আবরার নাঈম
শয়তান মানুষের চিরশত্রু। আল্লাহ তাআলা মানুষকে শয়তানের পথে চলতে নিষেধ করেছেন। তবে মানুষের দ্বারা গুনাহ হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। মূল বিষয় হলো গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হওয়া এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘আল্লাহর শপথ, আমি প্রতিদিন আল্লাহর কাছে সত্তরবারেরও অধিক ইস্তিগফার ও তাওবা করে থাকি।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৩০৭)। অন্য হাদিসে হজরত আনাস (রা.) বর্ণিত আছে, নবী (সা.) বলেছেন, ‘মানুষ মাত্রেই গুনাহগার (অপরাধী)। আর গুনাহগারদের মধ্যে তাওবাকারীরাই উত্তম।’ (তিরমিজি: ২৪৯৯)
আল্লাহ তাআলার একটি গুণবাচক নাম হলো গাফফার। অর্থাৎ তিনি অপরাধী বান্দাকে ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। তাই কোনো গুনাহ হয়ে গেলে উচিত হলো সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং কোনো নেক আমল করে নেওয়া। কারণ নেক আমল গুনাহকে মুছে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই নেক আমল মন্দ কর্মগুলোকে মিটিয়ে দেয়।’ (সুরা হুদ: ১১৪)
গুনাহের কারণে আল্লাহর পক্ষ থেকে পৃথিবীতে নেমে আসে নানা বিপর্যয়। বৃষ্টি বন্ধ হয়, ফসল নষ্ট হয়, নদী-নালা শুকিয়ে যায়, রিজিক কমে যায়। এমন অসংখ্য বিপদ ক্রমাগত আসতে থাকে। তবে বেশি পরিমাণে ইস্তিগফার করলে আল্লাহ তাআলা আমাদের পাপ তো মোচন করবেনই, পাশাপাশি অগণিত নিয়ামতও দান করবেন। যেমন প্রচুর বৃষ্টি দেবেন, যাতে ফসল ভালো হবে। ধনসম্পদ বৃদ্ধি করে দেবেন। সন্তানসন্ততি দান করবেন, যা আল্লাহ তাআলার ওয়াদা।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি বলেছি তোমাদের রবের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করো, তিনি তো ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটাবেন। তিনি তোমাদের সমৃদ্ধ করবেন ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততিতে এবং তোমাদের জন্য স্থাপন করবেন উদ্যান ও প্রবাহিত করবেন নদী-নালা।’ (সুরা নুহ: ১০-১২)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
শয়তান মানুষের চিরশত্রু। আল্লাহ তাআলা মানুষকে শয়তানের পথে চলতে নিষেধ করেছেন। তবে মানুষের দ্বারা গুনাহ হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। মূল বিষয় হলো গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হওয়া এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘আল্লাহর শপথ, আমি প্রতিদিন আল্লাহর কাছে সত্তরবারেরও অধিক ইস্তিগফার ও তাওবা করে থাকি।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৩০৭)। অন্য হাদিসে হজরত আনাস (রা.) বর্ণিত আছে, নবী (সা.) বলেছেন, ‘মানুষ মাত্রেই গুনাহগার (অপরাধী)। আর গুনাহগারদের মধ্যে তাওবাকারীরাই উত্তম।’ (তিরমিজি: ২৪৯৯)
আল্লাহ তাআলার একটি গুণবাচক নাম হলো গাফফার। অর্থাৎ তিনি অপরাধী বান্দাকে ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। তাই কোনো গুনাহ হয়ে গেলে উচিত হলো সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং কোনো নেক আমল করে নেওয়া। কারণ নেক আমল গুনাহকে মুছে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই নেক আমল মন্দ কর্মগুলোকে মিটিয়ে দেয়।’ (সুরা হুদ: ১১৪)
গুনাহের কারণে আল্লাহর পক্ষ থেকে পৃথিবীতে নেমে আসে নানা বিপর্যয়। বৃষ্টি বন্ধ হয়, ফসল নষ্ট হয়, নদী-নালা শুকিয়ে যায়, রিজিক কমে যায়। এমন অসংখ্য বিপদ ক্রমাগত আসতে থাকে। তবে বেশি পরিমাণে ইস্তিগফার করলে আল্লাহ তাআলা আমাদের পাপ তো মোচন করবেনই, পাশাপাশি অগণিত নিয়ামতও দান করবেন। যেমন প্রচুর বৃষ্টি দেবেন, যাতে ফসল ভালো হবে। ধনসম্পদ বৃদ্ধি করে দেবেন। সন্তানসন্ততি দান করবেন, যা আল্লাহ তাআলার ওয়াদা।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি বলেছি তোমাদের রবের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করো, তিনি তো ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটাবেন। তিনি তোমাদের সমৃদ্ধ করবেন ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততিতে এবং তোমাদের জন্য স্থাপন করবেন উদ্যান ও প্রবাহিত করবেন নদী-নালা।’ (সুরা নুহ: ১০-১২)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
লজ্জা বা হায়া ইসলামের একটি মৌলিক গুণ, যা মুমিনের চরিত্রকে সুশোভিত করে। এর কারণে মানুষের মধ্য থেকে কুটিলতা ও পাপ দূর হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা নিজেও এ গুণে গুণান্বিত, তাই তিনি লজ্জাশীল বান্দাকে পছন্দ করেন। এটি কেবল বাহ্যিক শালীনতা নয়, বরং অন্তরের পবিত্রতা ও আল্লাহভীতির প্রকাশ।
৩ ঘণ্টা আগেমানুষের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হলো সালাম। সালামের দ্বারা দূর হয় অহংকার, গড়ে উঠে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। সালাম প্রসারে সুগম হয় জান্নাতের পথ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘হে মানুষেরা! তোমরা বেশি বেশি সালামের প্রসার ঘটাও, মানুষকে খাবার খাওয়াও, আর যখন সকল মানুষ ঘুমিয়ে থাকে তখন নামাজ...
৪ ঘণ্টা আগেইসলামে বিশ্বাস ও তাওহিদের ভিত্তিতে মানবজীবন পরিচালিত হয়। সেই বিশ্বাসে জাদু বা জাদুটোনার কোনো স্থান নেই—বরং এটি একটি ঘৃণিত, হারাম এবং গুনাহে কবিরা, অর্থাৎ বড় পাপ হিসেবে চিহ্নিত। জাদুবিদ্যা কেবল একজন মানুষকে শারীরিক বা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে না, বরং তার ইমান ও আত্মিক ভারসাম্যকেও ভেঙে দিতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগেদৃষ্টিশক্তি হৃদয়ের অন্যতম প্রবেশপথ। এর অপব্যবহারের ফলে মানবহৃদয়ে নানা ধরনের কুবাসনা প্রবেশ করে এবং মানুষের মধ্যে পাপাচারের আগ্রহ জন্মায়। এ জন্য মুসলমানদের অবশ্যকর্তব্য হলো, এমন সব বস্তু থেকে দৃষ্টিকে সংযত রাখা, যা তাদের জন্য নিষিদ্ধ ও হারাম।
২ দিন আগে