মুফতি ইশমাম আহমেদ
ইসলামে চলাফেরার নির্দিষ্ট কিছু শিষ্টাচার রয়েছে। সড়ক ও রাস্তা সাধারণ মানুষের সম্পদ। সুতরাং তাতে কোনো ধরনের অন্যায়-অনাচার বা স্বেচ্ছাচারিতা করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষেধ। হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘তোমরা রাস্তার পাশে বসে থেকো না।’ সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ‘আল্লাহর রাসুল, আমাদের তো এর প্রয়োজন হয়। পরস্পরে প্রয়োজনীয় কথা বলতে হয়।’ তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘বসতেই যদি হয়, তবে রাস্তার হক আদায় করে বসো।’ সাহাবিগণ বললেন, ‘আল্লাহর রাসুল, রাস্তার হক কী?’ তিনি বললেন, ‘রাস্তার হক হলো—দৃষ্টি অবনত করে রাখা, কাউকে কষ্ট না দেওয়া, সালামের জবাব দেওয়া এবং সৎ কাজের আদেশ করা ও অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা।’ (সহিহ বুখারি: ৬২২৯)
অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, পথহারাকে পথ দেখানোও বড় সওয়াবের কাজ। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘পথ না চেনা ব্যক্তিকে পথ দেখিয়ে দেওয়া তোমার জন্য একটি সদকা।’ (জামে তিরমিজি: ১৯৫৬)
নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোও বড় সওয়াবের কাজ। রাস্তাঘাটে অনেক নিপীড়িত মানুষ সামনে আসে। তাদের প্রয়োজন পূর্ণ করতে এগিয়ে আসা মহান কাজ। এ ছাড়া বোঝা বহনকারীকে (বোঝা ওঠানো বা নামানোর ক্ষেত্রে) সহযোগিতা করা, ভালো কথা বলা, হাঁচির জবাব দেওয়াও সদকা। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৮১৯); মুসনাদে বাজজার: ৫২৩২; সহিহ মুসলিম: ২১৬১; মুসনাদে আবি ইয়ালা: ৬৬০৩)
এ ছাড়া রাস্তাঘাটে অহংকারী ভাব নিয়ে চলাফেরা করা নিষেধ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, পৃথিবীতে তোমরা দম্ভভরে চলাফেরা কোরো না। (সুরা বনি ইসরাইল: ৩৭।
মুফতি ইশমাম আহমেদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলামে চলাফেরার নির্দিষ্ট কিছু শিষ্টাচার রয়েছে। সড়ক ও রাস্তা সাধারণ মানুষের সম্পদ। সুতরাং তাতে কোনো ধরনের অন্যায়-অনাচার বা স্বেচ্ছাচারিতা করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষেধ। হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘তোমরা রাস্তার পাশে বসে থেকো না।’ সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ‘আল্লাহর রাসুল, আমাদের তো এর প্রয়োজন হয়। পরস্পরে প্রয়োজনীয় কথা বলতে হয়।’ তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘বসতেই যদি হয়, তবে রাস্তার হক আদায় করে বসো।’ সাহাবিগণ বললেন, ‘আল্লাহর রাসুল, রাস্তার হক কী?’ তিনি বললেন, ‘রাস্তার হক হলো—দৃষ্টি অবনত করে রাখা, কাউকে কষ্ট না দেওয়া, সালামের জবাব দেওয়া এবং সৎ কাজের আদেশ করা ও অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা।’ (সহিহ বুখারি: ৬২২৯)
অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, পথহারাকে পথ দেখানোও বড় সওয়াবের কাজ। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘পথ না চেনা ব্যক্তিকে পথ দেখিয়ে দেওয়া তোমার জন্য একটি সদকা।’ (জামে তিরমিজি: ১৯৫৬)
নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোও বড় সওয়াবের কাজ। রাস্তাঘাটে অনেক নিপীড়িত মানুষ সামনে আসে। তাদের প্রয়োজন পূর্ণ করতে এগিয়ে আসা মহান কাজ। এ ছাড়া বোঝা বহনকারীকে (বোঝা ওঠানো বা নামানোর ক্ষেত্রে) সহযোগিতা করা, ভালো কথা বলা, হাঁচির জবাব দেওয়াও সদকা। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৮১৯); মুসনাদে বাজজার: ৫২৩২; সহিহ মুসলিম: ২১৬১; মুসনাদে আবি ইয়ালা: ৬৬০৩)
এ ছাড়া রাস্তাঘাটে অহংকারী ভাব নিয়ে চলাফেরা করা নিষেধ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, পৃথিবীতে তোমরা দম্ভভরে চলাফেরা কোরো না। (সুরা বনি ইসরাইল: ৩৭।
মুফতি ইশমাম আহমেদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
আল্লাহ তাআলা কোরআনের বিভিন্ন স্থানে পূর্ববর্তী জাতিগোষ্ঠী ও তাদের ভয়াবহ পরিণতির কথা উল্লেখ করেছেন। এর উদ্দেশ্য হলো, মানুষ যেন এই দৃষ্টান্ত দেখে আল্লাহর প্রতি ইমান আনে এবং সঠিক পথে ফিরে আসে। সুরা ইয়াসিনে তেমনই এক জনপদের কথা এসেছে, যার নাম ছিল ‘ইন্তাকিয়া।’
২ ঘণ্টা আগেমুখ দ্বারা আমরা প্রতিনিয়তই মারাত্মক সব গুনাহ করি—যেগুলো কিছুতেই করা উচিত নয়। মুখের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারলে জান্নাত সুনিশ্চিত। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে আমাকে তার দুই চোয়ালের মাঝের অঙ্গ অর্থাৎ জবান এবং দুই পায়ের মাঝের...
৭ ঘণ্টা আগেসাহাবায়ে কেরাম ছিলেন উম্মতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ও উত্তম মানুষ। নবীজি (সা.)-এর প্রতি তাদের গভীর ভালোবাসা ছিল, যার কারণে তাঁরা তাঁর প্রতিটি কথা ও কাজ অত্যন্ত যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করেছেন। এমনকি তিনি কোন কাজ কোন হাতে এবং কোন দিক থেকে শুরু করতেন, তাও তাঁরা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন।
২০ ঘণ্টা আগেআল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দার কল্যাণের জন্য অসংখ্য নেয়ামত দান করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ হলো নামাজ, যার মধ্যে রয়েছে বান্দার মুক্তি ও কল্যাণ। আল্লাহ তাআলা মুমিনদের জন্য প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন, যার মাধ্যমে মুমিন ব্যক্তি তাঁর রবের নৈকট্য অর্জন করতে পারে।
১ দিন আগে