মাহমুদ হাসান ফাহিম
সব সম্পদের জাকাত দেওয়া ফরজ নয়। সোনা-রুপা, টাকা-পয়সা, পালিত পশু (নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী) এবং ব্যবসায় পণ্যে এক বছর পূর্ণ হলে (আড়াই শতাংশ হারে) জাকাত আদায় করা ফরজ।
সোনা-রুপার অলংকার ব্যবহৃত হোক বা না হোক—সর্বাবস্থায়ই তার জাকাত দিতে হবে এবং অলংকার ছাড়া সোনা-রুপার অন্যান্য সামগ্রীরও জাকাত দিতে হবে। (সুনানে নাসায়ি: ২২৫৮)
জামা-কাপড় কিংবা অন্যান্য আসবাবপত্রে যদি সোনা-রুপার কারুকাজ করা থাকে তাহলে কারুকাজে ব্যবহৃত সোনা-রুপারও জাকাত দিতে হবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ১০৬৪৮)
সোনা-রুপা ছাড়া অন্য কোনো ধাতুর অলংকার ইত্যাদির ওপর জাকাত দিতে হয় না। যেমন হিরা, মণি-মুক্তা ইত্যাদি মূল্যবান পাথর ব্যবসার পণ্য না হলে তার জাকাত দিতে হবে না। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক: ৭০৬১-৭০৬৪)
মৌলিক প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা-পয়সা নিসাব পরিমাণ হলে এবং বছর অতিবাহিত হলে, বছর শেষে তার জাকাত আদায় করতে হয়। এমনিভাবে ব্যাংক ব্যালেন্স, ফিক্সড ডিপোজিট, বন্ড, সার্টিফিকেট ইত্যাদিও নগদ টাকা-পয়সার মতোই। এসবেরও জাকাত আদায় করতে হয়।
হজ, ঘরবাড়ি নির্মাণ, ছেলেমেয়ের বিয়েশাদি ইত্যাদির প্রয়োজনে জমানো অর্থ পৃথকভাবে কিংবা অন্যান্য সম্পদের সঙ্গে মিলিয়ে নিসাব পরিমাণ হলে এবং এক বছর অতিবাহিত হলে তারও জাকাত দিতে হবে। বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই খরচ হয়ে গেলে ভিন্ন কথা। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক: ৭০৩২)
দোকানে থাকা ব্যবসায় পণ্যের মূল্য নিসাব পরিমাণ হলে জাকাত দিতে হবে। (সুনানে আবু দাউদ: ১ / ২১৮)
ব্যবসার নিয়তে কেনা স্থাবর সম্পদ যেমন জমিজমা, ফ্ল্যাট কিংবা অস্থাবর সম্পদ যেমন মুদিদোকান সামগ্রী, কাপড়-চোপড়, অলংকার, নির্মাণসামগ্রী, গাড়ি, ফার্নিচার, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, হার্ডওয়্যার সামগ্রী, বইপুস্তক ইত্যাদি, তা ব্যবসায়পণ্য বলে গণ্য হবে এবং মূল্য নিসাব পরিমাণ হলে জাকাত দিতে হবে। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক: ৭১০৩)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
সব সম্পদের জাকাত দেওয়া ফরজ নয়। সোনা-রুপা, টাকা-পয়সা, পালিত পশু (নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী) এবং ব্যবসায় পণ্যে এক বছর পূর্ণ হলে (আড়াই শতাংশ হারে) জাকাত আদায় করা ফরজ।
সোনা-রুপার অলংকার ব্যবহৃত হোক বা না হোক—সর্বাবস্থায়ই তার জাকাত দিতে হবে এবং অলংকার ছাড়া সোনা-রুপার অন্যান্য সামগ্রীরও জাকাত দিতে হবে। (সুনানে নাসায়ি: ২২৫৮)
জামা-কাপড় কিংবা অন্যান্য আসবাবপত্রে যদি সোনা-রুপার কারুকাজ করা থাকে তাহলে কারুকাজে ব্যবহৃত সোনা-রুপারও জাকাত দিতে হবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ১০৬৪৮)
সোনা-রুপা ছাড়া অন্য কোনো ধাতুর অলংকার ইত্যাদির ওপর জাকাত দিতে হয় না। যেমন হিরা, মণি-মুক্তা ইত্যাদি মূল্যবান পাথর ব্যবসার পণ্য না হলে তার জাকাত দিতে হবে না। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক: ৭০৬১-৭০৬৪)
মৌলিক প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা-পয়সা নিসাব পরিমাণ হলে এবং বছর অতিবাহিত হলে, বছর শেষে তার জাকাত আদায় করতে হয়। এমনিভাবে ব্যাংক ব্যালেন্স, ফিক্সড ডিপোজিট, বন্ড, সার্টিফিকেট ইত্যাদিও নগদ টাকা-পয়সার মতোই। এসবেরও জাকাত আদায় করতে হয়।
হজ, ঘরবাড়ি নির্মাণ, ছেলেমেয়ের বিয়েশাদি ইত্যাদির প্রয়োজনে জমানো অর্থ পৃথকভাবে কিংবা অন্যান্য সম্পদের সঙ্গে মিলিয়ে নিসাব পরিমাণ হলে এবং এক বছর অতিবাহিত হলে তারও জাকাত দিতে হবে। বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই খরচ হয়ে গেলে ভিন্ন কথা। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক: ৭০৩২)
দোকানে থাকা ব্যবসায় পণ্যের মূল্য নিসাব পরিমাণ হলে জাকাত দিতে হবে। (সুনানে আবু দাউদ: ১ / ২১৮)
ব্যবসার নিয়তে কেনা স্থাবর সম্পদ যেমন জমিজমা, ফ্ল্যাট কিংবা অস্থাবর সম্পদ যেমন মুদিদোকান সামগ্রী, কাপড়-চোপড়, অলংকার, নির্মাণসামগ্রী, গাড়ি, ফার্নিচার, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, হার্ডওয়্যার সামগ্রী, বইপুস্তক ইত্যাদি, তা ব্যবসায়পণ্য বলে গণ্য হবে এবং মূল্য নিসাব পরিমাণ হলে জাকাত দিতে হবে। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক: ৭১০৩)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
১২ ঘণ্টা আগেমুমিনের বহুল প্রত্যাশিত ইবাদত হজে মাবরুর। ‘হজে মাবরুর’ হজের একটি পরিভাষা। সহজে বললে, হজে মাবরুর হলো সেই হজ, যা আল্লাহর কাছে কবুল হয়। হজ পালনের সময় বিশুদ্ধ নিয়ত থাকা...
২০ ঘণ্টা আগেপ্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখার মধ্যে বেশ ফজিলত রয়েছে। হাদিসের ভাষায় এই তিনটি রোজাকে বলায় হয় আইয়ামে বিজের রোজা। এই রোজা প্রতি আরবি মাসের তেরো, চৌদ্দ ও পনেরো তারিখে রাখতে হয়।
২ দিন আগেএকজন মুসলমানের জীবনে ইমান এক অমূল্য সম্পদ। তবে সৎকার ছাড়া ইমানও মূল্যহীন। আসুন, ইমান ও সৎকাজের পুরস্কার সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নিই।
২ দিন আগে