ইসলাম ডেস্ক
অনেকে মৃত্যুর আগে ওয়ারিশদের কাছে নিজের নামে কোরবানি করার অসিয়ত করে যান। আবার অনেক সময় ওয়ারিশেরা নিজেদের উদ্যোগে মৃত স্বজনের নামে কোরবানি করেন। এই দুই ক্ষেত্রে ইসলামে নির্দিষ্ট বিধান রয়েছে।
ওয়ারিশদের কাছে অসিয়ত করে গেলে মৃতের মোট সম্পদের তিন ভাগের এক ভাগ থেকে সেটি আদায় করতে হয়। অর্থাৎ ওই এক ভাগ থেকে কোরবানি আদায় করে নিতে হবে। বিধান অনুযায়ী, সেই কোরবানির পশুর মাংস কোরবানিদাতা ওয়ারিশেরা ও তাঁদের আত্মীয়-স্বজনেরা খেতে পারবেন না। বরং গরিব-মিসকিনদের দান করে দিতে হবে।
ফিকহের কিতাবে বলা হয়েছে, ‘মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশ যদি তাঁর অসিয়তকৃত কোরবানি তাঁর নির্দেশে (তাঁরই রেখে যাওয়া সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ থেকে) আদায় করে থাকেন, তাহলে তা সদকা করে দেওয়া ওয়াজিব। তা খাওয়া যাবে না।’ (ফাতাওয়া শামি: ৬/৩২৬)
মৃতের রেখে যাওয়া সম্পদ থেকে অসিয়ত আদায় করা সম্ভব না হলে সেটি আদায় করতে হবে না। ফিকহগ্রন্থ হিদায়াতে বলা হয়েছে, এক-তৃতীয়াংশের বেশি সম্পদ দিয়ে মৃতের অসিয়ত পূরণ করা জায়েজ নয়। (হিদায়া: ৪/৬৩৮)
ফাতাওয়া হিন্দিয়াতে রয়েছে, মৃতের অসিয়ত বাস্তবায়ন করা হবে তাঁর রেখে যাওয়া সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ থেকে। এরপর বাকি দুই অংশ ওয়ারিশদের মধ্যে মিরাসের অংশ অনুযায়ী বণ্টন করা হবে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ৬/৪৪৭; আস-সিরাজি ফিল মিরাস: ৪-৫)
ওয়ারিশরা যদি এক-তৃতীয়াংশের বেশি সম্পদ অসিয়ত বাস্তবায়নে ব্যবহার করতে চান, তবে সব ওয়ারিশের অনুমতি নিতে হবে। কারণ, এক-তৃতীয়াংশের বেশি সম্পদ ওয়ারিশদের হক। এ ক্ষেত্রে অসিয়তের সম্পদ ও ওয়ারিশদের অংশ মিলিয়ে যদি অসিয়ত বাস্তবায়নের জন্য কোরবানি করা হয়, তবে তার বিধান অসিয়তের কোরবানির মতোই হবে। ওয়ারিশ ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা তা থেকে খেতে পারবেন না। সদকা করে দিতে হবে। কারণ তাতে অসিয়তের অংশও রয়েছে।
মুহাদ্দিস আবদুল্লাহ ইবনুল মোবারক (রহ.) বলেন, ‘মৃতের পক্ষ থেকে কোরবানি না করে দান-সদকা করাই আমার কাছে উত্তম মনে হয়। তবে যদি কোরবানি করেই ফেলেন, তাহলে সেই গোশত না খাওয়া এবং পুরো গোশত সদকা করে দেওয়া উত্তম।’
এ কথার ব্যাখ্যায় ইবনুল আরাবি বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনুল মোবারক (রহ.) মৃতের নামে তাঁর সম্পত্তি থেকে করা কোরবানির গোশত খেতে নিষেধ করেছেন এই জন্য যে, কোরবানিদাতা তো নিজের পক্ষ থেকে কোরবানি দেননি। বরং অন্যের পক্ষ থেকে কোরবানি করেছেন। সুতরাং, তাঁর জন্য অন্যের হক খাওয়া বৈধ হবে না।’ (আরেদাতুল আহওয়াজি: ৫/২৯০-২৯১)
যদি ওয়ারিশেরা মৃতের পক্ষ থেকে নফল কোরবানি আদায় করেন, তবে সবাই খেতে পারবে। কেননা তখন কোরবানি জবাইকারীর পক্ষ থেকে আদায় হবে, আর সওয়াব মৃত ব্যক্তি পাবেন। (ফাতাওয়া শামি: ৬/৩২৬)
