ফিচার ডেস্ক, ঢাকা

'ছোট ছোট বালুকণা, বিন্দু বিন্দু জল,/গড়ে তোলে মহাদেশ, সাগর অতল...' —লাইনগুলো আমরা বহুবার শুনেছি জীবনে। যেসব মানুষ এ লাইনগুলোর মর্মার্থ জীবনে প্রয়োগ করেছে, তারা ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছে। সেই সব মানুষের প্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছে এমন কিছু প্রতিষ্ঠান, যারা আক্ষরিক অর্থেই বিন্দু বিন্দু করে সিন্ধু তৈরি করে এখন বিশ্বমঞ্চ দখল করে নিয়েছে। তেমনি দুটি প্রতিষ্ঠান আলডি ও স্যামসাং।
আক্ষরিক অর্থে এ দুটি প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়েছিল পাড়ার মোড়ের একতলা মুদিদোকানের মতো জায়গা থেকে। আলডি ও স্যামসাং দুটি ভিন্ন মহাদেশের প্রতিষ্ঠান। আলডি ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত জার্মানির একটি ছোট দোকান। আর স্যামসাং ছিল কোরিয়ার নুডলস ও শুকনা মাছ বিক্রয়কারী ছোট আরেকটি দোকান। এই দুটি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা নিজেদের শ্রম ও মেধা দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।
স্যামসাং
স্যামসাংয়ের ইতিহাসটা আসলে মাছ বিক্রেতা থেকে টেক জায়ান্ট হয়ে ওঠার গল্প।

১৯৩৮ সালের ১ মার্চ। সে সময়কার তেগু আর বর্তমান দক্ষিণ কোরিয়ার দেগু শহরে লি বিউং-চুল ‘স্যামসাং স্যাংগু’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান খোলেন। মূলধন মাত্র ৩০ হাজার ওন অর্থাৎ দক্ষিণ কোরিয়ার মুদ্রা আর কর্মচারী প্রায় ৪০ জন। স্যামসাং শব্দের অর্থ তিনটি তারা। প্রতিষ্ঠানটির পণ্য কি ছিল জানেন? ছিল শুকনা মাছ, নুডলস আর কিছু মুদি-মনিহারি দ্রব্য। সেই দোকানের চারপাশে থাকত বাইসাইকেল, ভেতরে কাঠের টেবিল আর টালি দেওয়া ছাদ। এমনই ছিল ভবিষ্যতে পৃথিবীময় সাম্রাজ্য তৈরি করা এক প্রতিষ্ঠানের শুরু!
লি ছিলেন স্বপ্নবাজ মানুষ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি নিজের দোকান আরও প্রসারিত করেন। সুতা, চিনি, বিমা, ব্যাংক—যেখানে সুযোগ ছিল, সেখানেই পৌঁছে যায় স্যামসাং। ১৯৬৯ সালে তিনি নিলেন এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। প্রতিষ্ঠা করলেন স্যামসাং ইলেকট্রনিকস। শুরুটা সাদা-কালো টেলিভিশন দিয়ে। এরপর এল ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, ভিডিও রেকর্ডার। বাড়তে বাড়তে সেই তালিকা ২০২৫ সালে কোথায় গিয়ে ঠেকেছে, সেটা বুঝে নিন। স্যামসাং ১৯৭৪ সালে সেমিকন্ডাক্টর ব্যবসায় পা রেখে শুরু করে নিজেদের নতুন অধ্যায়।

১৯৮৭ সালের ১৯ নভেম্বর মারা যান স্যামসাংয়ের প্রতিষ্ঠাতা লি বিউং-চুল। তত দিনে এটি পৃথিবীময় ডালপালা মেলতে শুরু করেছে। এরপর প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার হন তাঁর ছেলে লি কুন-হি। লি বিউং-চুলের ছোট মেয়ে লি মিয়ং-হি এখন শিনসেগায়ে গ্রুপের প্রধান।
১৯৯৩ সাল ছিল স্যামসাংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বছর। সে বছর প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট লি কুন-হি ঘোষণা দেন, সব বদলে ফেলবেন তিনি। এই মান উন্নয়ন নীতিতে প্রতিষ্ঠানটি চূড়ান্ত রূপান্তরের পথে পা রাখে। ২০০৯ সালে আসে স্যামসাংয়ের মোবাইল ফোন গ্যালাক্সি সিরিজ। ২০১২ সালে সে সময়কার জায়ান্ট নকিয়াকে টপকে স্যামসাং হয়ে ওঠে বিশ্বের বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতা। আজ শুধু মোবাইল ফোন নয়, ঘরের জিনিস থেকে শুরু করে প্রযুক্তি ব্যবসার বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে স্যামসাং।
আলডি
মানুষের কম দামে জিনিসপত্র কেনার প্রবণতা আর দুই ভাইয়ের দূরদর্শী চিন্তার গল্প এক সুতায় বাঁধলে পাওয়া যায় আলডির ইতিহাস।

১৯৪৫ সালের কথা। যুদ্ধবিধ্বস্ত জার্মানি তখনো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসাবশেষ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে ব্যস্ত। এমন সময় কার্ল আলব্রেখট ও থিও আলব্রেখট নামের দুই ভাই তাঁদের মায়ের চালানো ছোট্ট মুদিদোকানটি পরিচালনার ভার নেন। দোকানটি খোলা হতো সকালে, চলত সন্ধ্যা পর্যন্ত। সেই দোকানে দুই ভাই দাঁড়িয়ে থেকে চাহিদা বুঝে গ্রাহকদের হাতে পণ্য তুলে দিতেন।
দুই ভাইয়ের মধ্যে কার্ল ছিলেন বড় আর থিও ছোট। কার্ল ও থিও যথাক্রমে ১৯২০ ও ১৯২২ সালে জন্মেছিলেন। তাঁদের বাবা ছিলেন একজন খনি শ্রমিক। হাঁপানিজনিত অসুস্থতায় বাবার চাকরি চলে গেলে কার্ল ও থিওর মা মুদিদোকান চালু করেন। থিও মায়ের সঙ্গে কাজ করতেন। আর কার্ল অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি সেনাবাহিনীতেও কাজ করেন। ১৯৪৫ সালে তাঁরা তাঁদের মায়ের দোকানের দায়িত্ব নেন নিজেদের কাঁধে এবং পরবর্তী পাঁচ বছরে অর্থাৎ ১৯৫০ সালের মধ্যে তাঁরা ১৩টি দোকানের মালিক হয়ে যান।
এভাবে চলতে চলতে কার্ল ও থিও ভাবলেন, অন্য কী করা যায়। একেবারে নতুন কিছু, যা কেউ করেনি! খাতাকলম নিয়ে বসে গেলেন দুই ভাই। দেখলেন, যদি পণ্যের সংখ্যা সীমিত করা হয় আর বিজ্ঞাপনের পেছনে টাকা ঢালা না হয়, তাহলে দোকানটা একদম সরল আর ছিমছাম করে ফেলা যায়। সেটা করতে পারলে পণ্যের দাম কমানো সম্ভব। তাঁরা বুঝে গেলেন, মানুষ কম দামে পণ্য চায়। তাদের অনেক ধরনের পণ্য না হলেও চলে।
এই ব্যবসায়িক দর্শনের ওপর ভিত্তি করে জন্ম নিল জার্মান সুপারমার্কেট চেইন আলডি। আলব্রেখট ও ডিসকাউন্ট শব্দটির প্রথম অক্ষর দিয়ে তৈরি করা হলো আলডি নামটি। ছোট শহরের ছোট দোকান থেকে মাত্র ১৫ বছরের মধ্যে জার্মানিতে তাঁদের শাখা হয়ে উঠল ৩০০।
আলডির আসল খেলা শুরু হয় ১৯৬০ সালে। সে বছর আলাদা হয়ে গেলেন কার্ল ও থিও। নিজেদের দোকানে সিগারেট বিক্রি করবেন কি না, সেই বিতর্ক থেকে আলাদা হয়ে যান দুই ভাই। এর পরেই জন্ম নেয় থিওর মালিকানায় আলডি নর্ড আর কার্লের মালিকানায় আলডি জ্যুড। ১৯৬৬ সাল থেকে প্রতিষ্ঠান দুটি আর্থিক ও আইনগতভাবে পৃথক হয়ে যাত্রা শুরু করে। দুটি ভিন্ন প্রতিষ্ঠান হলেও আলডি পৌঁছে যায় বিভিন্ন দেশে। ১৯৬৭ সাল থেকে প্রতিষ্ঠান দুটি আন্তর্জাতিক অধিগ্রহণ শুরু করে।
প্রতিষ্ঠান আলাদা, কিন্তু মূলমন্ত্র একটাই—যা শুরু থেকে ছিল। কার্ল ও থিওর মূলমন্ত্র ছিল, কম ঝামেলায় দরকারি জিনিস যথাসম্ভব কম দামে গ্রাহকদের হাতে তুলে দেওয়া। দ্রুত চেক আউট, প্যাকেজে একাধিক বারকোড, প্যাকেটজাত পণ্য—সব মিলিয়ে আলডি হয়ে উঠেছিল ‘নো‑ফ্রিল’ রেভল্যুশনের ব্র্যান্ড। আর এই দর্শনের জোরেই আজ বিশ্বের নানান দেশে ১২ হাজারের বেশি স্টোর আছে আলডির।
সূত্র: দ্য সান, দ্য গার্ডিয়ান, ইয়াহু টেক, লাভ ফুড

'ছোট ছোট বালুকণা, বিন্দু বিন্দু জল,/গড়ে তোলে মহাদেশ, সাগর অতল...' —লাইনগুলো আমরা বহুবার শুনেছি জীবনে। যেসব মানুষ এ লাইনগুলোর মর্মার্থ জীবনে প্রয়োগ করেছে, তারা ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছে। সেই সব মানুষের প্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছে এমন কিছু প্রতিষ্ঠান, যারা আক্ষরিক অর্থেই বিন্দু বিন্দু করে সিন্ধু তৈরি করে এখন বিশ্বমঞ্চ দখল করে নিয়েছে। তেমনি দুটি প্রতিষ্ঠান আলডি ও স্যামসাং।
আক্ষরিক অর্থে এ দুটি প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়েছিল পাড়ার মোড়ের একতলা মুদিদোকানের মতো জায়গা থেকে। আলডি ও স্যামসাং দুটি ভিন্ন মহাদেশের প্রতিষ্ঠান। আলডি ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত জার্মানির একটি ছোট দোকান। আর স্যামসাং ছিল কোরিয়ার নুডলস ও শুকনা মাছ বিক্রয়কারী ছোট আরেকটি দোকান। এই দুটি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা নিজেদের শ্রম ও মেধা দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।
স্যামসাং
স্যামসাংয়ের ইতিহাসটা আসলে মাছ বিক্রেতা থেকে টেক জায়ান্ট হয়ে ওঠার গল্প।

