Ajker Patrika

লবণাক্ত সুন্দরবনে মাটির গভীরে আছে দুটি বিশাল মিঠাপানির ভান্ডার: গবেষণা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৪৮
পশুর নদীর লবণাক্ত পানির নিচে রয়েছে মিঠাপানির বিশাল ভান্ডার। ছবি: এএফপি
পশুর নদীর লবণাক্ত পানির নিচে রয়েছে মিঠাপানির বিশাল ভান্ডার। ছবি: এএফপি

বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে উপকূলীয় অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত উত্তোলন আর লবণাক্ত পানির অনুপ্রবেশ মিঠাপানির উৎসকে ক্রমেই ঝুঁকির মুখে ফেলছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে অগভীর মিঠাপানির প্রাপ্যতা আরও কমিয়ে দিয়েছে আর্সেনিক দূষণ। তবে আশার বিষয় হলো, উপকূলীয় অঞ্চলে মাটির আরও গভীরে মিঠা পানির বিশাল ভান্ডারের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

উপকূলীয় এলাকায় ভূপৃষ্ঠের অগভীর স্তরের বেশির ভাগ পানি লবণাক্ত। আর গভীর স্তরে মিঠাপানির যে মজুত রয়েছে, তার পরিমাণ এখনো স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব কলাম্বিয়া, নিউ মেক্সিকো ইনস্টিটিউট অব মাইনিং অ্যান্ড টেকনোলজি, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ডিপ ব্লু জিওফিজিক্স এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক বাংলাদেশের সুন্দরবন এলাকায় পশুর নদীর তীর বরাবর মাটির গভীরে মিঠা পানির মজুত খুঁজতে শুরু করেন।

বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী নেচার কমিউনিকেশনে প্রকাশিত নিবন্ধে গবেষকেরা বলেছেন, তাঁরা গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র বদ্বীপের পশুর নদীর তীর বরাবর গভীর ভূতাত্ত্বিক অনুসন্ধানের জন্য ম্যাগনেটোটেলুরিক পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। এই পদ্ধতিতে মিঠা ও নোনা পানির মধ্যে বৈদ্যুতিক রোধের যে তফাৎ থাকে, তা শনাক্ত করা সম্ভব হয়।

সংগৃহীত তথ্যচিত্রে দেখা গেছে, ভূগর্ভের গভীরে দুটি পৃথক মিঠাপানির আধার রয়েছে, আর এ দুটির মাঝখানে রয়েছে উচ্চ লবণাক্ত একটি অঞ্চল। গবেষকেরা লিখেছেন, আমরা মনে করি—শেষ বরফযুগের সর্বোচ্চ বরফাবরণকালে যখন সমুদ্রপৃষ্ঠ অনেক নিচু ছিল, তখনই এসব গভীর মিঠাপানির আধার তৈরি হয়। এরপর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ক্রমেই বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে ওপরের সূক্ষ্ম দানার পলিমাটি এই পানির স্তরকে ঢেকে নিচে ফেলে, তবে এগুলো এখনো সুরক্ষিত আছে। বিপরীতে গঙ্গার প্রাচীন প্রবাহের দুই পাশের এলাকা, পরবর্তীতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি বা ভূখণ্ডের দিকে আরও এগিয়ে আসা এবং নতুন পলিমাটির সঞ্চয়ই মাঝের লবণাক্ত অঞ্চলের জন্ম দিয়েছে।

গবেষকেরা বলছেন, তাঁরা যে, পানির মজুতের কথা বলছেন, তা ৯০ মিটার থেকে ১০০ মিটার গভীরে পাওয়া যেতে পারে। তাঁদের ধারণা, এই অ্যাকুইফারগুলো বা ভূগর্ভস্থ জলাধারগুলো সম্ভবত প্লাইস্টোসিন বা আরও পুরোনো কালে তৈরি হয়েছিল। তাঁরা বলছেন, আমাদের ধারণা, এই দুই মিঠাপানির আধার, যা শেষ বরফযুগে সমুদ্রপৃষ্ঠ আরও নিচে থাকার সময় তৈরি হয়েছিল। এরপর পলিমাটির সূক্ষ্ম দানার কম-প্রবেশযোগ্য স্তর এগুলোকে সিল (প্রায় অপ্রবেশযোগ্য স্তর) করে দেয়। সর্বশেষ বরফযুগে এসব জলাধার বর্তমান সময়ের সমুদ্রপৃষ্ঠের চেয়ে প্রায় ১২০ মিটার নিচে ছিল।