আর মৃত ব্যক্তির ত্যাজ্য সম্পদ না থাকলে কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব নয়। এরপরও ওয়ারিশদের সম্পদ থেকে কোরবানি দিলে তা নফল হিসেবে গণ্য হবে এবং সেটির মাংস নিজেরা খেতে পারবেন, আত্মীয়স্বজনকেও দেওয়া যাবে।
আয়েশা (রা.) ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.) কোরবানির সময় দুটি মোটাতাজা, মাংসল, শিংযুক্ত, ধূসর বর্ণের ও খাসি করা মেষ কিনতেন। এরপর এর একটি উম্মতের যারা আল্লাহর তাওহিদের ও তাঁর নবুওয়ত প্রচারের সাক্ষ্য দেয়, তাদের পক্ষ থেকে এবং অপরটি নিজের ও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে কোরবানি করতেন।’ (ইবনে মাজাহ: ৩১২২)
অনেকে মৃত্যুর আগে ওয়ারিশদের কাছে নিজের নামে কোরবানি করার অসিয়ত করে যান। আবার অনেক সময় ওয়ারিশেরা নিজেদের উদ্যোগে মৃত স্বজনের নামে কোরবানি করেন। এই দুই ক্ষেত্রে ইসলামে নির্দিষ্ট বিধান রয়েছে।
ওয়ারিশদের কাছে অসিয়ত করে গেলে মৃতের মোট সম্পদের তিন ভাগের এক ভাগ থেকে সেটি আদায় করতে হয়। অর্থাৎ ওই এক ভাগ থেকে কোরবানি আদায় করে নিতে হবে। বিধান অনুযায়ী, সেই কোরবানির পশুর মাংস কোরবানিদাতা ওয়ারিশেরা ও তাঁদের আত্মীয়-স্বজনেরা খেতে পারবেন না। বরং গরিব-মিসকিনদের দান করে দিতে হবে।
ফিকহের কিতাবে বলা হয়েছে, ‘মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশ যদি তাঁর অসিয়তকৃত কোরবানি তাঁর নির্দেশে (তাঁরই রেখে যাওয়া সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ থেকে) আদায় করে থাকেন, তাহলে তা সদকা করে দেওয়া ওয়াজিব। তা খাওয়া যাবে না।’ (ফাতাওয়া শামি: ৬/৩২৬)
মৃতের রেখে যাওয়া সম্পদ থেকে অসিয়ত আদায় করা সম্ভব না হলে সেটি আদায় করতে হবে না। ফিকহগ্রন্থ হিদায়াতে বলা হয়েছে, এক-তৃতীয়াংশের বেশি সম্পদ দিয়ে মৃতের অসিয়ত পূরণ করা জায়েজ নয়। (হিদায়া: ৪/৬৩৮)
ফাতাওয়া হিন্দিয়াতে রয়েছে, মৃতের অসিয়ত বাস্তবায়ন করা হবে তাঁর রেখে যাওয়া সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ থেকে। এরপর বাকি দুই অংশ ওয়ারিশদের মধ্যে মিরাসের অংশ অনুযায়ী বণ্টন করা হবে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ৬/৪৪৭; আস-সিরাজি ফিল মিরাস: ৪-৫)
ওয়ারিশরা যদি এক-তৃতীয়াংশের বেশি সম্পদ অসিয়ত বাস্তবায়নে ব্যবহার করতে চান, তবে সব ওয়ারিশের অনুমতি নিতে হবে। কারণ, এক-তৃতীয়াংশের বেশি সম্পদ ওয়ারিশদের হক। এ ক্ষেত্রে অসিয়তের সম্পদ ও ওয়ারিশদের অংশ মিলিয়ে যদি অসিয়ত বাস্তবায়নের জন্য কোরবানি করা হয়, তবে তার বিধান অসিয়তের কোরবানির মতোই হবে। ওয়ারিশ ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা তা থেকে খেতে পারবেন না। সদকা করে দিতে হবে। কারণ তাতে অসিয়তের অংশও রয়েছে।
মুহাদ্দিস আবদুল্লাহ ইবনুল মোবারক (রহ.) বলেন, ‘মৃতের পক্ষ থেকে কোরবানি না করে দান-সদকা করাই আমার কাছে উত্তম মনে হয়। তবে যদি কোরবানি করেই ফেলেন, তাহলে সেই গোশত না খাওয়া এবং পুরো গোশত সদকা করে দেওয়া উত্তম।’
