ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
আল্লাহ তাআলার সব সৃষ্টি একটি পরিবার সমতুল্য। তাদের প্রতি দয়া করা ইবাদত। চাই তা জীবজন্তু হোক আর পোকামাকড় হোক। সবার প্রতি দয়া করা ও কোমল হওয়ার নির্দেশ দেয় ইসলাম। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে দয়া করে না, সে দয়া পায় না।’ (বুখারি)
আমাদের গৃহপালিত সব পশুপাখির বসবাস ও পানাহারের ব্যবস্থা করা, তাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ না করা ইমানদারের অন্যতম দায়িত্ব। কিয়ামতের দিন এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হবে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘এ সকল নির্বাক পশুর ব্যাপারে তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। সুস্থ-সবল পশুদের ওপর আরোহণ করো এবং তাদের ভালোভাবে খাওয়াও।’
এমনকি গৃহপালিত ছাড়াও তুচ্ছ কোনো প্রাণী হলেও তাদের প্রতি দয়া করা, তাদের খাবারের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয় ইসলাম। হাদিসে এসেছে, একদিন মহানবী (সা.) ইসলামপূর্ব একটি ঘটনা উল্লেখ করেন। যেখানে এক ব্যক্তি একটি পিপাসার্ত কুকুরকে পানি পান করিয়ে আল্লাহর ক্ষমা লাভ করেন। এ ঘটনা শুনে সাহাবিগণ জিজ্ঞাসা করেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, প্রাণীর প্রতি দয়া প্রদর্শন করলেও কি পুরস্কার রয়েছে?’ তিনি বললেন ‘হ্যাঁ, প্রত্যেক দয়ালু অন্তরের অধিকারীর জন্য পুরস্কার রয়েছে।’ (বুখারি)
জীবের প্রতি অমানবিক হওয়া গুনাহের কাজ, যা ব্যক্তিকে জাহান্নামি করতে পারে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘এক নারী একটি বিড়ালকে বেঁধে রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। সেই অপরাধে তাকে শাস্তি দেওয়া হয় এবং তাকে জাহান্নামি বলে ঘোষণা করা হয়। কারণ, সে বিড়ালের খাবারের ব্যবস্থা করেনি এবং তাকে ছেড়েও দেয়নি।’ (বুখারি ও মুসলিম)
ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান, অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
আল্লাহ তাআলার সব সৃষ্টি একটি পরিবার সমতুল্য। তাদের প্রতি দয়া করা ইবাদত। চাই তা জীবজন্তু হোক আর পোকামাকড় হোক। সবার প্রতি দয়া করা ও কোমল হওয়ার নির্দেশ দেয় ইসলাম। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে দয়া করে না, সে দয়া পায় না।’ (বুখারি)
আমাদের গৃহপালিত সব পশুপাখির বসবাস ও পানাহারের ব্যবস্থা করা, তাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ না করা ইমানদারের অন্যতম দায়িত্ব। কিয়ামতের দিন এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হবে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘এ সকল নির্বাক পশুর ব্যাপারে তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। সুস্থ-সবল পশুদের ওপর আরোহণ করো এবং তাদের ভালোভাবে খাওয়াও।’
এমনকি গৃহপালিত ছাড়াও তুচ্ছ কোনো প্রাণী হলেও তাদের প্রতি দয়া করা, তাদের খাবারের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয় ইসলাম। হাদিসে এসেছে, একদিন মহানবী (সা.) ইসলামপূর্ব একটি ঘটনা উল্লেখ করেন। যেখানে এক ব্যক্তি একটি পিপাসার্ত কুকুরকে পানি পান করিয়ে আল্লাহর ক্ষমা লাভ করেন। এ ঘটনা শুনে সাহাবিগণ জিজ্ঞাসা করেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, প্রাণীর প্রতি দয়া প্রদর্শন করলেও কি পুরস্কার রয়েছে?’ তিনি বললেন ‘হ্যাঁ, প্রত্যেক দয়ালু অন্তরের অধিকারীর জন্য পুরস্কার রয়েছে।’ (বুখারি)
জীবের প্রতি অমানবিক হওয়া গুনাহের কাজ, যা ব্যক্তিকে জাহান্নামি করতে পারে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘এক নারী একটি বিড়ালকে বেঁধে রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। সেই অপরাধে তাকে শাস্তি দেওয়া হয় এবং তাকে জাহান্নামি বলে ঘোষণা করা হয়। কারণ, সে বিড়ালের খাবারের ব্যবস্থা করেনি এবং তাকে ছেড়েও দেয়নি।’ (বুখারি ও মুসলিম)
ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান, অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
মানুষ মানুষের জন্য। একজনের বিপদে আরেকজন এগিয়ে আসা মানবতার পরিচয়। অসুস্থতা, দুর্ঘটনা বা অন্য কোনো কারণে মানুষের রক্তের প্রয়োজন হয়। প্রয়োজনের সময় রক্তের কোনো বিকল্প নেই—তাই অন্য কারও কাছ থেকে রক্ত নিতে হয়। সেই সংকটময় সময়ে একজন সুস্থ সবল মানুষ স্বেচ্ছায় রক্তদান করে একটি প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে আসতে পারেন।
৮ ঘণ্টা আগেজীবন ও মৃত্যু একমাত্র আল্লাহর হাতে। কিন্তু কার মৃত্যু কেমনভাবে ঘটবে এবং সেই মৃত্যু কী মর্যাদা বহন করবে—ইসলাম তা ব্যাখ্যা করেছে অত্যন্ত মানবিক ও অর্থপূর্ণভাবে। বিশেষ করে যে মৃত্যুগুলোতে রয়েছে শারীরিক কষ্ট, আত্মত্যাগ ও ধৈর্যের পরীক্ষার ছাপ; ইসলাম সেগুলোর জন্য রেখেছে বিশেষ পুরস্কার ও মর্যাদা।
৯ ঘণ্টা আগেরোগী গুরুতর অসুস্থ হোক কিংবা কম। তাকে সান্ত্বনা দেওয়া। হতাশ না করা কিংবা ভয় না দেখানো। অসুস্থ ব্যক্তিকে কী বলে সান্ত্বনা দিতে হয় তা হাদিস অনুসন্ধান পাওয়া যায়। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) এক বেদুইনের ঘরে প্রবেশ করলেন তার রোগের খোঁজখবর নিতে। তিনি বললেন—‘তোমার চিন্তার...
৯ ঘণ্টা আগেমৃত্যু যদি প্রস্তুতির সুযোগ ছাড়াই হঠাৎ আসে, তখন সেটি হয়ে উঠতে পারে অনুতাপের কারণ। যদি কেউ পাপের মধ্যে লিপ্ত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে—বিশেষ করে হঠাৎ মৃত্যু হয়, তবে তা বড় বিপদের কারণ। কেননা, এতে তাওবার সুযোগ নেই, সংশোধনের অবকাশ থাকে না, কারও কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগও থাকে না।
৯ ঘণ্টা আগে