১৯৩৮ সালের ১ মার্চ। সে সময়কার তেগু আর বর্তমান দক্ষিণ কোরিয়ার দেগু শহরে লি বিউং-চুল ‘স্যামসাং স্যাংগু’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান খোলেন। মূলধন মাত্র ৩০ হাজার ওন অর্থাৎ দক্ষিণ কোরিয়ার মুদ্রা আর কর্মচারী প্রায় ৪০ জন। স্যামসাং শব্দের অর্থ তিনটি তারা। প্রতিষ্ঠানটির পণ্য কি ছিল জানেন? ছিল শুকনা মাছ, নুডলস আর কিছু মুদি-মনিহারি দ্রব্য। সেই দোকানের চারপাশে থাকত বাইসাইকেল, ভেতরে কাঠের টেবিল আর টালি দেওয়া ছাদ। এমনই ছিল ভবিষ্যতে পৃথিবীময় সাম্রাজ্য তৈরি করা এক প্রতিষ্ঠানের শুরু!
লি ছিলেন স্বপ্নবাজ মানুষ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি নিজের দোকান আরও প্রসারিত করেন। সুতা, চিনি, বিমা, ব্যাংক—যেখানে সুযোগ ছিল, সেখানেই পৌঁছে যায় স্যামসাং। ১৯৬৯ সালে তিনি নিলেন এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। প্রতিষ্ঠা করলেন স্যামসাং ইলেকট্রনিকস। শুরুটা সাদা-কালো টেলিভিশন দিয়ে। এরপর এল ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, ভিডিও রেকর্ডার। বাড়তে বাড়তে সেই তালিকা ২০২৫ সালে কোথায় গিয়ে ঠেকেছে, সেটা বুঝে নিন। স্যামসাং ১৯৭৪ সালে সেমিকন্ডাক্টর ব্যবসায় পা রেখে শুরু করে নিজেদের নতুন অধ্যায়।

১৯৮৭ সালের ১৯ নভেম্বর মারা যান স্যামসাংয়ের প্রতিষ্ঠাতা লি বিউং-চুল। তত দিনে এটি পৃথিবীময় ডালপালা মেলতে শুরু করেছে। এরপর প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার হন তাঁর ছেলে লি কুন-হি। লি বিউং-চুলের ছোট মেয়ে লি মিয়ং-হি এখন শিনসেগায়ে গ্রুপের প্রধান।
১৯৯৩ সাল ছিল স্যামসাংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বছর। সে বছর প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট লি কুন-হি ঘোষণা দেন, সব বদলে ফেলবেন তিনি। এই মান উন্নয়ন নীতিতে প্রতিষ্ঠানটি চূড়ান্ত রূপান্তরের পথে পা রাখে। ২০০৯ সালে আসে স্যামসাংয়ের মোবাইল ফোন গ্যালাক্সি সিরিজ। ২০১২ সালে সে সময়কার জায়ান্ট নকিয়াকে টপকে স্যামসাং হয়ে ওঠে বিশ্বের বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতা। আজ শুধু মোবাইল ফোন নয়, ঘরের জিনিস থেকে শুরু করে প্রযুক্তি ব্যবসার বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে স্যামসাং।
আলডি
মানুষের কম দামে জিনিসপত্র কেনার প্রবণতা আর দুই ভাইয়ের দূরদর্শী চিন্তার গল্প এক সুতায় বাঁধলে পাওয়া যায় আলডির ইতিহাস।

১৯৪৫ সালের কথা। যুদ্ধবিধ্বস্ত জার্মানি তখনো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসাবশেষ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে ব্যস্ত। এমন সময় কার্ল আলব্রেখট ও থিও আলব্রেখট নামের দুই ভাই তাঁদের মায়ের চালানো ছোট্ট মুদিদোকানটি পরিচালনার ভার নেন। দোকানটি খোলা হতো সকালে, চলত সন্ধ্যা পর্যন্ত। সেই দোকানে দুই ভাই দাঁড়িয়ে থেকে চাহিদা বুঝে গ্রাহকদের হাতে পণ্য তুলে দিতেন।
দুই ভাইয়ের মধ্যে কার্ল ছিলেন বড় আর থিও ছোট। কার্ল ও থিও যথাক্রমে ১৯২০ ও ১৯২২ সালে জন্মেছিলেন। তাঁদের বাবা ছিলেন একজন খনি শ্রমিক। হাঁপানিজনিত অসুস্থতায় বাবার চাকরি চলে গেলে কার্ল ও থিওর মা মুদিদোকান চালু করেন। থিও মায়ের সঙ্গে কাজ করতেন। আর কার্ল অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি সেনাবাহিনীতেও কাজ করেন। ১৯৪৫ সালে তাঁরা তাঁদের মায়ের দোকানের দায়িত্ব নেন নিজেদের কাঁধে এবং পরবর্তী পাঁচ বছরে অর্থাৎ ১৯৫০ সালের মধ্যে তাঁরা ১৩টি দোকানের মালিক হয়ে যান।
এভাবে চলতে চলতে কার্ল ও থিও ভাবলেন, অন্য কী করা যায়। একেবারে নতুন কিছু, যা কেউ করেনি! খাতাকলম নিয়ে বসে গেলেন দুই ভাই। দেখলেন, যদি পণ্যের সংখ্যা সীমিত করা হয় আর বিজ্ঞাপনের পেছনে টাকা ঢালা না হয়, তাহলে দোকানটা একদম সরল আর ছিমছাম করে ফেলা যায়। সেটা করতে পারলে পণ্যের দাম কমানো সম্ভব। তাঁরা বুঝে গেলেন, মানুষ কম দামে পণ্য চায়। তাদের অনেক ধরনের পণ্য না হলেও চলে।
এই ব্যবসায়িক দর্শনের ওপর ভিত্তি করে জন্ম নিল জার্মান সুপারমার্কেট চেইন আলডি। আলব্রেখট ও ডিসকাউন্ট শব্দটির প্রথম অক্ষর দিয়ে তৈরি করা হলো আলডি নামটি। ছোট শহরের ছোট দোকান থেকে মাত্র ১৫ বছরের মধ্যে জার্মানিতে তাঁদের শাখা হয়ে উঠল ৩০০।
আলডির আসল খেলা শুরু হয় ১৯৬০ সালে। সে বছর আলাদা হয়ে গেলেন কার্ল ও থিও। নিজেদের দোকানে সিগারেট বিক্রি করবেন কি না, সেই বিতর্ক থেকে আলাদা হয়ে যান দুই ভাই। এর পরেই জন্ম নেয় থিওর মালিকানায় আলডি নর্ড আর কার্লের মালিকানায় আলডি জ্যুড। ১৯৬৬ সাল থেকে প্রতিষ্ঠান দুটি আর্থিক ও আইনগতভাবে পৃথক হয়ে যাত্রা শুরু করে। দুটি ভিন্ন প্রতিষ্ঠান হলেও আলডি পৌঁছে যায় বিভিন্ন দেশে। ১৯৬৭ সাল থেকে প্রতিষ্ঠান দুটি আন্তর্জাতিক অধিগ্রহণ শুরু করে।
প্রতিষ্ঠান আলাদা, কিন্তু মূলমন্ত্র একটাই—যা শুরু থেকে ছিল। কার্ল ও থিওর মূলমন্ত্র ছিল, কম ঝামেলায় দরকারি জিনিস যথাসম্ভব কম দামে গ্রাহকদের হাতে তুলে দেওয়া। দ্রুত চেক আউট, প্যাকেজে একাধিক বারকোড, প্যাকেটজাত পণ্য—সব মিলিয়ে আলডি হয়ে উঠেছিল ‘নো‑ফ্রিল’ রেভল্যুশনের ব্র্যান্ড। আর এই দর্শনের জোরেই আজ বিশ্বের নানান দেশে ১২ হাজারের বেশি স্টোর আছে আলডির।
সূত্র: দ্য সান, দ্য গার্ডিয়ান, ইয়াহু টেক, লাভ ফুড

শীতকাল মানেই জ্বর-সর্দি-কাশি। আর এ সমস্যা ঘরে ঘরে চলতেই থাকে। মৌসুমি সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে রসুনের আচার। রসুনের আচার শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। তা ছাড়া আচারে রয়েছে নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ‘সি’ ও ‘ই’। শীতকালে খাদ্যতালিকায় রসুনের আচার রাখলে কী উপকার...
৩ ঘণ্টা আগে
আজকের দিনটা আপনার জন্য একটা রোলার-কোস্টার। যদিও গ্রহরা বলছে নতুন সুযোগ পাবেন, কিন্তু বাস্তবে সেই সুযোগটা হবে ঘরের ফ্রিজে পড়ে থাকা বাসি ডাল শেষ করার। কর্মক্ষেত্রে তীক্ষ্ণ বুদ্ধি আজ আপনাকে প্রশংসিত করবে, তবে অফিসের চায়ের কাপটা ধোয়ার সময় যদি তা কাজে লাগান, তাহলেই বস খুশি হবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
এত দিনে চাদরের দুঃখ ঘুচল। কেন বলছি? প্রথমত, কালো, সাদা, ধূসর, নেভি ব্লু বা বাদামি রঙের চক্রে যে উলের চাদরগুলো বছরের পর বছর আমাদের মা, খালা, চাচিদের গায়ে উঠেছে; সেগুলোর রং এ যুগে এসে পাল্টেছে। এর বদলে লাল, নীল, সবুজ, গোলাপি, ম্যাজেন্টা, প্যাস্টেল শেডসহ শীতের বাজারে এখন সব রঙের চাদরের রমরমা।
৯ ঘণ্টা আগে
শীতকাল দেশের বাগানপ্রেমীদের জন্য স্বপ্নের মৌসুম। রঙিন ফুলে বাগান ও বারান্দা ভরে তুলতে সামান্য যত্ন আর সঠিক টব নির্বাচনই যথেষ্ট। শীত মৌসুমে বারান্দায় সহজে লাগানো যায় এমন পাঁচটি ফুল হলো পেটুনিয়া, ডায়ান্থাস, গাঁদা, কারনেশন ও প্যানসি। এগুলো রোপণের নিয়ম এবং যত্নের খুঁটিনাটি জেনে নিন।
১০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

