শরিফ আহমাদ
নামাজ শ্রেষ্ঠ ইবাদত। ইমানের পরেই ইসলামে নামাজের স্থান। নারী-পুরুষ সবাইকে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হয়। বিনয় ও একাগ্রতার সৌন্দর্যে নামাজকে জীবন্ত করে তুলতে হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তুমি এমনভাবে নামাজ আদায় করবে যেন তুমি মহান আল্লাহকে দেখতে পাচ্ছো আর যদি তুমি দেখতে না পাও, তাহলে অন্তত ভাববে যে নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তোমাকে দেখছেন।’ (বুখারি: ৫০)
আল্লাহ আমাকে দেখছেন, তিনি আমার তিলাওয়াত শুনছেন—এই একটি যুগান্তকারী বোধ নামাজে খুশুখুজু বা মনোযোগের প্রধান সহায়ক। মূলত খুশুখুজু অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও তার বাহ্যিক প্রকাশ ঘটে শরীরের মাধ্যমে। তাই নামাজে অযথা এদিক-ওদিক তাকানো নিষেধ। দাঁড়ানো অবস্থায় সিজদার দিকেই নজর রাখতে হয়। আয়েশা (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে নামাজে এদিক-ওদিক তাকানো সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, ‘এটা একটি ছিনতাই, এর মাধ্যমে শয়তান বান্দার নামাজ থেকে (তার খুশুখুজুকে) ছিনতাই করে।’ (বুখারি: ৭৫১)
কিছু লোকের ধারণা, দ্রুত নামাজ আদায় করলে নামাজে মনোযোগ রাখা যায়। এটা একটি ভুল ধারণা। কেননা দ্রুত নামাজ আদায় করলে নামাজের আবশ্যক বিধানগুলো সঠিকভাবে আদায় করা যায় না। নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘মানুষের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট চোর হলো, যে নামাজের মধ্যে চুরি করে।’ সাহাবিগণ আরজ করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, নামাজে কীভাবে চুরি করে?’ তিনি বললেন, ‘নামাজে রুকু-সিজদা ঠিকমতো আদায় করে না।’ (মুসনাদে আহমাদ: ২২৬৪২ সহিহ ইবনে হিব্বান: ১৮৮৮)
ধীরস্থিরতার সঙ্গে সুন্দর পদ্ধতিতে নামাজ আদায়ে অবহেলাকারীদের বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। যায়েদ ইবনে ওয়াহাব (রা.) থেকে বর্ণিত। হুযাইফা (রা.) এক ব্যক্তিকে দেখলেন যে সে রুকু-সিজদা ঠিকমতো করছে না। তিনি তাকে বললেন, ‘তোমার নামাজ হয়নি। যদি তুমি এমতাবস্থায় মারা যাও, তাহলে আল্লাহ কর্তৃক মুহাম্মদ (সা.)-কে দেওয়া আদর্শ থেকে বিচ্যুত অবস্থায় মারা যাবে।’ (বুখারি: ৭৯১)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
নামাজ শ্রেষ্ঠ ইবাদত। ইমানের পরেই ইসলামে নামাজের স্থান। নারী-পুরুষ সবাইকে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হয়। বিনয় ও একাগ্রতার সৌন্দর্যে নামাজকে জীবন্ত করে তুলতে হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তুমি এমনভাবে নামাজ আদায় করবে যেন তুমি মহান আল্লাহকে দেখতে পাচ্ছো আর যদি তুমি দেখতে না পাও, তাহলে অন্তত ভাববে যে নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তোমাকে দেখছেন।’ (বুখারি: ৫০)
আল্লাহ আমাকে দেখছেন, তিনি আমার তিলাওয়াত শুনছেন—এই একটি যুগান্তকারী বোধ নামাজে খুশুখুজু বা মনোযোগের প্রধান সহায়ক। মূলত খুশুখুজু অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও তার বাহ্যিক প্রকাশ ঘটে শরীরের মাধ্যমে। তাই নামাজে অযথা এদিক-ওদিক তাকানো নিষেধ। দাঁড়ানো অবস্থায় সিজদার দিকেই নজর রাখতে হয়। আয়েশা (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে নামাজে এদিক-ওদিক তাকানো সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, ‘এটা একটি ছিনতাই, এর মাধ্যমে শয়তান বান্দার নামাজ থেকে (তার খুশুখুজুকে) ছিনতাই করে।’ (বুখারি: ৭৫১)
কিছু লোকের ধারণা, দ্রুত নামাজ আদায় করলে নামাজে মনোযোগ রাখা যায়। এটা একটি ভুল ধারণা। কেননা দ্রুত নামাজ আদায় করলে নামাজের আবশ্যক বিধানগুলো সঠিকভাবে আদায় করা যায় না। নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘মানুষের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট চোর হলো, যে নামাজের মধ্যে চুরি করে।’ সাহাবিগণ আরজ করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, নামাজে কীভাবে চুরি করে?’ তিনি বললেন, ‘নামাজে রুকু-সিজদা ঠিকমতো আদায় করে না।’ (মুসনাদে আহমাদ: ২২৬৪২ সহিহ ইবনে হিব্বান: ১৮৮৮)
ধীরস্থিরতার সঙ্গে সুন্দর পদ্ধতিতে নামাজ আদায়ে অবহেলাকারীদের বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। যায়েদ ইবনে ওয়াহাব (রা.) থেকে বর্ণিত। হুযাইফা (রা.) এক ব্যক্তিকে দেখলেন যে সে রুকু-সিজদা ঠিকমতো করছে না। তিনি তাকে বললেন, ‘তোমার নামাজ হয়নি। যদি তুমি এমতাবস্থায় মারা যাও, তাহলে আল্লাহ কর্তৃক মুহাম্মদ (সা.)-কে দেওয়া আদর্শ থেকে বিচ্যুত অবস্থায় মারা যাবে।’ (বুখারি: ৭৯১)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ঈদের দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমল ঈদের নামাজ আদায় করা। তাই প্রস্তুতি গ্রহণ করে আগে আগে ঈদগাহে চলে যাওয়া উচিত। তবে অপ্রত্যাশিতভাবে ঈদের জামাত ছুটে গেলে অথবা অংশ বিশেষ না পেলে করণীয় হলো—
২ ঘণ্টা আগেখুশির বার্তা নিয়ে হাজির হয় ঈদ। ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায় করে। তবে বছরে মাত্র দুইবার এই নামাজ পড়ার ফলে অনেকেরই এর নিয়মকানুন মনে থাকে না। ঈদের নামাজ সংক্রান্ত যেসব বিষয় মনে রাখতে হবে, তা হলো—
২০ ঘণ্টা আগেআকাশে জিলহজের বাঁকা চাঁদ হাসি দেওয়ার দশম দিন উদ্যাপিত হয় ঈদুল আজহা। এটি মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব। ঈদুল আজহা মনের সব কালিমা দূর করে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে, মান-অভিমান বিসর্জন দিয়ে একতা, সমদর্শিতা, ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের দিন। যাবতীয় কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজের
১ দিন আগেজুমার দিন মুসলমানদের জন্য খুবই বরকত ও ফজিলতপূর্ণ দিন। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বিশেষভাবে এ দিনের গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। এই দিনের নামে একটি সুরাও স্থান পেয়েছে কোরআনুল কারিমে।
১ দিন আগে