ইসলাম ডেস্ক
সম্পদ মানুষের জীবন পরিচালনার একটি অপরিহার্য উপকরণ। দৈনন্দিন প্রয়োজন পূরণ, পারিবারিক শান্তি বজায় রাখা ও সামাজিক দায়িত্ব পালনের জন্য এটি অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ। ইসলাম শুধু সম্পদ উপার্জনের নির্দেশই দেয়নি, বরং তার যথাযথ ব্যবহার, অপচয় থেকে বিরত থাকা এবং কৃতজ্ঞতার সঙ্গে খরচ করার নির্দেশও দিয়েছে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে এ বিষয়ে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, যা প্রতিটি মুসলমানের জানা এবং মানা আবশ্যক।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যে সম্পদকে আল্লাহ তোমাদের জীবনযাত্রার অবলম্বন করেছেন, তা অর্বাচীনদের হাতে তুলে দিয়ো না। বরং তা থেকে তাদের খাওয়াও, পরাও এবং তাদের সান্ত্বনার বাণী শোনাও।’ (সুরা নিসা: ৫) সুতরাং সম্পদ খরচ করার ব্যাপারে আমাদের সতর্ক হতে হবে। কোনোরূপ অপচয়-অপব্যয় যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অপচয়কারীর ব্যাপারে কোরআন ও হাদিসে বিভিন্ন সতর্কবাণী এসেছে। পবিত্র কোরআনে অপচয়কারীকে বলা হয়েছে শয়তানের ভাই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা অপব্যয় করে তারা শয়তানের ভাই, আর শয়তান তার প্রভুর প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ২৭)
অপচয়কারীকে আল্লাহ তাআলা পছন্দ করেন না। এক হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের তিনটি বিষয় অপছন্দ করেন—এক. অনর্থক কথা বলা; দুই. সম্পদ নষ্ট করা এবং তিন. অধিক প্রশ্ন করা।’ (সহিহ্ বুখারি: ১৪৭৭)
সম্পদ আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষাস্বরূপ দেওয়া এক নিয়ামত। একে যদি আমরা যথাযথভাবে ব্যবহার না করি, অপচয় ও অহংকারে লিপ্ত হই, তবে তা নিয়ামত থেকে অভিশাপে পরিণত হতে পারে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা যদি (আমার নিয়ামতের) কৃতজ্ঞতা আদায় করো, তাহলে আমি অবশ্যই তোমাদের আরও বাড়িয়ে দেব। আর যদি অকৃতজ্ঞ হও তাহলে (জেনে রেখো) আমার শাস্তি অবশ্যই অত্যন্ত কঠিন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৭)
তাই প্রয়োজন সচেতনতা, সংযম ও কৃতজ্ঞতার মনোভাব। ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে—যেখানে প্রাচুর্য আছে, সেখানে দায়িত্বও আছে। অপচয় পরিহার করে, আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করাই একজন মুমিনের পরিচয়।
সম্পদ মানুষের জীবন পরিচালনার একটি অপরিহার্য উপকরণ। দৈনন্দিন প্রয়োজন পূরণ, পারিবারিক শান্তি বজায় রাখা ও সামাজিক দায়িত্ব পালনের জন্য এটি অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ। ইসলাম শুধু সম্পদ উপার্জনের নির্দেশই দেয়নি, বরং তার যথাযথ ব্যবহার, অপচয় থেকে বিরত থাকা এবং কৃতজ্ঞতার সঙ্গে খরচ করার নির্দেশও দিয়েছে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে এ বিষয়ে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, যা প্রতিটি মুসলমানের জানা এবং মানা আবশ্যক।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যে সম্পদকে আল্লাহ তোমাদের জীবনযাত্রার অবলম্বন করেছেন, তা অর্বাচীনদের হাতে তুলে দিয়ো না। বরং তা থেকে তাদের খাওয়াও, পরাও এবং তাদের সান্ত্বনার বাণী শোনাও।’ (সুরা নিসা: ৫) সুতরাং সম্পদ খরচ করার ব্যাপারে আমাদের সতর্ক হতে হবে। কোনোরূপ অপচয়-অপব্যয় যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অপচয়কারীর ব্যাপারে কোরআন ও হাদিসে বিভিন্ন সতর্কবাণী এসেছে। পবিত্র কোরআনে অপচয়কারীকে বলা হয়েছে শয়তানের ভাই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা অপব্যয় করে তারা শয়তানের ভাই, আর শয়তান তার প্রভুর প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ২৭)
অপচয়কারীকে আল্লাহ তাআলা পছন্দ করেন না। এক হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের তিনটি বিষয় অপছন্দ করেন—এক. অনর্থক কথা বলা; দুই. সম্পদ নষ্ট করা এবং তিন. অধিক প্রশ্ন করা।’ (সহিহ্ বুখারি: ১৪৭৭)
সম্পদ আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষাস্বরূপ দেওয়া এক নিয়ামত। একে যদি আমরা যথাযথভাবে ব্যবহার না করি, অপচয় ও অহংকারে লিপ্ত হই, তবে তা নিয়ামত থেকে অভিশাপে পরিণত হতে পারে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা যদি (আমার নিয়ামতের) কৃতজ্ঞতা আদায় করো, তাহলে আমি অবশ্যই তোমাদের আরও বাড়িয়ে দেব। আর যদি অকৃতজ্ঞ হও তাহলে (জেনে রেখো) আমার শাস্তি অবশ্যই অত্যন্ত কঠিন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৭)
তাই প্রয়োজন সচেতনতা, সংযম ও কৃতজ্ঞতার মনোভাব। ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে—যেখানে প্রাচুর্য আছে, সেখানে দায়িত্বও আছে। অপচয় পরিহার করে, আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করাই একজন মুমিনের পরিচয়।
মানুষ মানুষের জন্য। একজনের বিপদে আরেকজন এগিয়ে আসা মানবতার পরিচয়। অসুস্থতা, দুর্ঘটনা বা অন্য কোনো কারণে মানুষের রক্তের প্রয়োজন হয়। প্রয়োজনের সময় রক্তের কোনো বিকল্প নেই—তাই অন্য কারও কাছ থেকে রক্ত নিতে হয়। সেই সংকটময় সময়ে একজন সুস্থ সবল মানুষ স্বেচ্ছায় রক্তদান করে একটি প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে আসতে পারেন।
১৮ ঘণ্টা আগেজীবন ও মৃত্যু একমাত্র আল্লাহর হাতে। কিন্তু কার মৃত্যু কেমনভাবে ঘটবে এবং সেই মৃত্যু কী মর্যাদা বহন করবে—ইসলাম তা ব্যাখ্যা করেছে অত্যন্ত মানবিক ও অর্থপূর্ণভাবে। বিশেষ করে যে মৃত্যুগুলোতে রয়েছে শারীরিক কষ্ট, আত্মত্যাগ ও ধৈর্যের পরীক্ষার ছাপ; ইসলাম সেগুলোর জন্য রেখেছে বিশেষ পুরস্কার ও মর্যাদা।
১৯ ঘণ্টা আগেরোগী গুরুতর অসুস্থ হোক কিংবা কম। তাকে সান্ত্বনা দেওয়া। হতাশ না করা কিংবা ভয় না দেখানো। অসুস্থ ব্যক্তিকে কী বলে সান্ত্বনা দিতে হয় তা হাদিস অনুসন্ধান পাওয়া যায়। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) এক বেদুইনের ঘরে প্রবেশ করলেন তার রোগের খোঁজখবর নিতে। তিনি বললেন—‘তোমার চিন্তার...
১৯ ঘণ্টা আগেমৃত্যু যদি প্রস্তুতির সুযোগ ছাড়াই হঠাৎ আসে, তখন সেটি হয়ে উঠতে পারে অনুতাপের কারণ। যদি কেউ পাপের মধ্যে লিপ্ত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে—বিশেষ করে হঠাৎ মৃত্যু হয়, তবে তা বড় বিপদের কারণ। কেননা, এতে তাওবার সুযোগ নেই, সংশোধনের অবকাশ থাকে না, কারও কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগও থাকে না।
১৯ ঘণ্টা আগে