শীতকাল মানেই জ্বর-সর্দি-কাশি। আর এ সমস্যা ঘরে ঘরে চলতেই থাকে। মৌসুমি সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে রসুনের আচার। রসুনের আচার শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। তা ছাড়া আচারে রয়েছে নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ‘সি’ ও ‘ই’। শীতকালে খাদ্যতালিকায় রসুনের আচার রাখলে কী উপকার পাওয়া সম্ভব জেনে নিন:
উপকরণ
রসুন ৫০০ গ্রাম, গাজর একটি, লেবুর রস ৬ টেবিল চামচ, লেবু স্লাইস ৮ থেকে ১০ পিস, কাঁচা মরিচ ৫ থেকে ৬টি, লবণ স্বাদমতো, হলুদ, মরিচ ও ধনে গুঁড়া দুই চা-চামচ করে, পাঁচফোড়ন এক টেবিল চামচ, মৌরি গুঁড়া এক চা-চামচ, আস্ত মেথি এক চা-চামচ, সরিষার তেল ২ কাপ।
প্রণালি
আস্ত রসুন কোয়া ছাড়িয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। পরে খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার রসুনের কোয়া, গাজর, কাঁচা মরিচ, লেবু স্লাইস ধুয়ে রাখুন চালুনিতে। বাটিতে নিয়ে প্রথমে হলুদ গুঁড়া দিয়ে মেখে নিন। পরে মরিচ ও ধনে গুঁড়া, লবণ, পাঁচফোড়ন, আস্ত মেথি ও মৌরি গুঁড়া দিয়ে আবারও মেখে নিন। এবার কাচের বোতলে মাখানো রসুন ভরে লেবুর রস দিন। সব শেষে সরিষার তেল গরম করে ঢেলে দিন। এবার ঢাকনাসহ ৭ থেকে ১০ দিন রোদে রাখুন। তারপর পরিবেশন করুন।

শীতকাল মানেই জ্বর-সর্দি-কাশি। আর এ সমস্যা ঘরে ঘরে চলতেই থাকে। মৌসুমি সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে রসুনের আচার। রসুনের আচার শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। তা ছাড়া আচারে রয়েছে নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ‘সি’ ও ‘ই’। শীতকালে খাদ্যতালিকায় রসুনের আচার রাখলে কী উপকার পাওয়া সম্ভব জেনে নিন:
উপকরণ
রসুন ৫০০ গ্রাম, গাজর একটি, লেবুর রস ৬ টেবিল চামচ, লেবু স্লাইস ৮ থেকে ১০ পিস, কাঁচা মরিচ ৫ থেকে ৬টি, লবণ স্বাদমতো, হলুদ, মরিচ ও ধনে গুঁড়া দুই চা-চামচ করে, পাঁচফোড়ন এক টেবিল চামচ, মৌরি গুঁড়া এক চা-চামচ, আস্ত মেথি এক চা-চামচ, সরিষার তেল ২ কাপ।
প্রণালি
আস্ত রসুন কোয়া ছাড়িয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। পরে খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার রসুনের কোয়া, গাজর, কাঁচা মরিচ, লেবু স্লাইস ধুয়ে রাখুন চালুনিতে। বাটিতে নিয়ে প্রথমে হলুদ গুঁড়া দিয়ে মেখে নিন। পরে মরিচ ও ধনে গুঁড়া, লবণ, পাঁচফোড়ন, আস্ত মেথি ও মৌরি গুঁড়া দিয়ে আবারও মেখে নিন। এবার কাচের বোতলে মাখানো রসুন ভরে লেবুর রস দিন। সব শেষে সরিষার তেল গরম করে ঢেলে দিন। এবার ঢাকনাসহ ৭ থেকে ১০ দিন রোদে রাখুন। তারপর পরিবেশন করুন।

