নাঈমুল হাসান তানযীম
মুখ দ্বারা আমরা প্রতিনিয়তই মারাত্মক সব গুনাহ করি—যেগুলো কিছুতেই করা উচিত নয়। মুখের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারলে জান্নাত সুনিশ্চিত। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে আমাকে তার দুই চোয়ালের মাঝের অঙ্গ অর্থাৎ জবান এবং দুই পায়ের মাঝের অঙ্গের (সঠিক ব্যবহারের) জামানত দেবে আমি তার জন্য জান্নাতের জামিন হব।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৪৭৪) আরেক হাদিসে এসেছে, ‘তুমি তোমার জবানের নিয়ন্ত্রণ করো।’ (জামে তিরমিজি: ২৪০৬)
মুখ দ্বারা ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় অনেক রকমের গুনাহ ও গর্হিত কাজ হয়ে যায় আমাদের। সে সবের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হচ্ছে এগুলো:
১. গালি দেওয়া: রাসুল (সা.) বলেন, ‘মুমিন (অন্যের) দোষ চর্চাকারী হয় না, লানতকারী, অশ্লীল ও গালাগালকারী হয় না (বাজে কথা বলে না)।’ (জামে তিরমিজি: ১৯৭৭)
২. গিবত করা: আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা অধিকাংশ অনুমান থেকে বেঁচে থাকো। কারণ, কোনো কোনো অনুমান গুনাহ। তোমরা কারও গোপন ত্রুটির অনুসন্ধানে পড়বে না এবং একে অন্যের গিবত করবে না। তোমাদের মধ্যে কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? এটাকে তো তোমরা ঘৃণা করে থাকো। তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।’ (সুরা হুজুরাত: ৪৯)
৩. মিথ্যা বলা: হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা মিথ্যা থেকে দূরে থাকো। নিশ্চয় মিথ্যা পাপের পথে নিয়ে যায়। আর পাপ জাহান্নামে নিয়ে ফেলে। ব্যক্তি মিথ্যা বলতেই থাকে, মিথ্যার খোঁজে থাকে; একপর্যায়ে আল্লাহর খাতায় কাজ্জাব (মহামিথ্যাবাদী) হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়ে যায়।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৯৪)
৪. অশ্লীলতা প্রচার করা: আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে তাদের জন্য আছে দুনিয়া ও আখিরাতে মর্মন্তুদ শাস্তি। আর আল্লাহ জানেন, তোমরা জানো না।’ (সুরা নুর: ১৯)
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক
মুখ দ্বারা আমরা প্রতিনিয়তই মারাত্মক সব গুনাহ করি—যেগুলো কিছুতেই করা উচিত নয়। মুখের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারলে জান্নাত সুনিশ্চিত। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে আমাকে তার দুই চোয়ালের মাঝের অঙ্গ অর্থাৎ জবান এবং দুই পায়ের মাঝের অঙ্গের (সঠিক ব্যবহারের) জামানত দেবে আমি তার জন্য জান্নাতের জামিন হব।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৪৭৪) আরেক হাদিসে এসেছে, ‘তুমি তোমার জবানের নিয়ন্ত্রণ করো।’ (জামে তিরমিজি: ২৪০৬)
মুখ দ্বারা ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় অনেক রকমের গুনাহ ও গর্হিত কাজ হয়ে যায় আমাদের। সে সবের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হচ্ছে এগুলো:
১. গালি দেওয়া: রাসুল (সা.) বলেন, ‘মুমিন (অন্যের) দোষ চর্চাকারী হয় না, লানতকারী, অশ্লীল ও গালাগালকারী হয় না (বাজে কথা বলে না)।’ (জামে তিরমিজি: ১৯৭৭)
২. গিবত করা: আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা অধিকাংশ অনুমান থেকে বেঁচে থাকো। কারণ, কোনো কোনো অনুমান গুনাহ। তোমরা কারও গোপন ত্রুটির অনুসন্ধানে পড়বে না এবং একে অন্যের গিবত করবে না। তোমাদের মধ্যে কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? এটাকে তো তোমরা ঘৃণা করে থাকো। তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।’ (সুরা হুজুরাত: ৪৯)
৩. মিথ্যা বলা: হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা মিথ্যা থেকে দূরে থাকো। নিশ্চয় মিথ্যা পাপের পথে নিয়ে যায়। আর পাপ জাহান্নামে নিয়ে ফেলে। ব্যক্তি মিথ্যা বলতেই থাকে, মিথ্যার খোঁজে থাকে; একপর্যায়ে আল্লাহর খাতায় কাজ্জাব (মহামিথ্যাবাদী) হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়ে যায়।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৯৪)
৪. অশ্লীলতা প্রচার করা: আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে তাদের জন্য আছে দুনিয়া ও আখিরাতে মর্মন্তুদ শাস্তি। আর আল্লাহ জানেন, তোমরা জানো না।’ (সুরা নুর: ১৯)
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক
সাহাবায়ে কেরাম ছিলেন উম্মতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ও উত্তম মানুষ। নবীজি (সা.)-এর প্রতি তাদের গভীর ভালোবাসা ছিল, যার কারণে তাঁরা তাঁর প্রতিটি কথা ও কাজ অত্যন্ত যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করেছেন। এমনকি তিনি কোন কাজ কোন হাতে এবং কোন দিক থেকে শুরু করতেন, তাও তাঁরা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন।
১৬ ঘণ্টা আগেআল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দার কল্যাণের জন্য অসংখ্য নেয়ামত দান করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ হলো নামাজ, যার মধ্যে রয়েছে বান্দার মুক্তি ও কল্যাণ। আল্লাহ তাআলা মুমিনদের জন্য প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন, যার মাধ্যমে মুমিন ব্যক্তি তাঁর রবের নৈকট্য অর্জন করতে পারে।
১৮ ঘণ্টা আগেনেক কাজের দ্বারা পাপরাশি তখনই মাফ হবে, যখন তা সগিরা গুনাহ হবে। যদি কবিরা গুনাহ হয়, তাহলে অবশ্যই এর জন্য তওবা করতে হবে। আর অপরাধটা যদি কোনো মানুষের অধিকার সম্পর্কিত হয়, তাহলে প্রথমে ওই ব্যক্তি থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। তারপর আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।
১ দিন আগেইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত হলো রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
১ দিন আগে