মুফতি খালিদ কাসেমি
মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা সন্তানের ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্ব। এটি এমন এক গুরুদায়িত্ব, যা বান্দাকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে। আল্লাহর হকের পর মা-বাবার হক সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। কোরআন ও হাদিসে মা-বাবার সঙ্গে সদাচারের অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ রয়েছে।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমার প্রতিপালক নির্দেশ দিয়েছেন, তাকে ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করো না, বাবা-মায়ের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করো, মা-বাবার কোনো একজন কিংবা উভয়ে যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদের উফ্ পর্যন্ত বলো না এবং তাদের ধমক দিও না; বরং তাদের সঙ্গে সম্মানজনক কথা বলো। এবং তাদের প্রতি মমতাপূর্ণ আচরণের পাশাপাশি তাদের সামনে নিজেকে বিনয়াবনত করো এবং দোয়া করো—হে আমার প্রতিপালক, তারা যেভাবে আমার শৈশবে আমাকে লালন-পালন করেছেন, তেমনি আপনিও তাঁদের প্রতি রহমতের আচরণ করুন।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ২৩-২৪)
অন্য আয়াতে এরশাদ হচ্ছে, ‘আমি তো মানুষকে তার বাবা-মায়ের প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছি। মা সন্তানকে কষ্টের পর কষ্ট বরণ করে গর্ভে ধারণ করেন এবং তার দুধ ছাড়ানো হয় দুই বছরে। সুতরাং আমার প্রতি ও তোমার মা-বাবার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। প্রত্যাবর্তন তো আমারই কাছেই।’ (সুরা লুকমান: ১৪)
মা-বাবার সঙ্গে সদাচার আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় আমল। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে প্রশ্ন করলাম, ‘আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল কোনটি?’ তিনি বললেন, ‘সঠিক সময়ে নামাজ আদায় করা।’ আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘তারপর কোনটি?’ তিনি বললেন, ‘মা-বাবার প্রতি সদ্বব্যবহার করা।...’ (মুসলিম) অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সা.) বলেন, ‘মা-বাবার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ হয় আর তাঁদের অসন্তুষ্টিতে আল্লাহর অসন্তুষ্টি রয়েছে।’ (তিরমিজি)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা সন্তানের ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্ব। এটি এমন এক গুরুদায়িত্ব, যা বান্দাকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে। আল্লাহর হকের পর মা-বাবার হক সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। কোরআন ও হাদিসে মা-বাবার সঙ্গে সদাচারের অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ রয়েছে।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমার প্রতিপালক নির্দেশ দিয়েছেন, তাকে ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করো না, বাবা-মায়ের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করো, মা-বাবার কোনো একজন কিংবা উভয়ে যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদের উফ্ পর্যন্ত বলো না এবং তাদের ধমক দিও না; বরং তাদের সঙ্গে সম্মানজনক কথা বলো। এবং তাদের প্রতি মমতাপূর্ণ আচরণের পাশাপাশি তাদের সামনে নিজেকে বিনয়াবনত করো এবং দোয়া করো—হে আমার প্রতিপালক, তারা যেভাবে আমার শৈশবে আমাকে লালন-পালন করেছেন, তেমনি আপনিও তাঁদের প্রতি রহমতের আচরণ করুন।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ২৩-২৪)
অন্য আয়াতে এরশাদ হচ্ছে, ‘আমি তো মানুষকে তার বাবা-মায়ের প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছি। মা সন্তানকে কষ্টের পর কষ্ট বরণ করে গর্ভে ধারণ করেন এবং তার দুধ ছাড়ানো হয় দুই বছরে। সুতরাং আমার প্রতি ও তোমার মা-বাবার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। প্রত্যাবর্তন তো আমারই কাছেই।’ (সুরা লুকমান: ১৪)
মা-বাবার সঙ্গে সদাচার আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় আমল। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে প্রশ্ন করলাম, ‘আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল কোনটি?’ তিনি বললেন, ‘সঠিক সময়ে নামাজ আদায় করা।’ আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘তারপর কোনটি?’ তিনি বললেন, ‘মা-বাবার প্রতি সদ্বব্যবহার করা।...’ (মুসলিম) অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সা.) বলেন, ‘মা-বাবার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ হয় আর তাঁদের অসন্তুষ্টিতে আল্লাহর অসন্তুষ্টি রয়েছে।’ (তিরমিজি)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
হজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান । হজ - ওমরাহকে কেন্দ্র করে পুরো বিশ্বের সামর্থ্যবান মুসলমানেরা ছুটে যান মক্কায় । কেননা এই দুই ইবাদতের জন্য সফর করে মক্কায় যাওয়া আবশ্যক । তবে পবিত্র এই সফরে বাধাগ্রস্ত হলে এবং হজে যেতে না পারলে ইসলামের সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে । ইহরাম বাঁধার পর হজ বা ওমরাহ সফরে যেতে
২১ ঘণ্টা আগেকোনো ধনি ব্যক্তি যদি হজ ফরজ হওয়ার পর শারীরিকভাবে সমর্থ থাকতে হজ করেননি, এখন স্থায়ীভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং কোনোভাবেই নিজে গিয়ে হজ আদায় করতে না পারছেন না—তাহলে শরিয়ত তাঁকে বিকল্প ব্যবস্থা দিয়েছে। এ বিকল্প ব্যবস্থার নাম ‘বদলি হজ।’
২ দিন আগেবছরজুড়ে ঋতুর পালাবদল ও সময়ের বৈচিত্র্য নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহর অনন্য দান। একেক মৌসুমে একেক রকম আলো-বাতাস আমরা পাই। শীত ও গ্রীষ্ম বছরের প্রধানতম দুটি ঋতু।
২ দিন আগেইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিধান হজ। আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান এবং শারীরিকভাবে সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানদের ওপর হজ ফরজ। ফরজ হজ যথাসম্ভব দ্রুত আদায় করা উচিত।
৩ দিন আগে