কিছূ মানুষের প্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছে এমন কিছু প্রতিষ্ঠান, যারা আক্ষরিক অর্থেই বিন্দু বিন্দু করে সিন্ধু তৈরি করে এখন বিশ্বমঞ্চ দখল করে নিয়েছে। তেমনি দুটি প্রতিষ্ঠান আলডি ও স্যামসাং।
০৩ আগস্ট ২০২৫
আজকের দিনটা আপনার জন্য একটা রোলার-কোস্টার। যদিও গ্রহরা বলছে নতুন সুযোগ পাবেন, কিন্তু বাস্তবে সেই সুযোগটা হবে ঘরের ফ্রিজে পড়ে থাকা বাসি ডাল শেষ করার। কর্মক্ষেত্রে তীক্ষ্ণ বুদ্ধি আজ আপনাকে প্রশংসিত করবে, তবে অফিসের চায়ের কাপটা ধোয়ার সময় যদি তা কাজে লাগান, তাহলেই বস খুশি হবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
এত দিনে চাদরের দুঃখ ঘুচল। কেন বলছি? প্রথমত, কালো, সাদা, ধূসর, নেভি ব্লু বা বাদামি রঙের চক্রে যে উলের চাদরগুলো বছরের পর বছর আমাদের মা, খালা, চাচিদের গায়ে উঠেছে; সেগুলোর রং এ যুগে এসে পাল্টেছে। এর বদলে লাল, নীল, সবুজ, গোলাপি, ম্যাজেন্টা, প্যাস্টেল শেডসহ শীতের বাজারে এখন সব রঙের চাদরের রমরমা।
৯ ঘণ্টা আগে
শীতকাল দেশের বাগানপ্রেমীদের জন্য স্বপ্নের মৌসুম। রঙিন ফুলে বাগান ও বারান্দা ভরে তুলতে সামান্য যত্ন আর সঠিক টব নির্বাচনই যথেষ্ট। শীত মৌসুমে বারান্দায় সহজে লাগানো যায় এমন পাঁচটি ফুল হলো পেটুনিয়া, ডায়ান্থাস, গাঁদা, কারনেশন ও প্যানসি। এগুলো রোপণের নিয়ম এবং যত্নের খুঁটিনাটি জেনে নিন।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজকের দিনটা আপনার জন্য একটা রোলার-কোস্টার। যদিও গ্রহরা বলছে নতুন সুযোগ পাবেন, কিন্তু বাস্তবে সেই সুযোগটা হবে ঘরের ফ্রিজে পড়ে থাকা বাসি ডাল শেষ করার। কর্মক্ষেত্রে তীক্ষ্ণ বুদ্ধি আজ আপনাকে প্রশংসিত করবে, তবে অফিসের চায়ের কাপটা ধোয়ার সময় যদি তা কাজে লাগান, তাহলেই বস খুশি হবেন। প্রেমের ক্ষেত্রে, সঙ্গী আজ এমন কিছু চাইবেন যা আমাজন বা আলিবাবাতেও পাওয়া যায় না—যেমন, আপনার সম্পূর্ণ মনোযোগ। ঝগড়া শুরু হওয়ার আগেই ‘সরি’ বলে দিন, আজকের দিনে ঝামেলা না বাঁধাতে চাইলে এর বিকল্প নেই।
বৃষ
আপনার আর্থিক পরিস্থিতি আজ মজবুত হবে, কারণ অনলাইন শপিং-এর পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন। প্রেম জীবন নিয়ে গ্রহরা বলছে, আজ বাড়িতে রান্না হতে পারে আপনার প্রিয় পদ। কিন্তু সেই পদটি এতটাই তেল-মসলাযুক্ত হবে যে, স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সেটা এড়িয়ে চলতেই হবে। অতএব, মন ও পেটের মধ্যে আজ সারা দিন একটা মহাযুদ্ধ চলবে। নিজেকে ‘খাদ্য-সংযমী’ প্রমাণ করতে গিয়ে আজ হয়তো শুধু ডাল-ভাতেই থাকবেন, কিন্তু মনে মনে চাইবেন এক প্লেট বিরিয়ানি।
মিথুন
মিথুন রাশি মানেই দুই দিকে মন! আজ দুটো মন একসঙ্গে কাজ করবে—একটা বলবে কাজে মনোযোগ দাও, অন্যটা বলবে সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করো। এই দ্বৈত-আচরণে নিজেই কনফিউজড হয়ে যাবেন। গোপনীয়তা বজায় রাখার নির্দেশ দিচ্ছে গ্রহ, তাই আজ কারোর ফোন এলে তার সামনে হাঁচি দিলেও যেন মনে হয় কোনো গভীর ষড়যন্ত্র করছেন। বন্ধুরা আজ আপনার কাজের প্রশংসা করবে, কারণ আজ আপনি তাদের ধার দেওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলবেন।
কর্কট
আজকের দিনে আপনার আবেগ একটা রকেটের মতো ছুটবে, আর সেই রকেটটা নামবে গিয়ে সোজা ওয়ালেটের ওপর। গ্রহরা বলছে, অযাচিত খরচ হতে পারে। মনে রাখবেন, ‘অযাচিত’ মানে এমন কিছু, যা আপনার প্রয়োজন ছিল না, তবুও শপিং মলে ঢুকে কিনেছেন। পুরোনো প্রেম আজ নতুন করে ফিরে আসতে চাইবে, কিন্তু যদি পুরোনো লোন পরিশোধ করতে চান, তবে সেদিকে মনোযোগ দিন। হতাশ হবেন না, কারণ হতাশ হওয়ার মতো অনেক সময় আপনার কাছে এমনিতেই আছে! আজকের দিনটা ফোন সাইলেন্ট করে রাখুন, কারণ অপ্রত্যাশিত বার্তা মানেই হয়তো কোনো প্রাক্তন বা কোনো পাওনাদার।
সিংহ
সিংহ রাশি, আজ আপনার ভাগ্য আপনার ওপর নির্ভর করবে না—বরং ভাগ্য নির্ভর করবে আজ কতটা আলসেমি করবেন তার ওপর। গ্রহরা আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখার ইঙ্গিত দিচ্ছে, তবে তার জন্য সোফা ছেড়ে জিম-এর মেম্বারশিপ নিতে হবে। টাকা-পয়সা পরিশোধ হওয়ার দরুন আর্থিক অবস্থা উন্নত হবে, তবে সেই টাকা কোথায় খরচ করবেন তা ভাবতে ভাবতেই রাত কাবার। সামাজিক অনুষ্ঠানে আজ আপনিই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হবেন, তবে কেউ যদি আপনার থেকে লোন চায়, তাহলে দ্রুত সেই কেন্দ্র থেকে সটকে পড়ুন। রাজার মতো থাকুন, কিন্তু বিল মেটানোর সময় নিজেকে সাধারণ প্রজা ভাবুন।
কন্যা
আজ আবেগের বশে দৈনন্দিন রুটিনের বাইরে যাওয়ায় একটু সমস্যা আসতে পারে। যদি সকাল ৮টায় ঘুম থেকে ওঠার বদলে ৮টা ০৫ মিনিটে ওঠেন, তাহলেই সমস্যা। গ্রহরা বলছে, কর্মচারীর ব্যবহারে খুশি হবেন। এর মানে হলো, বাড়ির কাজের লোক আজ হয়তো চা-টা একটু বেশি গরম করে দেবে। প্রেমের ক্ষেত্রে, যিনি আপনার থেকে দূরে থাকেন, তাকে গভীরভাবে মিস করতে পারেন। তবে মেসেজ করার আগে বানান ভুলগুলো একবার চেক করে নিন, আবেগ যেন বানান ভুল না করায়! রুটিন মেনেই জীবনে নতুনত্ব আনুন—যেমন, প্রতিদিন এক কাপ বেশি চা খান।
তুলা
তুলা রাশির জাতক-জাতিকারা সব সময় ভারসাম্য খোঁজেন। আজ খুঁজে পাবেন যে, ভারসাম্য বজায় রাখাটা আসলে একটা মিথ। গ্রহরা আপনাকে ভালোবাসা, আশা, বিশ্বাস এসব ইতিবাচক অনুভূতি গ্রহণে উৎসাহিত করছে, কিন্তু মনে রাখবেন, আজ সকালে আপনার টুথপেস্টের শেষ ফোঁটাটা ফুরিয়ে যেতে পারে—তখনো কি আপনি ইতিবাচক থাকবেন? আজ মনকে শান্ত করার জন্য ধ্যান করতে চাইবেন, কিন্তু মনে রাখবেন, ধ্যান করার সেরা জায়গা হলো বাথরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেওয়া। যেদিকে আপনার পছন্দের মিষ্টির দোকান, সেদিকে হাঁটা দিন।
বৃশ্চিক
আপনার তীক্ষ্ণ অন্তর্দৃষ্টি আজ আপনাকে কর্মক্ষেত্রে প্রশংসিত করবে। আজ স্বাভাবিক জিনিসকেও অস্বাভাবিক বলে মনে করবেন। যেমন, অফিসের ফাইলটা হঠাৎ সবুজ রঙের মনে হতে পারে, বা পোষা মাছের কথাগুলো আরও বেশি বুদ্ধিমত্তার মনে হতে পারে। বাড়ির কোনো দায়িত্বে ফাঁকি দিতে চাইলেও কোনো উপায় থাকবে না, কারণ গ্রহের অবস্থান বলছে আজ আপনার মা আপনাকে বাইরে যেতে বলতে পারেন। আর মায়ের সঙ্গে বাইরে যাওয়া মানেই বিনা মূল্যে কেনাকাটার গাইড পাওয়া!
ধনু
প্রতিবেশীরা আপনার কাজের এতটাই প্রশংসা করবে যে, পাড়ায় আপনার সুনাম প্রতিষ্ঠিত হবে। সাবধানে থাকবেন, কারণ এই প্রশংসা সম্ভবত আপনার ওপর কিছু অতিরিক্ত দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়ার প্ল্যান। অফিসের কাজ ছাড়াও আজ আপনাকে ব্যক্তিগত কাজের জন্য ব্যস্ত থাকতে হবে। এই ‘ব্যক্তিগত কাজ’ হলো পুরোনো প্রেমিক/প্রেমিকার স্ট্যাটাস দেখা বা বন্ধুর বিয়েতে কী পরবেন, তা নিয়ে গবেষণা করা। লেনদেনে অতিরিক্ত সতর্ক হোন, না হলে এমন কারও কাছে টাকা চাইতে যাবেন, যিনি উল্টো আপনার কাছেই টাকা চেয়ে বসবেন। তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না, বিশেষ করে যদি সেটা মাঝরাতে পিৎজা অর্ডার করার সিদ্ধান্ত হয়।
মকর
মকর রাশি, আজ ব্যবসার কাজে নিজেকে খুব বেশি ব্যস্ত রাখবেন। ফলস্বরূপ, বাড়ির কোনো দায়িত্ব পালনে ব্যাঘাত আসবে। পরিবার আজ আপনাকে মিস করবে না, কারণ আপনি এমনিতেই এত কাজ করেন যে, তারা ধরেই নিয়েছে আপনি অন্য কোনো গ্রহে কাজ করছেন। তাই, যদি আজ বাড়িতে আপনার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়, তবে বাড়ির লোক আপনাকে সন্দেহ করতে পারে। নিজেকে একটু কম ব্যস্ত রাখুন, না হলে দেখবেন আপনার কাজের চাপে আপনার পোষা প্রাণীও স্ট্রেস নিতে শুরু করেছে।
কুম্ভ
কিছু আমোদপ্রমোদের জন্য আজ অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বেরোতে চেষ্টা করুন। এই আমোদপ্রমোদ মানেই হলো, ঘরে ফিরে রিমোট হাতে নিয়ে শুয়ে থাকা। আজ অর্থ-সম্পর্কিত সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন, আর সেই সমস্যার সমাধানের জন্য আপনার পিতাকে বা পিতার মতো ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। গ্রহের এই ইঙ্গিত মনে হচ্ছে অনেকটা পুরোনো দিনের ভারতীয় সিনেমার মতো, যেখানে টাকার জন্য বাবাকেই ভরসা করতে হয়। সঙ্গীর ভালোবাসার জন্য যদি আপনি ক্ষুধিত থাকেন, তবে এই দিনটি মঙ্গলময় হবে, যদি তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে পারেন।
মীন
আজ কাজ পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোবে। তবে মনে রাখবেন, আপনার পরিকল্পনা মানেই কিন্তু কাজের শুরুতে দশ কাপ চা খাওয়া, আর তারপরে ঘুমিয়ে পড়া। পেশাদাররা সহায়ক হবে, অর্থাৎ সহকর্মীরা আজ অন্তত আপনার কফিটা ফেলে দেবেন না। আপনার নাম নিয়ে কেউ আপনাকে মিথ্যা অপবাদে ফাঁসাতে পারে। যেমন, আড্ডার শেষ বিস্কুটটা হয়তো আপনি খাননি, কিন্তু সবাই আপনাকে দোষ দেবে। ভালোবাসার বিষয়ে, ছোট ছোট যত্নের কাজগুলো ভাগ করে নিন—যেমন, সঙ্গীর প্লেট থেকে শেষ আইসক্রিমটুকু আপনি খেয়ে ফেলুন।

মেষ
আজকের দিনটা আপনার জন্য একটা রোলার-কোস্টার। যদিও গ্রহরা বলছে নতুন সুযোগ পাবেন, কিন্তু বাস্তবে সেই সুযোগটা হবে ঘরের ফ্রিজে পড়ে থাকা বাসি ডাল শেষ করার। কর্মক্ষেত্রে তীক্ষ্ণ বুদ্ধি আজ আপনাকে প্রশংসিত করবে, তবে অফিসের চায়ের কাপটা ধোয়ার সময় যদি তা কাজে লাগান, তাহলেই বস খুশি হবেন। প্রেমের ক্ষেত্রে, সঙ্গী আজ এমন কিছু চাইবেন যা আমাজন বা আলিবাবাতেও পাওয়া যায় না—যেমন, আপনার সম্পূর্ণ মনোযোগ। ঝগড়া শুরু হওয়ার আগেই ‘সরি’ বলে দিন, আজকের দিনে ঝামেলা না বাঁধাতে চাইলে এর বিকল্প নেই।
বৃষ
আপনার আর্থিক পরিস্থিতি আজ মজবুত হবে, কারণ অনলাইন শপিং-এর পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন। প্রেম জীবন নিয়ে গ্রহরা বলছে, আজ বাড়িতে রান্না হতে পারে আপনার প্রিয় পদ। কিন্তু সেই পদটি এতটাই তেল-মসলাযুক্ত হবে যে, স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সেটা এড়িয়ে চলতেই হবে। অতএব, মন ও পেটের মধ্যে আজ সারা দিন একটা মহাযুদ্ধ চলবে। নিজেকে ‘খাদ্য-সংযমী’ প্রমাণ করতে গিয়ে আজ হয়তো শুধু ডাল-ভাতেই থাকবেন, কিন্তু মনে মনে চাইবেন এক প্লেট বিরিয়ানি।
মিথুন
মিথুন রাশি মানেই দুই দিকে মন! আজ দুটো মন একসঙ্গে কাজ করবে—একটা বলবে কাজে মনোযোগ দাও, অন্যটা বলবে সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করো। এই দ্বৈত-আচরণে নিজেই কনফিউজড হয়ে যাবেন। গোপনীয়তা বজায় রাখার নির্দেশ দিচ্ছে গ্রহ, তাই আজ কারোর ফোন এলে তার সামনে হাঁচি দিলেও যেন মনে হয় কোনো গভীর ষড়যন্ত্র করছেন। বন্ধুরা আজ আপনার কাজের প্রশংসা করবে, কারণ আজ আপনি তাদের ধার দেওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলবেন।
কর্কট
আজকের দিনে আপনার আবেগ একটা রকেটের মতো ছুটবে, আর সেই রকেটটা নামবে গিয়ে সোজা ওয়ালেটের ওপর। গ্রহরা বলছে, অযাচিত খরচ হতে পারে। মনে রাখবেন, ‘অযাচিত’ মানে এমন কিছু, যা আপনার প্রয়োজন ছিল না, তবুও শপিং মলে ঢুকে কিনেছেন। পুরোনো প্রেম আজ নতুন করে ফিরে আসতে চাইবে, কিন্তু যদি পুরোনো লোন পরিশোধ করতে চান, তবে সেদিকে মনোযোগ দিন। হতাশ হবেন না, কারণ হতাশ হওয়ার মতো অনেক সময় আপনার কাছে এমনিতেই আছে! আজকের দিনটা ফোন সাইলেন্ট করে রাখুন, কারণ অপ্রত্যাশিত বার্তা মানেই হয়তো কোনো প্রাক্তন বা কোনো পাওনাদার।
সিংহ
সিংহ রাশি, আজ আপনার ভাগ্য আপনার ওপর নির্ভর করবে না—বরং ভাগ্য নির্ভর করবে আজ কতটা আলসেমি করবেন তার ওপর। গ্রহরা আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখার ইঙ্গিত দিচ্ছে, তবে তার জন্য সোফা ছেড়ে জিম-এর মেম্বারশিপ নিতে হবে। টাকা-পয়সা পরিশোধ হওয়ার দরুন আর্থিক অবস্থা উন্নত হবে, তবে সেই টাকা কোথায় খরচ করবেন তা ভাবতে ভাবতেই রাত কাবার। সামাজিক অনুষ্ঠানে আজ আপনিই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হবেন, তবে কেউ যদি আপনার থেকে লোন চায়, তাহলে দ্রুত সেই কেন্দ্র থেকে সটকে পড়ুন। রাজার মতো থাকুন, কিন্তু বিল মেটানোর সময় নিজেকে সাধারণ প্রজা ভাবুন।
কন্যা
আজ আবেগের বশে দৈনন্দিন রুটিনের বাইরে যাওয়ায় একটু সমস্যা আসতে পারে। যদি সকাল ৮টায় ঘুম থেকে ওঠার বদলে ৮টা ০৫ মিনিটে ওঠেন, তাহলেই সমস্যা। গ্রহরা বলছে, কর্মচারীর ব্যবহারে খুশি হবেন। এর মানে হলো, বাড়ির কাজের লোক আজ হয়তো চা-টা একটু বেশি গরম করে দেবে। প্রেমের ক্ষেত্রে, যিনি আপনার থেকে দূরে থাকেন, তাকে গভীরভাবে মিস করতে পারেন। তবে মেসেজ করার আগে বানান ভুলগুলো একবার চেক করে নিন, আবেগ যেন বানান ভুল না করায়! রুটিন মেনেই জীবনে নতুনত্ব আনুন—যেমন, প্রতিদিন এক কাপ বেশি চা খান।
তুলা
তুলা রাশির জাতক-জাতিকারা সব সময় ভারসাম্য খোঁজেন। আজ খুঁজে পাবেন যে, ভারসাম্য বজায় রাখাটা আসলে একটা মিথ। গ্রহরা আপনাকে ভালোবাসা, আশা, বিশ্বাস এসব ইতিবাচক অনুভূতি গ্রহণে উৎসাহিত করছে, কিন্তু মনে রাখবেন, আজ সকালে আপনার টুথপেস্টের শেষ ফোঁটাটা ফুরিয়ে যেতে পারে—তখনো কি আপনি ইতিবাচক থাকবেন? আজ মনকে শান্ত করার জন্য ধ্যান করতে চাইবেন, কিন্তু মনে রাখবেন, ধ্যান করার সেরা জায়গা হলো বাথরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেওয়া। যেদিকে আপনার পছন্দের মিষ্টির দোকান, সেদিকে হাঁটা দিন।
বৃশ্চিক
আপনার তীক্ষ্ণ অন্তর্দৃষ্টি আজ আপনাকে কর্মক্ষেত্রে প্রশংসিত করবে। আজ স্বাভাবিক জিনিসকেও অস্বাভাবিক বলে মনে করবেন। যেমন, অফিসের ফাইলটা হঠাৎ সবুজ রঙের মনে হতে পারে, বা পোষা মাছের কথাগুলো আরও বেশি বুদ্ধিমত্তার মনে হতে পারে। বাড়ির কোনো দায়িত্বে ফাঁকি দিতে চাইলেও কোনো উপায় থাকবে না, কারণ গ্রহের অবস্থান বলছে আজ আপনার মা আপনাকে বাইরে যেতে বলতে পারেন। আর মায়ের সঙ্গে বাইরে যাওয়া মানেই বিনা মূল্যে কেনাকাটার গাইড পাওয়া!
ধনু
প্রতিবেশীরা আপনার কাজের এতটাই প্রশংসা করবে যে, পাড়ায় আপনার সুনাম প্রতিষ্ঠিত হবে। সাবধানে থাকবেন, কারণ এই প্রশংসা সম্ভবত আপনার ওপর কিছু অতিরিক্ত দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়ার প্ল্যান। অফিসের কাজ ছাড়াও আজ আপনাকে ব্যক্তিগত কাজের জন্য ব্যস্ত থাকতে হবে। এই ‘ব্যক্তিগত কাজ’ হলো পুরোনো প্রেমিক/প্রেমিকার স্ট্যাটাস দেখা বা বন্ধুর বিয়েতে কী পরবেন, তা নিয়ে গবেষণা করা। লেনদেনে অতিরিক্ত সতর্ক হোন, না হলে এমন কারও কাছে টাকা চাইতে যাবেন, যিনি উল্টো আপনার কাছেই টাকা চেয়ে বসবেন। তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না, বিশেষ করে যদি সেটা মাঝরাতে পিৎজা অর্ডার করার সিদ্ধান্ত হয়।
মকর
মকর রাশি, আজ ব্যবসার কাজে নিজেকে খুব বেশি ব্যস্ত রাখবেন। ফলস্বরূপ, বাড়ির কোনো দায়িত্ব পালনে ব্যাঘাত আসবে। পরিবার আজ আপনাকে মিস করবে না, কারণ আপনি এমনিতেই এত কাজ করেন যে, তারা ধরেই নিয়েছে আপনি অন্য কোনো গ্রহে কাজ করছেন। তাই, যদি আজ বাড়িতে আপনার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়, তবে বাড়ির লোক আপনাকে সন্দেহ করতে পারে। নিজেকে একটু কম ব্যস্ত রাখুন, না হলে দেখবেন আপনার কাজের চাপে আপনার পোষা প্রাণীও স্ট্রেস নিতে শুরু করেছে।
কুম্ভ
কিছু আমোদপ্রমোদের জন্য আজ অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বেরোতে চেষ্টা করুন। এই আমোদপ্রমোদ মানেই হলো, ঘরে ফিরে রিমোট হাতে নিয়ে শুয়ে থাকা। আজ অর্থ-সম্পর্কিত সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন, আর সেই সমস্যার সমাধানের জন্য আপনার পিতাকে বা পিতার মতো ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। গ্রহের এই ইঙ্গিত মনে হচ্ছে অনেকটা পুরোনো দিনের ভারতীয় সিনেমার মতো, যেখানে টাকার জন্য বাবাকেই ভরসা করতে হয়। সঙ্গীর ভালোবাসার জন্য যদি আপনি ক্ষুধিত থাকেন, তবে এই দিনটি মঙ্গলময় হবে, যদি তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে পারেন।
মীন
আজ কাজ পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোবে। তবে মনে রাখবেন, আপনার পরিকল্পনা মানেই কিন্তু কাজের শুরুতে দশ কাপ চা খাওয়া, আর তারপরে ঘুমিয়ে পড়া। পেশাদাররা সহায়ক হবে, অর্থাৎ সহকর্মীরা আজ অন্তত আপনার কফিটা ফেলে দেবেন না। আপনার নাম নিয়ে কেউ আপনাকে মিথ্যা অপবাদে ফাঁসাতে পারে। যেমন, আড্ডার শেষ বিস্কুটটা হয়তো আপনি খাননি, কিন্তু সবাই আপনাকে দোষ দেবে। ভালোবাসার বিষয়ে, ছোট ছোট যত্নের কাজগুলো ভাগ করে নিন—যেমন, সঙ্গীর প্লেট থেকে শেষ আইসক্রিমটুকু আপনি খেয়ে ফেলুন।

কিছূ মানুষের প্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছে এমন কিছু প্রতিষ্ঠান, যারা আক্ষরিক অর্থেই বিন্দু বিন্দু করে সিন্ধু তৈরি করে এখন বিশ্বমঞ্চ দখল করে নিয়েছে। তেমনি দুটি প্রতিষ্ঠান আলডি ও স্যামসাং।
০৩ আগস্ট ২০২৫
শীতকাল মানেই জ্বর-সর্দি-কাশি। আর এ সমস্যা ঘরে ঘরে চলতেই থাকে। মৌসুমি সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে রসুনের আচার। রসুনের আচার শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। তা ছাড়া আচারে রয়েছে নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ‘সি’ ও ‘ই’। শীতকালে খাদ্যতালিকায় রসুনের আচার রাখলে কী উপকার...
৩ ঘণ্টা আগে
এত দিনে চাদরের দুঃখ ঘুচল। কেন বলছি? প্রথমত, কালো, সাদা, ধূসর, নেভি ব্লু বা বাদামি রঙের চক্রে যে উলের চাদরগুলো বছরের পর বছর আমাদের মা, খালা, চাচিদের গায়ে উঠেছে; সেগুলোর রং এ যুগে এসে পাল্টেছে। এর বদলে লাল, নীল, সবুজ, গোলাপি, ম্যাজেন্টা, প্যাস্টেল শেডসহ শীতের বাজারে এখন সব রঙের চাদরের রমরমা।
৯ ঘণ্টা আগে
শীতকাল দেশের বাগানপ্রেমীদের জন্য স্বপ্নের মৌসুম। রঙিন ফুলে বাগান ও বারান্দা ভরে তুলতে সামান্য যত্ন আর সঠিক টব নির্বাচনই যথেষ্ট। শীত মৌসুমে বারান্দায় সহজে লাগানো যায় এমন পাঁচটি ফুল হলো পেটুনিয়া, ডায়ান্থাস, গাঁদা, কারনেশন ও প্যানসি। এগুলো রোপণের নিয়ম এবং যত্নের খুঁটিনাটি জেনে নিন।
১০ ঘণ্টা আগেসানজিদা সামরিন, ঢাকা

