ইমদাদুল হক শেখ
মানুষের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হলো সালাম। সালামের দ্বারা দূর হয় অহংকার, গড়ে উঠে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। সালাম প্রসারে সুগম হয় জান্নাতের পথ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘হে মানুষেরা! তোমরা বেশি বেশি সালামের প্রসার ঘটাও, মানুষকে খাবার খাওয়াও, আর যখন সকল মানুষ ঘুমিয়ে থাকে তখন নামাজ (তাহাজ্জুদ) পড়ো। তাহলে তোমরা নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।’ (তিরমিজি: ২৪৮৫)
অন্য হাদিসে বর্ণিত আছে, সালাম প্রসার জান্নাতকে আবশ্যক করে। আবু শুরাইহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাকে এমন একটা জিনিস (আমল) সম্পর্কে সংবাদ দেন যা আমার জন্য জান্নাতকে আবশ্যক করে।’ রাসুল (সা.) বলেন, ‘উত্তম কথা বলো, সালাম প্রসার করো এবং খাবার খাওয়াও।’ (সহিহুত্ তারগিব: ২৬৯৯)
পূর্ণ শব্দে সালাম প্রদানে অর্জিত হয় অজস্র নেকি। একবার এক ব্যক্তি এসে রাসুল (সা.)-কে সালাম দিল, ‘আসসালামু আলাইকুম।’ তখন রাসুল (সা.) বলেন, ‘আশারা (দশ)।’ অর্থাৎ সে দশ নেকি লাভ করেছে। আরেক ব্যক্তি এসে সালাম দিয়ে বলল, ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।’ এবার রাসুল (সা.) বললেন, ‘ইশরুন (বিশ)।’ অর্থাৎ সে বিশ নেকি লাভ করেছে। আরেক ব্যক্তি এসে সালাম দিয়ে বলল, ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।’ এবার রাসুল (সা.) বললেন, ‘সালাসুন (ত্রিশ)।’ অর্থাৎ সে ত্রিশ নেকি লাভ করেছে। (জামে তিরমিজি: ২৬৮৯)
সালাম বিধানগতভাবে সুন্নত হলেও তার উত্তর প্রদান করা আবশ্যক। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যখন তোমাদের (সালামের দ্বারা) অভিবাদন করা হয়, তখন তোমরাও তা অপেক্ষা উত্তম অভিবাদন করবে অথবা অনুরূপই করবে।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
লেখক: শিক্ষক, ইসলামবিষয়ক গবেষক
মানুষের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হলো সালাম। সালামের দ্বারা দূর হয় অহংকার, গড়ে উঠে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। সালাম প্রসারে সুগম হয় জান্নাতের পথ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘হে মানুষেরা! তোমরা বেশি বেশি সালামের প্রসার ঘটাও, মানুষকে খাবার খাওয়াও, আর যখন সকল মানুষ ঘুমিয়ে থাকে তখন নামাজ (তাহাজ্জুদ) পড়ো। তাহলে তোমরা নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।’ (তিরমিজি: ২৪৮৫)
অন্য হাদিসে বর্ণিত আছে, সালাম প্রসার জান্নাতকে আবশ্যক করে। আবু শুরাইহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাকে এমন একটা জিনিস (আমল) সম্পর্কে সংবাদ দেন যা আমার জন্য জান্নাতকে আবশ্যক করে।’ রাসুল (সা.) বলেন, ‘উত্তম কথা বলো, সালাম প্রসার করো এবং খাবার খাওয়াও।’ (সহিহুত্ তারগিব: ২৬৯৯)
পূর্ণ শব্দে সালাম প্রদানে অর্জিত হয় অজস্র নেকি। একবার এক ব্যক্তি এসে রাসুল (সা.)-কে সালাম দিল, ‘আসসালামু আলাইকুম।’ তখন রাসুল (সা.) বলেন, ‘আশারা (দশ)।’ অর্থাৎ সে দশ নেকি লাভ করেছে। আরেক ব্যক্তি এসে সালাম দিয়ে বলল, ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।’ এবার রাসুল (সা.) বললেন, ‘ইশরুন (বিশ)।’ অর্থাৎ সে বিশ নেকি লাভ করেছে। আরেক ব্যক্তি এসে সালাম দিয়ে বলল, ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।’ এবার রাসুল (সা.) বললেন, ‘সালাসুন (ত্রিশ)।’ অর্থাৎ সে ত্রিশ নেকি লাভ করেছে। (জামে তিরমিজি: ২৬৮৯)
সালাম বিধানগতভাবে সুন্নত হলেও তার উত্তর প্রদান করা আবশ্যক। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যখন তোমাদের (সালামের দ্বারা) অভিবাদন করা হয়, তখন তোমরাও তা অপেক্ষা উত্তম অভিবাদন করবে অথবা অনুরূপই করবে।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
লেখক: শিক্ষক, ইসলামবিষয়ক গবেষক
লজ্জা বা হায়া ইসলামের একটি মৌলিক গুণ, যা মুমিনের চরিত্রকে সুশোভিত করে। এর কারণে মানুষের মধ্য থেকে কুটিলতা ও পাপ দূর হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা নিজেও এ গুণে গুণান্বিত, তাই তিনি লজ্জাশীল বান্দাকে পছন্দ করেন। এটি কেবল বাহ্যিক শালীনতা নয়, বরং অন্তরের পবিত্রতা ও আল্লাহভীতির প্রকাশ।
৩ ঘণ্টা আগেইসলামে বিশ্বাস ও তাওহিদের ভিত্তিতে মানবজীবন পরিচালিত হয়। সেই বিশ্বাসে জাদু বা জাদুটোনার কোনো স্থান নেই—বরং এটি একটি ঘৃণিত, হারাম এবং গুনাহে কবিরা, অর্থাৎ বড় পাপ হিসেবে চিহ্নিত। জাদুবিদ্যা কেবল একজন মানুষকে শারীরিক বা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে না, বরং তার ইমান ও আত্মিক ভারসাম্যকেও ভেঙে দিতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগেশয়তান মানুষের চিরশত্রু। আল্লাহ তাআলা মানুষকে শয়তানের পথে চলতে নিষেধ করেছেন। তবে মানুষের দ্বারা গুনাহ হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। মূল বিষয় হলো গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হওয়া এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘আল্লাহর শপথ, আমি প্রতিদিন আল্লা
১৬ ঘণ্টা আগেদৃষ্টিশক্তি হৃদয়ের অন্যতম প্রবেশপথ। এর অপব্যবহারের ফলে মানবহৃদয়ে নানা ধরনের কুবাসনা প্রবেশ করে এবং মানুষের মধ্যে পাপাচারের আগ্রহ জন্মায়। এ জন্য মুসলমানদের অবশ্যকর্তব্য হলো, এমন সব বস্তু থেকে দৃষ্টিকে সংযত রাখা, যা তাদের জন্য নিষিদ্ধ ও হারাম।
২ দিন আগে