সব মিলিয়ে বলা যায়, এই দুটি জলাধার আসলে শেষ বরফযুগে সমুদ্রপৃষ্ঠ আরও নিচে থাকার সময় গঠিত মিঠাপানির আধার। সেই সময় উপকূলরেখা ছিল অনেক দূরে। এরপর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়তে থাকলে সূক্ষ্ম দানার পলি পড়ে অ্যাকুইফারগুলো ঢেকে যায়। এর সঙ্গে তৈরি হয় অপ্রবেশযোগ্য কাদামাটির স্তর। যার ফলে, এসব অ্যাকুইফার বা জলাধারগুলোতে ওপরের লবণাক্ত পানি নিচে ঢুকতে বাধা পায়। ফলে ভূগর্ভের গভীরে মিঠাপানির স্তরগুলো হাজার হাজার বছর ধরে অক্ষত আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, আটক দুই

লিটনদের ‘ফাইনাল’ ম্যাচ দিনের আলোয়

আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া, প্রার্থী হচ্ছেন কোন আসনে

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের মেসেজ পেয়ে আবেগে ভেসে যাবেন, কর্মক্ষেত্রে প্রশংসিত হবেন

লবণাক্ত সুন্দরবনে মাটির গভীরে আছে দুটি বিশাল মিঠাপানির ভান্ডার: গবেষণা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় তাপমাত্রা কমবে কি না জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৩৮
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আগের দিন রোববার সকালে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সোমবার সকালে সেটি কিছুটা বেড়ে হয়েছে ১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তবে এই তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে আজ সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ১৮ ডিগ্রি ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৭৯ শতাংশ।

এ ছাড়া আজ দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।

আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১০ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৫ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, আটক দুই

লিটনদের ‘ফাইনাল’ ম্যাচ দিনের আলোয়

আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া, প্রার্থী হচ্ছেন কোন আসনে

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের মেসেজ পেয়ে আবেগে ভেসে যাবেন, কর্মক্ষেত্রে প্রশংসিত হবেন

লবণাক্ত সুন্দরবনে মাটির গভীরে আছে দুটি বিশাল মিঠাপানির ভান্ডার: গবেষণা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকার বায়ুমান অস্বাস্থ্যকর, বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ পল্লবীতে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ৩৩
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার তালিকার শীর্ষ দশে অবস্থান করছে লাহোর, দিল্লি, কলকাতা, ঢাকা ও করাচি।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে রাজধানী শহর ঢাকা। আজ রোববার ঢাকার বাতাস সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় রয়েছে।

আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।

বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৯৮। যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। বায়ুদূষণের তালিকায় আজ ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ঢাকা।

আরও পড়ুন-

পাকিস্তানের লাহোরে ভয়াবহ বায়ুদূষণ, ঢাকার কিছুটা উন্নতি

বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের লাহোরের বায়ুমান আজ ৩৩৪, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো ভারতের দিল্লি (২৪৮), উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (২২৯), চীনের চেংদু (২১০) ও ভারতের কলকাতা (২০৫)।

ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ু দূষণ সবচেয়ে বেশি— পল্লবী দক্ষিণ, ইস্টার্ন হাউজিং, কল্যাণপুর, বেজ এজওয়াটার আউটডোর ও গোড়ান। বর্তমানে এই এলাকাগুলোর বাতাস সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় আছে।

ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্‌রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্‌যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।

শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়

অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্‌রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।

সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।

যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।

ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, আটক দুই

লিটনদের ‘ফাইনাল’ ম্যাচ দিনের আলোয়

আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া, প্রার্থী হচ্ছেন কোন আসনে

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের মেসেজ পেয়ে আবেগে ভেসে যাবেন, কর্মক্ষেত্রে প্রশংসিত হবেন

লবণাক্ত সুন্দরবনে মাটির গভীরে আছে দুটি বিশাল মিঠাপানির ভান্ডার: গবেষণা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ১১
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