এত দিনে চাদরের দুঃখ ঘুচল। কেন বলছি? প্রথমত, কালো, সাদা, ধূসর, নেভি ব্লু বা বাদামি রঙের চক্রে যে উলের চাদরগুলো বছরের পর বছর আমাদের মা, খালা, চাচিদের গায়ে উঠেছে; সেগুলোর রং এ যুগে এসে পাল্টেছে। এর বদলে লাল, নীল, সবুজ, গোলাপি, ম্যাজেন্টা, প্যাস্টেল শেডসহ শীতের বাজারে এখন সব রঙের চাদরের রমরমা। এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে, আগেকার সময়ে শীতে বিয়েবাড়িতে গেলে ফ্যাশনসচেতন নারীরা বিয়েবাড়ির গেটে পৌঁছে গা থেকে চাদরখানা খুলে ব্যাগে পুরে নিতেন। আবার ফেরার সময় গেটে এসে চাদর পরে তাঁরা গাড়িতে চাপতেন। বলতে দ্বিধা নেই, জমকালো শাড়ি আর সালোয়ার স্য়ুটের সঙ্গে ম্যাড়মেড়ে উলের চাদর বড়ই বেমানান ছিল।
এরপর অবশ্য মা-খালারা বুদ্ধি করে উলের চাদরের ওপর বিভিন্ন রকম ফুলের নকশা এঁকে রঙিন সুতোয় সেলাই করতে লাগলেন। ফুলের মাঝে মাঝে বসালেন পুঁতি, চুমকি, ডলার। কেউবা ঘরেই ব্লক করে নিলেন। ব্যস, এগুলোই হয়ে উঠল দাওয়াতে বা বিশেষ বিশেষ জায়গায় পরার উপযোগী চাদর। রোজকার ব্যবহৃত চাদর এভাবেই হয়ে উঠল উৎসবের জন্য জুতসই। সেদিক থেকে এখনকার তরুণীরা এসব বাড়তি ভাবনা থেকে অনেকটাই মুক্ত।
২০২৫ সালে এসে বিভিন্ন ফ্যাশন ব্র্যান্ড এবং ফ্যাশনবিষয়ক ফেসবুক পেজগুলো এমন সব চাদরের নকশা করছে, যেগুলো দাওয়াত বলুন বা বিভিন্ন উৎসব আয়োজন—সব জায়গায় পরার উপযোগী।
এসব চাদর তৈরি হয় ভিসকস রেয়ন কাপড়ে।
ফলে সেগুলো ওজনে হালকা হয় এবং জমকালো শাড়ি বা পোশাকের সঙ্গে ব্যবহারও সহজ। ভিসকস রেয়নের ওপর ডিজিটাল প্রিন্টের মাধ্য়মে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে নকশিকাঁথার ডিজাইন, রিকশা প্রিন্ট, বিখ্যাত চিত্রশিল্পীদের পেইন্টিংসহ আরও অনেক কিছু।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পরার বিষয়টি বিবেচনায় এনে ফ্যাশন উদ্যোগ হরিতকী চলতি বছরের শীতে বেশ কিছু চাদরের নকশা করেছে। বিভিন্ন থিমে এসেছে এগুলো। পটুয়া কামরুল হাসানের শিল্পকর্ম নিয়ে বেশ কিছু চাদরের নকশা করা হয়েছে, ভ্যান গঘের ‘স্টারি নাইট’-এর সঙ্গে আহসান মঞ্জিল ও ঢাকেশ্বরী মন্দির এবং রিকশাচিত্রের মোটিফ মিলিয়েও নকশা করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজা-রানি, মধুবনী চিত্রকলা, ভ্যান গঘের ‘দ্য ক্যাফে নাইট’ ও ‘আমন্ড ব্লসম’, চা-কফির আড্ডার থিম, ময়ূরের পেখম, সত্যজিৎ রায়ের সিনেমার পোস্টার, ফেলুদা সমগ্র, টার্কিশ কার্পেট থিমসহ আরও বেশ কিছু থিমের চাদর এনেছে প্রতিষ্ঠানটি।
হরিতকীর সহপ্রতিষ্ঠাতা বলরাম পাল বলেন, এসব থিমের শালগুলো ভিসকস রেয়ন ফ্যাব্রিকের ওপর ডিজিটাল প্রিন্টের মাধ্য়মে নকশা করা। স্ক্রিন প্রিন্টের পরিবর্তে ডিজিটাল প্রিন্ট ব্যবহারের সুবিধা হচ্ছে, এই প্রিন্টের চাদর হাতে ধোয়া যায়। রং নষ্ট হওয়ার শঙ্কা থাকে না। অন্যদিকে ভিসকস রেয়নে স্ক্রিন প্রিন্টের সময় একটু ভারী রং ব্যবহার করলে তা পরে ব্যবহার এবং ধোয়ার ফলে ফেটে কিংবা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে এই চাদরগুলো ওয়াশিং মেশিনে না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সাবধানে সাবান দিয়ে ধুলে ক্ষতি নেই।
বলরাম পাল আরও বলেন, ‘নারী-পুরুষ উভয়ের পরার উপযোগী ডিজাইন করা হয়েছে এসব চাদর। এগুলো নরম ও আরামদায়ক। এই ফ্যাব্রিকস যথেষ্ট উষ্ণতা দিতে পারে। পরীক্ষামূলকভাবে আমরা নিজেরাও ব্যবহার করে দেখেছি। তবে তীব্র শীতে শুধু এই চাদর ব্যবহার করলে ঠান্ডা থেকে বাঁচা যাবে না। সে ক্ষেত্রে অন্যান্য শীতের পোশাকের ওপর গায়ে বা গলায় জড়িয়ে নেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গায়ে জড়িয়ে নেওয়ার মতো করেই এগুলো নকশা করা হয়েছে।’
ভিসকস রেয়ন ছাড়াও মখমল কাপড়েও হরিতকী অল্প কিছু চাদরের নকশা করেছে বলে জানা যায়। এসব চাদরের নকশায় তারা মধুবনী চিত্রকলা, ভ্যান গঘের ছবি এবং গ্রামবাংলার চিত্রকে থিম হিসেবে ব্যবহার করেছে। এই চাদরগুলোর দাম ১ হাজার ৫৯০ টাকা। তবে বর্তমানে ছাড় চলছে। তাই এই চাদরগুলো কেনা যাবে ১ হাজার ১৯০ টাকায়।

এত দিনে চাদরের দুঃখ ঘুচল। কেন বলছি? প্রথমত, কালো, সাদা, ধূসর, নেভি ব্লু বা বাদামি রঙের চক্রে যে উলের চাদরগুলো বছরের পর বছর আমাদের মা, খালা, চাচিদের গায়ে উঠেছে; সেগুলোর রং এ যুগে এসে পাল্টেছে। এর বদলে লাল, নীল, সবুজ, গোলাপি, ম্যাজেন্টা, প্যাস্টেল শেডসহ শীতের বাজারে এখন সব রঙের চাদরের রমরমা। এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে, আগেকার সময়ে শীতে বিয়েবাড়িতে গেলে ফ্যাশনসচেতন নারীরা বিয়েবাড়ির গেটে পৌঁছে গা থেকে চাদরখানা খুলে ব্যাগে পুরে নিতেন। আবার ফেরার সময় গেটে এসে চাদর পরে তাঁরা গাড়িতে চাপতেন। বলতে দ্বিধা নেই, জমকালো শাড়ি আর সালোয়ার স্য়ুটের সঙ্গে ম্যাড়মেড়ে উলের চাদর বড়ই বেমানান ছিল।
এরপর অবশ্য মা-খালারা বুদ্ধি করে উলের চাদরের ওপর বিভিন্ন রকম ফুলের নকশা এঁকে রঙিন সুতোয় সেলাই করতে লাগলেন। ফুলের মাঝে মাঝে বসালেন পুঁতি, চুমকি, ডলার। কেউবা ঘরেই ব্লক করে নিলেন। ব্যস, এগুলোই হয়ে উঠল দাওয়াতে বা বিশেষ বিশেষ জায়গায় পরার উপযোগী চাদর। রোজকার ব্যবহৃত চাদর এভাবেই হয়ে উঠল উৎসবের জন্য জুতসই। সেদিক থেকে এখনকার তরুণীরা এসব বাড়তি ভাবনা থেকে অনেকটাই মুক্ত।
২০২৫ সালে এসে বিভিন্ন ফ্যাশন ব্র্যান্ড এবং ফ্যাশনবিষয়ক ফেসবুক পেজগুলো এমন সব চাদরের নকশা করছে, যেগুলো দাওয়াত বলুন বা বিভিন্ন উৎসব আয়োজন—সব জায়গায় পরার উপযোগী।
এসব চাদর তৈরি হয় ভিসকস রেয়ন কাপড়ে।
ফলে সেগুলো ওজনে হালকা হয় এবং জমকালো শাড়ি বা পোশাকের সঙ্গে ব্যবহারও সহজ। ভিসকস রেয়নের ওপর ডিজিটাল প্রিন্টের মাধ্য়মে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে নকশিকাঁথার ডিজাইন, রিকশা প্রিন্ট, বিখ্যাত চিত্রশিল্পীদের পেইন্টিংসহ আরও অনেক কিছু।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পরার বিষয়টি বিবেচনায় এনে ফ্যাশন উদ্যোগ হরিতকী চলতি বছরের শীতে বেশ কিছু চাদরের নকশা করেছে। বিভিন্ন থিমে এসেছে এগুলো। পটুয়া কামরুল হাসানের শিল্পকর্ম নিয়ে বেশ কিছু চাদরের নকশা করা হয়েছে, ভ্যান গঘের ‘স্টারি নাইট’-এর সঙ্গে আহসান মঞ্জিল ও ঢাকেশ্বরী মন্দির এবং রিকশাচিত্রের মোটিফ মিলিয়েও নকশা করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজা-রানি, মধুবনী চিত্রকলা, ভ্যান গঘের ‘দ্য ক্যাফে নাইট’ ও ‘আমন্ড ব্লসম’, চা-কফির আড্ডার থিম, ময়ূরের পেখম, সত্যজিৎ রায়ের সিনেমার পোস্টার, ফেলুদা সমগ্র, টার্কিশ কার্পেট থিমসহ আরও বেশ কিছু থিমের চাদর এনেছে প্রতিষ্ঠানটি।
হরিতকীর সহপ্রতিষ্ঠাতা বলরাম পাল বলেন, এসব থিমের শালগুলো ভিসকস রেয়ন ফ্যাব্রিকের ওপর ডিজিটাল প্রিন্টের মাধ্য়মে নকশা করা। স্ক্রিন প্রিন্টের পরিবর্তে ডিজিটাল প্রিন্ট ব্যবহারের সুবিধা হচ্ছে, এই প্রিন্টের চাদর হাতে ধোয়া যায়। রং নষ্ট হওয়ার শঙ্কা থাকে না। অন্যদিকে ভিসকস রেয়নে স্ক্রিন প্রিন্টের সময় একটু ভারী রং ব্যবহার করলে তা পরে ব্যবহার এবং ধোয়ার ফলে ফেটে কিংবা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে এই চাদরগুলো ওয়াশিং মেশিনে না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সাবধানে সাবান দিয়ে ধুলে ক্ষতি নেই।
বলরাম পাল আরও বলেন, ‘নারী-পুরুষ উভয়ের পরার উপযোগী ডিজাইন করা হয়েছে এসব চাদর। এগুলো নরম ও আরামদায়ক। এই ফ্যাব্রিকস যথেষ্ট উষ্ণতা দিতে পারে। পরীক্ষামূলকভাবে আমরা নিজেরাও ব্যবহার করে দেখেছি। তবে তীব্র শীতে শুধু এই চাদর ব্যবহার করলে ঠান্ডা থেকে বাঁচা যাবে না। সে ক্ষেত্রে অন্যান্য শীতের পোশাকের ওপর গায়ে বা গলায় জড়িয়ে নেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গায়ে জড়িয়ে নেওয়ার মতো করেই এগুলো নকশা করা হয়েছে।’
ভিসকস রেয়ন ছাড়াও মখমল কাপড়েও হরিতকী অল্প কিছু চাদরের নকশা করেছে বলে জানা যায়। এসব চাদরের নকশায় তারা মধুবনী চিত্রকলা, ভ্যান গঘের ছবি এবং গ্রামবাংলার চিত্রকে থিম হিসেবে ব্যবহার করেছে। এই চাদরগুলোর দাম ১ হাজার ৫৯০ টাকা। তবে বর্তমানে ছাড় চলছে। তাই এই চাদরগুলো কেনা যাবে ১ হাজার ১৯০ টাকায়।

কিছূ মানুষের প্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছে এমন কিছু প্রতিষ্ঠান, যারা আক্ষরিক অর্থেই বিন্দু বিন্দু করে সিন্ধু তৈরি করে এখন বিশ্বমঞ্চ দখল করে নিয়েছে। তেমনি দুটি প্রতিষ্ঠান আলডি ও স্যামসাং।
০৩ আগস্ট ২০২৫
শীতকাল মানেই জ্বর-সর্দি-কাশি। আর এ সমস্যা ঘরে ঘরে চলতেই থাকে। মৌসুমি সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে রসুনের আচার। রসুনের আচার শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। তা ছাড়া আচারে রয়েছে নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ‘সি’ ও ‘ই’। শীতকালে খাদ্যতালিকায় রসুনের আচার রাখলে কী উপকার...
৩ ঘণ্টা আগে
আজকের দিনটা আপনার জন্য একটা রোলার-কোস্টার। যদিও গ্রহরা বলছে নতুন সুযোগ পাবেন, কিন্তু বাস্তবে সেই সুযোগটা হবে ঘরের ফ্রিজে পড়ে থাকা বাসি ডাল শেষ করার। কর্মক্ষেত্রে তীক্ষ্ণ বুদ্ধি আজ আপনাকে প্রশংসিত করবে, তবে অফিসের চায়ের কাপটা ধোয়ার সময় যদি তা কাজে লাগান, তাহলেই বস খুশি হবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
শীতকাল দেশের বাগানপ্রেমীদের জন্য স্বপ্নের মৌসুম। রঙিন ফুলে বাগান ও বারান্দা ভরে তুলতে সামান্য যত্ন আর সঠিক টব নির্বাচনই যথেষ্ট। শীত মৌসুমে বারান্দায় সহজে লাগানো যায় এমন পাঁচটি ফুল হলো পেটুনিয়া, ডায়ান্থাস, গাঁদা, কারনেশন ও প্যানসি। এগুলো রোপণের নিয়ম এবং যত্নের খুঁটিনাটি জেনে নিন।
১০ ঘণ্টা আগেমুহাম্মদ শফিকুর রহমান

শীতকাল দেশের বাগানপ্রেমীদের জন্য স্বপ্নের মৌসুম। রঙিন ফুলে বাগান ও বারান্দা ভরে তুলতে সামান্য যত্ন আর সঠিক টব নির্বাচনই যথেষ্ট। শীত মৌসুমে বারান্দায় সহজে লাগানো যায় এমন পাঁচটি ফুল হলো পেটুনিয়া, ডায়ান্থাস, গাঁদা, কারনেশন ও প্যানসি। এগুলো রোপণের নিয়ম এবং যত্নের খুঁটিনাটি জেনে নিন।
পেটুনিয়া
এটি শীতের রঙিন ও জনপ্রিয় ফুলগুলোর একটি। কম যত্নে বারান্দা কিংবা ছাদ ভরিয়ে তোলে নানান রঙের এই ফুল। ঝুলন্ত টব বা সাধারণ টব—দুভাবেই এগুলো চাষ করা যায় সহজে। প্রতিদিন ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা রোদ পাওয়া যায় এমন বারান্দা এই ফুলের জন্য উপযোগী। টবে মাটি প্রস্তুত করতে হবে ৫০ শতাংশ গার্ডেন সয়েল, ২৫ শতাংশ কোকো পিট ও ২৫ শতাংশ কম্পোস্ট দিয়ে। বীজ খুব ছোট বলে মাটির ওপরে ছিটিয়ে দিতে হবে; কিন্তু কোনো কিছু দিয়ে ঢাকা যাবে না। পানি স্প্রে করে ভিজিয়ে দিলে খুব সহজে অঙ্কুরিত হয়। একেকটি গাছের জন্য ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি টব যথেষ্ট। আর ঝুলন্ত টবে চাইলে ৮ ইঞ্চিও চলবে। যত্ন খুব সহজ—মাটি শুকালে পানি দিতে হবে, তবে কখনোই পানি জমে থাকা চলবে না। শুকনো ফুল তুলে ফেললে দ্রুত নতুন কুঁড়ি আসে। ১০ থেকে ১২ দিনে একবার তরল সার দিলে মৌসুমজুড়ে ফুল ফুটবে।
ডায়ান্থাস
‘ডায়ান্থাস’ এই গ্রিক শব্দের অর্থ ‘ঈশ্বরের ফুল’। গ্রিসে প্রাচীনকাল থেকে আজও এই ফুলকে উপাসনা ও ধর্মীয় সজ্জায় ব্যবহার করা হয়। হালকা ঠান্ডা আবহাওয়া ডায়ান্থাসের প্রিয়। ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি টবে দু-তিনটি চারা লাগানো যায়। মাটি তৈরি করতে হবে ৬০ শতাংশ গার্ডেন সয়েল, ৩০ শতাংশ কম্পোস্ট ও ১০ শতাংশ বালুর মিশ্রণে। চারা লাগানোর সময় ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি দূরত্ব রাখা জরুরি। যত্নের ক্ষেত্রে রোদ চাই প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা। মাটি সব সময় হালকা আর্দ্র রাখতে হবে, তবে অতিরিক্ত পানি দেওয়া যাবে না। মাসে একবার ভার্মিকম্পোস্ট দিলে গাছ শক্ত হয় এবং বেশি ফুল দেয়। পুরোনো ফুল ঝরে গেলে ডাল ছেঁটে দিতে হবে। তাতে নতুন ডাল ও কুঁড়ি দ্রুত বের হয়।
গাঁদা
শীতকালে বারান্দা ও বাগানে সহজে যে রঙিন ও উজ্জ্বল ফুলটির চাষ করা যায়, সেটি গাঁদা। কম যত্নে প্রাণবন্ত পরিবেশ তৈরি করে এটি। বারান্দায় লাগানোর জন্য এটি সবচেয়ে ঝামেলাহীন। ১০ থেকে ১২ ইঞ্চির টব মাঝারি গাঁদার জন্য যথেষ্ট। তবে বড় জাত হলে ১২ থেকে ১৪ ইঞ্চির টব ভালো। এর জন্য টবে ৫০ শতাংশ মাটি, ৩০ শতাংশ গোবর বা কম্পোস্ট এবং ২০ শতাংশ বালু ব্যবহার করতে হবে। চারা কিছুটা বড় ও শক্ত হলে স্থায়ী টবে বসাতে হবে। প্রতিদিন ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা রোদে রাখতে হবে একে। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার পানি দেওয়া যথেষ্ট। পোকামাকড় হলে নিমতেল স্প্রে খুব কার্যকর।
কারনেশন
কারনেশন বীরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ। খ্রিষ্টজন্মের পর এ ফুলের চাষ হতো ফ্রান্সে। ৬০০ থেকে ৭০০ খ্রিষ্টাব্দে সুগন্ধি তৈরির জন্য এর চাষ হতো আরব দেশে। কারনেশন এক মনোমুগ্ধকর শোভাময় ফুল, যার রং ও সুগন্ধ বাগানকে করে তোলে আকর্ষণীয়। এই ফুল দীর্ঘদিন টিকে থাকে। কারনেশন ঠান্ডা আবহাওয়ায় দারুণভাবে বেড়ে ওঠে। টব অবশ্যই ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি হতে হবে এবং ড্রেনেজ হোল থাকা বাধ্যতামূলক। মাটি তৈরি করতে হবে ৪০ শতাংশ গার্ডেন সয়েল, ৩০ শতাংশ বালু ও ৩০ শতাংশ কম্পোস্ট মিশিয়ে। চারা লাগানোর সময় মূলের চারপাশে মাটি ভালোভাবে চেপে দিতে হয়।
প্রতিদিন ৪-৫ ঘণ্টা সরাসরি রোদ প্রয়োজন। টবে পানি কম দিতে হবে; অতিরিক্ত পানি দিলে শিকড় পচে যেতে পারে। মাসে একবার ফসফরাসসমৃদ্ধ সার বা ভার্মিকম্পোস্ট দিলে ফুলের পরিমাণ বাড়ে। এক টবে ১ থেকে ২টি গাছ লাগানোই আদর্শ।
প্যানসি
প্যানসি রঙিন ও আকর্ষণীয় শীতকালীন ফুল। ঠান্ডা আবহাওয়ায় সহজে বেড়ে ওঠা এবং দীর্ঘ সময় ফুল ধরে রাখার জন্য বাগানপ্রেমীদের কাছে এটি বিশেষ জনপ্রিয়। এই গাছ ৬ থেকে ৮ ইঞ্চির টবে ভালো থাকে। একটি টবে ২-৩টি চারা লাগানো যায়। ৫০ শতাংশ মাটির সঙ্গে ৩০ শতাংশ কোকো পিট ও ২০ শতাংশ কম্পোস্ট দিয়ে টবের মাটি তৈরি করতে হবে। ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি দূরত্বে চারা লাগাতে হবে। প্রতিদিন ৩-৪ ঘণ্টা রোদ, প্রয়োজনমতো পানি দিতে হবে। শুকনো ফুল তুলে ফেলতে হবে। ১২ থেকে ১৫ দিনে একবার তরল সার দিলে ফুলের রং আরও উজ্জ্বল হয় এবং ফুলের পরিমাণ বাড়ে।