এ কথার ব্যাখ্যায় ইবনুল আরাবি বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনুল মোবারক (রহ.) মৃতের নামে তাঁর সম্পত্তি থেকে করা কোরবানির গোশত খেতে নিষেধ করেছেন এই জন্য যে, কোরবানিদাতা তো নিজের পক্ষ থেকে কোরবানি দেননি। বরং অন্যের পক্ষ থেকে কোরবানি করেছেন। সুতরাং, তাঁর জন্য অন্যের হক খাওয়া বৈধ হবে না।’ (আরেদাতুল আহওয়াজি: ৫/২৯০-২৯১)
যদি ওয়ারিশেরা মৃতের পক্ষ থেকে নফল কোরবানি আদায় করেন, তবে সবাই খেতে পারবে। কেননা তখন কোরবানি জবাইকারীর পক্ষ থেকে আদায় হবে, আর সওয়াব মৃত ব্যক্তি পাবেন। (ফাতাওয়া শামি: ৬/৩২৬)
আর মৃত ব্যক্তির ত্যাজ্য সম্পদ না থাকলে কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব নয়। এরপরও ওয়ারিশদের সম্পদ থেকে কোরবানি দিলে তা নফল হিসেবে গণ্য হবে এবং সেটির মাংস নিজেরা খেতে পারবেন, আত্মীয়স্বজনকেও দেওয়া যাবে।
আয়েশা (রা.) ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.) কোরবানির সময় দুটি মোটাতাজা, মাংসল, শিংযুক্ত, ধূসর বর্ণের ও খাসি করা মেষ কিনতেন। এরপর এর একটি উম্মতের যারা আল্লাহর তাওহিদের ও তাঁর নবুওয়ত প্রচারের সাক্ষ্য দেয়, তাদের পক্ষ থেকে এবং অপরটি নিজের ও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে কোরবানি করতেন।’ (ইবনে মাজাহ: ৩১২২)
রোজার মৌখিক নিয়ত যেকোনো ভাষায় হতে পারে। একান্ত আরবি ভাষায় হওয়া জরুরি নয়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১ / ৩৭৮)। বরং যারা আরবি বোঝে না, তাদের জন্য আরবিতে নিয়ত না করাই কর্তব্য। কারণ নিয়ত পড়া জরুরি নয়, নিয়ত করাই জরুরি।
১৪ ঘণ্টা আগেরাসুল (সা.) সাহাবিদের তিনজন নেককার ব্যক্তির গল্প শুনিয়েছিলেন। হাদিসের ভাষ্যে স্পষ্টভাবে তাঁদের নাম ও বাসস্থানের কথা উল্লেখ নেই। তবে তাঁরা যে বনি ইসরাইলের লোক ছিলেন, এ কথার উল্লেখ আছে। এ গল্পে আল্লাহর ভয়, মা–বাবার প্রতি সদাচার, দোয়ার শক্তি এবং সৎকর্মের মহত্ত্ব ফুটে উঠেছে।
১৫ ঘণ্টা আগে‘জ্ঞানের তরে শহীদ’ উপাধি পাওয়া এবং বিশ্ববিশ্রুত হাদিস গ্রন্থ ‘সহিহ্ মুসলিম’ রচয়িতা ইমাম মুসলিম বিন হাজ্জাজের খ্যাতি জগতজোড়া। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে হাদিস শাস্ত্রে যোগ হয়েছে অসামান্য সব প্রামাণ্য। আজকের অবসরে সংক্ষেপে এ মহান মনীষীর জীবন নিয়ে আলোকপাত করার প্রয়াস পাব।
১৮ ঘণ্টা আগেনিয়মিত খাওয়াদাওয়া করার সময় যেসব আদব অনুসরণ করতে হয়, তা ইফতারের সময়ও অনুসরণ করা চাই। তবে ইফতারের রয়েছে বিশেষ কিছু সুন্নত ও আদব। যথা— এক. সময় হওয়ার পরপরই ইফতার করা: সূর্যাস্তের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে কিংবা মাগরিবের আজানের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার শুরু করে দেওয়া সুন্নত।
২১ ঘণ্টা আগে