সাতসকাল থেকে আজ রোববার ঢাকায় বইছিল হিমেল হাওয়া। হিমেল বাতাস বইলেও আকাশ রয়েছে পরিষ্কার। উঠেছে ঝলমলে মিষ্টি রোদ। সকাল ৬টায় রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশ এলাকায় আবহাওয়া রৌদ্রোজ্জ্বল থাকতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সকাল ৭টায় পরবর্তী ৬ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এমনটি বলা হয়েছে।

পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। সারা দিন তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।

আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১০ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৪ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, আটক দুই

লিটনদের ‘ফাইনাল’ ম্যাচ দিনের আলোয়

আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া, প্রার্থী হচ্ছেন কোন আসনে

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের মেসেজ পেয়ে আবেগে ভেসে যাবেন, কর্মক্ষেত্রে প্রশংসিত হবেন

লবণাক্ত সুন্দরবনে মাটির গভীরে আছে দুটি বিশাল মিঠাপানির ভান্ডার: গবেষণা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকার বায়ুমানে আজও উন্নতি নেই, পরিস্থিতি খুবই অস্বাস্থ্যকর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ৫৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বিশ্বের ১২৭টি নগরীর মধ্যে বায়ুদূষণে কয়েক দিন ধরে দ্বিতীয় শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এদিন ঢাকার আগে কেবল মিসরের রাজধানী কায়রো, যা বায়ুর মানের দিক থেকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’।

আইকিউএয়ার কর্তৃক প্রকাশিত লাইভ সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ের তথ্যানুযায়ী, আজ সকাল ৯টায় বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক দূষিত শহরগুলোর মধ্যে বাংলাদেশসহ তিন প্রতিবেশী দেশের রাজধানীর অবস্থা উদ্বেগজনক। র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে রয়েছে মিসরের কায়রো, যেখানে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ২৮৬, যা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত। এর ঠিক পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা, স্কোর ২৬৪ এবং ক্যাটাগরি ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’। তৃতীয় স্থানে থাকা ভারতের দিল্লির একিউআই স্কোর ২৫৫।

এ ছাড়া শীর্ষ দশে থাকা অন্য শহরগুলো যথাক্রমে উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দ (২৫২), পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা (২৪৩), পাকিস্তানের রাজধানী লাহোর (১৯৯), চীনের চেংদু (১৮১), ভিয়েতনামের হেনয় (১৮০), পাকিস্তানের করাচি (১৭৫) এবং ইরানের রাজধানী তেহরান (১৭৩) ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে।

আজ সকালে ঢাকার সাতটি স্টেশন এলাকায় বায়ুর মান বিশেষভাবে খারাপ দেখা গেছে। এই স্থানগুলো হলো—ইস্টার্ন হাউজিং, দক্ষিণ পল্লবী, বেজ এজ ওয়াটার; বেচারাম দেউড়ি, কল্যাণপুর, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং গোড়ান। এসব রেকর্ড এলাকায় বায়ুমান ৯৫ থেকে ৩৪৯।

সে হিসাবে সকাল ৯টার দিকে ঢাকার গড় বায়ুমান (একিউআই) রেকর্ড করা হয়েছে ২৯৩, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। বাতাসের মান ২০০-এর বেশি হলেই সেটিকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

দীর্ঘদিন ধরে চলা এই বায়ুদূষণের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঢাকা ধারাবাহিকভাবে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষের দিকে থাকছে এবং বায়ুর মান খুব অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্তদের জন্য ঘরের বাইরে থাকা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২ দশমিক ৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্‌রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্‌যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।

শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলা এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়:

অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্‌রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।

সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।

যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।

ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, আটক দুই

লিটনদের ‘ফাইনাল’ ম্যাচ দিনের আলোয়

আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া, প্রার্থী হচ্ছেন কোন আসনে

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের মেসেজ পেয়ে আবেগে ভেসে যাবেন, কর্মক্ষেত্রে প্রশংসিত হবেন

লবণাক্ত সুন্দরবনে মাটির গভীরে আছে দুটি বিশাল মিঠাপানির ভান্ডার: গবেষণা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত