতেই বন্ধুরা আসছে আপনার বাড়িতে। তাহলে সবার আগে ঝাড়ু, মপ, ওয়াইপার খুঁজতেই ছুটতে হয়। ঘরটা অন্তত দেখার মতো তো হওয়া চাই! তাড়াহুড়ো না করে ঝটপট যদি কয়েকটি বিষয়ে নজর দেওয়া যায়, তাহলেই ঘরটা অতিথিদের আগমনের জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠবে...
১ দিন আগে