মুফতি খালিদ কাসেমি
আরবি এস্তেখারা শব্দের অর্থ কল্যাণ কামনা করা বা সঠিক দিকনির্দেশনা কামনা করা। আল্লাহ তাআলার কাছে বিশেষ প্রার্থনার মাধ্যমে কোনো বিষয়ের কল্যাণ কামনা করাকে এস্তেখারা বলা হয়। নবী (সা.) গুরুত্বপূর্ণ কাজে এস্তেখারা করতে উৎসাহিত করেছেন। গুরুত্বসহকারে তিনি সাহাবিদের এস্তেখারার পদ্ধতি শিখিয়েছেন।
এস্তেখারার পদ্ধতি হলো, নামাজের মাকরুহ সময় ছাড়া দিন ও রাতের যেকোনো সময় এস্তেখারার নিয়তে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে। নিয়ত করবে, হে আল্লাহ, আমার এই কাজ যদি আমার জন্য কল্যাণকর হয়, তাহলে আমার জন্য সহজ করুন। নামাজের সালাম ফেরানোর পর কায়মনোবাক্যে এস্তেখারার বিশেষ দোয়া পাঠ করবে।
এস্তেখারার দোয়াটি হলো—হে আল্লাহ, আমি আপনার জ্ঞানের সাহায্যে আপনার কাছে কল্যাণ প্রার্থনা করছি। আমি আপনার শক্তির সাহায্যে শক্তি ও আপনার অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি। আপনিই ক্ষমতাবান; আমি ক্ষমতা রাখি না। আপনি জ্ঞান রাখেন, আমার জ্ঞান নেই এবং আপনি অদৃশ্য বিষয়ে সম্পূর্ণ পরিজ্ঞাত। হে আল্লাহ, আপনার জ্ঞানে আমার এ কাজ আমার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য কল্যাণকর হলে, আপনি তা আমার জন্য নির্ধারণ করে দিন। সেটা আমার জন্য সহজ করে দিন এবং তাতে বরকত দিন। হে আল্লাহ, আর যদি আপনার জ্ঞানে আমার এ কাজ আমার দ্বীনদারি, জীবন-জীবিকা ও কর্মের পরিণামে অকল্যাণকর হয়, তবে আপনি আমাকে তা থেকে ফিরিয়ে দিন এবং সেটাকেও আমার থেকে ফিরিয়ে রাখুন। আমার জন্য সর্বক্ষেত্রে কল্যাণ নির্ধারণ করে রাখুন এবং আমাকে সেটার প্রতি সন্তুষ্ট করে দিন। (বুখারি ও তিরমিজি)
এটুকুই এস্তেখারা কাজ। এরপর যেদিকে মন সায় দেবে, সেই কাজ করবে। এস্তেখারার পর যদি কোনো দিকে মন স্থির না হয়, তাহলে সাত দিন পর্যন্ত নিয়মিত এই আমল করবে।
শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
আরবি এস্তেখারা শব্দের অর্থ কল্যাণ কামনা করা বা সঠিক দিকনির্দেশনা কামনা করা। আল্লাহ তাআলার কাছে বিশেষ প্রার্থনার মাধ্যমে কোনো বিষয়ের কল্যাণ কামনা করাকে এস্তেখারা বলা হয়। নবী (সা.) গুরুত্বপূর্ণ কাজে এস্তেখারা করতে উৎসাহিত করেছেন। গুরুত্বসহকারে তিনি সাহাবিদের এস্তেখারার পদ্ধতি শিখিয়েছেন।
এস্তেখারার পদ্ধতি হলো, নামাজের মাকরুহ সময় ছাড়া দিন ও রাতের যেকোনো সময় এস্তেখারার নিয়তে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে। নিয়ত করবে, হে আল্লাহ, আমার এই কাজ যদি আমার জন্য কল্যাণকর হয়, তাহলে আমার জন্য সহজ করুন। নামাজের সালাম ফেরানোর পর কায়মনোবাক্যে এস্তেখারার বিশেষ দোয়া পাঠ করবে।
এস্তেখারার দোয়াটি হলো—হে আল্লাহ, আমি আপনার জ্ঞানের সাহায্যে আপনার কাছে কল্যাণ প্রার্থনা করছি। আমি আপনার শক্তির সাহায্যে শক্তি ও আপনার অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি। আপনিই ক্ষমতাবান; আমি ক্ষমতা রাখি না। আপনি জ্ঞান রাখেন, আমার জ্ঞান নেই এবং আপনি অদৃশ্য বিষয়ে সম্পূর্ণ পরিজ্ঞাত। হে আল্লাহ, আপনার জ্ঞানে আমার এ কাজ আমার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য কল্যাণকর হলে, আপনি তা আমার জন্য নির্ধারণ করে দিন। সেটা আমার জন্য সহজ করে দিন এবং তাতে বরকত দিন। হে আল্লাহ, আর যদি আপনার জ্ঞানে আমার এ কাজ আমার দ্বীনদারি, জীবন-জীবিকা ও কর্মের পরিণামে অকল্যাণকর হয়, তবে আপনি আমাকে তা থেকে ফিরিয়ে দিন এবং সেটাকেও আমার থেকে ফিরিয়ে রাখুন। আমার জন্য সর্বক্ষেত্রে কল্যাণ নির্ধারণ করে রাখুন এবং আমাকে সেটার প্রতি সন্তুষ্ট করে দিন। (বুখারি ও তিরমিজি)
এটুকুই এস্তেখারা কাজ। এরপর যেদিকে মন সায় দেবে, সেই কাজ করবে। এস্তেখারার পর যদি কোনো দিকে মন স্থির না হয়, তাহলে সাত দিন পর্যন্ত নিয়মিত এই আমল করবে।
শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
তওবা মানে ক্ষমা চেয়ে সঠিক পথে ফিরে আসা। তওবা মানে নিজের ভুল স্বীকার করে প্রায়শ্চিত্ত গড়ার চেষ্টা করা। সহজে বললে—পাপের পথ ছেড়ে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা, তাঁর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করা এবং ভবিষ্যতে সেই পাপে না ফেরার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করা।
৪ ঘণ্টা আগেজীবনের প্রয়োজনে আমরা কখনো কখনো ঋণগ্রস্ত হই। ঋণগ্রস্ত হওয়া জীবন নানা সময় কুফল ডেকে আনে। ঋণের চাপ উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা তৈরি করে। নবী করিম (সা.)-এর শেখানো কিছু দোয়ার মাধ্যমে আমরা ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
১ দিন আগেসুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ। কীভাবে তিনি পারিবারিক ও...
২ দিন আগেজুমার দিন মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে আল্লাহর বিশেষ রহমত বর্ষিত হয়। ইসলামে জুমার দিন সপ্তাহের সেরা হিসেবে বিবেচিত। নবী করিম (সা.) বলেন, পৃথিবীতে যত দিন সূর্য উদিত হবে, তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো জুমার দিন। (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)। অন্য এক হাদিসে তিনি বলেন, দিবসসমূহের মধ্যে...
২ দিন আগে