শীতকাল দেশের বাগানপ্রেমীদের জন্য স্বপ্নের মৌসুম। রঙিন ফুলে বাগান ও বারান্দা ভরে তুলতে সামান্য যত্ন আর সঠিক টব নির্বাচনই যথেষ্ট। শীত মৌসুমে বারান্দায় সহজে লাগানো যায় এমন পাঁচটি ফুল হলো পেটুনিয়া, ডায়ান্থাস, গাঁদা, কারনেশন ও প্যানসি। এগুলো রোপণের নিয়ম এবং যত্নের খুঁটিনাটি জেনে নিন।
পেটুনিয়া
এটি শীতের রঙিন ও জনপ্রিয় ফুলগুলোর একটি। কম যত্নে বারান্দা কিংবা ছাদ ভরিয়ে তোলে নানান রঙের এই ফুল। ঝুলন্ত টব বা সাধারণ টব—দুভাবেই এগুলো চাষ করা যায় সহজে। প্রতিদিন ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা রোদ পাওয়া যায় এমন বারান্দা এই ফুলের জন্য উপযোগী। টবে মাটি প্রস্তুত করতে হবে ৫০ শতাংশ গার্ডেন সয়েল, ২৫ শতাংশ কোকো পিট ও ২৫ শতাংশ কম্পোস্ট দিয়ে। বীজ খুব ছোট বলে মাটির ওপরে ছিটিয়ে দিতে হবে; কিন্তু কোনো কিছু দিয়ে ঢাকা যাবে না। পানি স্প্রে করে ভিজিয়ে দিলে খুব সহজে অঙ্কুরিত হয়। একেকটি গাছের জন্য ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি টব যথেষ্ট। আর ঝুলন্ত টবে চাইলে ৮ ইঞ্চিও চলবে। যত্ন খুব সহজ—মাটি শুকালে পানি দিতে হবে, তবে কখনোই পানি জমে থাকা চলবে না। শুকনো ফুল তুলে ফেললে দ্রুত নতুন কুঁড়ি আসে। ১০ থেকে ১২ দিনে একবার তরল সার দিলে মৌসুমজুড়ে ফুল ফুটবে।
ডায়ান্থাস
‘ডায়ান্থাস’ এই গ্রিক শব্দের অর্থ ‘ঈশ্বরের ফুল’। গ্রিসে প্রাচীনকাল থেকে আজও এই ফুলকে উপাসনা ও ধর্মীয় সজ্জায় ব্যবহার করা হয়। হালকা ঠান্ডা আবহাওয়া ডায়ান্থাসের প্রিয়। ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি টবে দু-তিনটি চারা লাগানো যায়। মাটি তৈরি করতে হবে ৬০ শতাংশ গার্ডেন সয়েল, ৩০ শতাংশ কম্পোস্ট ও ১০ শতাংশ বালুর মিশ্রণে। চারা লাগানোর সময় ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি দূরত্ব রাখা জরুরি। যত্নের ক্ষেত্রে রোদ চাই প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা। মাটি সব সময় হালকা আর্দ্র রাখতে হবে, তবে অতিরিক্ত পানি দেওয়া যাবে না। মাসে একবার ভার্মিকম্পোস্ট দিলে গাছ শক্ত হয় এবং বেশি ফুল দেয়। পুরোনো ফুল ঝরে গেলে ডাল ছেঁটে দিতে হবে। তাতে নতুন ডাল ও কুঁড়ি দ্রুত বের হয়।
গাঁদা
শীতকালে বারান্দা ও বাগানে সহজে যে রঙিন ও উজ্জ্বল ফুলটির চাষ করা যায়, সেটি গাঁদা। কম যত্নে প্রাণবন্ত পরিবেশ তৈরি করে এটি। বারান্দায় লাগানোর জন্য এটি সবচেয়ে ঝামেলাহীন। ১০ থেকে ১২ ইঞ্চির টব মাঝারি গাঁদার জন্য যথেষ্ট। তবে বড় জাত হলে ১২ থেকে ১৪ ইঞ্চির টব ভালো। এর জন্য টবে ৫০ শতাংশ মাটি, ৩০ শতাংশ গোবর বা কম্পোস্ট এবং ২০ শতাংশ বালু ব্যবহার করতে হবে। চারা কিছুটা বড় ও শক্ত হলে স্থায়ী টবে বসাতে হবে। প্রতিদিন ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা রোদে রাখতে হবে একে। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার পানি দেওয়া যথেষ্ট। পোকামাকড় হলে নিমতেল স্প্রে খুব কার্যকর।
কারনেশন
কারনেশন বীরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ। খ্রিষ্টজন্মের পর এ ফুলের চাষ হতো ফ্রান্সে। ৬০০ থেকে ৭০০ খ্রিষ্টাব্দে সুগন্ধি তৈরির জন্য এর চাষ হতো আরব দেশে। কারনেশন এক মনোমুগ্ধকর শোভাময় ফুল, যার রং ও সুগন্ধ বাগানকে করে তোলে আকর্ষণীয়। এই ফুল দীর্ঘদিন টিকে থাকে। কারনেশন ঠান্ডা আবহাওয়ায় দারুণভাবে বেড়ে ওঠে। টব অবশ্যই ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি হতে হবে এবং ড্রেনেজ হোল থাকা বাধ্যতামূলক। মাটি তৈরি করতে হবে ৪০ শতাংশ গার্ডেন সয়েল, ৩০ শতাংশ বালু ও ৩০ শতাংশ কম্পোস্ট মিশিয়ে। চারা লাগানোর সময় মূলের চারপাশে মাটি ভালোভাবে চেপে দিতে হয়।
প্রতিদিন ৪-৫ ঘণ্টা সরাসরি রোদ প্রয়োজন। টবে পানি কম দিতে হবে; অতিরিক্ত পানি দিলে শিকড় পচে যেতে পারে। মাসে একবার ফসফরাসসমৃদ্ধ সার বা ভার্মিকম্পোস্ট দিলে ফুলের পরিমাণ বাড়ে। এক টবে ১ থেকে ২টি গাছ লাগানোই আদর্শ।
প্যানসি
প্যানসি রঙিন ও আকর্ষণীয় শীতকালীন ফুল। ঠান্ডা আবহাওয়ায় সহজে বেড়ে ওঠা এবং দীর্ঘ সময় ফুল ধরে রাখার জন্য বাগানপ্রেমীদের কাছে এটি বিশেষ জনপ্রিয়। এই গাছ ৬ থেকে ৮ ইঞ্চির টবে ভালো থাকে। একটি টবে ২-৩টি চারা লাগানো যায়। ৫০ শতাংশ মাটির সঙ্গে ৩০ শতাংশ কোকো পিট ও ২০ শতাংশ কম্পোস্ট দিয়ে টবের মাটি তৈরি করতে হবে। ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি দূরত্বে চারা লাগাতে হবে। প্রতিদিন ৩-৪ ঘণ্টা রোদ, প্রয়োজনমতো পানি দিতে হবে। শুকনো ফুল তুলে ফেলতে হবে। ১২ থেকে ১৫ দিনে একবার তরল সার দিলে ফুলের রং আরও উজ্জ্বল হয় এবং ফুলের পরিমাণ বাড়ে।

কিছূ মানুষের প্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছে এমন কিছু প্রতিষ্ঠান, যারা আক্ষরিক অর্থেই বিন্দু বিন্দু করে সিন্ধু তৈরি করে এখন বিশ্বমঞ্চ দখল করে নিয়েছে। তেমনি দুটি প্রতিষ্ঠান আলডি ও স্যামসাং।
০৩ আগস্ট ২০২৫
শীতকাল মানেই জ্বর-সর্দি-কাশি। আর এ সমস্যা ঘরে ঘরে চলতেই থাকে। মৌসুমি সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে রসুনের আচার। রসুনের আচার শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। তা ছাড়া আচারে রয়েছে নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ‘সি’ ও ‘ই’। শীতকালে খাদ্যতালিকায় রসুনের আচার রাখলে কী উপকার...
৩ ঘণ্টা আগে
আজকের দিনটা আপনার জন্য একটা রোলার-কোস্টার। যদিও গ্রহরা বলছে নতুন সুযোগ পাবেন, কিন্তু বাস্তবে সেই সুযোগটা হবে ঘরের ফ্রিজে পড়ে থাকা বাসি ডাল শেষ করার। কর্মক্ষেত্রে তীক্ষ্ণ বুদ্ধি আজ আপনাকে প্রশংসিত করবে, তবে অফিসের চায়ের কাপটা ধোয়ার সময় যদি তা কাজে লাগান, তাহলেই বস খুশি হবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
এত দিনে চাদরের দুঃখ ঘুচল। কেন বলছি? প্রথমত, কালো, সাদা, ধূসর, নেভি ব্লু বা বাদামি রঙের চক্রে যে উলের চাদরগুলো বছরের পর বছর আমাদের মা, খালা, চাচিদের গায়ে উঠেছে; সেগুলোর রং এ যুগে এসে পাল্টেছে। এর বদলে লাল, নীল, সবুজ, গোলাপি, ম্যাজেন্টা, প্যাস্টেল শেডসহ শীতের বাজারে এখন সব রঙের চাদরের রমরমা।
৯ ঘণ্টা আগে